কালো পতাকাবাহী ভাইয়ের প্রশ্ন ছিলো
তাবেঈনদের তাক্বলীদ করার ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা রহ. এর একটি উক্তি হলোঃ
"তারাও(তাবে'ঈন) মানুষ,আমরাও মানুষ। সুতরাং তাবে'ঈনদের তাক্বলীদ করা যাবে না।"
তাহলে এখন প্রশ্ন হয় যে,ইমাম আবু হানীফা রহ.-ও তো একজন তাবে'ঈ,তাহলে আমরা কিভাবে তার তাক্বলীদ করি?
بسم الله، والحمد لله. والسلام على رسول الله.
আবু হানীফা র. এর বক্তব্য মুজতাহিদের জন্য। একজন মুজতাহিদ সর্বদা বড়দের তাকলীদে বাধ্য। এর পন্থা হলো- কুরআন, সুন্নাহ (রাসূল صلى الله عليه وسلم থেকে যা বর্ণিত), আসার (সাহাবীর কথা বা কাজ) ও সালাফের মাঝে যা কিছু মতবিরোধহীন ভাবে (إتفاقا) গৃহীত সেখানে কোন ইজতিহাদ চলবে না। আর যদি কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফের কোথাও কোন মাসআলায় মতবিরোধ (اختلاف) হয় তাহলে মুজতাহিদ আগের সংঘটিত মত সমূহ থেকে একটি কে ইজতিহাদ করে প্রাধান্য দিবে বা মতগুলোর মাঝে সমন্নয় করবে। নতুন মত বের করবে না। উদাহরণত, একটি মাসআলায় হাদীসে তিন রকম মত পেলে চতুর্থ মত বের করবে না। আর যদি মুজতাহিদের সম পর্যায়ের আলিম/ ফকিহদের মাঝে নতুন কোন মাসআলায় ইখতিলাফ হয় তিনি কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফ তথা বড়দের সিদ্ধান্ত সমূহের ভিত্তিতে ক্বিয়াস করে মত/ ফাতওয়া দিবেন। সম পর্যায়ের কারো তাকলীদ করতে বাধ্য হবেন না। আবু হানীফা র. যেহেতু মুজতাহিদ তাবিঈ ছিলেন, তাই তিনি কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবির তাকলীদে বাধ্য ছিলেন। সম স্তর বিধায় কোন তাবিঈর তাকলীদে বাধ্য ছিলেন না। আমরা তো আহলুস সুন্নাহর সকল ফকিহের তাকলীদে বাধ্য। যেখানে তারা একমত সেখানে সেভাবে। আর যেখানে তাদের ইখতিলাফ সেক্ষেত্রে কোন মুজতাহিদের অনুসরণে কোন এক মতের। এক্ষেত্রে কোন মাযহাবের অনুসরণই নিরাপদ। আমাদের নতুন মত দেওয়া তো দূরে, প্রাচীণ কোন মত কে নিজে প্রাধাণ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এখানে আরো কিছু আলোচনা ছিল, কারণবশত বাদ দিলাম। আল্লাহ سبحانه وتعالى ফিতনা থেকে উম্মাহ কে রক্ষা করুন। آمين
প্রশ্নটি দেখুন
নির্বাচন: প্রার্থী, ভোট ও ভোটারের শরয়ী বিধান
তাবেঈনদের তাক্বলীদ করার ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা রহ. এর একটি উক্তি হলোঃ
"তারাও(তাবে'ঈন) মানুষ,আমরাও মানুষ। সুতরাং তাবে'ঈনদের তাক্বলীদ করা যাবে না।"
তাহলে এখন প্রশ্ন হয় যে,ইমাম আবু হানীফা রহ.-ও তো একজন তাবে'ঈ,তাহলে আমরা কিভাবে তার তাক্বলীদ করি?
بسم الله، والحمد لله. والسلام على رسول الله.
আবু হানীফা র. এর বক্তব্য মুজতাহিদের জন্য। একজন মুজতাহিদ সর্বদা বড়দের তাকলীদে বাধ্য। এর পন্থা হলো- কুরআন, সুন্নাহ (রাসূল صلى الله عليه وسلم থেকে যা বর্ণিত), আসার (সাহাবীর কথা বা কাজ) ও সালাফের মাঝে যা কিছু মতবিরোধহীন ভাবে (إتفاقا) গৃহীত সেখানে কোন ইজতিহাদ চলবে না। আর যদি কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফের কোথাও কোন মাসআলায় মতবিরোধ (اختلاف) হয় তাহলে মুজতাহিদ আগের সংঘটিত মত সমূহ থেকে একটি কে ইজতিহাদ করে প্রাধান্য দিবে বা মতগুলোর মাঝে সমন্নয় করবে। নতুন মত বের করবে না। উদাহরণত, একটি মাসআলায় হাদীসে তিন রকম মত পেলে চতুর্থ মত বের করবে না। আর যদি মুজতাহিদের সম পর্যায়ের আলিম/ ফকিহদের মাঝে নতুন কোন মাসআলায় ইখতিলাফ হয় তিনি কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফ তথা বড়দের সিদ্ধান্ত সমূহের ভিত্তিতে ক্বিয়াস করে মত/ ফাতওয়া দিবেন। সম পর্যায়ের কারো তাকলীদ করতে বাধ্য হবেন না। আবু হানীফা র. যেহেতু মুজতাহিদ তাবিঈ ছিলেন, তাই তিনি কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবির তাকলীদে বাধ্য ছিলেন। সম স্তর বিধায় কোন তাবিঈর তাকলীদে বাধ্য ছিলেন না। আমরা তো আহলুস সুন্নাহর সকল ফকিহের তাকলীদে বাধ্য। যেখানে তারা একমত সেখানে সেভাবে। আর যেখানে তাদের ইখতিলাফ সেক্ষেত্রে কোন মুজতাহিদের অনুসরণে কোন এক মতের। এক্ষেত্রে কোন মাযহাবের অনুসরণই নিরাপদ। আমাদের নতুন মত দেওয়া তো দূরে, প্রাচীণ কোন মত কে নিজে প্রাধাণ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এখানে আরো কিছু আলোচনা ছিল, কারণবশত বাদ দিলাম। আল্লাহ سبحانه وتعالى ফিতনা থেকে উম্মাহ কে রক্ষা করুন। آمين
প্রশ্নটি দেখুন
নির্বাচন: প্রার্থী, ভোট ও ভোটারের শরয়ী বিধান
Comment