Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফেতনা থেকে বেঁচে থাকুন !

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফেতনা থেকে বেঁচে থাকুন !

    ফেতনা থেকে বেঁচে থাকুন !
    হিজবুত তাহরীর
    কম্পাইল করেছেনঃ আব্দুল্লাহ শাহেদ
    পাঠকদের সামনে হিজবুত তাহরীরের আকীদা ও বিশ্বাস তাদের কিতাব থেকেই তুলে ধরছি.....

    দলের প্রতিষ্ঠাতা
    এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আমীর হচ্ছে, তকীউদ্দীন নাবাহানী। তিনি ১৯০৯ সালে বর্তমান ইসরাঈলের হাইফা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে বাইরুতে হিজবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বাইরুতে ইন্তকাল করেন

    দলটির মূলনীতিঃ
    এ দলের মূলনীতি মুতাযেলা ও আশআরী সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায়। তারা শরীয়তের দলীলের উপর মানবীয় বিবেক বুদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে

    এই দলের কার্যকলাপ সম্পর্কে যতদূর জানা যায়ঃ
    তাদের একমাত্র দাবী হচ্ছে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এ দিকেই তারা আহবান করে। ঈমান, নামায, রোজা ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তাদের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না।
    তাদের অনেক নেতাই নিজ নিজ দেশ ছেড়ে পাশ্চাত্য দেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে
    তারা খেলাফত পুনরুদ্ধার করতে চায়। কিন্তু শির্ক, বিদআত, সুফীবাদ ও পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে যে উছমানী খেলাফতের পতন ঘটেছে, তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ছাড়াই আল্লাহর কাছে ভাগ্যের পরিবর্তন চায়
    তারা সবসময় রাজনীতি নিয়েই ভাষণ ও বক্তৃতা দেয়। ইসলামের অন্যান্য মৌলিক শিক্ষার দিকে কোন গুরুত্ব নেই
    মুসলিম দেশের সেনাপতি অমুসলিম হলেও কোন অসুবিধা নেই। (দেখুনঃ ৫/৬/১৯৭০ তারিখে এ দলের আমীর নাবহানী কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রশ্নোত্তর সম্বলিত লিফলেট)
    হারাম পথ অবলম্বন করে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে কোন অসুবিধা নেই
    আমরা যে অর্থে তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস করি, তারা তা অস্বীকার করে। (দেখুনঃ আদ্-দাওসীয়া, পৃষ্ঠা নং-১৮ )
    আকল তথা মানবীয় বিবেক হচ্ছে দ্বীনের অন্যতম মূলনীতি। তাদের এ নীতিটি মুতাযেলাদের কথার সাথে মিলে যারাকর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের একত্রিত হওয়া এবং পরস্পর সহযোগিতা করা জরুরী
    শিয়া ও সুন্নীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। (দেখুনঃ আল-ওয়াঈ আত্ তাহরীরিয়া, সংখ্য ৭৫, বর্ষ-১৯৯৩)
    তাদেরকে ছাড়া তারা সকল মুসলমানকে কাফের মনে করে এবং সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে কুফরী রাষ্ট্র বলে মনে করে। এমন কি মক্কা ও মদীনাকেও তারা ইসলামী দেশ মনে করে না
    অপরিচিত মহিলাকে চুম্বন করা ও তার সাথে মুসাফাহা করা জায়েয। (দেখুনঃ তাদের আমীর নাবহান কর্তৃক প্রকাশিত ২৯/৫/১৯৭০ সালে প্রকাশিত *-একটি প্রশ্নের উত্তর- নামে একটি লিফলেট)
    মহিলাদের উলঙ্গ ছবির দিকে তাকানো জায়েয
    কুরআন ও সুন্নার বিরোধতা করলেও খলীফার আনুগত্য করা জরুরী। (আদ্ দাওলাতুল ইসলামীয়া, পৃষ্ঠা নং-১০৮)
    খবরে ওয়াহেদ তথা একক ব্যক্তির সনদে বর্ণিত হাদীছ সহীহ হলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে তাদের কথা মুতাযেলাদের সাথে মিলে যায়
    তারা কবরের আযাবকে অস্বীকার করে (তকিউদ্দিন আন-নাবাহানী'র লেখা আদ-দাওাসিয়াহ, পৃষ্ঠা নং-৬)
    ইমাম মাহদীর আগমণ সম্পর্কে বর্ণিত সহীহ হাদীছগুলো তারা গ্রহণ করে না
    আজ এখানেই রেখে দিলাম। তাদের সম্পর্কে আরও কোন নতুন তথ্য পেলে আগামীতে লিখবো ইনশা-আল্লাহ্। এটি একটি বাতিল ও গোমরাহ ফির্কা। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে শেখ দামেশকিয়া কর্তৃক লিখিত ( حزب التحرير مناقشة لأهم مباديء الحزب ) নামক কিতাবটিতে তাদের মতবাদ সমূহ বিস্তারিত পাওয়া যাবে।

    সাবধান! সাবধান! মুসলিম যুবক ও শিক্ষিত ভাইগণ তাদের দলে শরীক হওয়া থেকে সাবধান।

    হিজবুত তাহরীর যে সমস্ত বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইসলামের দু'টি মূলনীতি কুরআন ও সহীহ হাদীছের দলীলের উপর মানুষের বিবেক-বুদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়া। তাদের কিতাবগুলোতেই সুস্পষ্টভাবে উক্ত কথাটি উল্লেখ আছে। হিজবুত তাহরীরের অন্যতম একটি কিতাব نداء حار إلى المسلمين من حزب التحرير এ বলা হয়েছে, ইসলামের প্রকৃত রূপ হচ্ছে, তা চিন্তা ও গবেষণার ফলাফল সমূহ। এ জন্যই অহীর মাধ্যমে যা কিছু এসেছে, তার প্রতিটির মধ্যেই বিবেক ও চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। ইসলাম এমন চিন্তা ও গবেষণার ফল যার ভিত্তি হচ্ছে মানুষের বিবেক। কিতাবটির লেখক আরও বলেনঃ বিবেক দিয়েই ইসলামকে বুঝতে হবে। সঠিক কথা হচ্ছে ইসলাম বিবেকের অধিনস্ত। আর যদি বলা হয় ইসলামকে মাপার যন্ত্রও হল আকল বা বিবেক, তাও ঠিক হবে। কারণ বিবেকই হচ্ছে ইসলামের মূল। সুতরাং আকল বা বিবেক-বুদ্ধি যেটা বলে সেটাই ইসলামের দলীল। করুআনের আয়াত বা হাদীছ নয়।

    আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সকল ইমামের মতে ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সুন্নাত; মানুষের বিবেক-বুদ্ধি নয়। মানুষের বিবেক ও বুদ্ধি যদি কুরআন ও হাদীছের কোন তথ্য ও রহস্য বুঝতে সক্ষম হয় তাহলে তো ভালই। আর কোন বিষয়ের বা হুকুমের রহস্য বিবেক দ্বারা বুঝতে না পারলেও তা বিশ্বাস করা জরুরী। এমন কি কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত কোন মাসআলা মানুষের বিবেকের বিরোধী হলে বিবেক প্রসুত কথা বাদ দিয়ে কুরআন ও হাদীছের কথাই মেনে নিতে হবে। কারণ কুরআন ও হাদীছের বাণী ভুলের উর্ধে। আর মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধি ভুলের উর্ধে নয়।

    বিবেককে কুরআন ও হাদীছের দলীলের উপর প্রাধান্য দেওয়ার কারণেই হিজবুত তাহরীর ও মুতাযেলাদের যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। হিজবুত তাহরীরের লোকেরা মুতাযেলাদের ইমামদের প্রশংসা করেছেন। হিজবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা তকীউদ্দীন নাবাহানী মুতাজেলাদের ইমাম ওয়াসেল বিন আতা, আমর বিন উবাইদ, আবু হিলাল আল-আল্লাক এবং নাযযাম প্রসংগে বলনেঃ
    لم يحصل منهم أي انحراف في العقائد على اختلاف معتقداتهم، فكلهم مسلمون مدافعون عن الإسلام
    আকীদার ক্ষেত্রে তাদের কোন প্রকার বিভ্রান্তি ঘটে নি। যদিও তাদের আকীদায় ভিন্নতা ছিল। তারা সকলেই ছিলেন মুসলিম এবং ইসলামের পক্ষের শক্তি। (দেখুন হিজবুত তাহরীরে কিতাবঃ الشخصية الإسلامية)
    মুতাজেলাদের মতই হিজবুত তাহরীরের লোকেরা কবরের আযাব ও নেয়ামতকে অস্বীকার করেন। দাজ্জালের আগমণেও তারা বিশ্বাসী নয়।

    এ দলটি মুতাযেলাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণেই খবরে ওয়াহেদ তথা একজন রাবীর সূত্রে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা আকীদার যে সমস্ত মাসআলা সাব্যস্ত হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে থাকেন। তকীউদ্দীন নাবাহানী বলেনঃ خبر الآحاد ليس بحجة في العقائد
    অর্থাৎ আকীদাহ বা বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত মাসআলাগুলোর ক্ষেত্রে একজন রাবীর মাধ্যমে বর্ণিত হাদীছ দলীল নয়। (দেখুন হিজবুত তাহরীরে কিতাবঃ الشخصية الإسلامية)

    এটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর একটি কথা। এর মাধ্যমে মুতাযেলা সম্প্রদায় এবং হিজবুত তাহরীরের লোকেরা দ্বীনের অনেক বিষয় অস্বীকার করেছেন। মুহাদ্দিছগণের মতে আল্লাহর কিতাবের পর সবচেয়ে অধিক বিশুদ্ধ কিতাব বুখারী শরীফের প্রথম হাদীছটিই খবরে ওয়াহেদ তথা একজন রাবীর সূত্রে বর্ণিত। এভাবে যদি একক সূত্রে বর্ণিত হাদীছকে অস্বীকার করা হয় তাহলে দ্বীনের অনেক বিষয়কেই অস্বীকার করা হবে। সুতরাং এই দলের লোকদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তাদের বাহ্যিক বড় বড় কথা শুনে আমরা যেন বিভ্রান্ত না হই।


    সুত্র: http://anonym.to/?http://khan-jahan-ali.blogspot.com

    মুহতারাম ভায়েরা ! ফিতনার মুখোশ উন্মোচনের স্বার্থে এই লেখাটি পোস্ট করলাম। আমাদের দায়িত্ব সকলকে ফিতনার ব্যাপারে জানানো ও তা থেকে দুরে থাকার জন্য আহবান করা ও এই ফিতনার স্বরুপ উন্মোচন করা।
    Last edited by titumir; 07-07-2015, 05:02 AM. Reason: links

  • #2
    অাসসালামু অালাইকুম
    জাঝাকাল্লাহ অাখি। অনেক দরকারি একটি অালোচনা। অাপনি কি সুধুমাত্র তাদের অাকিদা নিয়ে একটি পোস্ট প্রমানভিত্তক ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন?
    অনেক ভাই অাছেন যারা দ্বীন বোঝার পর শিবির ছেরে হিজবুত তাহরীর এ যোগ দিয়েছে।

    অাল্লাহ কারিম
    কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

    Comment


    • #3
      আসসালামু আলাইকুম.....
      আখি ! আমি ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করবো। দেরি হতে পারে।
      তবে কোন ভাই যদি এগিয়ে আসেন তাহলেও আলহামদু লিল্লাহ ।

      Comment


      • #4
        গণতন্ত্র নিয়া অনেক কনফিউশন ছিল তা নিয়া অনেক লেখালেখি করার কারনে অনেক ভাই ব্যাপারটা বুঝতে পারসেন বাট HT tader kothar marpech a onek bhai k bivranto korse onek age theke, tyy kono bhai jodi samne agie asen tader prottekti vranti
        tule dhore dolil vittik alochona korar jonno tobe onek valo hoy......

        Comment


        • #5
          এই সেই হিজবুত তাহরির

          ★★★ এই সেই হিজবুত তাহরির ! যারা ১৯৫৩ সালে ফিলিস্তিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিগত ৬১ বছরে ইসরাইলের সাথে জিহাদ করাতো দূরের কথা, ইসরাইলকে লক্ষ্য করে একটি পাথরও ছুড়েনি। শুধু তাই নয়, তারা তাদের এই হাওয়াই মতবাদ(খিলাফাহ ছাড়া জিহাদ হবে না !) দিয়ে অনেক ফিলিস্তিনি যুবককে জিহাদ থেকে বিরত রেখেছে। আর আজ জিহাদী সংগঠনের সমালোচনা করে !
          ★★★ (হিজবুত তাহরির পাকিস্তান শাখার মুখপাত্রের সহকারী ' Shahzad Shaikh' কর্তৃক তাদের অফিসিয়াল বার্তা)
          ১। হিজবুত তাহরির গত কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে তালিবান মুজাহিদদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শুধু কী তাই ! তারা হামলায় নিহত পাক-বাহিনীর সদস্য ও কর্মকর্তাদেরকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করেছে। টেক্সট দেখুন....... "Hizb ut-Tahrir Wilayah Pakistan condemns the attack on Karachi Airport and prays to Allah ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ to raise the status of the martyred victims and to grant patience for their relatives.
          ২। জুন মাসের ৪ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতেহামলা করে পাকিস্তানের ২ জন সামরিক অফিসারকে হত্যা করে তালিবান মুজাহিদরা। হিজবুত তাহরির এই সামরিক অফিসারদেরকে 'শহীদ'(!) বলে আখ্যা দিয়েছে।
          টেক্সট, "..... we saw an attack on two military
          officers in the army city of Rawalpindi
          on 4th June, in which they embraced
          martyrdom..... "
          ৩। তাদের যুক্তি হলো, পাক-বাহিনীর ওয়াজিরিস্তানে হামলার বৈধতা দিতেই নাকি করাচি বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে !
          টেক্সট..... These attacks
          are in order to create opinion within the
          armed forces and the masses for the
          North Waziristan Operation.
          ৪। তারা জোর দিয়ে বলেছে, এমনকি শিশুও নাকি জানে এসব হামলার পিছনে সিআইএ র কর্মকর্তা 'রেমন্ড ডেভিস' নেটওয়ার্কের হাত রয়েছে !
          টেক্সট...... " Even children know that the Raymond Davis network is behind all such attacks, in order to compel the armed forces of Pakistan to initiate military operations.
          (তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট Khilafah.comএ প্রচারিত বার্তা, কমেন্টের ১নং লিংক)
          ★★★ এই সেই হিজবুত তাহরির ! যারা ১৯৯৬-২০০১ সালে তালিবান মুজাহিদদের দ্বারা আফগানিস্তানে ইসলাম কায়েম করার পর তার বিরোধিতা করেছে এবং এখনো তালিবানদেরকে জঙ্গী বলে অপপ্রচারের সাথে একমত পোষণ করে এই জঙ্গীবাদের সাথে হিজবুত তাহরিরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে বক্তব্য প্রদান করেছে।
          হিজবুত তাহরির আফগানিস্তান শাখার বক্তব্য পড়লেই তা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
          আফগানিস্তানের কারজাইপন্থী একটি রেডিও চ্যানেল হিজবুত তাহরির সম্পর্কে বলেছে, "তারা সশস্ত্র পন্থা অবলম্বন করেনা, কিন্তু তারা
          জঙ্গীবাদকে সমর্থন করে।"
          হিজবুত তাহরির আফগানিস্তান এটাকে মিথ্যা অপপ্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোনো তৎপরতায় তারা জড়িত নয় বলে দাবী করেছে। (দেখুন, হিজবুত তাহরির আফগানিস্তান শাখার ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বক্তব্য, কমেন্টের ২ নং লিংকে)
          লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, হিজবুত তাহরির খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো মুজাহিদদেরকে সমর্থন করেনি।
          ★★★ অথচ, এই হিজবুত তাহরির ১৯৭৯ সালে ইরানে শিয়া বিপ্লবের পর ইরানের শিয়া কুফফার ধর্মীয় নেতা ইমাম খোমেনিকে প্রস্তাব করেছিলো "খলিফা" হওয়ার জন্য। কিন্তু খোমেনি সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। এর প্রমাণ দেখুন হিজবুত তাহরির ব্রিটেন শাখার প্রতিষ্ঠাতা শায়খ ওমার বাকরীর সাক্ষাৎকার। তিনি পরে হিজবুত তাহরির থেকে বের হয়ে জিহাদপন্থী 'আল-মুহাজিরুন' সংগঠন গড়ে তোলেন। ২০০৫ সালে 'Jamestown' মিডিয়ার কাছে দেয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, হিজবুত তাহরির করার সময় তিনি শিয়াদেরকে মুসলিম মনে করতেন। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন, শিয়ারা মুসলিম নয়।
          সাক্ষাৎকারের টেক্সটের কিছু অংশ দেখুন,
          " Q: But not in Iran?
          A: Actually HT (Hizbut Tahrir) sent some teams to Iran.
          They did not believe, like I do now, that
          Shias in general and Khomeini in
          particular, are Mushrik (Polytheists).
          They saw Khomeini as a Muslim, but
          viewed his regime as Kufr (non-Islamic)
          .
          Q: So what happened?
          A: They sent some teams to Iran after
          Khomeini came to power and offered to
          make him the Khalifah (Caliph) of all the
          Muslims.
          Q: I had read something about this, so
          were those guys from HT?
          A: Yes.
          Q: And of course Khomeini rejected their
          offer?
          A: Khomeini rejected their offer despite
          the fact he was a champion of the
          Velayat al-Faqih system."
          (কমেন্টের ৩ নং লিংক)★★★ কেউ হয়তো এ পর্যন্ত পড়েই আশ্চর্য হচ্ছেন ! না এখনি শেষ হয়নি ! হিজবুত তাহরির শিয়াদেরকে কাফির মনে করেনা। এমনকি তারা শিয়া-আহলে সুন্নাহ উভয়কে তাদের দলে এনে তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটাতে চাইছেন।
          তাইতো হিজবুত তাহরির লেবানন শাখার "নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন একজন শিয়া" !
          হিজবুত তাহরিরের ওয়েবসাইট থেকেই দেখুন,
          Khilafah.comথেকে হিজবুত তাহরির লেবাননের ডেপুটি চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকারটি পড়ুন। সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ, "
          "MA(প্রশ্নকর্তা): How does HT propose to bridge the
          deep religious divide between Shi'ite
          Muslims and Sunni Muslims?
          OB(উত্তর) : We have successfully bridged this
          gap within our organization. We have
          Sunni and Shi'ite Muslims in our ranks.
          Indeed, the chairman of HT's Executive
          Committee in Lebanon (the effective
          leader of the organization in Lebanon),
          Dr Mohammad Jaber is a Shi'ite
          Muslim."
          (কমেন্টের ৪ নং লিংক)
          ★★★ আল-কায়েদার ব্যাপারে হিজবুত তাহরির !
          গত ২ রা জুন হিজবুত তাহরিরের ফেইসবুক পেইজ "We Want Khilafah" তে হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্য "আল-কায়েদা আমাদেরই (যুক্তরাষ্ট্রের) সৃষ্টি " এই নিউজ বাংলাদেশের একটি পত্রিকা থেকে শেয়ার করেছে । ভিন্ন ব্যাখ্যার কোনো সূযোগ নেই, কারণ তারা কোনো ধরণের মন্তব্য ছাড়াই এই নিউজটি শেয়ার করে। (কমেন্টের স্ক্রিনশটে দেখুন তার প্রমাণ)
          জিহাদী মানহাজের ভাইদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ ! আপনারা দয়া করে জিহাদের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সমালোচনা বন্ধ করুন। সামান্য মতবিরোধ থাকার কারণে আপনি নিজের ভাইদেরকে দূরে ঠেলে দিয়ে কাদেরকে কাছে টেনে নিচ্ছেন, খেয়াল করেছেন ! আল-কায়েদা কখনো কি খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার এই হাওয়াই মতবাদ অবলম্বনকারীদেরকে প্রশ্রয় দিয়েছে ! না, কখনোই দেয়নি।
          পরিশেষে বলতে চাই, কোনো মতের পক্ষাবলম্বন করে আল-কায়েদার অন্ধ বিরোধিতা কিংবা আল-কায়েদাকে সমর্থন করে কারো অন্ধ বিরোধিতা ও অসত্য বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে কেউ যদি আল-কায়েদা সম্পর্কে মানুষের মাঝে ভুল ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তাহলে আরশের মালিকের কসম করে বলছি, আমার লেখা তাদের জন্য "উন্মুক্ত তরবারি" হয়ে তাদের প্রত্যেকের বিকৃতি মূলোৎপাটনের চেষ্টা করবে ইনশাআল্লাহ।
          "আল-কায়েদা মার্কিনিদের সৃষ্টি" এই বক্তব্যের জবাব পড়তে আমার এই পোস্টটি পড়ুন.....

          ( কমেন্টে দেয়া রেফারেন্সের লিংকগুলো অনেক পিছনে পড়ে গেছে, তাই পোস্ট এডিট করে এখানে দিয়ে দিলাম)
          ১ নং লিংক...... http://anonym.to/?http://bit.ly/1s6zm86
          ২ নং লিংক...... http://anonym.to/?http://bit.ly/1r5HJka
          ৩ নং লিংক...... http://anonym.to/?http://bit.ly/1sKzgR9
          ৪ নং লিংক...... http://anonym.to/?http://bit.ly/1q5hI59

          সুত্রঃ

          .
          Last edited by titumir; 07-26-2015, 10:08 AM.

          Comment


          • #6
            জাঝাকাল্লাহ অাখি
            কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

            Comment

            Working...
            X