দ্বীনি বিষয়ে এই "সংশয়" নামক ফিতনার শেষ কোথায়?

[Power of Eman]

১// প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা। আল-কোরআন শিখা ফরজ। এখন প্রশ্ন কতটুকু শিখা ফরজ।যতটুকু শিখা ফরজ , মনে করেন আমি ততটুকু শিখলাম এখন কি নামাজ ব্যতিত আর কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে?

২// এক তালিমে হুজুর ফাজায়েলে ---------- কিতাব থেকে পড়লেন নামাজ সবচেয়ে বড় জিহাদ??

৩// আর এক তালিমে আরও একজন হুজুর পড়লেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাকি বলেছিলেন যিকির জিহাদের থেকে বড় ইবাদত।

৪// শাইখ তামিম আল আদনানী সাহেবের লেকচারে শুনলাম যে, " রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি এমন কোনো আমল খুজে পাচ্ছি না যা জিহাদের সমতুল্য ""।

সঠিক কোনটি???? ৩ নাকি ৪


**আপনারাই বলুন এখন আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তাদের কি হবে যদি দ্বীনের একটি ফরজ বিষয় নিয়ে এই রকম সংশয়ে থাকি **

[Hamja Ibn Abdul muttalib]

ভাইজান,, আসসালামু আলাইকুম। ভাইজান, সাবধান এসব বিষয় নিয়ে অফলাইনে তর্কে জড়িয়ে যাবেন না। কারণ বর্তমান সময়টা খুব বিপদজনক। কে শত্রু, আর কে বন্ধু বোঝা মুশকিল।
১/ [[[ জিহাদ]]] শত্রুর মোকাবেলায় সর্ব শক্তি ব্যয় করা।
মুজাহিদ, কতক ফাইটিং এ থাকে, কতক থাকে দাওয়াতী কার্যক্রমে, কতক থাকে ইন্টারনেটে, কতক থাকে আর্থিক যোগান দানে। [ জিহাদ] নির্দিষ্ট এক ইবাদত। নামায পড়া বড় জিহাদ হলে বদর উহুদ,খন্দক, হুনাইন,মুতা,তাবুক, এ-ই যুদ্ধগুলো মুসলিমরা কেনো করেছে????
ইসলামে প্রতিটি ইবাদতের আপন-আপন অবস্থায় তার মর্যাদা আছে, তা অস্বীকার করার নয়। আজ যারা ফাইটিংয়ে আছেন তারাও দ্বীনের প্রতিটি ইবাদত ১০০% আদায় করার চেষ্টা করেন। জিকির, জিকিরের ফজিলত অনেক, তা আমরা অবশ্যই স্বীকার করি। কিন্তু জিহাদ যখন ফরজ হয়ে যায় তখন ঘরে হউক, মসজিদে হউক, জিকির কখনো জিহাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বেশি সাওয়াব হবে না। জিকির সবচেয়ে বড় জিহাদ না, এটি ভুল অর্থ। তাহলে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিকির দিয়ে কাফেরদের মোকাবেলা করতেন। আশাকরি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন।
জিহাদ বোঝার জন্য,, আপনি তাফসিরে সূরা তাওবাহ[ আব্দুল্লাহ আয্যাম রহঃ ] পড়তে পারেন।

[Greenbird313]

ধন্যবাদ ভাই[ হামজা ইবনে আঃ মুত্তালিব] খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর আলোচনা।

[Power of Eman]

ও আলাইকুমুস্সালাম ভাই।আপনি অনেক সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। অবশ্যই এসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরা হলো খুবই বড় একটা বোকামি। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক। আমিন। তাহলে এখনে অন্যান্য আমলকে জিহাদের থেকে বেশি ফজিলতপূর্ণ বলা হলো বড় ধরনের গোমরাহি। জিহাদ এখন ফরজ, আমরা যে জিহাদ করতে পারছি না, তার জন্যে গুনাহগার হব তাই না??? এখন আল-কোরআন বিষয়ে কিছু বললে ভালো হতো।

জাযাকাল্লাহু খাইরান

[Hamja Ibn Abdul muttalib]

Power of Eman
============
ভাইজান,, আপনার এ বোধটিই দ্বীন বোঝার জন্য যথেষ্ট। প্রিয় ভাই, জিহাদ আজ ফরজে আইন হওয়ার সাথে সাথে একটি মাজলুম ফরজ। জিহাদ আজ একটি কষ্টিপাথরে পরিণত হয়েছে। জিহাদ হচ্ছে এমন আমল যা ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষার একটি সেতু। জিহাদকে অপছন্দ হলে বোঝতে হবে নিজের ঈমানে ত্রুটি এসেছে। তাই আমাদের জন্য উচিত হবে জিহাদকে ভালোবাসা। আজকে যারা জেনে বোঝে জিহাদ পরিত্যাগ করছে তাদের অপরাধটুকুও বেশি হবে। কিন্তু যেই ব্যক্তি জিহাদকে ভালোবাসে, জিহাদের ফরজিয়্যাত আদায়ের জন্য জানে মালে চেষ্টা করে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

[আবু যুবাইর]

আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সব ধরনের সংশয় থেকে হিফাযত করুন ও জিহাদ ও ই‘দাদের পথে অটল রাখুন। আমীন