Announcement

Collapse
No announcement yet.

মোহময় ফিতনা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মোহময় ফিতনা

    ভালো-বাসা দিবস। কতইনা মুখরোচক শ্লোগান। শোনতে কত ভালোই না লাগে। ভালোবাসা আছে বলেই তো দুনিয়াটা টিকে আছে। একটা কাটখুট্টা হৃদয়, সেও চায় কেউ তাকে ভালবাসুকখিটখিটে মেজাযের বুড়োটাও ভালবাসার ছোঁয়া পেলে, হাসতে শুরু করে। কী দারুণ। কী ইন্ট্যারেষ্টিং। শোনলেই তো মায়ামায়া লাগে। ছুটে যেতে ইচ্ছে করে উল্কা গতিতে।
    স্বাধিনতা, সমতা, মনবাধিকার, নারীঅধিকার, আধুনিকতা, উন্নতি ইত্যাদি পশ্চিমাদের আরো কিছু যাদুমাখা স্লোগান এসবের প্রতি আকর্ষণ মানুষের স্বভাবযাত বৈশিষ্ট্য তাই সমর্থন পাওয়ার জন্যে সত্যিই তা যাদুকরী
    বহু গবেষণার পর পশ্চিমা চিন্তাবিদরা আবিষ্কার করেছে এমন প্রতিটি আকর্ষণীয় স্লোগান সম্মুখ লড়াই বহুত হয়েছে এভাবে চলতে থাকলে পুরো ইউরোপ হাতছাড়া হতে আর বেশি দিন লাগবে না পালাবার রাস্তাটাও বাকি থাকবে না মাথা গুজানো তো দূরে থাক কাজেই বন্ধুভাবাপন্ন হতে হবে বন্ধু বনে যে ক্ষতি সাধন করা যায়; শত্রু হয়ে তা আদৌ সম্ভব নয়
    পশ্চিমা চিন্তাবিদরা সিদ্ধান্ত করল গবেষণা করতে হবে প্রাচ্যের মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি সভ্যতা-সংস্কিৃতি ভৌগূলিক পরিস্থিতি পছন্দ-অপছন্দ প্রিয়ো ফল, প্রিয়ো ফুল খুটিনাটি কিছুই বাদ দেয়া যাবে না রিসার্চ করতে হবে খুঁটে খুঁটে আবিষ্কার করতে হবে মোহময় মোড়ক সেই মোড়কে মুড়িয়ে প্রাচ্যে রপ্তানি করতে হবে পশ্চিমা সব বিষাক্ত বিষ সে তো বিশাল ব্যায়বহুল ব্যাপার! হোকনা ব্যায়বহুল জিহাদীদের তান্ডব থেকে তো বাঁচতে হবে না হয় আর রক্ষা নেই
    মুস্তাশরিক্বিনরা (প্রাচ্য নিয়ে পশ্চিমের গবেষকরা) অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আঞ্জাম দিয়েছেন এই দায়িত্ব। তৈরী করেছেন এমন সব শব্দ, স্লোগান; যেগুলোকে প্রত্যেকেই যার যার মতো করে ব্যাখ্যা করতে পারেনঅথচ বাস্তবেপ্রত্যেকটিইএকেকটি Definition –পরিভাষাপশ্চিমাদেরকাছেএরসুনির্দিষ্টঅর্থরয়েছেসেইঅর্থেইওরাশব্দগুলিব্যবহারকরেথাকে উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে।
    আজকের দিনটির কথাই ধরা যাক। ১৪ ফেব্রুয়ারী। ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা তো পবিত্র। বাবা-মা সন্তানকে ভালোবাসবে, সন্তান বাবা-মা কে....। পশ্চিমারা কি এই ভালোবাসা দ্বারা তা-ই বোঝায় যা আমরা ব্যাখ্যা করছি? না তা নয়তারা যে-ভালোবাসার কথা বলে তা বাস্তবে, অশ্লীলতা, নোংরোমী, ন্যাংটুপনা। যার বলি হতে হয় অগণিত নিষ্পাপ নবজাতককে। ডাস্টবিনে কুকুরের মুখে.....
    ধরুন স্বাধিনতা। এই শব্দটি থেকে স্বাধারণত আমরা বুঝে থাকি, কোনো আগ্রাসি দুশমন থেকে মুক্তি লাভ করা। উপনিবেশবাদীদেরকে নিজ মাতৃভূমি থেকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করা। কোনো স্বৈরাচারী শাসকের অধিনে পরাধিনতার শিকল ভেঙে ফেলা। ইত্যাদি।
    পশ্চিমে কিন্তু এই শব্দটি তা বুঝায় না। তারা যা বুঝায় তা হলো, মানুষই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তার আকলই সবচে’ বড় মানদন্ড। সে যা ভালো বলবে তাই ভালো। যা মন্দ জানবে তাই মন্দ। তার ইচ্ছাই সবকিছু। তার থেকে জবাবদিহিতা চাওয়ার কেউ নেই। স্রষ্ঠা বলতে কিছ্ছু নেই। আমি সম্পূর্ণ স্বাধিন। যাচ্ছে ভাবব, বলব, করব।
    যেহেতু সবারই আকল আছে, ইচ্ছা শক্তি আছে; তাই সবাই সমান। নারী-পুরুষ সমানাধিকার কিসের আবার বিভাজন। যা ইচ্ছে পোশাক পরবোযেখানে খুশি ঘুরে বেড়াবোকিসের আবার আবদ্ধতা। -বিষয়গুলো বিস্তারিত দলিল-প্রমাণসহ জানতে দেখুন: তাআরুফু তাহযীবে মাগরিব আওর ফালসাফা জাদীদ, প্রফেসর মুফতী মুহাম্মাদ আহমাদ।
    আরো একটি বাস্তব নমুনা। জঙ্গি-সন্ত্রাস বলতে আমরা বুঝে থাকি, অন্যায় রক্তপাতকারী। লোটেরা শক্তি। নিরস্ত্র-নিরিহ মানুষের মাল ছিন্তায়কারী। পশ্চিমারা কিন্তু তা বুঝায় না। তাদের কাছে জঙ্গি-সন্ত্রাস হলো, আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকারী মুজাহিদগণইসলামের প্রতিরক্ষাকারী আল্লাহর শার্দুলরা। মাজলোম মুসলিমদের আশার আলো উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। বিশ্বাস হচ্ছে না! মায়ানমারে কি শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করা হয়েছে? উইঘুর, কাশ্মির, সিরিয়া, ফিলিস্তিন আর ভারতে কি জাতিসংজ্ঞের শান্তিমিশন প্রয়োজন নেই? না নেই। কারণ জ্যান্তা বাহিনী, চিনা আর্মি, ইসরাইলী সেনা, ও আর এস এস তো জঙ্গি নয়। সন্ত্রাস নয়। তাহলে শান্তিমিশন.....
    দেখুন, ভালবাসা, স্বাধিনতা, সমতা, শান্তিমিশন কী সুন্দর সুন্দর রঙিন প্যাকেট। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো ফিতনাকে এমন মায়াবী পোশাক পরানো হয়েছে কি-না। এতো দারুণ দৃষ্টিনন্দিত প্রচ্ছদ বাঁধা হয়েছে কি-না। এ-রকম ভীষণ ভয়ঙ্কর মোহময় মোড়কে রপ্তানী করা হয়েছে কি-না। অন্তত আমার তা জানা নেই। এমন চাকচিক্যময় হওয়াতেই বোধহয় এই ফিতনা এতো ভয়াবহ ব্যাপকতা লাভ করেছে। কি আম কি খাস সকলের মাঝেই সংক্রমণ করেছে অতি অল্প সময়ে।
    দ্বীনের দরদ নিয়ে, হৃদয়ের গহীন থেকে, ব্যাথাভরা কণ্ঠে, নিঃশ্বার্ত কলমে, সমকালীন অনেক বক্তা, লেখক ও গবেষকের মুখে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাফাই গাওয়া, নারীঅধিকারের পক্ষে দলিল-প্রমাণ পেশ করা, বিজ্ঞেনের সপক্ষে যুক্তি-তর্ক দাঁড় করানো তো এই ভয়াবহ ফিতনারই প্রতিফলন। এই ফিতনা কেমন ব্যাপক ও ভয়াবহ মোহময় তা বোঝবার জন্যে আরো বেশি কিছুর দরকার হয় না।
    আল্লাহ আমাদেরকে শেষ যামানার সকল ফিতনা থেকে রক্ষা করুন। আমীন।



  • #2
    Apni thik boleachan.

    Comment


    • #3
      Originally posted by Khaledh Bin Walid View Post
      Apni thik boleachan.
      ভাইসাব বাংলায় লেখার অভ্যাস করুন, এটা ফোরামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে,, এবং পড়তে ও ভাল লাগে।

      Ibne kàshim ভাইসাব,, যথার্থ উপস্থাপনা চালিয়ে যান।। জাঝাকাল্লাহ খায়রান

      থ্র
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment

      Working...
      X