বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম ।
আগেরকার যুগে আল্লাহর নবীদের সাথে যারা বেশি আল্লাহ ওয়ালা রাব্বানিওন ﺭِﺑِّﻴُّﻮۡﻥَ ছিলেন
আল্লাহর জন্য সব ফানা ফিল্লাহ করে দিয়েছিলেন ।
তাঁরা নবীদের সাথে মিলে একসাথে আল্লাহর দ্বীনের প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের সব বিলিয়ে মাথা নত না করে সাহসের সাথে বীরত্বের সাথে ধৈর্য্যের সাথে জিহাদ করেছেন ।
দুনিয়ার কোনো চাওয়া পাওয়া তাদের লক্ষ ছিলোনা ।
আল্লাহর সন্তুষ্টিই ছিল তাঁদের মূল লক্ষ্য ।
আর,
আজকের যুগের আল্লাহ ওয়ালা দাবিদারদের অবস্থা কি?
তাঁরা আললাহর পথে একটি কাঁটা ও ফুঁটতে চায়না ।
বরং তাকে আজাব মনে করে;
আল্লাহর পথের কষ্ট-জিহাদকে বিদাত, বাতিল বলে দাবি করে ।
ইসলামের সর্বক্ষেত্রে ভূমিকাকে কে ভুল বলে দাবি করে ।
একটা জিনিস খেয়াল করা যায় যে যেই সরকারগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়,ওই আল্লাহ ওয়ালা দাবিদারদের সাথে তাদের সম্পর্ক খুব ভালো থাকে ।
সরকার তাদেরকে ভালো পজিশন দেয়, সম্মান দেয় ।
তারাও সরকারকে বৈধতা দেয় ধর্মের নাম বাবহার করে ।
তারা জালেম কে সমর্থন দেয়
মজলুমদের ফাঁসি,জেল,জুলুম এবং নির্যাতনকে জায়েজ ঘোষণা করে ।
দেখুন আগের আল্লাহ ওয়ালাদের কর্মপদ্ধতি সূরা আলে ইমরানে:
ﻭَﻛَﺎَﻳِّﻦۡ ﻣِّﻦۡ ﻧَّﺒِﻰٍّ ﻗٰﺘَﻞَۙ ﻣَﻌَﻪٗ ﺭِﺑِّﻴُّﻮۡﻥَ ﻛَﺜِﻴۡﺮٌ ﻓَﻤَﺎ ﻭَﻫَﻨُﻮۡﺍ ﻟِﻤَﺎۤ ﺍَﺻَﺎﺑَﻬُﻢۡ ﻓِﻰۡ ﺳَﺒِﻴۡﻞِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﺿَﻌُﻔُﻮۡﺍ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳۡﺘَﻜَﺎﻧُﻮۡﺍؕ ﻭَﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮِﻳۡﻦَ
এর আগে এমন অনেক নবী চলে গেছে যাদের সাথে মিলে বহু আল্লাহ ওয়ালা লড়াই করেছে। আল্লাহর পথে তাদের ওপর যেসব বিপদ এসেছে তাতে তারা মনমরা ও হতাশ হয়নি, তারা দুর্বলতা দেখায়নি এবং তারা বাতিলের সামনে মাথা নত করে দেয়নি। এ ধরনের সবরকারীদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন। আয়াত-১৪৬
তাদের লক্ষ্য ছিল নিজেদের গুনাহ মাফ, দ্বীনের পথে মজবুতি
এবং দ্বীনের বিজয়:
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻗَﻮۡﻟَﻬُﻢۡ ﺍِﻟَّﺎۤ ﺍَﻥۡ ﻗَﺎﻟُﻮۡﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮۡﺑَﻨَﺎ ﻭَﺍِﺳۡﺮَﺍﻓَﻨَﺎ ﻓِﻰۡۤ ﺍَﻣۡﺮِﻧَﺎ ﻭَﺛَﺒِّﺖۡ ﺍَﻗۡﺪَﺍﻣَﻨَﺎ ﻭَﺍﻧﺼُﺮۡﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﺍﻟۡﻜٰﻔِﺮِﻳۡﻦَ
তাদের দোয়া কেবল এতটুকুই ছিলঃ “হে আমাদের রব! আমাদের ভুল –ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দাও। আমাদের কাজের ব্যাপারে যেখানে তোমার সীমালংঘিত হয়েছে, তা তুমি মাফ করে দাও। আমাদের পা মজবুত করে দাও এবং কাফেরদের মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করো।” আয়াত-১৪৭
তাঁদের খুলসিয়াতের কারণে আল্লাহ তাঁদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত দুই জায়গায় পুরস্কার দিয়েছিলেন:
ﻓَﺎٰﺗٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺛَﻮَﺍﺏَ ﺍﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﻭَﺣُﺴۡﻦَ ﺛَﻮَﺍﺏِ ﺍﻟۡﺎٰﺧِﺮَﺓِؕ ﻭَﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟۡﻤُﺤۡﺴِﻨِﻴۡﻦَ
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার পুরস্কারও দিয়েছেন এবং তার চেয়ে ভালো আখেরাতের পুরস্কারও দান করেছেন। এ ধরনের সৎকর্মশীলদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন। আয়াত-১৪৮
তারা কাফেরদের কাছ থেকে কোনো আনুকূল্য নেয়নি
কাফেরদের পরামর্শে, স্ট্রাটেজি তে চলেনি
এখন দেখা যায়,
তথাকথিত আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে কাফেরদের খুব ভালো সম্পর্ক ।
তথাকথিত আল্লাহ ওয়ালাদের বিভিন্ন কাফের মুশরিকরা ফান্ড দেয় প্রকাশ্যে ।
বেড়াতে নেয় তাদের দেশে
ﻳٰۤﺎَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳۡﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮۡۤﺍ ﺍِﻥۡ ﺗُﻄِﻴۡﻌُﻮۡﺍ ﺍﻟَّﺬِﻳۡﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭۡﺍ ﻳَﺮُﺩُّﻭۡﻛُﻢۡ ﻋَﻠٰٓﻰ ﺍَﻋۡﻘَﺎﺑِﻜُﻢۡ ﻓَﺘَﻨۡﻘَﻠِﺒُﻮۡﺍ ﺧٰﺴِﺮِﻳۡﻦَ
হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা তাদের ইশারায় চলো, যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করেছে, তাহলে তারা তোমাদের উল্টো দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে এবং তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আয়াত-১৪৯
এবং তারা শুধু আলালহকে সাহায্যকারী আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করেছিল ।
যা ছিল আল্লাহর নির্দেশ
ﺑَﻞِ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻣَﻮۡﻟٰٮﻜُﻢۡۚ ﻭَﻫُﻮَ ﺧَﻴۡﺮُ ﺍﻟﻨّٰﺼِﺮِﻳۡﻦَ
(তাদের কথা ভুল) প্রকৃত সত্য এই যে, আল্লাহ তোমাদের সাহায্যকারী এবং তিনি সবচেয়ে ভালো সাহায্যকারী। আয়াত-১৫০
এখন দেখা যায় ইসলাম বিরুধীরাই তথাকথিত আল্লাহ ওয়ালাদের বড়ো বন্ধু সাহায্য করি ।
ইয়া আল্লাহ আমাদের কে সত্যকে চিনার এবং সত্যের পথে অবিচল থাকার তৌফিক দিন । আমীন
আগেরকার যুগে আল্লাহর নবীদের সাথে যারা বেশি আল্লাহ ওয়ালা রাব্বানিওন ﺭِﺑِّﻴُّﻮۡﻥَ ছিলেন
আল্লাহর জন্য সব ফানা ফিল্লাহ করে দিয়েছিলেন ।
তাঁরা নবীদের সাথে মিলে একসাথে আল্লাহর দ্বীনের প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের সব বিলিয়ে মাথা নত না করে সাহসের সাথে বীরত্বের সাথে ধৈর্য্যের সাথে জিহাদ করেছেন ।
দুনিয়ার কোনো চাওয়া পাওয়া তাদের লক্ষ ছিলোনা ।
আল্লাহর সন্তুষ্টিই ছিল তাঁদের মূল লক্ষ্য ।
আর,
আজকের যুগের আল্লাহ ওয়ালা দাবিদারদের অবস্থা কি?
তাঁরা আললাহর পথে একটি কাঁটা ও ফুঁটতে চায়না ।
বরং তাকে আজাব মনে করে;
আল্লাহর পথের কষ্ট-জিহাদকে বিদাত, বাতিল বলে দাবি করে ।
ইসলামের সর্বক্ষেত্রে ভূমিকাকে কে ভুল বলে দাবি করে ।
একটা জিনিস খেয়াল করা যায় যে যেই সরকারগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়,ওই আল্লাহ ওয়ালা দাবিদারদের সাথে তাদের সম্পর্ক খুব ভালো থাকে ।
সরকার তাদেরকে ভালো পজিশন দেয়, সম্মান দেয় ।
তারাও সরকারকে বৈধতা দেয় ধর্মের নাম বাবহার করে ।
তারা জালেম কে সমর্থন দেয়
মজলুমদের ফাঁসি,জেল,জুলুম এবং নির্যাতনকে জায়েজ ঘোষণা করে ।
দেখুন আগের আল্লাহ ওয়ালাদের কর্মপদ্ধতি সূরা আলে ইমরানে:
ﻭَﻛَﺎَﻳِّﻦۡ ﻣِّﻦۡ ﻧَّﺒِﻰٍّ ﻗٰﺘَﻞَۙ ﻣَﻌَﻪٗ ﺭِﺑِّﻴُّﻮۡﻥَ ﻛَﺜِﻴۡﺮٌ ﻓَﻤَﺎ ﻭَﻫَﻨُﻮۡﺍ ﻟِﻤَﺎۤ ﺍَﺻَﺎﺑَﻬُﻢۡ ﻓِﻰۡ ﺳَﺒِﻴۡﻞِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﺿَﻌُﻔُﻮۡﺍ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳۡﺘَﻜَﺎﻧُﻮۡﺍؕ ﻭَﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮِﻳۡﻦَ
এর আগে এমন অনেক নবী চলে গেছে যাদের সাথে মিলে বহু আল্লাহ ওয়ালা লড়াই করেছে। আল্লাহর পথে তাদের ওপর যেসব বিপদ এসেছে তাতে তারা মনমরা ও হতাশ হয়নি, তারা দুর্বলতা দেখায়নি এবং তারা বাতিলের সামনে মাথা নত করে দেয়নি। এ ধরনের সবরকারীদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন। আয়াত-১৪৬
তাদের লক্ষ্য ছিল নিজেদের গুনাহ মাফ, দ্বীনের পথে মজবুতি
এবং দ্বীনের বিজয়:
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻗَﻮۡﻟَﻬُﻢۡ ﺍِﻟَّﺎۤ ﺍَﻥۡ ﻗَﺎﻟُﻮۡﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮۡﺑَﻨَﺎ ﻭَﺍِﺳۡﺮَﺍﻓَﻨَﺎ ﻓِﻰۡۤ ﺍَﻣۡﺮِﻧَﺎ ﻭَﺛَﺒِّﺖۡ ﺍَﻗۡﺪَﺍﻣَﻨَﺎ ﻭَﺍﻧﺼُﺮۡﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﺍﻟۡﻜٰﻔِﺮِﻳۡﻦَ
তাদের দোয়া কেবল এতটুকুই ছিলঃ “হে আমাদের রব! আমাদের ভুল –ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দাও। আমাদের কাজের ব্যাপারে যেখানে তোমার সীমালংঘিত হয়েছে, তা তুমি মাফ করে দাও। আমাদের পা মজবুত করে দাও এবং কাফেরদের মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করো।” আয়াত-১৪৭
তাঁদের খুলসিয়াতের কারণে আল্লাহ তাঁদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত দুই জায়গায় পুরস্কার দিয়েছিলেন:
ﻓَﺎٰﺗٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺛَﻮَﺍﺏَ ﺍﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﻭَﺣُﺴۡﻦَ ﺛَﻮَﺍﺏِ ﺍﻟۡﺎٰﺧِﺮَﺓِؕ ﻭَﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟۡﻤُﺤۡﺴِﻨِﻴۡﻦَ
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার পুরস্কারও দিয়েছেন এবং তার চেয়ে ভালো আখেরাতের পুরস্কারও দান করেছেন। এ ধরনের সৎকর্মশীলদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন। আয়াত-১৪৮
তারা কাফেরদের কাছ থেকে কোনো আনুকূল্য নেয়নি
কাফেরদের পরামর্শে, স্ট্রাটেজি তে চলেনি
এখন দেখা যায়,
তথাকথিত আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে কাফেরদের খুব ভালো সম্পর্ক ।
তথাকথিত আল্লাহ ওয়ালাদের বিভিন্ন কাফের মুশরিকরা ফান্ড দেয় প্রকাশ্যে ।
বেড়াতে নেয় তাদের দেশে
ﻳٰۤﺎَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳۡﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮۡۤﺍ ﺍِﻥۡ ﺗُﻄِﻴۡﻌُﻮۡﺍ ﺍﻟَّﺬِﻳۡﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭۡﺍ ﻳَﺮُﺩُّﻭۡﻛُﻢۡ ﻋَﻠٰٓﻰ ﺍَﻋۡﻘَﺎﺑِﻜُﻢۡ ﻓَﺘَﻨۡﻘَﻠِﺒُﻮۡﺍ ﺧٰﺴِﺮِﻳۡﻦَ
হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা তাদের ইশারায় চলো, যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করেছে, তাহলে তারা তোমাদের উল্টো দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে এবং তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আয়াত-১৪৯
এবং তারা শুধু আলালহকে সাহায্যকারী আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করেছিল ।
যা ছিল আল্লাহর নির্দেশ
ﺑَﻞِ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻣَﻮۡﻟٰٮﻜُﻢۡۚ ﻭَﻫُﻮَ ﺧَﻴۡﺮُ ﺍﻟﻨّٰﺼِﺮِﻳۡﻦَ
(তাদের কথা ভুল) প্রকৃত সত্য এই যে, আল্লাহ তোমাদের সাহায্যকারী এবং তিনি সবচেয়ে ভালো সাহায্যকারী। আয়াত-১৫০
এখন দেখা যায় ইসলাম বিরুধীরাই তথাকথিত আল্লাহ ওয়ালাদের বড়ো বন্ধু সাহায্য করি ।
ইয়া আল্লাহ আমাদের কে সত্যকে চিনার এবং সত্যের পথে অবিচল থাকার তৌফিক দিন । আমীন
Comment