Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুহাম্মদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে অন্য কোন নবী দাবীদারকে হত্যার ব্যাপার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুহাম্মদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে অন্য কোন নবী দাবীদারকে হত্যার ব্যাপার

    আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
    মুহতারাম ভাইয়েরা, এ ফিতনা বাজগুলো উম্মাহর হৃদয়কে ধ্বংস করে দিচ্ছে দয়া করে দলিলভিত্তিক উত্তর দিয়ে উম্মাহর হৃদয়কে শান্ত করুন!

    পাকিস্তানে নবুওয়াত দাবীর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা এবং আবেগী জাহেলদের কর্মকাণ্ড
    -------------------
    সম্প্রতি পাকিস্তানের পেশওয়ারে নবুওয়তের দাবীর অভিযোগে অভিযু্ক্তকে এক ব্যক্তির আদালতে শুনানি চলাকালীন খালিদ নামক আরেক ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছে। এ নিয়ে অনেক জাহিল মুসলিম অজ্ঞতা ও অতি আবেগের ঠেলায় হত্যাকারীকে 'বীর' বলে প্রমোট করছে এবং স্যালুট জানাচ্ছে। ফেসবুকে অধিকাংশ মানুষ হত্যাকারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ!
    অথচ এটা হল, আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার শামিল। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি যেমন চরম গর্হিত ও অন্যায় কাজ তেমনি প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ।

    আমাদের জানা জরুরি যে, মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগী), ভণ্ডনবী, আল্লাহর-রাসূল, কুরআন ইত্যাদিকে গালমন্দ কারী ইত্যাদিকে হত্যা করার দায়িত্ব কার?

    উত্তর হল, নি:সন্দেহে আল্লাহ-রাসূল, কুরআন ও ইসলামি বিধিবিধানকে কটুক্তি কারী ব্যক্তি কাফির-মুরতাদ, অনুরূপভাবে যে নিজেকে নবি দাবী করবে বা নবী সা.কে শেষ নবী বলে বিশ্বাস করবে না সেও কাফির-মুরতাদ। এমন স্বঘোষিত মুরতাদের শাস্তি হল,
    তওবা না করলে মৃত্যুদণ্ড। এ ব্যাপারে কুরআন-হাদিসে পর্যাপ্ত বক্তব্য এসেছে।

    কিন্তু ইসলামের এ সব হদ কায়েম বা ফৌজদারি দণ্ডবিধি (যথা: হত্যা, মৃত্যুদণ্ড, বেত্রাঘাত, জেল, জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ) বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব কার? সাধারণ মানুষের না কি সরকারের?
    উত্তর, অবশ্যই হদ কায়েমের একমাত্র অধিকারী হল, সরকার বা তার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি; সাধারণ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়।

    ইবনে রুশদ (Averroes) কুরতুবি [জন্ম: ১১২৬, মৃত্যু: ১১৯৮ খৃ] বলেন:
    وأما من يقيم هذا الحد – أي : جلد شارب الخمر - فاتفقوا على أن الإمام يقيمه وكذلك الأمر في سائر الحدود
    “আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, এই হদ (তথা মদ পানকারীর উপর চাবুক মারার বিধান) বাস্তবায়ন করবে ইমাম (রাষ্ট্রপ্রধান)। সকল হুদুদ (দণ্ড প্রয়োগ) এর ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য।” (বিদায়াতুল মুজতাহিদ ২/২৩৩)
    তবে কেবল মনিব কর্তৃক দাস-দাসীর উপর দণ্ড প্রয়োগের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ তা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

    প্রকৃতপক্ষে এর পরিণতি খুব খারাপ। কারণ এ হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন বা উৎসাহিত করা হলে হয়ত কোন মাথামোটা অজ্ঞ বিদআতি বা ভিন্ন মতাদর্শী ব্যক্তি অতি উৎসাহী হয়ে আরেক জনকে 'গোস্তাখে রাসূল' (কেউ যদি রাসুল সা. কে নূরের তৈরি না মানে বা তিনি গায়েব জানতেন বলে স্বীকার না করে তাহলে কথিত সুন্নি জামাআতের লোকেরা তাকে 'গোস্তাখে রাসূল বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বেয়াদবীকারী' বলে আখ্যায়িত করে), রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি কটুক্তি কারী, 'ফিতনাবাজ', খারেজি, শিয়া, কাদিয়ানি, নাস্তিক, মুরতাদ ইত্যাদি নানা অভিযোগ গুলি করে বসবে বা গলায় ছুরি চালিয়ে দিবে তখন পরিস্থিতি কী হবে?

    নি:সন্দেহে এ ঘটনা সমাজে বিশৃঙ্খলা, রক্তপাত ও দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে বৃদ্ধি করবে, আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করবে এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের সামনে ইসলাম সম্পর্কে অন্যায় সমালোচনার দরজা খুলে দিবে। আল্লাহ মাফ করুন।

    বি:দ্র: এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থনে যে সব হাদিস পেশ করা হচ্ছে সেগুলো হয় মনিব কর্তৃক দাস-দাসীর উপর শাস্তি প্রয়োগ সংক্রান্ত (এটি জায়েজ) অথবা সরাসরি রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া এর নির্দেশ ক্রমে সংঘটিত বা সরকার প্রধান এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা অথবা জাল ও জইফ হাদিস। সাধারণ মানুষ কর্তৃক স্বপ্রনোদিত হয়ে নাস্তিক, মুরতাদ, নবীদাবী কারী বা নবীকে কটুক্তি কারী ইত্যাদিকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন হাদিস নাই।

    সুতরাং মানুষ হত্যার মত এমন একটি বিপদজনক বিষয়কে কোনভাবেই সমর্থন করা বা প্রমোট করা বৈধ নয়। যারা এ কাজকে সমর্থন করছে বা এর প্রশংসা ও উৎসাহ জোগাচ্ছে দৃঢ়ভাবে তাদের প্রতিবাদ করা দরকার।

    আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

    আরও পড়ুন:
    - আল্লাহ, রাসূল, কুরআন বা ইসলামের কোন বিধানকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ও গালমন্দ করার বিধান ও শাস্তি​ এবং এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের করণীয়

    - কোনও অপরাধী বা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়া এবং ইসলাম বিদ্বেষী, ধর্মদ্রোহী বা নাস্তিকদেরকে গোপনে হত্যা করার বিধান

    --আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

    তথ্য সুত্রঃ https://www.facebook.com/groups/1811...2849185654436/
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

  • #2
    সম্মানীত প্রিয় আলিম ভাইয়েরা, আপনারা আমাদের মাথার তাজ,
    এই সমস্যাটার সমাধান দেয়ার অনুরোধ।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তাআলা ফেইসবুক এর ভাইকে হিদায়াত দিক অথবা হিদায়াত না থাকলে ধ্বংস করে দিক, আমীন।
      আমার জানামতে শাতেমে রাসূলদেরকে হত্যা করার যত হাদীস আছে, সব হাদীস "মাগাজী/যুদ্ধ" অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি এগুলো হদ হতো, তাহলে মুহাদ্দিসগণ নিশ্চয়ই এই হাদীসগুলো "হদ" অধ্যায়ে উল্লেখ করতো।
      আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন, আমীন।

      বিজ্ঞ মুফতি ভাইয়েরা দলিল ভিত্তিক এর খণ্ডন করবে ইনশাআল্লাহ। আর আমার জানামতে পূর্বেও এই বিষয়গুলো খণ্ডন করা হয়েছে। কারো সংগ্রহে থাকলে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
      আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
      জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
      বিইযনিল্লাহ!

      Comment


      • #4
        আল্লাহ, নবী, মালাইকা, ইসলামী আকিদা ও পরকাল ইত্যাদির সম্মান ও সংরক্ষণের প্রশ্নে যে সরকার দায়গ্রহণ করে না, সে সরকার তো নিশ্চয়ই কাফির ও মুরতাদ সরকার। তো, কাফির-মুরতাদ সরকারকে কাফির আখ্যায়িত না করে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা না করে ও যুদ্ধ না করে তারা (পথভ্রষ্ট সালাফীগণ) কোন অধিকারে আল্লাহ ও রাসূলের সম্মানের প্রশ্নে এমন লাজ-লজ্জাহীন উক্তি করে? বরং তারা তো এ তগুত সরকারের আনুগত্যকেই ফরজ বলে থাকে (লাআনাহুমুল্লাহ)!! অতএব তাদের এ ব্যাপারে ফতোয়া প্রদানের অনুমতি যেমন নেই তেমনি তাদের থেকে এব্যাপারে ফতোয়া চাওয়াও জায়েজ নেই। হাদীসে আছে, যদি তোমার লজ্জা না থাকে তবে যা ইচ্ছা কর। আল্লাহ ও নবী-রাসূল এবং শিআরে ইসলামের ব্যাপারে আমাদের গাইরত কাজ করে তাই আমরা এসবের সম্মান রক্ষা করেই যাব। এমন তো নয় যে আমরা চোরের হাত কর্তন, ব্যভিচারিকে শাস্তিপ্রদানের মতো হদগুলোর দায়িত্ব এখন কাঁধে তুলে নিয়েছি.... বরং আমরা আল্লাহ ও রাসূলের সম্মান রক্ষায় আদিষ্ট।
        মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

        Comment


        • #5
          এদের শাইখত বলে কাশ্মিরী ভাইদের সাহায্য না করতে! (নাউজুবিল্লাহ)
          আল্লাহ, আমাদের মনজুরে এলাহীদের থেকে হিফাজত করুন, আমীন।
          বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ,,।
            অনেক উপকৃত হলাম এই পোষ্টি পড়ে।
            আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমীন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7


              ভাইয়েরা নিচের কিতাব ও রিসালাগুলো পড়ে নিন, বিশেষ করে উস্তাদ আসেম নাবিল হাফি. এর রিসালাটি, ইনশাআল্লাহ এ সংশয় দূর হয়ে যাবে।

              সীরাতে মুস্তফা, আল্লামা ইদরীস কান্ধলভী। দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ১৪৬


              মুরতাদ হত্যার বিধান -উস্তাদ আহমাদ নাবিল হাফিজাহুল্লাহ


              প্রিয়নবী (সাঃ)-কে অবমাননার শাস্তি -মাওলানা ইসহাক খান হাফি.




              الجهاد محك الإيمان

              জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

              Comment


              • #8

                সাধারণ মানুষ কর্তৃক স্বপ্রনোদিত হয়ে নাস্তিক, মুরতাদ, নবীদাবী কারী বা নবীকে কটুক্তি কারী ইত্যাদিকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন হাদিস নাই।
                তথাকথিত আহলে হাদিসরা রফয়ে ইদাইন আর আমীন বিল জাহরের হাদিস ব্যতীত, হাদিসের আর কি বা জানে? তারা হাদিস না পেলেও আমাদের নিকট এ ব্যাপারে সহিহ হাদিস আছে, আলহামদুলিল্লাহ।

                হাফেয ইবনে হাযার রহ সহিহ বুখারীর বিখ্যাত ভাষ্যগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে বলেন,

                وروى يعقوب بن سفيان والبيهقي في "الدلائل" من طريقه من حديث النعمان بن بزرج بضم الموحدة وسكون الزاي ثم راء مضمومة ثم جيم قال: خرج الأسود الكذاب وهو من بني عنس يعني بسكون النون وكان معه شيطانان يقال لأحدهما سحيق بمهملتين وقاف مصغر والآخر شقيق بمعجمة وقافين مصغر، وكانا يخبرانه بكل شيء يحدث من أمور الناس، وكان باذان عامل النبي صلى الله عليه وسلم بصنعاء فمات، فجاء شيطان الأسود فأخبره، فخرج في قومه حتى ملك صنعاء وتزوج المرزبانة زوجة باذان ، فذكر القصة في مواعدتها دادويه وفيروز وغيرهما حتى دخلوا على الأسود ليلا؛ وقد سقته المرزبانة الخمر صرفا حتى سكر، وكان على بابه ألف حارس. فنقب فيروز ومن معه الجدار حتى دخلوا فقتله فيروز واحتز رأسه، وأخرجوا المرأة وما أحبوا من متاع البيت، وأرسلوا الخبر إلى المدينة فوافى بذلك عند وفاة النبي صلى الله عليه وسلم. قال أبو الأسود عن عروة: أصيب الأسود قبل وفاة النبي صلى الله عليه وسلم بيوم وليلة، فأتاه الوحي فأخبر به أصحابه، ثم جاء الخبر إلى أبي بكر رضي الله عنه. (فتح الباري: 8/93 ط. دار الفكر)

                “হাফেয ইয়াকুব বিন সুফিয়ান ও বাইহাকী তার ‘দালায়িলুন নুবুওয়্যাহ’ গ্রন্থে নোমান বিন বুযরুজের সূত্রে বর্ণনা করেন, “মিথ্যাবাদী আসওয়াদ নবী হওয়ার দাবী করে। সে ছিল আনস গোত্রের। তার সাথে দুটো শয়তান ছিল, একটার নাম সুহাইক অপরটার নাম শুকাইক। তারা আসওয়াদকে চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে অবগত করতো। ইয়ামানের সানআ নগরীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পক্ষ হতে নিযুক্ত গভর্ণর ‘বাজান’ মৃত্যুবরণ করলে শয়তান এসে আসওয়াদকে এ সংবাদ জানায়। তখন সে তার গোত্রের লোকদের নিয়ে সনআ দখল করে নেয় এবং ‘বাজানে’র স্ত্রীকে বিয়ে করে।
                তখন বাজানের স্ত্রী আসওয়াদকে হত্যা করার জন্য দাদাওয়াইহ, ফিরোয ও অন্যদের সাথে পরিকল্পনা করে। একদিকে বাজানের স্ত্রী আসওয়াদকে খালেস শরাব পান করিয়ে মাতাল করে রাখে অপরদিকে ফিরোয ও তার সাথীরা আসওয়াদকে হত্যা করার জন্য তার ঘরে আসে। তবে আসওয়াদের ঘরের দুয়ারে একহাজার সৈন্য পাহারা দিচ্ছিল, তাই তারা দেয়াল ছিদ্র করে আসওয়াদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর ফিরোয আসওয়াদকে হত্যা করে তার মাথা কেটে নেন এবং বাজানের স্ত্রী ও পছন্দনীয় মালামাল সহ ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। তারা এই সুসংবাদ রাসুলের নিকট প্রেরণ করেন, রাসুলের মৃত্যুর সময় যা মদীনায় পৌঁছে।” আবুল আসওয়াদ উরওয়া রহ. এর থেকে বর্ণনা করেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের একদিন একরাত পূর্বে আসওয়াদকে হত্যা করা হয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহীর মাধ্যমে তা অবগত হয়ে সাহাবীদেরকে এ সুসংবাদ প্রদান করেন। রাসূলের ইন্তিকালের পরে খলীফা আবু বকরের নিকট এ সংবাদ পৌঁছে। -ফাতহুল বারী, ৮/৯৩

                ইমাম নাসায়ী তহাবী ও তবরানী রহ. বর্ণনা করেন,

                عن عبد الله بن الديلمي، عن أبيه: أتيت النبي صلى الله عليه وسلم برأس الأسود العنسي الكذاب

                “ফিরোয দাইলামী বলেন, আমি আসওয়াদ আনসীর কর্তিত মস্তক নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলাম।” -হাফেয ইবনুল কাত্তান ও হাফেয হাইসামী রহ. হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। -আসসুনানুল কুবরা, নাসায়ী, ৮৬১৯ শরহু মুশকিলুল আছার, ২৯৬০ আলমু’জামুল কাবীর, তবরানী, ৮৪৮ মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাইসামী ৯৬৯৩
                হাফেয ইবনে হাযার হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, “হাদিসের এ অর্থ হতে পারে যে, ফিরোয রাসূলকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য আগমন করেন, কিন্তু তিনি নবীজির নিকট পৌঁছার পূর্বেই তার ইন্তেকাল হয়ে যায়।” -আততালখীসুল হাবীর, ইবনে হাযার, ৪/২৮৭ দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ।

                এখানে লক্ষ্যনীয়:-

                ক. উরওয়া রহ. এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবীদেরকে এ সংবাদ প্রদান করেছেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে বলেননি যে, আমার অনুমতি ছাড়া তাদের এ হত্যাকান্ড সঠিক হয়নি।

                খ. আসওয়াদ আনসীকে হত্যার সংবাদ রাসূলের জীবদ্দশায় পৌঁছাক বা তার ইন্তেকালের পর, আবু বকর রাযি, এর নিকট যে এ সংবাদ পৌঁচেছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু না আবু বকর রাযি. এর উপর কোন আপত্তি তুলেছেন, না অন্য কোন সাহাবী। এতে প্রমাণ হয় মুরতাদ-ভন্ড নবী হত্যার বৈধতা সাহাবীদের সর্বসম্মত মত।

                গ. আসওয়াদ আনসীর হত্যাকান্ড খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সহিহ বুখারী ও মুসলিমের হাদিস দ্বারা সুসমর্থিত।

                أبو هريرة، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «بينا أنا نائم رأيت في يدي سوارين من ذهب، فأهمني شأنهما، فأوحي إلي في المنام أن انفخهما، فنفختهما فطارا، فأولتهما كذابين يخرجان من بعدي، فكان أحدهما العنسي صاحب صنعاء، والآخر مسيلمة صاحب اليمامة»

                আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি ঘুমাচ্ছিলাম এমতাবস্থায় (স্বপ্নে) আমার হাতে দু’টি সোনার বালা দেখতে পেলাম। আমার মনে ব্যাপারটি গুরুতর অনুভূত হলে আমাকে ওহীর মাধ্যমে বলা হল, এগুলোর উপর ফুঁ দাও। আমি ফুঁ দিলাম, বালা দু’টি উড়ে গেল। এরপর আমি এ দু’টির ব্যাখ্যা করলাম যে, এরা সেই দু’ মিথ্যাবাদী (নবী দাবীকারী) যাদের মাঝখানে আমি অবস্থান করছি। অর্থাৎ সানআ শহরের অধিবাসী (আসওয়াদ আনসী) এবং ইয়ামামা শহরের অধিবাসী (মুসায়লামাতুল কাযযাব)। -সহিহ বুখারী, ৪৩৭৯ সহিহ মুসলিম, ২২৭৪

                হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনে হাযার রহ. সহ অন্যান্য হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, এ হাদিসে আবু বকর রাযি. এর ফযিলত রয়েছে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ফু দিয়ে বালাদ্বয়কে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর রাসূলের অবর্তমানে মুসাইলামর ক্ষেত্রে তার এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন আবু বকর রাযি.। তো যেন আবু বকর রাসূলের কাজটিই করলেন। -ফাতহুল বারী, ৮/৯০

                قال الحافظ في الفتح : (8/90) : (ويؤخذ من هذه القصة منقبة للصديق رضي الله عنه، لأن النبي صلى الله عليه وسلم تولى نفخ السوارين بنفسه حتى طارا، فأما الأسود فقُتل في زمنه، وأما مسيلمة فكان القائمَ عليه حتى قتله: أبو بكر الصديق، فقام مقامَ النبي صلى الله عليه وسلم في ذلك.

                বলার অপেক্ষা রাখে না, মুসাইলামার ক্ষেত্রে যেমনিভাবে রাসূলের স্বপ্নের রুপকার ছিলেন আবু বকর, তেমনিভাবে আসওয়াদ আনসীর ক্ষেত্রে তার স্বপ্নের বাস্তবায়নকারী ছিলেন, ফিরোয দাইলামী। সুতরাং উক্ত হাদিসে যেমনিভাবে আবু বকর রাযি. এর ফযীলত রয়েছে, তেমনিভাবে ফিরোয দাইলামীরও ফযীলত রয়েছে। এবং এর মাধ্যমে তাদের উভয়ের কাজ সহিহাইনের হাদিস দ্বারা সমর্থিত হয়।
                الجهاد محك الإيمان

                জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                Comment


                • #9
                  আদনান মারুফ ভাইয়ের ইলম ও আমলে আল্লাহ অনেক বেশি নূর ও বারাকাহ দান করুন।
                  অন্তর প্রশান্তকারী জবাব, মাশাআল্লাহ।
                  আল্লাহ সকল ভাইকে তাঁর দ্বীনের পথে কবুল করে নিন।

                  আপনি বলুন, সত্য এসে গেছে আর মিথ্যা বিলোপহয়েগেছে। বাতিল তো সর্বদাই অপসৃত।

                  Comment


                  • #10
                    আদনান মারুফ ভাইয়ের ইলম ও আমলে আল্লাহ অনেক বেশি নূর ও বারাকাহ দান করুন।
                    آمين، وأعطاك الله مثل ما دعوتني به وجزاك خيرا في الدارين
                    الجهاد محك الإيمان

                    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকাল্লাহু খইরান আহসানাল জাযা!
                      মুহতারাম আদনান মারুফ ভাই, আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে তিনার শান অনুযায়ী বারাকাহ দান করুন! আল্লাহ তায়ালা আপনার দুনিয়া ও আখিরাতকে সহজ করে দিন আমিন! আপনাকে শাহাদাত লাভের সৌভাগ্য দান করুন! ও চিরস্থায়ী জান্নাতের সু-উচ্ছ মাকামে রাসুলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথী করুন আমিন!
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        [quote=আবু দুজানা11;98322]আদনান মারুফ ভাইয়ের ইলম ও আমলে আল্লাহ অনেক বেশি নূর ও বারাকাহ দান করুন।
                        অন্তর প্রশান্তকারী জবাব, মাশাআল্লাহ।
                        আল্লাহ সকল ভাইকে তাঁর দ্বীনের পথে কবুল করে নিন।
                        আমীন,,,আমীন ,,,,আমীন,,,

                        Comment


                        • #13
                          আদনান মারুফ ভাইয়ের ইলম ও আমলে আল্লাহ অনেক বেশি নূর ও বারাকাহ দান করুন।
                          অন্তর প্রশান্তকারী জবাব, মাশাআল্লাহ।
                          আল্লাহ সকল ভাইকে তাঁর দ্বীনের পথে কবুল করে নিন।
                          আমীন,,,আমীন★আমীন,,✔

                          Comment


                          • #14
                            জাযাকাল্লাহু খইরান আহসানাল জাযা!
                            মুহতারাম আদনান মারুফ ভাই, আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন। আমীন
                            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by আদনানমারুফ View Post


                              তথাকথিত আহলে হাদিসরা রফয়ে ইদাইন আর আমীন বিল জাহরের হাদিস ব্যতীত, হাদিসের আর কি বা জানে? তারা হাদিস না পেলেও আমাদের নিকট এ ব্যাপারে সহিহ হাদিস আছে, আলহামদুলিল্লাহ।
                              এধরনের কাফেরদের যে কেউই হত্যার অধিকার রাখে।
                              দলিল:
                              وَإِن نَكَثوا أَيمٰنَهُم مِن بَعدِ عَهدِهِم وَطَعَنوا فى دينِكُم فَقٰتِلوا أَئِمَّةَ الكُفرِ ۙ إِنَّهُم لا أَيمٰنَ لَهُم لَعَلَّهُم يَنتَهونَ
                              ] আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। কারণ, এদের জন্য কোন শপথ নেই যাতে তারা ফিরে আসে।
                              Last edited by mahmud123; 08-12-2021, 08:29 AM.
                              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                              Comment

                              Working...
                              X