আপনার ঘরে মেয়ে কিংবা বোন থাকলে এই লেখাটা এড়িয়ে যাবেন না
এই আলোচনাটা আপনার সামনে নিয়ে আসার জন্য অনেক ক্ষতির কথা পাশ কাটিয়ে, আল্লাহর কাঠগড়ায় জবাবদিহিতার কথা ভেবে রীতিমতো বাধ্য হয়েছি।
ইসলামে বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালোবাসাকে পর্যায় অনুযায়ী যেনা কিংবা ব্যভিচার বলা হয়।
শরীয়ত অনুযায়ী এই ধরণের কাজ হারাম। বিয়ের কথা বললেও মুসলিম নর-নারীদের এমন কোনো সুযোগ নেই যেখানে তারা অন্য ধর্মের নারী-পুরুষকে বিয়ে করবে।
পূর্বে আহলে কিতাবদের বিয়ের বিধান মুসলিম পুরুষদের ক্ষেত্রে থাকলেও বর্তমানে আহলে কিতাবদের কেউ না থাকার কারণে এই বিধানও থাকছে না।
হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শরীয়ত অনুযায়ী আহলে কিতাব না হওয়ায় হিন্দু-মুসলিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কখনোই ইসলাম সমর্থিত না এবং এভাবে বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
এই বিধানগুলো দ্বারা এই বিষয় সাব্যস্ত হয় যে, ইসলামে লাভ জিহ|দ” নামে কোনোকিছু নেই।
ইসলাম প্রচার-প্রসারের মাধ্যম হিসেবে এই ধরণের কাজ কখনোই শরীয়ত অনুমোদিত হবে না।
এই পরিভাষাটা তাহলে কোথা থেকে আসলো?
উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভ|রতে মুসলিমদের উপর অত্যাচার করার জন্য কাল্পনিক এই পরিভাষা আবিষ্কার করে।
অকারণে একাধিক মুসলিম যুবক-যুবতীদেরকে পিটিয়ে হত্যা করার খবরও দেখা যায়।
এই মিথ্যা অপবাদের হাত ধরে বাংলাদেশে একদল উগ্র হিন্দুদের কার্যক্রম শুরু হয়।
তাদের দাবী তারা এই লাভ জিহাদকে শক্ত হাতে দমন করতে চায়।
যদিও এই পরিভাষাটাই ইসলামে নেই, কল্পনাপ্রসূত একটা ব্যাপার তবুও এটা যদি তাদের জন্য এলার্মিং, কনসার্ন দেখানোর মতো বিষয় হয় তাহলে আমাদের অসুবিধা থাকার কথা না।
এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে তাদের করণীয় কী হতে পারতো?
হিন্দু মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা, তাদেরকে পরিপূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা যেন মুসলিম ছেলেদের সাথে কখনোই প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ না হয়, বিয়ে না করে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম কী চলছে?
কী হচ্ছে?
এই ব্যাপারে একটা প্রতিবেদনে তথ্য-প্রমাণসহ অনেক কিছু বেরিয়ে আসে যা শুনে যে-কেউ শিউরে উঠবে!
প্রমাণগুলো গণমাধ্যমের প্রথমসারির নিউজপোর্টাল, তাদের প্রাইভেট গ্রুপগুলোর থেকে নেয়া এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও যাচাই করে দেখলাম
এগুলো মিথ্যা হওয়ার অবকাশ নেই।
লাভ জিহাদ প্রতিরোধের নামে সেই গ্রুপের সদস্যরা মুসলিম মেয়েদেরকে টার্গেট করছে।
প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে, অবচেতন করে, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, মুসলিমদের ছদ্মনাম ব্যবহার করে মেয়েদের সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছে, বিয়ে করছে, সন্তানের জনক হচ্ছে এবং এরপর তাদেরকে ফেলে চলে যাচ্ছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য বাধ্য করছে!
এগুলো শুনে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ছে? কাল্পনিক মনে হচ্ছে?
আমিও ভেবেছিলাম এগুলো হয়তো সত্য না। পরবর্তীতে প্রতিবেদনে দেখানো কয়েকটা স্ক্রিনশট যাচাই করার জন্য আইডির ছবি, নাম খুঁজলেই দেখি এগুলো বানোয়াট স্ক্রিনশট না!
এছাড়াও সংবাদমাধ্যম গুলোতে এমন অসংখ্য সংবাদ ইতিমধ্যে দেখা গেছে।
বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম আছে
যারা চাইলেই এসব তথ্য যাচাই করতে পারে।
গ্রুপ প্রাইভেট হলেও এসব প্রমাণ যোগাড় করা তাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না!
দোষীদের পরিচয় উদঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নিলে বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে অনেক ভাই আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেক কিছু করে ফেলতে পারে যা পরবর্তীতে সবকিছুকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে।
অনলাইনে সচেতনতার কথা বলে বিশেষ লাভ নেই।
যারা এসব করছে তাদের প্রাথমিক শিকার হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর নারীরা যারা বাইরে কাজ করে,
অবুঝ শিশুরা যাদের অভিভাবক বেখেয়াল, আবেগের বশবর্তী থাকা মেয়েরা যারা এসবের ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞ।
তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী গাজীপুর কিংবা গার্মেন্টস যেসব এলাকায় আছে সেসব এলাকায় নারী শ্রমিক পাওয়া সহজ, এদেরকে ফাঁদে ফেলা সবচেয়ে সহজ।
এসব ঘটনা যে সত্য সেটার সবচেয়ে বড় আলামত হলো এক মুসলিম মেয়েকে ধ [র্ষ] ণ করার একটা ভিডিও ক্লিপ।
রুপন চৌধুরী নামের এক চট্টগ্রামের বাসিন্দা একটা ভিডিও ক্লিপ আপলোড দিয়ে ক্যাপশনে গর্ব করছিলো, তার মিশন সফল হয়েছে বলে! এক হিজাবী মেয়ের পেছনে অনেক অর্থ ঢালার পর অবশেষে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে...
এগুলোর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।
আমরা এসব নোংরা প্রতিযোগিতা, অমানবিক বিদ্বেষে বিশ্বাসী না।
আপনার ঘরের বোন, মেয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখুন।
মুসলিমদের সমাজে বিবাহপূর্ব সম্পর্ক যে হারাম এই ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিন।
তারেক বিন জিয়াদের স্পেন বিজয়ের কথা মনে করুন!
এক খ্রিস্টান নারী তৎকালীন সময়ে অন্যান্য খ্রিস্টানদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলো।
তখন সেই নারীর পিতা-মাতা তাদের প্রভাবের ভয়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ তুলেনি।
সেই অসহায় নারী তৎকালীন বাদশাহকে চিঠি লিখেছিলেন,
হে বাদশাহ!
আমি শুনেছি তোমরা সেই জাতি যারা একজন নারীর ইজ্জতের ইজ্জত, হাজার যুবকের চাইতে বেশি দামী! আমাকে আপনি সাহায্য করুন!
সেই সময় তারেক বিন জিয়াদের বাহিনী সেই মেয়েকে উদ্ধার করে আনে, স্পেনও বিজয় করে আল্লাহর ইচ্ছায়!
আর আজ আমাদের নারীদের ইজ্জত নিয়ে খেলা করা হচ্ছে!
আমরা ঘুমোচ্ছি!
কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।
আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক জ্ঞাত! ছাড় পাব কীভাবে?
আল্লাহকে ভয় পেলে মুখ
বন্ধ রাখি কীভাবে?
~ সংগৃহীত ©
এই আলোচনাটা আপনার সামনে নিয়ে আসার জন্য অনেক ক্ষতির কথা পাশ কাটিয়ে, আল্লাহর কাঠগড়ায় জবাবদিহিতার কথা ভেবে রীতিমতো বাধ্য হয়েছি।
ইসলামে বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালোবাসাকে পর্যায় অনুযায়ী যেনা কিংবা ব্যভিচার বলা হয়।
শরীয়ত অনুযায়ী এই ধরণের কাজ হারাম। বিয়ের কথা বললেও মুসলিম নর-নারীদের এমন কোনো সুযোগ নেই যেখানে তারা অন্য ধর্মের নারী-পুরুষকে বিয়ে করবে।
পূর্বে আহলে কিতাবদের বিয়ের বিধান মুসলিম পুরুষদের ক্ষেত্রে থাকলেও বর্তমানে আহলে কিতাবদের কেউ না থাকার কারণে এই বিধানও থাকছে না।
হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শরীয়ত অনুযায়ী আহলে কিতাব না হওয়ায় হিন্দু-মুসলিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কখনোই ইসলাম সমর্থিত না এবং এভাবে বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
এই বিধানগুলো দ্বারা এই বিষয় সাব্যস্ত হয় যে, ইসলামে লাভ জিহ|দ” নামে কোনোকিছু নেই।
ইসলাম প্রচার-প্রসারের মাধ্যম হিসেবে এই ধরণের কাজ কখনোই শরীয়ত অনুমোদিত হবে না।
এই পরিভাষাটা তাহলে কোথা থেকে আসলো?
উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভ|রতে মুসলিমদের উপর অত্যাচার করার জন্য কাল্পনিক এই পরিভাষা আবিষ্কার করে।
অকারণে একাধিক মুসলিম যুবক-যুবতীদেরকে পিটিয়ে হত্যা করার খবরও দেখা যায়।
এই মিথ্যা অপবাদের হাত ধরে বাংলাদেশে একদল উগ্র হিন্দুদের কার্যক্রম শুরু হয়।
তাদের দাবী তারা এই লাভ জিহাদকে শক্ত হাতে দমন করতে চায়।
যদিও এই পরিভাষাটাই ইসলামে নেই, কল্পনাপ্রসূত একটা ব্যাপার তবুও এটা যদি তাদের জন্য এলার্মিং, কনসার্ন দেখানোর মতো বিষয় হয় তাহলে আমাদের অসুবিধা থাকার কথা না।
এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে তাদের করণীয় কী হতে পারতো?
হিন্দু মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা, তাদেরকে পরিপূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা যেন মুসলিম ছেলেদের সাথে কখনোই প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ না হয়, বিয়ে না করে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম কী চলছে?
কী হচ্ছে?
এই ব্যাপারে একটা প্রতিবেদনে তথ্য-প্রমাণসহ অনেক কিছু বেরিয়ে আসে যা শুনে যে-কেউ শিউরে উঠবে!
প্রমাণগুলো গণমাধ্যমের প্রথমসারির নিউজপোর্টাল, তাদের প্রাইভেট গ্রুপগুলোর থেকে নেয়া এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও যাচাই করে দেখলাম
এগুলো মিথ্যা হওয়ার অবকাশ নেই।
লাভ জিহাদ প্রতিরোধের নামে সেই গ্রুপের সদস্যরা মুসলিম মেয়েদেরকে টার্গেট করছে।
প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে, অবচেতন করে, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, মুসলিমদের ছদ্মনাম ব্যবহার করে মেয়েদের সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছে, বিয়ে করছে, সন্তানের জনক হচ্ছে এবং এরপর তাদেরকে ফেলে চলে যাচ্ছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য বাধ্য করছে!
এগুলো শুনে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ছে? কাল্পনিক মনে হচ্ছে?
আমিও ভেবেছিলাম এগুলো হয়তো সত্য না। পরবর্তীতে প্রতিবেদনে দেখানো কয়েকটা স্ক্রিনশট যাচাই করার জন্য আইডির ছবি, নাম খুঁজলেই দেখি এগুলো বানোয়াট স্ক্রিনশট না!
এছাড়াও সংবাদমাধ্যম গুলোতে এমন অসংখ্য সংবাদ ইতিমধ্যে দেখা গেছে।
বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম আছে
যারা চাইলেই এসব তথ্য যাচাই করতে পারে।
গ্রুপ প্রাইভেট হলেও এসব প্রমাণ যোগাড় করা তাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না!
দোষীদের পরিচয় উদঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নিলে বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে অনেক ভাই আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেক কিছু করে ফেলতে পারে যা পরবর্তীতে সবকিছুকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে।
অনলাইনে সচেতনতার কথা বলে বিশেষ লাভ নেই।
যারা এসব করছে তাদের প্রাথমিক শিকার হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর নারীরা যারা বাইরে কাজ করে,
অবুঝ শিশুরা যাদের অভিভাবক বেখেয়াল, আবেগের বশবর্তী থাকা মেয়েরা যারা এসবের ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞ।
তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী গাজীপুর কিংবা গার্মেন্টস যেসব এলাকায় আছে সেসব এলাকায় নারী শ্রমিক পাওয়া সহজ, এদেরকে ফাঁদে ফেলা সবচেয়ে সহজ।
এসব ঘটনা যে সত্য সেটার সবচেয়ে বড় আলামত হলো এক মুসলিম মেয়েকে ধ [র্ষ] ণ করার একটা ভিডিও ক্লিপ।
রুপন চৌধুরী নামের এক চট্টগ্রামের বাসিন্দা একটা ভিডিও ক্লিপ আপলোড দিয়ে ক্যাপশনে গর্ব করছিলো, তার মিশন সফল হয়েছে বলে! এক হিজাবী মেয়ের পেছনে অনেক অর্থ ঢালার পর অবশেষে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে...
এগুলোর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।
আমরা এসব নোংরা প্রতিযোগিতা, অমানবিক বিদ্বেষে বিশ্বাসী না।
আপনার ঘরের বোন, মেয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখুন।
মুসলিমদের সমাজে বিবাহপূর্ব সম্পর্ক যে হারাম এই ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিন।
তারেক বিন জিয়াদের স্পেন বিজয়ের কথা মনে করুন!
এক খ্রিস্টান নারী তৎকালীন সময়ে অন্যান্য খ্রিস্টানদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলো।
তখন সেই নারীর পিতা-মাতা তাদের প্রভাবের ভয়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ তুলেনি।
সেই অসহায় নারী তৎকালীন বাদশাহকে চিঠি লিখেছিলেন,
হে বাদশাহ!
আমি শুনেছি তোমরা সেই জাতি যারা একজন নারীর ইজ্জতের ইজ্জত, হাজার যুবকের চাইতে বেশি দামী! আমাকে আপনি সাহায্য করুন!
সেই সময় তারেক বিন জিয়াদের বাহিনী সেই মেয়েকে উদ্ধার করে আনে, স্পেনও বিজয় করে আল্লাহর ইচ্ছায়!
আর আজ আমাদের নারীদের ইজ্জত নিয়ে খেলা করা হচ্ছে!
আমরা ঘুমোচ্ছি!
কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।
আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক জ্ঞাত! ছাড় পাব কীভাবে?
আল্লাহকে ভয় পেলে মুখ
বন্ধ রাখি কীভাবে?
~ সংগৃহীত ©
Comment