হায়রে গণতন্ত্র !
ইখওয়ানুল মুসলিমীন
খিলাফতের পতন হয় ১৯২৪ সালে। তখন মুসলিমদের একতা ধরে রাখতে এবং তাদেরকে সঠিক নির্দেশনা দিতে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ‘ইখওয়ানুল মুসলিমীন’। তাদের ¯েøাগান ছিলো- জিহাদ, তারবিয়াত ও দাওয়াত। তাদের মনোগ্রামই তা বলে দিচ্ছে।
ইখওয়ান বায়তুল মুকাদ্দাস রক্ষার্থে ইহুদিদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে দলে দলে মুজাহিদ পাঠিয়েছিলো। কিন্তু অল্পদিনেই ইখওয়ান সরকারের চক্ষুশুলে পরিণত হয়। শুরু হয় ইখওয়ান নেতাদেরকে ধর-পাকড়। ১৯৪৯ সালে তখনকার মিসরের রাজা ফারুকের গুপ্তবাহিনী শহীদ করে দেয় ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্না রহ.-কে।
এরপর ইখওয়ানের সাহায্যে ১৯৫২ সালে সেনাঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজা ফারুককে উৎখাত করে রোমে নির্বাসিত করা হয়। যেহেতু সেনা অভ্যুত্থানের প্রতি ইখওয়ানের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা ছিলো (এটা ছিলো সেনাদের শরীয়াহ’র প্রতি নুসরা) তাই সেনা সরকার নজীব তাদেরকে অনেক সমীহ করে। কিন্তু নজীবের পর যখন জামাল আব্দুন নাসের ক্ষমতায় আসলো, তখন সে প্রথমে ইখওয়ানকে সমর্থন করলেও পরবর্তীতে ইখওয়ানকে আতঙ্ক মনে করে ইখওয়ান দমনে লিপ্ত হয়ে যায় এবং নিজে তখনকার দ্বিতীয় পরাশক্তি রাশিয়া বøকে যোগ দেয়। তার আমলেই সায়্যিদ কুতুব শহীদ রহ.-কে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়। এভাবে ইখওয়ান প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তথাকথিত নুসরার দ্বারা প্রতারিত হয়।
জামালের পর ক্ষমতায় আসল আনোয়ার সাদাত। সে ক্ষমতায় এসে ইখওয়ানীদেরকে জেল থেকে মুক্ত করে দেয় এবং ইসরাইলের সাথে ১৯৭৩ সালে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধে প্রথমে কিছুটা জয় লাভ করলেও পরে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়। তখন বাধ্য হয়ে ইসরাইলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং রাশিয়ান বøক থেকে মার্কিন-ইসরাইল বøকে যোগ দেয়। এর পুরস্কারস্বরূপ সর্বপ্রথম একজন আরব হিসেবে তাকে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়। যেহেতু ইখওয়ান তা মেনে নেয়নি, তাই শুরু হয় ইখওয়ানের উপর নির্যাতন। এভাবে ইখওয়ান দ্বিতীয়বারের মতো প্রতারিত হয়। উল্লেখ্য, তখন বর্তমান আলকায়দা প্রধান শায়খ জাওয়াহিরীকে একজন ইখওয়ানী হিসেবে কারাগারে পাঠানো হয়।
আনোয়ার সাদাতের পর ১৯৮০ সালে ক্ষমতায় আসলো হোসনি মোবারক। হোসনি মোবারকের পতনের পর ইখওয়ান নতুন বন্ধুরূপে গ্রহণ করলো গণতন্ত্রকে। তাই ফ্রিডম জাস্টিস পার্টি নামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতায় গেলো। কিন্তু গণতন্ত্র তাদেরকে উগড়ে ফেললো। এভাবে ইখওয়ান তৃতীয়বারের মতো প্রতারিত হলো।
গণতন্ত্রের পর ইখওয়ান অহিংস আন্দোলন করার স্বার্থে বেছে নিলো রাজপথকে। গঠন করলো সমমনাদের নিয়ে নতুন জোট “আত্তাহালুফুল ওয়াতানী লিদা’মিশ শরীয়াহ” (التحالف الوطني لدعم الشرعية) অর্থাৎ শরীয়াহ’র সমর্থনে জাতীয় ঐক্য। যার লক্ষ্য স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, প্রগতি, গণতন্ত্র এবং সেনা স্বৈরশাসনের অবসান।
মোটকথা, ইখওয়ানের হেঁটে চলার পথ যখন বাধাপ্রাপ্ত হলো, তখন তারা বসে বসে চলার পথ অবলম্বন করলো। যখন বসার পথ বন্ধ হলো, তখন তারা ধরলো হামাগুড়ির পথ। কিন্তু এতকিছুর পরও আমাদেরকে শুনতে হলো ইখওয়ানের নিষিদ্ধ হওয়ার মতো প্রক্রিয়া। ইখওয়ানী নেতাদের সম্পত্তি জব্দ হওয়ার নির্মম খবর।
এই তথাকথিত অহিংস আন্দোলন তাদেরকে কী উপহার দিলো? অহিংসবাদের এই ধর্মটি কি আসলে মুসলিমদের? যে ইখওয়ানের সূচনা হয়েছিলো জিহাদ দ্বারা (তাদের মনোগ্রাম এবং ¯েøাগান এখনো যা নিদর্শন বহন করে যাচ্ছে) আজ কোথায় সে ইখওয়ান? হাসানুল বান্না রহ. এর সময় যে ইখওয়ান ছিলো মরুর সিংহ আজ সে ইখওয়ান হলো রাজপথের সিংহ?
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্যিই বলেছেন-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا تَبَايَعْتُمْ بِالْعِينَةِ، وَأَخَذْتُمْ أَذْنَابَ الْبَقَرِ، وَرَضِيتُمْ بِالزَّرْعِ، وَتَرَكْتُمُ الْجِهَادَ، سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ ذُلًّا لَا يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ.
অর্থাৎ ইবনে উমর রা. সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে, তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দেবেন। তোমরা তোমাদের দীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দেবেন না।”
এখন আমরা উমর রা. এর সেই চিরঞ্জীব কথাটা স্মরণ করি, যার বাস্তবতা আজ হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি, যার সত্যতা আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রত্যক্ষ করছি। মুস্তাদরাকে হাকিমের বর্ণনায় তাঁর সে উক্তিটি বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى الشَّامِ... فَقَالَ عُمَرُ:..إِنَّا كُنَّا أَذَلَّ قَوْمٍ فَأَعَزَّنَا اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ فَمَهْمَا نَطْلُبُ الْعِزَّةَ بِغَيْرِ مَا أَعَزَّنَا اللَّهُ بِهِ أَذَلَّنَا اللَّهُ.
অর্থাৎ তারিক বিন শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর রা. একবার সিরিয়া সফরে বের হলেন। ... অতঃপর উমর রা. বললেন, “আমরা ছিলাম অপদস্ত ও অসম্মানিত এক জাতি। এরপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করেছেন। সুতরাং যখনই আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুর মধ্যে সম্মান খুঁজবো, তখনই আল্লাহ আমাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন।”
এখন তাহলে বলুন, গণতন্ত্র/অহিংসবাদ কোন ধরণের ইসলাম যে, এটার মধ্যে ইসলাম খুঁজবো এবং এর দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো?
সর্বশেষ ২০১২ সালের জুন মাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুহাম্মাদ মুরসী মিশরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই মুরসীর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করা হয়। বর্তমানে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদেরকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিশরের জালিম সরকার ফাত্তাহ সিসি।
ইখওয়ানুল মুসলিমীন
খিলাফতের পতন হয় ১৯২৪ সালে। তখন মুসলিমদের একতা ধরে রাখতে এবং তাদেরকে সঠিক নির্দেশনা দিতে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ‘ইখওয়ানুল মুসলিমীন’। তাদের ¯েøাগান ছিলো- জিহাদ, তারবিয়াত ও দাওয়াত। তাদের মনোগ্রামই তা বলে দিচ্ছে।
ইখওয়ান বায়তুল মুকাদ্দাস রক্ষার্থে ইহুদিদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে দলে দলে মুজাহিদ পাঠিয়েছিলো। কিন্তু অল্পদিনেই ইখওয়ান সরকারের চক্ষুশুলে পরিণত হয়। শুরু হয় ইখওয়ান নেতাদেরকে ধর-পাকড়। ১৯৪৯ সালে তখনকার মিসরের রাজা ফারুকের গুপ্তবাহিনী শহীদ করে দেয় ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্না রহ.-কে।
এরপর ইখওয়ানের সাহায্যে ১৯৫২ সালে সেনাঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজা ফারুককে উৎখাত করে রোমে নির্বাসিত করা হয়। যেহেতু সেনা অভ্যুত্থানের প্রতি ইখওয়ানের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা ছিলো (এটা ছিলো সেনাদের শরীয়াহ’র প্রতি নুসরা) তাই সেনা সরকার নজীব তাদেরকে অনেক সমীহ করে। কিন্তু নজীবের পর যখন জামাল আব্দুন নাসের ক্ষমতায় আসলো, তখন সে প্রথমে ইখওয়ানকে সমর্থন করলেও পরবর্তীতে ইখওয়ানকে আতঙ্ক মনে করে ইখওয়ান দমনে লিপ্ত হয়ে যায় এবং নিজে তখনকার দ্বিতীয় পরাশক্তি রাশিয়া বøকে যোগ দেয়। তার আমলেই সায়্যিদ কুতুব শহীদ রহ.-কে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়। এভাবে ইখওয়ান প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তথাকথিত নুসরার দ্বারা প্রতারিত হয়।
জামালের পর ক্ষমতায় আসল আনোয়ার সাদাত। সে ক্ষমতায় এসে ইখওয়ানীদেরকে জেল থেকে মুক্ত করে দেয় এবং ইসরাইলের সাথে ১৯৭৩ সালে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধে প্রথমে কিছুটা জয় লাভ করলেও পরে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়। তখন বাধ্য হয়ে ইসরাইলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং রাশিয়ান বøক থেকে মার্কিন-ইসরাইল বøকে যোগ দেয়। এর পুরস্কারস্বরূপ সর্বপ্রথম একজন আরব হিসেবে তাকে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়। যেহেতু ইখওয়ান তা মেনে নেয়নি, তাই শুরু হয় ইখওয়ানের উপর নির্যাতন। এভাবে ইখওয়ান দ্বিতীয়বারের মতো প্রতারিত হয়। উল্লেখ্য, তখন বর্তমান আলকায়দা প্রধান শায়খ জাওয়াহিরীকে একজন ইখওয়ানী হিসেবে কারাগারে পাঠানো হয়।
আনোয়ার সাদাতের পর ১৯৮০ সালে ক্ষমতায় আসলো হোসনি মোবারক। হোসনি মোবারকের পতনের পর ইখওয়ান নতুন বন্ধুরূপে গ্রহণ করলো গণতন্ত্রকে। তাই ফ্রিডম জাস্টিস পার্টি নামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতায় গেলো। কিন্তু গণতন্ত্র তাদেরকে উগড়ে ফেললো। এভাবে ইখওয়ান তৃতীয়বারের মতো প্রতারিত হলো।
গণতন্ত্রের পর ইখওয়ান অহিংস আন্দোলন করার স্বার্থে বেছে নিলো রাজপথকে। গঠন করলো সমমনাদের নিয়ে নতুন জোট “আত্তাহালুফুল ওয়াতানী লিদা’মিশ শরীয়াহ” (التحالف الوطني لدعم الشرعية) অর্থাৎ শরীয়াহ’র সমর্থনে জাতীয় ঐক্য। যার লক্ষ্য স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, প্রগতি, গণতন্ত্র এবং সেনা স্বৈরশাসনের অবসান।
মোটকথা, ইখওয়ানের হেঁটে চলার পথ যখন বাধাপ্রাপ্ত হলো, তখন তারা বসে বসে চলার পথ অবলম্বন করলো। যখন বসার পথ বন্ধ হলো, তখন তারা ধরলো হামাগুড়ির পথ। কিন্তু এতকিছুর পরও আমাদেরকে শুনতে হলো ইখওয়ানের নিষিদ্ধ হওয়ার মতো প্রক্রিয়া। ইখওয়ানী নেতাদের সম্পত্তি জব্দ হওয়ার নির্মম খবর।
এই তথাকথিত অহিংস আন্দোলন তাদেরকে কী উপহার দিলো? অহিংসবাদের এই ধর্মটি কি আসলে মুসলিমদের? যে ইখওয়ানের সূচনা হয়েছিলো জিহাদ দ্বারা (তাদের মনোগ্রাম এবং ¯েøাগান এখনো যা নিদর্শন বহন করে যাচ্ছে) আজ কোথায় সে ইখওয়ান? হাসানুল বান্না রহ. এর সময় যে ইখওয়ান ছিলো মরুর সিংহ আজ সে ইখওয়ান হলো রাজপথের সিংহ?
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্যিই বলেছেন-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا تَبَايَعْتُمْ بِالْعِينَةِ، وَأَخَذْتُمْ أَذْنَابَ الْبَقَرِ، وَرَضِيتُمْ بِالزَّرْعِ، وَتَرَكْتُمُ الْجِهَادَ، سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ ذُلًّا لَا يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ.
অর্থাৎ ইবনে উমর রা. সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে, তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দেবেন। তোমরা তোমাদের দীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দেবেন না।”
এখন আমরা উমর রা. এর সেই চিরঞ্জীব কথাটা স্মরণ করি, যার বাস্তবতা আজ হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি, যার সত্যতা আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রত্যক্ষ করছি। মুস্তাদরাকে হাকিমের বর্ণনায় তাঁর সে উক্তিটি বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى الشَّامِ... فَقَالَ عُمَرُ:..إِنَّا كُنَّا أَذَلَّ قَوْمٍ فَأَعَزَّنَا اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ فَمَهْمَا نَطْلُبُ الْعِزَّةَ بِغَيْرِ مَا أَعَزَّنَا اللَّهُ بِهِ أَذَلَّنَا اللَّهُ.
অর্থাৎ তারিক বিন শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর রা. একবার সিরিয়া সফরে বের হলেন। ... অতঃপর উমর রা. বললেন, “আমরা ছিলাম অপদস্ত ও অসম্মানিত এক জাতি। এরপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করেছেন। সুতরাং যখনই আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুর মধ্যে সম্মান খুঁজবো, তখনই আল্লাহ আমাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন।”
এখন তাহলে বলুন, গণতন্ত্র/অহিংসবাদ কোন ধরণের ইসলাম যে, এটার মধ্যে ইসলাম খুঁজবো এবং এর দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো?
সর্বশেষ ২০১২ সালের জুন মাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুহাম্মাদ মুরসী মিশরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই মুরসীর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করা হয়। বর্তমানে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদেরকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিশরের জালিম সরকার ফাত্তাহ সিসি।
Comment