Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের অদূরদর্শিতা। কবে তারা বাস্তবতা বুঝতে পারবেন?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের অদূরদর্শিতা। কবে তারা বাস্তবতা বুঝতে পারবেন?

    কয়েকদিন আগে ওলামায়ে কেরামের একটা দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তার সাথে আলাপ করে এসেছেন। ভাস্কর্য ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য তাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে আলেমদের কিছু কথা এমন ছিল যা শোনার পর থেকে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
    সাংবাদিকরা সরাসরি মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনার কিছু আছে নাকি। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। তাদের সাথে কিসের আলাপ?
    হায়! আমাদের অপদস্থতা! এই কথা তো আমাদের বলার কথা ছিল! যারা নবীর ওয়ারিশদের সাথে বেয়াদবি করে, তাদেরকে ঘাড় মটকে দিতে চায়, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভরা মজলিসে ওলামায়ে কেরামকে চ্যালেন্জ জানায়। তাঁদেরকে উপহাস করে। এদের সাথে ওলামায়ে কেরামের কিসের আলাপ! কিসের আলোচনা?
    এবার আসি ওলামায়ে কেরাম সেখানে গিয়ে কি আলোচনা করে এলেন! কি অর্জন করতে পারলেন? আর কি দিয়ে এলেন?
    তারা বলে এলেন, হাসিনা নাকি একজন খাঁটি মুসলিম। শুধু তাই না, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এমনকি তাহাজ্জুদও পড়েন। অথচ তার রিদ্দা একটা সুস্পষ্ট বিষয়। এই আমরাই কয়েক দিন আগে একজন ক্রিকেটারের মূর্তি পূজা উদ্বোধনের সমালোচনা করিনি?
    তাহলে তার চেয়ে বড় একজন পূজা উদ্বোধন কারিনী, বরং পূজারী কিভাবে খাটি মুসলিম হয়? ক্রিকেটার তো এই প্রথম পূজা উদ্বোধন করেছে। আর 'খাটি মুসলিম' প্রতিবছর উদ্বোধন করছে। তার মানে কি ক্ষমতাসীন হওয়া তাকফির করার ক্ষেত্রে বাধা? আমাদের আলেম সমাজের অবস্থা কি সেই বনি ইসরাইলের আলেমদের মত নয়, যারা সম্ভ্রান্ত কারো অপরাধ পাওয়া গেলে ছেড়ে দিত আর অপরাধী যদি দুর্বল শ্রেণীর হতো, তাকে শাস্তি দিত?
    তারা আরো বলেছেন, যারা ভাস্কর্য ইস্যুতে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন লেখালেখি করছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বরং আপনারা তাদেরকে ধরুন। তাদের প্রতি নজরদারি বাড়ান।
    এই কথাটা শোনার পর আমার মনে হচ্ছে যদি কলিজাটা ফেটে যেত!
    আচ্ছা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লেখালেখি করছে তারা কাদের পক্ষে লেখালেখি করছে আর কাদের বিপক্ষে লেখালেখি করছে! তারা কি আলেমদের পক্ষে লেখালেখি করছে না, তারা কি ইসলামের জন্য লেখালেখি করছে না? আপনারা কাদেরকে ধরতে বলছেন? কাদের প্রতি নজরদারি করতে বলছেন? এটা কোন প্রকারের হেকমত! শুধুমাত্র ভাস্কর্য ইস্যুতে শাসকগোষ্ঠীর সাথে কথা বলার জন্য এত বিশাল সংখ্যক ইসলামপ্রেমী মানুষকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। মুসলিম জনসাধারণকে গ্রেফতার করার স্বপক্ষে আপনারা কি তাদের হাতে দলিল তুলে দিয়ে আসলেন? আপনাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কি অর্জন করতে পেরেছেন? কোন সিদ্ধান্তে তো যেতে পারেননি? বরং সবকিছু দিয়ে এসেছেন।
    একটা বিষয় তো বলাই হয়নি, সেই বিষয়ে তো সকলের নজর এড়িয়ে যায়। ওলামায়ে কেরামের এই প্রতিনিধি দলে সেই শাহবাগী গাদ্দারও ছিল। এখনো কি এই মুরতাদকে কওমী অঙ্গন থেকে বহিষ্কার করার সময় আসেনি? ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধিদলে সে জায়গা পায় কিভাবে?

  • #2
    একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে যে, ভাস্কর্য নিয়ে তাগুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যে আলোচনা তার বাসায় হয়েছে তার নেতৃত্ব দিয়েছে আল্লামা ... (বেফাকের সভাপতি)। আর উনার সাথে আগে থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খুব ভালো সম্পর্ক। এই আলোচনা খুব ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করতেন আল্লামা সাহেব।
    দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

    Comment


    • #3
      সুপ্রিয় ভাইয়েরা,, আফসোস করে লাভ নেই। আমাদের জন্য কাজ করে যাওয়াই ভালো। জিহাদ ত্বাগুরের সাথে চলছে ইনশাআল্লাহ। কিয়ামত পর্যন্ত চলবে। আমরা যত বেশি কাজ করে যাবো ততই আমাদের দিকে সাপোর্ট চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। ttp এক সময় অনেকেই তাদের বিরোধিতায় লিপ্ত ছিলো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এখন অনেক মানুষ তাদের ভালোবাসে। পাকিস্তানের বড় বড় আলিমও কিন্তু আল কায়েদার বিরুদ্ধে ছিলো। আমাদের দেশেও কিন্তু এ টাইপের আলিমই বেশি।
      আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        বস্তুত বুদ্ধিমান তো তারাই, যারা আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করার জন্য আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
        হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার জমিনে আপনার দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদ করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
        বাতিলের সামনে মাথা নত করা থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন, আমীন।
        মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
        লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

        Comment


        • #5
          Originally posted by ফোরামের সাথি View Post
          একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে যে, ভাস্কর্য নিয়ে তাগুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যে আলোচনা তার বাসায় হয়েছে তার নেতৃত্ব দিয়েছে আল্লামা ... (বেফাকের সভাপতি)। আর উনার সাথে আগে থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খুব ভালো সম্পর্ক। এই আলোচনা খুব ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করতেন আল্লামা সাহেব।
          এই আল্লামা যে কত গভীর পানির মাছ, তা ধরা সাধারণ মানুষের জন্য ভীষণ কঠিন। এমনকি অনেক জিহাদ সমর্থক ভাইও বুঝতে পারেন না।
          তিনি যে পন্থা অবলম্বন করে মুহতামিমের স্থান বাগিয়ে নিয়েছেন, তাতে বেশিরভাগ কওমী সন্তানের কাছে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি নিজের জনসমর্থন ফিরিয়ে আনতে এমন একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যেটা অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল। তখনকার সময়ের বাংলাদেশের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হেদায়াতুল্লাহ সাহেবকে সম্মান প্রদর্শন করে নিয়ে আসেন। বর্তমানে হুজুরের মাকবারা সেখানেই আছে। মুহাদ্দিস সাহেব হুজুরের খাতিরে সবাই আবার ফিরে আসে। অতীত ইতিহাসও চাপা পড়ে যায়।
          ওনার কথা আর কাজ এতটা গোলযোগপূর্ণ যে, তার চিন্তাধারা বুঝে ওঠা কঠিন। আপনি তাকে জিহাদ বিরোধী বলবেন? কিন্তু তার অনেক কথা আছে, যাতে মনে হয় তিনি জিহাদী জযবায় পরিপূর্ণ হৃদয়ের অধিকারী। ২০.. সালের এক খতমে বুখারীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, যখন থেকে মুসলমানরা জিহাদ ও ত্যাগ ছেড়ে দিয়েছে তখন থেকে মুসলমানদের পতন শুরু হয়েছে।
          মাঝে মাঝে তিনি দরসে বলেন, আমার একটা মুরগি জবাই করতে ভয় লাগে। (মানে আমি খুব ভালো মুসলমান। যেহেতু একটা মুরগি জবাই করতে আমার ভয় লাগে, সুতরাং আমার দ্বারা জঙ্গিবাদী কাজ হতে পারে না) তার মানে কি আপনি বলবেন তিনি খুব ভীরু এবং মৃত্যু ভয়ে ভীত।
          না, তিনি তো এটাও বলেন, 'তোমরা তো স্লোগান দাও- জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই। এটা কেমন কথা? জিহাদ করে বাঁচতে চাও কেন? বরং তোমরা বলবে জিহাদ করে শহীদ হতে চাই।' (দেখলেন, তিনি কেমন শাহাদত পীয়াসী)
          তিনি প্রশাসনের লোকদের সাথে সব সময় সম্পর্ক রেখে চলেন। তাদেরকে বিভিন্ন খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেন।
          অথচ তিনি কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিতে আমাদের বিরোধিতা করেছেন শুরু থেকে। এমনকি বেফাকেও ছিলেন না।(যদিও তিনি এখন বেফাকের সভাপতি) তিনি শোকরানা মাহফিলেও যাননি।
          কওমি মাদরাসার স্বার্থে তিনি বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। যার ফলে কওমি মাদ্রাসায় তার প্রভাব বহুগুণে বেড়ে গেছে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে এই কথাটা বের করেছেন যে, কওমি মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয় না।
          একটা খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে তাকে দেখেছিলাম বয়ান করেছেন।ওই অনুষ্ঠানে শাহবাগে গাদ্দার এক লক্ষ সাহেবকেও দাওয়াত করা হয়েছিল। এক লক্ষ সাহেবকে দেখে তিনি সেখান থেকে দ্রুত বের হয়ে যান।
          একবার খতমে বুখারীর অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজিপি শহীদুল হককে দাওয়াত করেছিলেন। আইজিপি বক্তৃতা দিতে গিয়ে,মুখ ফসকে বলে ফেলেছিল শাপলা চত্বরে একজন মানুষও মারা যায়নি। সাথে সাথে সব ছাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে যায়। তখন তিনি ছাত্রদেরকে ঠান্ডা করেন।
          তার কয়েকটি কাজ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা, সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা, মাদ্রাসাকে জঙ্গিবাদ মুক্ত ঘোষণা করা, হাইকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি সরানো।
          প্রত্যেকটাই 'সফল' হয়েছে। এই কারণে সাধারণ মুসলমান এবং সাধারণ কওমি ছাত্রদের কাছে প্রসিদ্ধ হয়ে গেছে, তিনি যে কাজে হাত দেন সে কাজই সফল হয়।
          তো বুঝতেই পারছেন এই লোক কেমন? ফউমা তো মোটা মোটা কিছু কাজ করার কারণে সবার কাছে স্পষ্ট ও চিন্হিত হয়ে গিয়েছে।কিন্তু এই লোক ফউমার চেয়েও বহু গুণে খতরনাক।

          Comment


          • #6
            আমাদের জন্য অনুচিত এসব শাইখদের কথা ফোরামে আলোচনা করা। আমাদের জন্য অপরিহার্য হলো বাস্তবিক পক্ষে জিহাদের কাজ করে যাওয়া। প্রত্যেকের হিসেব সে নিজে দিবে। অনেকেই আলোচনায় মেতে ওঠেন আমাদের হিন্দুস্তানি শাইখদের নিয়ে। ওনারা গনতন্ত্র(গণতন্ত্র) করেছেন। আবু আব্দুল্লাহ তার এক বয়ানে বলেছিলো আমাদের আসল ও মেইন অনুসরনীয়(অনুসরণীয়) হচ্ছে কুরআন সুন্নাহ। মডেল হিসেবে রাসূল ও সাহাবাগণ। এ ছাড়া কে কী করলো সেটার সময় নাই
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              Originally posted by ibn jiad View Post
              এই আল্লামা যে কত গভীর পানির মাছ, তা ধরা সাধারণ মানুষের জন্য ভীষণ কঠিন। এমনকি অনেক জিহাদ সমর্থক ভাইও বুঝতে পারেন না। ...
              যাজাকাল্লাহু খাইরান! সহমত ভাই আপনার সাথে। হৃদয়ের কথাগুলো বলে দিলেন। এই আল্লামাকে ভালো করে চেনে রাখা উচিৎ। এই আল্লামা এক মাওলানার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছিলো।
              দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

              Comment

              Working...
              X