Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমাম মাহমুদের ফিতনা পর্ব - ৩ । আগামী কথন ও আস-শাহরান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমাম মাহমুদের ফিতনা পর্ব - ৩ । আগামী কথন ও আস-শাহরান

    ইমাম মাহমুদের ফিতনা পর্ব - ৩ । আগামী কথন ও আস-শাহরান



    গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছি শাহ নেয়ামতুল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে। এবং দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে শাহ নেয়ামতুল্লাহর "দেওয়ান" ছাড়া বাকি কবিতাগুলো জাল এবং বানোয়াট বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই পর্বে এরকম আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণীর কবিতা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো যেটার নাম "আগামী কথন"। ২০১৮ সালে বাংলা ভাষায় পিডিএফ আকারে প্রকাশিত হয় এই কবিতা, বলা হয় কবিতার লেখকের নাম আস-শাহরান। তিনি ইলহামের সাহায্যে এটা লিখেছেন, কবিতাটি একশত প্যারার অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে কিয়ামত পর্যন্ত কি কি ঘটবে তা সাল ধরে ধরে ভবিষ্যদবানী করেছেন। আমরা প্রথমে যানবো কবিতার লেখক আস-শাহরান সম্পর্কে এরপর কবিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

    আস-শাহরানের পরিচয়

    আগামী কথনের শুরুতে "লেখক পরিচিতি" তে বলা হয়েছে, "যিনি এই এই কবিতাটি লিখেছেন তার নাম হলো আস-শাহরান। তিনি ২০১৮ সালে এটি প্রকাশ করেন, লেখক আস-শাহরান সম্পর্কে তেমন খুব একটা জানা যায়নি। কোথায় জন্ম, কোথায় থাকেন, কি করেন তা আপনাদের কিছুই যানাতে পারছি না। ( আল্লাহু আলম) তাই আন্তরিকভাবে দঃখিত। (আগামী কথন, লেখক পরিচিতি)

    বোঝা গেলো আস-শাহরানের এই কবিতা যে ব্যক্তি পিডিএফ আকারে প্রকাশ করেছেন তিনি আলাদা ব্যক্তি তাহলে প্রশ্ন হলো প্রকাশক এই কবিতা কোথায় পেয়েছেন? আর তার পরিচয়ই বা কি? প্রথমে স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে অনেক চেষ্টার পর বিশ্বস্ত একটি সূত্রের মাধ্যমে যানতে পারি যিনি এটা লিখেছেন আর যিনি এটার পিডিএফ প্রকাশ করেছেন তারা আলাদা কোনো ব্যক্তি নয় বরং একজনই। শুধু তাই না কবিতার লেখক আস-শাহরানই হলো কথিত ইমাম মাহমুদের সহচর সাহেবে কিরান। তিনি কবিতাটি এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যাতে সাধারন মানুষ বুঝতে না পারে সাহেবে কিরান-ই এটা লিখেছেন বরং তারা যেন মনে করে আস-শাহরান এবং সাহেবে কিরান দুইজন আলাদা ব্যক্তি। এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয় তা হলো, এই কবিতাটিতে ইমাম মাহমুদ এবং সাহেবে কিরানের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তাই এই মর্মে যদি আগে থেকেই তাদের আগমনের ব্যাপারে কেউ ভবিষ্যদ্বাণী করে তাহলে পরবর্তীতে তারা এই কবিতা দলীল হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে এবং বলা যাবে আমাদের আগমনের ব্যাপারে তো পূর্বেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে সুতরাং আমাদের আনুগত্য করো।

    প্রথম পর্বে আমরা সাহেবে কিরানের আসল পরিচয় উল্লেখ করেছি এই পর্বে আরো কিছু বিষয় উল্লেখ করবো যা প্রথম পর্বে বলা হয়নি। কথিত সাহেবে কিরানের আসল নাম শামীম পিতার নাম মোখলেছুর রহমান। শামীমের রয়েছে আরো অনেক ছদ্মনাম যেমন - সাহেবে কিরান, আস-শাহরান, শামীম হামীম কিরন, শায়েখ নাবহান হামীম, নাজমুস সাকিব আল-হিন্দি ইত্যাদি। বিশ্বস্ত সূত্রটি বলে শামীম নিজের মুখে স্বীকার করেছেন যে আগামী কথন কবিতাটি তিনি লিখেছেন এছাড়াও তার লেখা আরেকটি গ্রন্থ রয়েছে "আখীরুজ্জামান গবেষনা ও তাত্বিক বিশ্লেষণ" এই গ্রন্থের প্রথম মুদ্রণে তিনি লেখক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন শায়েখ নাবহান হামীম এবং দ্বিতীয় মুদ্রণে নাম দিয়েছেন নাজমুস সাকিব আল-হিন্দি। তিনি নামের শুরুতে "শাইখ" শব্দ ব্যবহার করেন যদিও কখনো কোনো উস্তাদের থেকে দ্বীনি ইলম শিক্ষা করেন নাই এমনকি দ্বিনী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও লেখাপড়া করেন নাই তার কুরআন তিলাওয়াত ও অশুদ্ধ তবুও নিজেই নিজের নামের শুরুতে শাইখ ব্যবহার করে যা একটা প্রতারনা। শামীম নামের এই যুবকের বয়স মাত্র ২২/২৩ নিজ গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এস. এস. সি. পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, ক্লাসের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। আর তার এলাকার মসজিদ "মাসজিদুল ওমর" এ ইমামতি করতেন জুয়েল ওরফে ইমাম মাহমুদ। জুয়েলই শামীমকে তার শয়তানি পরিকল্পনার ব্যাপারে সর্বপ্রথম দাওয়াত দেয় এভাবে শামীমও তার ডাকে সারা দেয় আর তাদের উভয়ের হাতেই আস্তে আস্তে গড়ে ওঠে নতুন এই দল।

    আগামী কথন

    শামীম ওরফে আস-শাহরান ইমাম মাহমুদের দাবীকে আরো শক্তিশালী ও মযবুত করতে শাহ নেয়ামতুল্লাহর নামে প্রচলিত বানোয়াট কবিতা কাসিদা সওগাতের ধাচে আগামী কথন নামে এই কবিতা রচনা করে। কাসিদা সওগাতে সাল উল্লেখ না থাকলেও আগামী কথন সেটার পূর্ণতা দিয়েছে। বলা বাহুল্য এই সব কবিতা যে তাদেরই দাজ্জালী এজেন্ডার একটি অংশ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু যে সকল অবুঝ ভাইয়েরা মানতে নারাজ যে ইমাম মাহমুদের বিষয়টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং মিথ্যা, তাদের বোঝানোর স্বার্থে অধমের এই ক্ষূদ্র প্রচেষ্টা। এই কবিতা নিয়ে লেখকের প্রত্যেকটি জালিয়াতি কুরআন সুন্নাহর আলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহু তা'য়ালা।

    আগামী কথনের শুরুতেই রয়েছে চোখে পরার মত ভুল যা এই কবিতাকে ছুরে ফেলে দেওয়ার জন্য যতেষ্ঠ। এবং সেই সাথে লেখকের অজ্ঞতা এবং জাহালতের ব্যাপারেও আশা করি একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে। আগামী কথনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্যারায় আস-শাহরান লিখেছে -
    "বিংশ শতাব্দীর বিংশ সনে কিছু করে হেরফের - প্রকাশ ঘটিবে ভন্ড মাহদি ভূখন্ড তুরস্কের" "স্বপ্ত বর্ণে নামের মালা 'হা' দিয়ে শুরু তার - খতমে থাকিবে 'ইয়া' সে মাহদির মিথ্যা দাবীদার"
    আস-শাহরান ব্যাখ্যা দিয়েছে, ২০২০ সালের কিছু সময় হেরফের করে অর্থাৎ ২০১৯ এর শেষের দিক থেকে ২০২১ এর শেষের দিকে তুরস্ক থেকে একজন ভন্ড নিজেকে মাহদি দাবী করবে। আর তার নাম আরবীতে সাত হরফের হবে, প্রথম হরফ 'হা' আর শেষের হরফ 'ইয়া'। সুবহানআল্লাহ! আল্লাহর ইচ্ছায় শুরুটাই হয়েছে ভুলের মাধ্যমে। কথিত আস-শাহরান বিংশ শতাব্দীর বিংশ সন দ্বারা বুঝিয়েছে ২০২০ সাল অথচ শতাব্দীর গণণা অনুযায়ী বিংশ শতাব্দীর বিংশ সন মানে ১৯২০ সাল। ১৯০১ সাল থেকে ২০০০ সাল কে ধরা হয় বিংশ শতাব্দী আর ২০০১ সাল থেকে ২১০০ সাল কে ধরা হয় একবিংশ শতাব্দী অর্থাৎ বর্তমান আমরা রয়েছি একবিংশ শতাব্দীর ২৩ সনে। তার মানে আস-শাহরান আগামীর ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে অতীতের ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেলেছেন। তাহলে এই কবিতা থেকে সাধারন মুসলিমরা কি বার্তা নিবে? কবিতা বলছে ১৯২০ সালের কথা আর ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে ২০২০ সালের কথা আওয়াম কোনটা বিশ্বাস করবে? আফসোসের কথা হলো এমন ভুল ও ত্রুটিযুক্ত কবিতার উপর আমরা বিশ্বাস করতে বিন্দু পরিমান ও পিছপা হইনাই মা'জাল্লাহ। আমাদের দ্বীন ও ঈমানের ভিত কি এতোই ঠুনকো যে আজ আমাদের এমন ভিত্তিহীন কবিতাকেও বিশ্বাসের বস্তু বানাতে হচ্ছে?

    এবার যানা যাক তুরস্কের সেই ভন্ড মাহদির ব্যাপারে। তৃতীয় প্যারায় উক্ত মাহদি দাবীদারের নামের প্রথম ও শেষের হরফ এবং নামের মোট হরফ সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম হরফ 'হা' আর শেষের হরফ 'ইয়া' এই হা এবং ইয়া দ্বারা আস-শাহরান মূলত তুরস্কের আদনান ওকতার ওরফে হারুন ইয়াহিয়া কে বুঝিয়েছে এটা তাদের অন্যান্য আর্টিকেল এবং বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়। তাদের ভাষ্যমতে ২০১৯ থেকে ২০২১ এর মধ্যেই হারুন ইয়াহিয়া অফিসিয়ালি নিজেকে মাহদি দাবী করবে। এ সময় বাংলার মুসলিমরা তার এই দাবীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যানাবে অবশেষে পাকিস্তানের সেনাবাহীনির হাতে সে হত্যা হবে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় আগামী কথনের এই প্রথম ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৯ চলে গেছে ২০ চলে গেছে ২১ চলে গেছে ২২ ও চলে গেছে এখন ২৩ প্রায় শেষের দিকে কিন্তু আগামী কথনের ভবিষ্যদ্বাণী এখনো কার্যকর হয়নি। আস-শাহরানের দাবী অনুযায়ী সে এই ভবিষ্যতের জ্ঞান আল্লাহর পক্ষ থেকে ইলহামের সাহায্যে পেয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ সুবহানু ওয়াতা'য়ালা ওয়াদা খেলাফকারী নন, তিনি তার ওয়াদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে তা বাস্তবায়ন করবেন এর এক চুল এদিক সেদিক হবেনা এটাই মু'মিনদের আক্বীদা বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন -
    اِنَّ اللّٰهَ لَا یُخۡلِفُ الۡمِیۡعَادَ - নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। (ইমরান, আয়াত-৯)
    তিনি আরো বলেন - یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ السَّاعَۃِ اَیَّانَ مُرۡسٰهَا ؕ قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُهَا عِنۡدَ رَبِّیۡ ۚ لَا یُجَلِّیۡهَا لِوَقۡتِهَاۤ اِلَّا هُوَ ؕۘؔ ثَقُلَتۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ لَا تَاۡتِیۡکُمۡ اِلَّا بَغۡتَۃً ؕ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ کَاَنَّکَ حَفِیٌّ عَنۡهَا ؕ قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُهَا عِنۡدَ اللّٰهِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
    "তারা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করে, তা কখন ঘটবে? তুমি বল, এর জ্ঞান তো রয়েছে আমার রবের নিকট। তিনিই এর নির্ধারিত সময়ে তা প্রকাশ করবেন। আসমানসমূহ ও যমীনের উপর তা কঠিন হবে। তা তোমাদের নিকট হঠাৎ এসে পড়বে। তারা তোমাকে প্রশ্ন করছে যেন তুমি এ সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত। বল, এ বিষয়ের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকট আছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না’।" (৭:১৮৭)
    আল্লাহ সুবহানু ওয়াতা'য়ালা কুরআনে রোমকদের পরাজয় এবং পরবর্তীতে বীজিত হওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন পরে তার ওয়াদা মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন ও করেছেন। কিন্তু আগামী কথনে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি এর দ্বারা এটা প্রতিয়মান হয় যে, নিশ্চয় আস-শাহরান আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। যারা আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনা করে তাদের ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে -
    وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِباً - আর তার চেয়ে বড় যালিম আর কে যে আল্লাহর উপর মিথ্যা রটনা করে। (সূরা আন‘আম ৬:২১)
    إِنَّمَا يَفْتَرِي الْكَذِبَ الَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِآياتِ اللَّهِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْكَاذِبُونَ - একমাত্র তারাই মিথ্যা রটায়, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে না। আর তারাই মিথ্যাবাদী। (সূরা আন নাহল, ১৬:১০৫)
    فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَذَبَ عَلَى اللَّهِ وَكَذَّبَ بِالصِّدْقِ إِذْ جَاءَهُ - সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে? যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে এবং তার কাছে সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে। জাহান্নামেই কি কাফিরদের আবাসস্থল নয়? (সূরা যুমার ৩৯:৩২)

    আগামী কথনের উনিশ নং প্যারায় আস-শাহরান লিখেছে -
    "আহাযারী আর কান্নায় ভারী সে ভূমি হইবে ঘোর কারবালা - খোদার মদদে 'শীন' 'মীম' সেক্ষনে আগাইবে করিতে শত্রুর মোকাবেলা" এটার ব্যাখ্যা হলো, ভারত যে দেশটি দখল করবে সেই দেশের ঘরে ঘরে কারবালা শুরু করে দিবে। ৭ কোটি ৫০ লক্ষ (কিছু কমবেশ হবে) মানুষ হত্যা করবে। মুসলিমদের এই বিপদে আল্লাহ সাহায্য পাঠাবেন মুসলিমদের সেই বিপদ মুক্তির উসিলা হবে দুই জন। তাদের নামের প্রথম হরফ 'শীন' ও 'মীম' দিয়ে শুরু হবে। তারা আল্লাহর প্রেরিত দূত। এরপর বিশ নং প্যারায় বলা হয়েছে - "'শীন" সে তো সাহেবে কিরান "মীম"-এ হাবিবুল্লাহ - যালিমের ভূমিতে ঘটাইবে মহালয় সাথে আছে মহান আল্লাহ" ব্যাখ্যা হলো, শীন হরফ দিয়ে যার নাম শুরু তার উপাধী হলো সাহেবে কিরান। মীম হরফ দিয়ে যার নাম শুরু তার উপাধী হলো হাবিবুল্লাহ। উনিশ এবং বিশ নং প্যারা ও এর ব্যাখ্যা থেকে বোঝা গেলো যে, ভারত কাশ্মীর হাড়ানোর পর মুসলিমদের আরেকটি দেশ তারা দখল করবে এবং সেখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাবে যাকে কারবালা বা দ্বিতীয় কারবালা বলা হয়েছে। আর এই বিপদের সময় আল্লাহর দুইজন বিশেষ বান্দা হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান শত্রুদের মোকাবেলার জন্য সামনে অগ্রসর হবে। দ্বিতীয় পর্বে শাহ নেয়ামতুল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণীর আলোচনায় আমরা যেনেছি যে, হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান কোনো আলাদা ব্যক্তি নয় বরং একই ব্যক্তি। সাহেবে কিরান হলো হাবিবুল্লাহর গুণাবলি আলাদা কোনো চরিত্র না। যেমন শাহ নেয়ামতুল্লাহর দ্বিতীয় কবিতায় বলা হয়েছে - "রাস্ত গুইয়াম বাদশাহে দার জাহাঁ পায়দা শাওয়াদ - নামে তাইমূর বুয়াদ সাহিব-কিরাঁ পায়দা শাওয়াদ" অর্থাৎ, আমি ঠিকই বলেতেছি যে, পৃথিবীতে তইমুর নামক একজন প্রতাপশালী বাদশাহ জন্মগ্রহণ করিবেন। এখানে তাইমুর লং কে সাহেবে কিরান বলা হয়েছে ফারসীতেও "সাহেবে কিরা" শব্দ এসেছে এমনকি কাসিদা সওগাতের দ্বিতীয় প্যারাতেও যালিম শাসককে সাহেবে কিরান বলা হয়েছে, প্রয়োজনে আপনারা কাসিদা সওগাতের ফার্সি দেখে নিবেন। মোটকথা হাবিবুল্লাহই হলেন সাহেবে কিরান, তার আসল নাম হাবিবুল্লাহ আর উপাধী সাহেবে কিরান। কিন্তু আস-শাহরান এখানে জালিয়াতি করে সাহেবে কিরান দ্বারা আলাদা একটা চরিত্রের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রিয় পাঠকগন আগামী কথন মিথ্যা হওয়ার জন্য এর থেকে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে? প্রমাণ আপনাদের হাতেই রয়েছে শুধু একটু আকল খাটিয়ে সমস্ত ব্যাপারটা তাহকীক করলেই সত্য মিথ্যা স্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও এই কবিতায় তথ্যগত অসংখ্য ভুল রয়েছে যা লেখকের জাহালতকে আরো ফুটিয়ে তোলে নিম্নে তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো -

    [১] আশ-সাহরান আগামী কথনের আট নম্বর প্যারায় লিখেছে - "একটি 'শীন' দুইটি 'আলিফ' তিন ভুখন্ডেই হবে ঝড় - বিদায় জানালো মহাদূত তার তের-নব্বই- এক পর" এর ব্যাখ্যায় আস- শাহরান বলেছেন যে, সেই ফুরাত নদীর স্বর্নের পাহাড় দখলে আনার জন্য তিনটি রাষ্ট্র যুদ্ধে জরিয়ে পরবে। সেই ৩ টি দেশের নামের প্রথম হরফ এখানে উল্লেখ করছেন। ১. শীন। ২. আলিফ এবং ৩. আলিফ। যেহেতু ফুরাত নদি তুরষ্ক থেকে উৎপন্ন হয়ে আরবের পাশ দিয়ে শিরিয়া দিয়ে ইরাক পর্যন্ত বৃস্তিত। তাই সহযেই অনুধাবন করা যায় যে, ১. 'শীন' হলো শিরিয়া। এবং ২. আলিফ হলো ইরাক। ৩. নং আলিফ পরবর্তি প্যারায় প্রকাশিত। এখানে আশ-সাহরান ফুরাত নদীর স্বর্নের পাহাড়কে কেন্দ্র করে যুদ্ধে জরানো তিনটি রাষ্ট্রের উল্লেখ করেছে এবং সেই রাষ্ট্রের প্রথম হরফগুলো প্রকাশ করেছে। তিনি 'শীন' দ্বারা সিরিয়া কে বুঝিয়েছেন অথচ সিরিয়ার প্রথম হরফ 'ছীন' যেমন (سوريا)। অতঃপর 'আলিফ' দ্বারা ইরাক কে বুঝিয়েছেন অথচ ইরাকের প্রথম হরফ হবে 'আইন' যেমন (عراق)। এরপর ২য় 'আলিফ' দ্বারা ৯ম প্যারার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে 'আরব' অথচ আরবের প্রথম হরফ হলো 'আইন' যেনন (عرب)।

    [২] আগামী কথনের তিন নম্বর প্যারায় আস-শাহরান লিখেছে - "বাংলা ভূমির দ্বীনের সেনারা করিবে মিথ্যার প্রতিবাদ - জালিমের ভূ-খন্ড হয়েছিলো দু ভাগ সত্য ভাগে হবে ভন্ড বরবাদ" এই প্যারার শেষের অংশ অর্থাৎ 'জালিমের ভূ-খন্ড হয়েছিলো দু ভাগ' আস-শাহরান এটার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, কোনো এক জালিম ভূ-খন্ড বিভক্ত হয়ে এক ভাগ সত্য দ্বীন কায়েম ছিলো, সেই ভাগের দ্বারাই ভন্ড মাহদির ধ্বংস হবে। আর সেই জালিম ভূখন্ডটি হলো বর্তমান ভারত যা ইতিপূর্বে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান হয়। আর পাকিস্তানে আল্লাহর দ্বীন কায়েম ছিলো। এই হলো আস-শাহরানের ব্যাখ্যা! এখন প্রশ্ন হলো পাকিস্তান জন্মের পর কবে, কতদিন, এবং কার মাধ্যমে সেখানে দ্বীন কায়েম ছিলো? এটা ঠিক যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ইসলামী হুকুমত বাস্তবায়নের অঙ্গিকারে কিন্তু সেই অঙ্গিকার কেবল স্বপ্নেই রয়ে গেছে তা বাস্তবায়ন হয়নি। পাকিস্তান জন্মের শুরুতেই বিশ্ব কুফফার আমেরিকা তার অনুগত দালাল শাসকদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়ে দেয় এবং প্রাশ্চাত্যের কুফরি সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। এই পাকিস্তানের শাসকগন এবং তাদের অনুগত সেনারা যুগ যুগ ধরে মাজলুমদের প্রতি যুলম অত্যাচার করেছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহযোগিতা করে এসেছে। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের লাল মসজিদ অবরোধ করে তারা সেখানকার শরীয়াহকামীদের গনহারে হত্যা করে। এরপর জামিয়া হাফসার নিরাপরাধ ছাত্রীদের পাইকারীভাবে হত্যা করে এই পাক সেনারা। এই পাকিস্তান সরকারই ৯/১১ এর পর ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমেরিকা যুদ্ধে নামলে পাকিস্তান আমেরিকাকে তাদের দেশে ঘাটি দেয়, অতঃপর ইমামুল জিহাদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন (রহঃ) কে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান আমেরিকাকে তাদের এয়ারস্পেস ব্যবহার করতে দেয়। মোটকথা পাকিস্তান সেই শুরু থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এর ধারাবাহিকতা এখনো চলমান রয়েছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে সেই দেশে কখনোই দ্বীন প্রতিষ্ঠিত ছিলো না সুতরাং আস-শাহরানের এই দাবী অজ্ঞতা আর মূর্খতা ছাড়া কিছুই না।

    [৩] আগামী কথনের একুশ নম্বর প্যারার শেষের লাইনে বলা হয়েছে - "কিরানের হাতে থাকিবে জিহাদের কুদরতি অস্ত্র উসমান" এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে সাহেবে কিরানের হাতে একটি কুদ্রতি অস্ত্র থাকবে যেটার নাম 'উসমান' যা অলৌকিক ক্ষমতা সম্পূর্ণ। উল্লেখ্য আস-শাহরান এখানে উসমান নামক একটি অস্ত্রের কথা বলেছে এ ব্যাপারে শাহ নেয়ামতুল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণীতে ও আলোচনা এসেছে। কাসিদা সওগাতের তেতাল্লিশ নম্বর প্যারাতে বলা আছে - عثمان نما ید آندم اك عزم غازیانه অর্থাৎ " উসমান নামক এক ব্যক্তি তখন জিহাদের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবেন" কাসিদা তে উসমান দ্বারা একজন ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে কিন্তু আস-শাহরান এখানে দাবী করেছে উসমান হলো বিশেষ এক কুদরতি অস্ত্রের নাম যেটা তার কাছে অর্থাৎ সাহেবে কিরানের কাছে থাকবে। যেহেতু তাদের এজেন্ডার মূল চরিত্র দুইজন হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান আর হাবিবুল্লাহ সাহেবে কিরানের চরিত্র তো তারা আগেই নিয়ে নিয়েছে এখন যদি মাহমুদকেই আবার উসমানের চরিত্র দেওয়া হয় তাহলে এটা এক প্রকার গ্রহনযোগ্যতা হাড়িয়ে ফেলবে তাই তারা সু-কৌশলে উসমান কে সাহেবে কিরানের অস্ত্র বলে চালিয়ে দেয় যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

    সম্মানিত পাঠকগন, আশা করি আপনাদের বুঝতে আর বাকি নেই যে, আস-শাহরানের লেখা আগামী কথন ইমাম মাহমুদের ফিতনারই একটি অংশ। তারা বাংলার মুসলিমদের নিয়ে ঈমান বিধ্বংসী এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কাসিদা সওগাত এবং আগামী কথন এগুলো মুসলিমদের ঈমান ধ্বংসের একেকটি হাতিয়ার। এই কবিতাগুলো কুরআন সুন্নাহর ভবিষ্যদবানীর নিয়মের পরিপন্থি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা কুরআনে বিভিন্ন ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন কিন্তু কোথাও সাল নির্ধারণ করে দেননি। এছাড়াও রাসুল সাঃ শেষ জামানার বড় বড় ফিতনা এবং কিয়ামতের আলামত নিয়ে যতগুলো জায়গায় ভবিষ্যদবানী করেছেন তার কোথাও সাল নির্ধারণ করা হয়নি। যেখানে আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) ই সাল উল্লেখ করেন নাই সেখানে একধাপ আগ বাড়িয়ে সাল নির্ধারণ করা নিশ্চিত বাড়াবাড়ি এবং সীমালঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের জন্য যদি সাল জানা প্রয়োজন হত আল্লাহ তায়ালাই তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতেন। তিনি আমাদের জন্য যতটুকু জানা প্রয়োজন মনে করেছেন ততটুকু তার রাসুলের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, এই কবিতাগুলো শরীয়তের উসুলের সাথে সরাসরি সাংঘরষিক।

    একটা বিষয় তো পরিস্কার যে, আমরা বর্তমান শেষ জামানায় রয়েছি। আর শেষ জামানাটা হলো মুমিনদের জন্য এক মস্তবড় পরিক্ষার সময়। এ সময় নিজের ঈমান ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হবে ফলে সকালে কেউ মুমিন থাকলে বিকেলেই সে কাফিরে পরিনিত হবে। যেমন হাদিসে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন -
    إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَأَنَّهَا قِطَعُ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا وَيَبِيعُ فِيهَا أَقْوَامٌ خَلَاقَهُمْ بِعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيَا
    ‘‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের পূর্বে অন্ধকার রাত্রির মত ঘন কালো অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে। সকালে একজন লোক মুমিন অবস্থায় ঘুম থেকে জাগ্রত হবে। বিকালে সে কাফেরে পরিণত হবে। বহু সংখ্যক লোক ফিতনায় পড়ে দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে তাদের চরিত্র ও আদর্শ বিক্রি করে দিবে। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)

    এই হাদিস থেকেই বোঝা যায় শেষ জামানার ফিতনা কতটা ভয়াবহ হবে। রাসুল সাঃ ফিতনার ভয়াবহতার ব্যাপারে উম্মতকে বার বার সতর্ক করেছেন যেন আমরা ভবিষ্যত পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করি। তিনি (সাঃ) ফিতনার সময় আমাদের করনীয় এবং বর্জনীয় সম্পর্কে বলে গিয়েছেন। হাদিসে এসেছে -
    عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ أَتَيْنَا الْيَشْكُرِيَّ فِي رَهْطٍ مِنْ بَنِي لَيْثٍ فَقَالَ مَنِ الْقَوْمُ فَقُلْنَا بَنُو لَيْثٍ أَتَيْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ حَدِيثِ حُذَيْفَةَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ ‏"‏ فِتْنَةٌ وَشَرٌّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَعْدَ هَذَا الشَّرِّ خَيْرٌ قَالَ ‏"‏ يَا حُذَيْفَةُ تَعَلَّمْ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبِعْ مَا فِيهِ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مِرَارٍ ‏.
    নাসর ইব্‌ন আসিম লায়ছি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা লায়ছ-গোত্রের প্রতিনিধিদের সাথে ইয়াশ্‌কুরী (রহঃ) এর নিকট উপস্থিত হলে, তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা কারা? আমরা বলিঃ আমরা লায়ছ গোত্রের লোক। আমরা আপনার কাছে হুযায়ফা (রাঃ) এর হাদীছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছি। তিনি হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! এ ভাল অবস্থার পর কি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে? তিনি বলেনঃ ফিতনার সৃষ্টি হবে। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! ফিতনা-ফ্যাসাদের পর পুনরায় কি ভালো অবস্থার সৃষ্টি হবে? তিনি বলেনঃ হে হুযায়ফা! আল্লাহ্‌র কিতাবের জ্ঞান অর্জন কর এবং এতে যা আছে তার অনুসরণ কর। তিনি তিনবার একথা বলেন। (সুনান আবু দাউস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১৯৮, সনদের মান হাসান)

    এই হাদিসে রাসুল সাঃ ফিতনার সময় কিতাবুল্লাহর জ্ঞান অর্জন করা এবং এর অনুসরন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের জন্য উচিত হলো বর্তমান এই ফিতনার সময় কুরআন সুন্নাহকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরা এবং এর বাহিরে নতুন নতুন যত মতবাদ রয়েছে তা বর্জন করা। নিজে কুরআন হাদিস পড়তে না যানলে হক্কানী ওলামাদের শরণাপন্ন হওয়া। মোটকথা মুমিনদের কাছে তার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো তার ঈমান তাই নিজের ঈমান হেফাজত রাখার জন্য সাধ্যমত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ভিত্তিহীন বিষয়ের পেছনে ছোটাছুটি করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যনীয় কর্তব্য।


    - আবু আম্মার সাইফুল্লাহ

  • #2
    যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হত তাহলে এটাতে এমন বৈপরীত্য থাকতে না কারণ আল্লাহতালা বলেছেন।

    [82] أَفَلا يَتَدَبَّرونَ القُرءانَ ۚ وَلَو كانَ مِن عِندِ غَيرِ اللَّهِ لَوَجَدوا فيهِ اختِلٰفًا كَثيرًا
    [82] এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      ফিতনা যেন আমাদের পিছুই ছাড়ে না, আর এর পিছে অন্যতম কারণ আমাদের অজ্ঞতা।

      আমি তীব্র ভাবে অনুভব করি, আমাদের ভাষার লিখিত রূপ যদি আরবি হরফের হতো, এবং আমাদের ভাষায় প্রচুর আরবি পরিভাষাগুলো থাকতো, তবে সমস্যা অনেক কমে যেতো।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ভাই, উপকারী পোস্ট করেছেন। জাযাকাল্লাহ।
        বাকি পর্বগুলোর লিংক কমেন্টে যুক্ত করে দিলে ভাল হয়।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X