|| তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থায় কেন ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়? ||
[তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থায় কেন ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়? আজকে এ বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্। প্রথমে জেনে নেই কি কি কাঠামোর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত এই শয়তানী শাসন ব্যবস্থা? তাগুতী ও দাজ্জালী সিস্টেমটা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র, রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। এটা অনেকটা ফেরাউনী শাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এই সিস্টেমে না আল্লাহর ইবাদত করা হয় না তার দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যাপক অর্থে এই তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থা বহু উপাস্য ও ধর্ম এবং বহু মতবাদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। যেটা দ্বীন ইসলামে সম্পূর্ণভাবে হারাম। তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থার ক্ষতিকর দিক সমূহ যা একটি রাষ্ট্রে মারাত্নক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১ মূর্খ ও অযোগ্য ব্যাক্তিরা এ শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতায় থাকে বিধায় তাদের দ্বারা রাষ্ট্র যন্ত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না।
২ যেহেতু এ ধরণের শাসন ব্যবস্থায় মূর্খ ও অযোগ্য ব্যাক্তিরা ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকে এবং নৈতিকভাবে তারা অধপতিত হয় বিধায় এ ধরনের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র যন্ত্রে ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৩ আমানতের ব্যাপক মাত্রায় খিয়ানত হয় বিধায় এ ধরণের এ শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৪ এ ধরণের এ শাসন ব্যবস্থা পুঁজিবাদী সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বলে এক শ্রেণীর মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে আর আরেক শ্রেণীর মানুষ গরিব থেকে গরিব হতে থাকে। এ ধরণের এ শাসন ব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টনের পার্থক্য এটা প্রকট যে কোনভাবেই ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৫ সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, আমলাতান্ত্রিক প্রভাব, রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি এ শাসন ব্যবস্থার হাতিয়ার স্বরূপ। যা ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য এক বিরাট অন্তরাল। তাই এ শাসন ব্যবস্থায় কোনভাবেই ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
৬ খাও-দাও ফুর্তি করো নীতিতে এ শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এ শাসন ব্যবস্থায় ভোগবাদকে ব্যাপকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে লোকজন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে। ফলে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে। আর এসব কারণে এ ধরণের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৭ রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়, বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে যায় এবং মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় বলে এ ধরণের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৮ ব্যক্তি অসন্তোষ, মারামারি হানাহানি, সম্মানহানি, জান ও মালের নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থার খুবই মামুলি ও স্বাভাবিক দিক। আর এ সব কারণে এ ধরণের শয়তানি শাসন ব্যবস্থায় কোনভাবেই ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
এখানে অল্প কিছু কথায় এই তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থার ক্ষতিকর ও নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করলাম। এছাড়া এ ধরণের শয়তানি শাসন ব্যবস্থার আরোও অনেক মারাত্নক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা অল্প কথায় লিখে শেষ করা সম্ভব না। আশা করি এই অল্প কথা থেকে আপনারা উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ্।]
[তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থায় কেন ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়? আজকে এ বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্। প্রথমে জেনে নেই কি কি কাঠামোর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত এই শয়তানী শাসন ব্যবস্থা? তাগুতী ও দাজ্জালী সিস্টেমটা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র, রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। এটা অনেকটা ফেরাউনী শাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এই সিস্টেমে না আল্লাহর ইবাদত করা হয় না তার দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যাপক অর্থে এই তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থা বহু উপাস্য ও ধর্ম এবং বহু মতবাদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। যেটা দ্বীন ইসলামে সম্পূর্ণভাবে হারাম। তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থার ক্ষতিকর দিক সমূহ যা একটি রাষ্ট্রে মারাত্নক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১ মূর্খ ও অযোগ্য ব্যাক্তিরা এ শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতায় থাকে বিধায় তাদের দ্বারা রাষ্ট্র যন্ত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না।
২ যেহেতু এ ধরণের শাসন ব্যবস্থায় মূর্খ ও অযোগ্য ব্যাক্তিরা ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকে এবং নৈতিকভাবে তারা অধপতিত হয় বিধায় এ ধরনের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র যন্ত্রে ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৩ আমানতের ব্যাপক মাত্রায় খিয়ানত হয় বিধায় এ ধরণের এ শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৪ এ ধরণের এ শাসন ব্যবস্থা পুঁজিবাদী সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বলে এক শ্রেণীর মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে আর আরেক শ্রেণীর মানুষ গরিব থেকে গরিব হতে থাকে। এ ধরণের এ শাসন ব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টনের পার্থক্য এটা প্রকট যে কোনভাবেই ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৫ সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, আমলাতান্ত্রিক প্রভাব, রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি এ শাসন ব্যবস্থার হাতিয়ার স্বরূপ। যা ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য এক বিরাট অন্তরাল। তাই এ শাসন ব্যবস্থায় কোনভাবেই ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
৬ খাও-দাও ফুর্তি করো নীতিতে এ শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এ শাসন ব্যবস্থায় ভোগবাদকে ব্যাপকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে লোকজন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে। ফলে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে। আর এসব কারণে এ ধরণের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৭ রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়, বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে যায় এবং মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় বলে এ ধরণের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৮ ব্যক্তি অসন্তোষ, মারামারি হানাহানি, সম্মানহানি, জান ও মালের নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থার খুবই মামুলি ও স্বাভাবিক দিক। আর এ সব কারণে এ ধরণের শয়তানি শাসন ব্যবস্থায় কোনভাবেই ন্যায় ও ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
এখানে অল্প কিছু কথায় এই তাগুতী ও দাজ্জালী শাসন ব্যবস্থার ক্ষতিকর ও নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করলাম। এছাড়া এ ধরণের শয়তানি শাসন ব্যবস্থার আরোও অনেক মারাত্নক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা অল্প কথায় লিখে শেষ করা সম্ভব না। আশা করি এই অল্প কথা থেকে আপনারা উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ্।]
Comment