ওয়াদী ওয়াকিক (Wadi Aqiq). পবিত্র মদীনার পাশ্ববর্তী একটি শহর। এ শহর সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেনঃ “হে আনাস, এখান থেকে তোমার পানির পাত্র ভরে নাও। এ শহর আমাকে ভালবেসেছে। আমিও এ শহরকে ভালবাসি। ”
শহরের অদূরে দৃশ্যমান একটি বিশাল পাহাড়। এর চূড়ায় নিভৃত রহস্যময় বিশাল প্রাসাদ (An Ominous Palace)। এর অফিসিয়াল নাম Kingdom Palace. এলাকার স্থানীয় লোকেরা এটি দাজ্জালের প্রাসাদ বলে (Dajjal’s Palace)। পাহাড়ের কাছেই জায়গাটির নাম জুর্ফ (Jurf). এ জুর্ফ সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেনঃ দাজ্জাল সারা দুনিয়ার সব শহর ঘুরে বেড়াবে। চষে বেড়াবে। চক্কর দেবে, কিনতু মক্কা ও মদীনার ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না। সে মদীনার সীমানার বাইরে জুর্ফ এর সংলগ্ন পাহাড় হাবসীতে (Jabal Habshi i.e Mount Hahshi) উঠবে। এ সময় মদীনাতে ৩ বার প্রচন্ডভাবে কেপে উঠবে। সমস্ত মুনাফিক ও ক্বাফের আতঙ্কিত হয়ে মদীনা ত্যাগ করবে। (মুসলিম)।
এ সময় মদীনার ৭টি প্রবেশ পথ থাকবে। প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে দুইজন ফেরেশতা পাহাড়ায় থাকবে। তাদের বাঁধার কারণে দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না। তারা দাজ্জালকে সিরিয়ার দিকে তাড়িয়ে দেবে যেখানে ইমাম মাহাদী আ. আগে থেকে অবস্থান করবেন। অনতিবলম্বে হজরত ঈসা আ. আসমান থেকে অবতরণ করবেন। এবং দাজ্জালকে নিজ হাতে হত্যা করবেন।
জানা যায় এই ৭টি প্রবেশ পথ ইতোমধ্যেই তৈরী হয়ে গেছে।
One road coming from Jeddah,
The other coming from Makkah,
Another coming from Rabigh,
One from the airport,
Another from Tabouk,
And 2 (two) from surrounding areas.
এই Palaceটি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
আরো গভীরে যাওয়া যাক।
নবী করিম সা. বলেন, “ আমার ৫টি নাম। এক. আমি মোহাম্মদ। দুই. আমি আহামদ। তিন. আমি মাহী। চার. আমি হাশির। পাঁচ. আমি আকিব। (বোখারী)।
নিচের হাদীছটি দূর্বল। তবে এটি আগের হাদীসের সাথে প্রাসঙ্গিক ও সম্পর্কিত হওয়ায় উল্লেখ করা হলো।
হাদীছটি হলোঃ
একদিন নবী করিম সা. তার সঙ্গী সাথীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, –
“ভাষণ দান করার দিন। ভাষণ দান করার দিন। ভাষণ দান করার দিন। ৩ বার উচ্চারণ করেন। (The Day of Deliverance! The Day of Deliverance! The Day of Deliverance!)
এ কথা বলার পর সাহাবারা জিজ্ঞস করেন, “ভাষণ দান করার দিন কি?” এর মানে কি?
জবাবে নবী করিম সা. বলেন –
“ দাজ্জাল আসবে। হাবসী পর্বতে (Jabal Habshi) আরোহণ করবে। মদীনার দিকে দৃষ্টিপাত করবে। এবং তার সঙ্গী সাথীদের উদ্দেশ্যে বলবে –
“ তোমরা দূরে ঐ সাদা প্রাসাদটি দেখতে পাচ্ছো? ঐটি হলো ‘আহামদের প্রাসাদ’” অর্থাৎ মসজিদে নবী সা.
তারপর সে মদীনায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে জুর্ফ এ অবস্থান করবে। এবং ঘাঁটি গাড়বে। এবং আশেপাশের এলাকা এবং মদীনা থেকে ছিঁটকে বেরিয়ে পড়া সমস্ত মুনাফিক, ক্বাফের তার দলে ভিড় করবে। এরপর নবী করিম সা. বলেন “এটাই হলো ‘ভাষণ দান করার দিন”। (Hadith, About the signs of the hour:Mustafa Al-Adawi)
নিচে দাজ্জালের প্রাসাদ এবং মসজিদে নবী এক লাইনে দেখুন। সাদা সুতোর মত লাইন টেনে দেখানো হয়েছে। এ দুই জায়গার দূরত্ব ৭ কি.মি.
এখন প্রশ্ন হলো হাবসী পর্বত (Jabal Hahshi) এবং দাজ্জালের প্রাসাদ (Kingdom Palace) বাস্তবে আছে কি? কারো কারো সন্দেহ সৃষ্টি হতেই পারে? চলুন দেখা যাক গুগল আর্থ (Google Earth) কী বলে?
এখানে দেখা যাচ্ছে মদীনা শহরের সীমানা থেকে জুর্ফ তথা জবল হাবসী ৭ কি.মি. দূরত্বে। ভিডিওটি দেখুন। গুগল আর্থে মসজিদের মিনারের সমুজ্জল আলো দেখা যাবে না। কিন্তু তা’ হাবসী পাহাড়ের চূড়া থেকে অবশ্যই ক্লিয়ার দেখা যাবে। কারণ মসজিদের মিনারগুলো আশে পাশের ভবন থেকে অনেক উঁচুতে।
অতএব বোঝা গেল দাজ্জালের প্রাসাদ তথা Kingdom Palace বাস্তবে অস্তিত্বে আছে। এবং মসজিদে নবী আলোকিত মিনারগুলো সাদা এবং আশেপাশের ভবন থেকে উঁচু হওয়া্য় সহজে পাহাড়ের চূড়া থেকে দৃষ্টিগোচর হয়। উল্লেখ্য দাজ্জাল নিজেই তার সাথীদের উদ্দেশ্য করে বলবে “ঐ সাদা মসজিদ” “আহামদের মসজিদ”। সব কিছুই মিলে প্রমাণিত হয় যে এটিই দাজ্জালের প্রাসাদ।
সংগৃহীতরঃ https://allahordikeahban.wordpress.c...6%BE%E0%A6%AE/
শহরের অদূরে দৃশ্যমান একটি বিশাল পাহাড়। এর চূড়ায় নিভৃত রহস্যময় বিশাল প্রাসাদ (An Ominous Palace)। এর অফিসিয়াল নাম Kingdom Palace. এলাকার স্থানীয় লোকেরা এটি দাজ্জালের প্রাসাদ বলে (Dajjal’s Palace)। পাহাড়ের কাছেই জায়গাটির নাম জুর্ফ (Jurf). এ জুর্ফ সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেনঃ দাজ্জাল সারা দুনিয়ার সব শহর ঘুরে বেড়াবে। চষে বেড়াবে। চক্কর দেবে, কিনতু মক্কা ও মদীনার ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না। সে মদীনার সীমানার বাইরে জুর্ফ এর সংলগ্ন পাহাড় হাবসীতে (Jabal Habshi i.e Mount Hahshi) উঠবে। এ সময় মদীনাতে ৩ বার প্রচন্ডভাবে কেপে উঠবে। সমস্ত মুনাফিক ও ক্বাফের আতঙ্কিত হয়ে মদীনা ত্যাগ করবে। (মুসলিম)।
এ সময় মদীনার ৭টি প্রবেশ পথ থাকবে। প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে দুইজন ফেরেশতা পাহাড়ায় থাকবে। তাদের বাঁধার কারণে দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না। তারা দাজ্জালকে সিরিয়ার দিকে তাড়িয়ে দেবে যেখানে ইমাম মাহাদী আ. আগে থেকে অবস্থান করবেন। অনতিবলম্বে হজরত ঈসা আ. আসমান থেকে অবতরণ করবেন। এবং দাজ্জালকে নিজ হাতে হত্যা করবেন।
জানা যায় এই ৭টি প্রবেশ পথ ইতোমধ্যেই তৈরী হয়ে গেছে।
One road coming from Jeddah,
The other coming from Makkah,
Another coming from Rabigh,
One from the airport,
Another from Tabouk,
And 2 (two) from surrounding areas.
এই Palaceটি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
আরো গভীরে যাওয়া যাক।
নবী করিম সা. বলেন, “ আমার ৫টি নাম। এক. আমি মোহাম্মদ। দুই. আমি আহামদ। তিন. আমি মাহী। চার. আমি হাশির। পাঁচ. আমি আকিব। (বোখারী)।
নিচের হাদীছটি দূর্বল। তবে এটি আগের হাদীসের সাথে প্রাসঙ্গিক ও সম্পর্কিত হওয়ায় উল্লেখ করা হলো।
হাদীছটি হলোঃ
একদিন নবী করিম সা. তার সঙ্গী সাথীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, –
“ভাষণ দান করার দিন। ভাষণ দান করার দিন। ভাষণ দান করার দিন। ৩ বার উচ্চারণ করেন। (The Day of Deliverance! The Day of Deliverance! The Day of Deliverance!)
এ কথা বলার পর সাহাবারা জিজ্ঞস করেন, “ভাষণ দান করার দিন কি?” এর মানে কি?
জবাবে নবী করিম সা. বলেন –
“ দাজ্জাল আসবে। হাবসী পর্বতে (Jabal Habshi) আরোহণ করবে। মদীনার দিকে দৃষ্টিপাত করবে। এবং তার সঙ্গী সাথীদের উদ্দেশ্যে বলবে –
“ তোমরা দূরে ঐ সাদা প্রাসাদটি দেখতে পাচ্ছো? ঐটি হলো ‘আহামদের প্রাসাদ’” অর্থাৎ মসজিদে নবী সা.
তারপর সে মদীনায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে জুর্ফ এ অবস্থান করবে। এবং ঘাঁটি গাড়বে। এবং আশেপাশের এলাকা এবং মদীনা থেকে ছিঁটকে বেরিয়ে পড়া সমস্ত মুনাফিক, ক্বাফের তার দলে ভিড় করবে। এরপর নবী করিম সা. বলেন “এটাই হলো ‘ভাষণ দান করার দিন”। (Hadith, About the signs of the hour:Mustafa Al-Adawi)
নিচে দাজ্জালের প্রাসাদ এবং মসজিদে নবী এক লাইনে দেখুন। সাদা সুতোর মত লাইন টেনে দেখানো হয়েছে। এ দুই জায়গার দূরত্ব ৭ কি.মি.
এখন প্রশ্ন হলো হাবসী পর্বত (Jabal Hahshi) এবং দাজ্জালের প্রাসাদ (Kingdom Palace) বাস্তবে আছে কি? কারো কারো সন্দেহ সৃষ্টি হতেই পারে? চলুন দেখা যাক গুগল আর্থ (Google Earth) কী বলে?
এখানে দেখা যাচ্ছে মদীনা শহরের সীমানা থেকে জুর্ফ তথা জবল হাবসী ৭ কি.মি. দূরত্বে। ভিডিওটি দেখুন। গুগল আর্থে মসজিদের মিনারের সমুজ্জল আলো দেখা যাবে না। কিন্তু তা’ হাবসী পাহাড়ের চূড়া থেকে অবশ্যই ক্লিয়ার দেখা যাবে। কারণ মসজিদের মিনারগুলো আশে পাশের ভবন থেকে অনেক উঁচুতে।
অতএব বোঝা গেল দাজ্জালের প্রাসাদ তথা Kingdom Palace বাস্তবে অস্তিত্বে আছে। এবং মসজিদে নবী আলোকিত মিনারগুলো সাদা এবং আশেপাশের ভবন থেকে উঁচু হওয়া্য় সহজে পাহাড়ের চূড়া থেকে দৃষ্টিগোচর হয়। উল্লেখ্য দাজ্জাল নিজেই তার সাথীদের উদ্দেশ্য করে বলবে “ঐ সাদা মসজিদ” “আহামদের মসজিদ”। সব কিছুই মিলে প্রমাণিত হয় যে এটিই দাজ্জালের প্রাসাদ।
সংগৃহীতরঃ https://allahordikeahban.wordpress.c...6%BE%E0%A6%AE/
Comment