পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেনঃ
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰہِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে। (সূরা নাসর ১-২)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন যখন বিজয় আসবে তখন মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করবে। সবার কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাবে। আলেমরা বাঁধা হীন দাওয়াত, তালীম, তরবিয়ত দিবে। যা পবিত্র মক্কা বিজয়ের ঘটনা থেকে আমরা দেখেছি।
কিন্তু ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের পর মানুষ কি দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করেছে নাকি শেখ মুজিবের আদর্শের সৈনিক হয়েছে? তখনতো প্রায় ৯৯% লোক শেখ মুজিবের দল করতো, যেই মুজিব সর্বপ্রথম নাপাক সংবিধান প্রনয়ন করেছে। শুধু তাই না বাংলাদেশে আলেমদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে এবং হাজার হাজার আলেমদের জ্বেল খানায় বন্ধি করেছে। এমনকি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেবকে জ্বেলখানায় বন্দী করেছে। ( কেন বিশেষভাবে সাইদী সাহেবের নাম উল্লেখ করলাম জ্ঞানীরা বুজবে)
তাহলে ১৯৭১ সালের এই দিনে ইসলাম বিজয় হয় নাই।যদি হত তাহলে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতো।কুরআনের দাওয়াত বন্ধ হতো না।অথচ তাতো হয় নি। হয়েছে তার উল্টো।কুফরি সংবিধান আজো আছে, আজো আলেমরা জ্বেলে। তাহলে কেন আজ বিজয় মিছিল করা হয়? কেন আনন্দ উদযাপন, দিবস পালন করা হয়?এই আনন্দ কি কুফরি সংবিধান প্রনয়নের আনন্দ? এই আনন্দ কি আলেম জ্বেলে থাকার আনন্দ? কেন গায়ে পাতাকা মুড়িয়ে এই আনন্দ পালন হয়? কেন মিছিলের নামে রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া হয়?
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যদি ইসলামের বিজয় হতো তাহলেও কি এই বিজয় মিছিল বা আনন্দ করা জায়েজ হতো? কেননা বিজয়ের পর কি করতে হবে সেটাতো আল্লাহ কুরআনেই বলেছেন।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ وَ اسۡتَغۡفِرۡہُ ؕؔ اِنَّہٗ کَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি অধিক তাওবা গ্রহণকারী। ( সুরা নাসর ৩)
বিজয়ের পর মহান আল্লাহ বলেছেন রবের প্রসংসা করতে, ক্ষমা চাইতে।কিন্তু মিছিল করতেতো বলেন নি, গায়ে জাতিয়তাবাদের পাতাকা জড়াতেতো বলেন নি।খাম্বা পূজা করতেতো বলা হয় নি।
আল্লাহ আমাদের ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। আমিন।
Comment