"শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অশ্লীল কাজের আদেশ করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।" [সূরা বাকারাহ: ২৬৮] আয়াতটি পড়ার পর জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো। যারা এখনো ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা করছে, এটা তাদের জন্য।
আল্লাহ আপনাকে জানাচ্ছেন, "যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব।" [সূরা আন নাহল: ৯৭] সংখ্যাগরিষ্ঠ মুফাসসিরের মতে এই আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যেবা’ বলতে দুনিয়ার পবিত্র ও আনন্দময় জীবন বোঝানো হয়েছে। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু অর্থ করেছেন "স্বল্পে তুষ্টি"।
(খুবই চমৎকার! এই আয়াতের অর্থ এই নয় যে মুমিন কখনো আর্থিক কষ্ট, অভাব অনটন কিংবা অনাহার ও অসুখ বিসুখে থাকবে না। বরং অর্থ এই যে, মুমিন ব্যক্তি কোন সময় আর্থিক অভাব-অনটন কিংবা কষ্টে পতিত হলেও দুটি বিষয় তাকে উদ্বিগ্ন হতে দেয় না। এক. অল্পেতুষ্টি এবং অনাড়ম্বর জীবন যাপনের অভ্যাস, যা দারিদ্র্যের মাঝেও কেটে যায়। দুই. তার এ বিশ্বাস যে, এ অভাব-অনটন ও অসুস্থতার বিনিময়ে আখেরাতে সুমহান, চিরস্থায়ী নেয়ামত পাওয়া যাবে। কাফের ও পাপাচারীদের অবস্থা এর বিপরীত। সে অভাব-অনটন ও অসুস্থতার সম্মুখীন হলে তার জন্য সান্তনার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে সে অস্থির হয়ে উঠে। জীবন তার বিষয়ে যায়।)
"আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও। তারপর তার কাছে ফিরে যাও, (তাহলে) তিনি তোমাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উত্তম ভোগ-উপকরণ দেবেন এবং প্রর্তেক আনুগত্যশীলকে তাঁর আনুগত্য মুতাবিক দান করবেন। আর যদি তারা ফিরে যায়, তবে আমি নিশ্চয় তোমাদের উপর বড় এক দিনের আযাবের ভয় করছি।" [সূরা হূদ: ৩]
ভবিষ্যত নিয়ে ভয় পাবেন না, যদি আপনি বিশুদ্ধ দ্বীনের উপর থাকেন। আপনি যদি ইমান আনেন ও নেক আমল করেন, ওয়াল্লাহি, আল্লাহ আপনাকে অপমানিত করবেন না, দুনিয়াতে ও আখিরাতে। আল্লাহ তো শিখিয়েছেন, "বল, ‘হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।" [আলে ইমরান: ২৬]
আল্লাহ আপনাকে জানাচ্ছেন, "যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব।" [সূরা আন নাহল: ৯৭] সংখ্যাগরিষ্ঠ মুফাসসিরের মতে এই আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যেবা’ বলতে দুনিয়ার পবিত্র ও আনন্দময় জীবন বোঝানো হয়েছে। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু অর্থ করেছেন "স্বল্পে তুষ্টি"।
(খুবই চমৎকার! এই আয়াতের অর্থ এই নয় যে মুমিন কখনো আর্থিক কষ্ট, অভাব অনটন কিংবা অনাহার ও অসুখ বিসুখে থাকবে না। বরং অর্থ এই যে, মুমিন ব্যক্তি কোন সময় আর্থিক অভাব-অনটন কিংবা কষ্টে পতিত হলেও দুটি বিষয় তাকে উদ্বিগ্ন হতে দেয় না। এক. অল্পেতুষ্টি এবং অনাড়ম্বর জীবন যাপনের অভ্যাস, যা দারিদ্র্যের মাঝেও কেটে যায়। দুই. তার এ বিশ্বাস যে, এ অভাব-অনটন ও অসুস্থতার বিনিময়ে আখেরাতে সুমহান, চিরস্থায়ী নেয়ামত পাওয়া যাবে। কাফের ও পাপাচারীদের অবস্থা এর বিপরীত। সে অভাব-অনটন ও অসুস্থতার সম্মুখীন হলে তার জন্য সান্তনার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে সে অস্থির হয়ে উঠে। জীবন তার বিষয়ে যায়।)
"আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও। তারপর তার কাছে ফিরে যাও, (তাহলে) তিনি তোমাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উত্তম ভোগ-উপকরণ দেবেন এবং প্রর্তেক আনুগত্যশীলকে তাঁর আনুগত্য মুতাবিক দান করবেন। আর যদি তারা ফিরে যায়, তবে আমি নিশ্চয় তোমাদের উপর বড় এক দিনের আযাবের ভয় করছি।" [সূরা হূদ: ৩]
ভবিষ্যত নিয়ে ভয় পাবেন না, যদি আপনি বিশুদ্ধ দ্বীনের উপর থাকেন। আপনি যদি ইমান আনেন ও নেক আমল করেন, ওয়াল্লাহি, আল্লাহ আপনাকে অপমানিত করবেন না, দুনিয়াতে ও আখিরাতে। আল্লাহ তো শিখিয়েছেন, "বল, ‘হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।" [আলে ইমরান: ২৬]
জাহেলি সমাজ ব্যবস্থা কি আপনাকে কিছু দিতে পেরেছে? চারদিকে অনাচার আর অশান্তি ছাড়া? "মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদেরকে আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।" [আর রুম: ৪১] জাহেলি সমাজ ব্যবস্থা আপনার ফিতরাতকে বিষিয়ে দিয়েছে। ভোগবাদী সমাজব্যবস্থা আপনাকে তাদের জাহেলি ব্যবস্থায় ভাবতে শিখিয়েছে। আপনাকে একটা র্যাট রেসে নামিয়ে দিয়েছে। অথচ আপনি এই দুনিয়ার জীবনও উপভোগ করতে পারতেন। রাসূল (স) ও তাঁর সাহাবীগণ যেভাবে ভেবেছেন, সেভাবে ভাবতে পারতেন। এখনো সময় ফুরিয়ে যায় নি। কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরুন।
Comment