ইদানিং ইন্টারফেইথ খুব জোরে প্রচার হচ্ছে। ইসলাম বিরোধী এ নতুন চক্রান্ত। এরা অসংখ্য কুফরির ধারক বাহক। এর মধ্যে একটা দাবি হলো, কেউ হিন্দু কেউ খৃস্টান কেউ মুসলিম সবই সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা। তিনি চাইছেন বলেই এ বিভাজন। কাজেই সবগুলোই ঠিক আছে। কারও উপর কারও কোনো প্রাধান্য নেই। ধর্মে ধর্মে কোনো বিভেদ নেই।
কুফর ও শিরকের পক্ষে তাদের এ দলীল। কিন্তু আপনি যদি এদের কারো গায়ে হাত তুলেন, মাল লুণ্টন করেন, তখন কি এ যুক্তি মানবে? তখন কি বলবে, সবই সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা?
আসলে এটা একটা বাহানা। নিজেদের অপকর্ম বৈধ করার একটা খোঁড়া যুক্তি মাত্র। পূর্বেকার কাফেরদেরও একই যুক্তি ছিল।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিয়েছেন, এটি আসলে একটি মনগড়া অযুহাত। আদিকাল থেকেই মুশরিকরা এ খোঁড়া যুক্তিটি দিয়ে রাসূলদের আনীত দ্বীন মানতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে আসছে। এটি এদের চিরন্তন অভ্যাস। নতুন কিছু নয়।
আল্লাহ তাআলা এমন অকাট্য মু’জিযা ও দলীল প্রমাণ দিয়ে রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন, যেগুলো পরিষ্কার প্রমাণ করে দেয় যে, তারা আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। এতদসত্বেও তারা রাসূলদের অনুসরণ না করে নিজেদের শিরক বৈধ করতে একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে যে, যদি আল্লাহ শিরক অপছন্দ করতো তাহলে আমাদেরকে তা করতে দিতো না। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রশ্ন করছেন, তোমাদের এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কি যে, মুশরিকরা শিরক করছে দেখেও আল্লাহ তাআলা তাদের বাধা দিচ্ছেন না, তাই বুঝা গেল যে, আল্লাহ তাআলা শিরক পছন্দ করেন? কোনো নবি কি এমন কথা বলেছেন বা কোনো আসমানী কিতাবে কি এ কথাটি আছে?
স্পষ্ট যে, তাদের কাছে কোনো উত্তর নেই। আল্লাহ তাআলা নিজেই জওয়াব দিয়েছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী অসংখ্য কাফের সম্প্রদায়কে কুফর করার কারণে আমি ধ্বংস করেছি। কওমে নূহ, কওমে লূত, ফিরআউন, নমরুদসহ অসংখ্য জাতি। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে এগুলো স্মরণীয় হয়ে আছে। যদি শিরক আল্লাহর পছন্দ হতো তাহলে তিনি কেন মুশরিকদের আযাব দিলেন? তোমরা কোন যুক্তিতে রাসূলদের আনীত দ্বীন প্রত্যাখ্যান করে শিরক করছো? তাহলে অপেক্ষায় থাকো, তোমাদের পূর্ববর্তী মুশরিকদের আমি যেমন পাকড়াও করেছি, তোমাদেরকেও করবো। হয়তো দুনিয়াতে, নয়তো আখেরাতে। বাঁচার কোনো পথ পাবে না। এ জগতে না হলেও পর জগতে রেহাইয়ের কোনো রাস্তা নেই।
দুনিয়া দারুল ইবতিলা - পরীক্ষার জগত। এখানে আল্লাহ তাআলা কাউকে জোর করে কুফর থেকে ফেরাবেন না। কাউকে জোর করে ঈমানদার বানাবেন না। প্রত্যেককে বিবেক দিয়েছেন। রাসূল পাঠিয়েছেন। কিতাব নাযিল করেছেন। অসংখ্য অকাট্য মু’জিযা ও প্রমাণাদি দিয়ে রাসূলদের সত্যতা প্রমাণ করেছেন। এরপরও কুফর করলে তা একগুঁয়েমি ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ তাআলা তার একগুঁয়েমি থেকে তাকে ফেরাবেন না। কিন্তু অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ কুফর পছন্দ করেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তাআলার বাণী পরিষ্কার: তিনি কুফর পছন্দ করেন না। কুফরের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি ঈমান পছন্দ করেন। ঈমানের প্রতিই তিনি সন্তুষ্ট।
হ্যাঁ, আল্লাহ তাআলা হাকিম। অসংখ্য হিকমতের কারণে অনেককে তিনি কুফর করতে দেখেও বাধা দেন না। যেহেতু এটি পরীক্ষার জগত। জোর করে বাধা দিলে পরীক্ষা থাকবে না। অতএব, একে অযুহাত বানিয়ে যদি কুফর অবলম্বন কর- অথচ এর বিপরীতে আল্লাহর বাণী পরিষ্কার- তাহলে শাস্তির জন্য প্রস্তুত হও। সাময়িক কিছুদিন ঢিল দিচ্ছি। অচিরেই মজা টের পাবে।
কুফর ও শিরকের পক্ষে তাদের এ দলীল। কিন্তু আপনি যদি এদের কারো গায়ে হাত তুলেন, মাল লুণ্টন করেন, তখন কি এ যুক্তি মানবে? তখন কি বলবে, সবই সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা?
আসলে এটা একটা বাহানা। নিজেদের অপকর্ম বৈধ করার একটা খোঁড়া যুক্তি মাত্র। পূর্বেকার কাফেরদেরও একই যুক্তি ছিল।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُوا لَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلَا آبَاؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِنْ شَيْءٍ كَذَلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ حَتَّى ذَاقُوا بَأْسَنَا قُلْ هَلْ عِنْدَكُمْ مِنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَا إِنْ تَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَخْرُصُونَ (148) الأنعام
যারা শিরক করেছে তারা বলবে, আল্লাহ চাইলে আমরা শিরক করতাম না এবং আমাদের বাপ দাদারাও করতো না এবং আমরা কোনো জিনিসকে হারাম সাব্যস্ত করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরাও (একই যুক্তিতে) এভাবেই (রাসূলগণকে) প্রত্যাখ্যান করেছিল। পরিশেষে তারা আমার শাস্তি ভোগ করেছিল। আপনি বলুন, তোমাদের কাছে কি (তোমাদের দাবির স্বপক্ষে) এমন কোনো ইলম আছে যা আমার সামনে বের করতে পারো? (আসল কথা হলো) তোমরা কেবল খেয়াল কল্পনার অনুসরণ কর এবং (বানিয়ে বানিয়ে) মনগড়া কথা বল। -আনআম: ১৪৮আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিয়েছেন, এটি আসলে একটি মনগড়া অযুহাত। আদিকাল থেকেই মুশরিকরা এ খোঁড়া যুক্তিটি দিয়ে রাসূলদের আনীত দ্বীন মানতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে আসছে। এটি এদের চিরন্তন অভ্যাস। নতুন কিছু নয়।
আল্লাহ তাআলা এমন অকাট্য মু’জিযা ও দলীল প্রমাণ দিয়ে রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন, যেগুলো পরিষ্কার প্রমাণ করে দেয় যে, তারা আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। এতদসত্বেও তারা রাসূলদের অনুসরণ না করে নিজেদের শিরক বৈধ করতে একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে যে, যদি আল্লাহ শিরক অপছন্দ করতো তাহলে আমাদেরকে তা করতে দিতো না। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রশ্ন করছেন, তোমাদের এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কি যে, মুশরিকরা শিরক করছে দেখেও আল্লাহ তাআলা তাদের বাধা দিচ্ছেন না, তাই বুঝা গেল যে, আল্লাহ তাআলা শিরক পছন্দ করেন? কোনো নবি কি এমন কথা বলেছেন বা কোনো আসমানী কিতাবে কি এ কথাটি আছে?
স্পষ্ট যে, তাদের কাছে কোনো উত্তর নেই। আল্লাহ তাআলা নিজেই জওয়াব দিয়েছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী অসংখ্য কাফের সম্প্রদায়কে কুফর করার কারণে আমি ধ্বংস করেছি। কওমে নূহ, কওমে লূত, ফিরআউন, নমরুদসহ অসংখ্য জাতি। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে এগুলো স্মরণীয় হয়ে আছে। যদি শিরক আল্লাহর পছন্দ হতো তাহলে তিনি কেন মুশরিকদের আযাব দিলেন? তোমরা কোন যুক্তিতে রাসূলদের আনীত দ্বীন প্রত্যাখ্যান করে শিরক করছো? তাহলে অপেক্ষায় থাকো, তোমাদের পূর্ববর্তী মুশরিকদের আমি যেমন পাকড়াও করেছি, তোমাদেরকেও করবো। হয়তো দুনিয়াতে, নয়তো আখেরাতে। বাঁচার কোনো পথ পাবে না। এ জগতে না হলেও পর জগতে রেহাইয়ের কোনো রাস্তা নেই।
দুনিয়া দারুল ইবতিলা - পরীক্ষার জগত। এখানে আল্লাহ তাআলা কাউকে জোর করে কুফর থেকে ফেরাবেন না। কাউকে জোর করে ঈমানদার বানাবেন না। প্রত্যেককে বিবেক দিয়েছেন। রাসূল পাঠিয়েছেন। কিতাব নাযিল করেছেন। অসংখ্য অকাট্য মু’জিযা ও প্রমাণাদি দিয়ে রাসূলদের সত্যতা প্রমাণ করেছেন। এরপরও কুফর করলে তা একগুঁয়েমি ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ তাআলা তার একগুঁয়েমি থেকে তাকে ফেরাবেন না। কিন্তু অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ কুফর পছন্দ করেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
إِنْ تَكْفُرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنْكُمْ وَلَا يَرْضَى لِعِبَادِهِ الْكُفْرَ وَإِنْ تَشْكُرُوا يَرْضَهُ لَكُمْ
তোমরা যদি কুফর অবলম্বন কর, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ তোমাদের (ঈমান আনার) মুখাপেক্ষী নন। তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফর পছন্দ করেন না। আর যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও (অর্থাৎ ঈমান আন), তাহলে তিনি তোমাদের জন্য এটাই পছন্দ করেন। -যুমার: ৭আল্লাহ তাআলার বাণী পরিষ্কার: তিনি কুফর পছন্দ করেন না। কুফরের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি ঈমান পছন্দ করেন। ঈমানের প্রতিই তিনি সন্তুষ্ট।
হ্যাঁ, আল্লাহ তাআলা হাকিম। অসংখ্য হিকমতের কারণে অনেককে তিনি কুফর করতে দেখেও বাধা দেন না। যেহেতু এটি পরীক্ষার জগত। জোর করে বাধা দিলে পরীক্ষা থাকবে না। অতএব, একে অযুহাত বানিয়ে যদি কুফর অবলম্বন কর- অথচ এর বিপরীতে আল্লাহর বাণী পরিষ্কার- তাহলে শাস্তির জন্য প্রস্তুত হও। সাময়িক কিছুদিন ঢিল দিচ্ছি। অচিরেই মজা টের পাবে।
Comment