Announcement

Collapse
No announcement yet.

|| আল কায়েদা ও তালিবানদের নিয়ে মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর সংসয়ের জবাব ||

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • || আল কায়েদা ও তালিবানদের নিয়ে মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর সংসয়ের জবাব ||

    || আল কায়েদা ও তালিবানদের নিয়ে মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর সংসয়ের জবাব ||

    প্রথমেই এ কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমার এই লেখার উদ্দেশ্য কোনো আলেমেদ্বীন ও তালিবুল ইলম বা সাধারণ মুসলমানদেরকে কটাক্ষ বা হেয় প্রতিপন্ন বা উপহাস করার জন্য নয়। কিন্তু দ্বীনের ব্যাপারে যদি কোন সন্দেহ বা সংসয়ের সৃষ্টি হয় তবে তা আমাদের জন্য স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি একটি সংসয়ের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আল আজাহারীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। আমি স্পষ্ট রূপে বলতে চাই আপনি (মাওলানা মিজানুর রহমান আল আজাহারী) আল কায়েদা ও তালিবান নিয়ে সাধারণ মুসলমানদের সামনে যে সন্দেহ সংশয় পূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তা মোটেও ঠিক নয়। অন্যের সম্মানে আঘাত করে বা অন্যের ইজ্জতে আঘাত করে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আশা করি তা আমাদের দ্বীনের জন্য কল্যাণকর হবে। আপনি (মাওলানা মিজানুর রহমান আল আজাহারী) বলেছেন বিল ক্লিনটন নাকি তালিবানদের আবিষ্কার করেছে আর আল কায়েদাকে নাকি জর্জ ডব্লিউ বুশ আবিষ্কার করেছে। কত বড় মিথ্যাচার। না জেনে না বুঝে এ হেন অজ্ঞতা পূর্ণ বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। দয়া করে সাধারণ মুসলমানদের সংসয়ের মাঝে ফেলবেন না। আপনি আরও বলেছেন বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি মুনাফিক। কি করে আপনি একজন স্পষ্ট কাফির ব্যক্তিকে মুনাফিক বলতে পারেন। আপনাকে কাফির ও মুনাফিকের সংজ্ঞা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিত। আপনার একটি জিনিস ভুলে গেলে চলবে না যে এই আল কায়েদা ও তালিবানদের একটি দীর্ঘ রক্ত ঝরা সংগ্রামী ইতিহাস রয়েছে। আপনার এটা মনে রাখা উচিত যে আল কায়েদা ও তালিবানের মানহায ছিন্নী ও মিষ্টি খাওয়া মানহায নয়। তাদের মানহায হচ্ছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মানহায। তাদের গ্লোবাল জিহাদ অনেক আলিম-উলামা ও তালিবুল ইলম এবং অসংখ্য মুজাহিদ ভাইদের পবিত্র রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত। যারা দ্বীন কায়েমের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যারা তাদের নিজেদের জীবন পর্যন্ত কোরবানি করছেন তাদেরকে নিয়ে আপনি মিথ্যাচার করছেন। যাদের পতাকা গৌরব ও সম্মানের এবং আত্নমর্যদার তাদেরকে নিয়ে আপনি সাধারণ মুসলমানদেরকে সংসয়ের মাঝে ফেলে দিচ্ছেন। দয়া করে এমনটা করবেন না। অনন্ত তাদের পক্ষে কথা না বললেও বিপক্ষে কথা বলবেন না। অনন্ত চুপ থাকুন। যদি হিম্মত থাকে তবে আল কায়েদা ও তালিবানদের মত বীর যোদ্ধা হয়ে দেখান। আশা করি বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

  • #2
    যারা মডারেট তারাই তালেবান- আল কায়দাকে আমেরিকার চাল বা আমেরিকার সৃষ্ট ইত্যাদি কথা বলে থাকে।
    দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

    Comment


    • #3
      আসলে যারা গনতন্ত্রকে(গণতন্ত্রকে) দ্বীন কায়েমের জন্য বাধা নয় মনে করে তাদের ভুল মানহাজ হলো গনতান্ত্রিক(গণতান্ত্রিক) পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। সাইদী সাহেব হুজুর বলে ছিলো জামায়াতে ইসলামী ১০০ বছর লাগলেও জনগনের(জনগণের) সাপোর্ট ছাড়া ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন না। ওনিই ভালো বলতে পারবেন, ওনি এ-ই কথা কেনো বলেছেন। জনগন(জনগণ) চাইলে ইসলাম, আর না হয় ইসলাম না। এটি কত বড় জঘন্য কথা আপনারা বোঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই। জনগন(জনগণ) চাইলে ইসলাম, আর না হয় ইসলাম না। জনগন(জনগণ) কখন ইসলাম চাইবে????? যেই জনগন(জনগণ) ইসলাম চাই না, সেই জনগণ কি মুসলিম জনগণ?????
      আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        ও কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারলো????
        এরকম মন্তব্য করার কারণ হচ্ছে ওনাদের মানহাজে জিহাদ নাই[[[ ওনারা কি লীগের সাথে জিহাদ করে???]]] শাইখকে সূরা তাওবাহ পড়ার অনুরোধ করছি। যারা সাহাবাদের নিজেদের মডেল মানতে নারাজ তাদের পক্ষেই এরকম কথা বলা সাজে। আল্লাহ আপনি সঠিক বোঝ দান করুন, আমীন।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          আমার একটা পরামর্শ ছিলোঃ মিজানুর রহমান হুজুরের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো হউক। ওনার কাছে হয়ত আল কায়েদা ও তালেবানের আন্দোলনগুলো পরিষ্কার না। তাছাড়া মুজাহিদরা সারা বিশ্বের মুসলিমদের নিয়ে ভাবে, চিন্তা ফিকির করে। ওনি এ বিষয়টি অবগত আছেন কি না!!! মাহফিলে লোকজন বেশি এটি তো হেদায়েতের মাপকাঠি নয়।
          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

          Comment


          • #6
            Originally posted by খুররাম আশিক View Post
            আমার একটা পরামর্শ ছিলোঃ মিজানুর রহমান হুজুরের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো হউক। ওনার কাছে হয়ত আল কায়েদা ও তালেবানের আন্দোলনগুলো পরিষ্কার না। তাছাড়া মুজাহিদরা সারা বিশ্বের মুসলিমদের নিয়ে ভাবে, চিন্তা ফিকির করে। ওনি এ বিষয়টি অবগত আছেন কি না!!! মাহফিলে লোকজন বেশি এটি তো হেদায়েতের মাপকাঠি নয়।
            প্রিয় ভাই সে এত কিছু জানে! দুনিয়ার কোন কোনায় কি হচ্ছে তা জানে, আর তালেবান আল-কায়দা সম্পর্কে জানেনা এটা আমি মানতে পারছিনা, বরং একজন সাধারণ পাবলিক ও আল-কায়দা তালেবান কে কিছুটা হলেও জানে বলে মনে করি।
            যাই হোক মোট কথা মিজানুর-রহমান আজহারি হুজুর বিশয়টি(বিষয়টি) জানেন না! এইটা একটা অগ্রহণযোগ্য কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহু আ'লাম!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment


            • #7
              মাওলানা আজহারীর এমন গাঁজাখোরী কথা থেকে উম্মাহকে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে হিফাযত করুন। আমীন
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকল প্রকার ভ্রান্তি হতে হিফাযত করুন,
                মুহতারাম ভাই গুরুত্বপূর্ন কাজ করেছেন,
                মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য নতুন দ্বীন পালনে আগ্রহী ভাইদের বেশি বিভ্রান্ত করে,
                স্মার্টনেস এর আড়ালে বিভ্রান্তি হতে আল্লাহ আমাদের হিফাযত করুন, আমিন।
                আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

                Comment

                Working...
                X