কয়েকদিন আগে ওলামায়ে কেরামের একটা দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তার সাথে আলাপ করে এসেছেন। ভাস্কর্য ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য তাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে আলেমদের কিছু কথা এমন ছিল যা শোনার পর থেকে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
সাংবাদিকরা সরাসরি মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনার কিছু আছে নাকি। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। তাদের সাথে কিসের আলাপ?
হায়! আমাদের অপদস্থতা! এই কথা তো আমাদের বলার কথা ছিল! যারা নবীর ওয়ারিশদের সাথে বেয়াদবি করে, তাদেরকে ঘাড় মটকে দিতে চায়, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভরা মজলিসে ওলামায়ে কেরামকে চ্যালেন্জ জানায়। তাঁদেরকে উপহাস করে। এদের সাথে ওলামায়ে কেরামের কিসের আলাপ! কিসের আলোচনা?
এবার আসি ওলামায়ে কেরাম সেখানে গিয়ে কি আলোচনা করে এলেন! কি অর্জন করতে পারলেন? আর কি দিয়ে এলেন?
তারা বলে এলেন, হাসিনা নাকি একজন খাঁটি মুসলিম। শুধু তাই না, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এমনকি তাহাজ্জুদও পড়েন। অথচ তার রিদ্দা একটা সুস্পষ্ট বিষয়। এই আমরাই কয়েক দিন আগে একজন ক্রিকেটারের মূর্তি পূজা উদ্বোধনের সমালোচনা করিনি?
তাহলে তার চেয়ে বড় একজন পূজা উদ্বোধন কারিনী, বরং পূজারী কিভাবে খাটি মুসলিম হয়? ক্রিকেটার তো এই প্রথম পূজা উদ্বোধন করেছে। আর 'খাটি মুসলিম' প্রতিবছর উদ্বোধন করছে। তার মানে কি ক্ষমতাসীন হওয়া তাকফির করার ক্ষেত্রে বাধা? আমাদের আলেম সমাজের অবস্থা কি সেই বনি ইসরাইলের আলেমদের মত নয়, যারা সম্ভ্রান্ত কারো অপরাধ পাওয়া গেলে ছেড়ে দিত আর অপরাধী যদি দুর্বল শ্রেণীর হতো, তাকে শাস্তি দিত?
তারা আরো বলেছেন, যারা ভাস্কর্য ইস্যুতে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন লেখালেখি করছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বরং আপনারা তাদেরকে ধরুন। তাদের প্রতি নজরদারি বাড়ান।
এই কথাটা শোনার পর আমার মনে হচ্ছে যদি কলিজাটা ফেটে যেত!
আচ্ছা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লেখালেখি করছে তারা কাদের পক্ষে লেখালেখি করছে আর কাদের বিপক্ষে লেখালেখি করছে! তারা কি আলেমদের পক্ষে লেখালেখি করছে না, তারা কি ইসলামের জন্য লেখালেখি করছে না? আপনারা কাদেরকে ধরতে বলছেন? কাদের প্রতি নজরদারি করতে বলছেন? এটা কোন প্রকারের হেকমত! শুধুমাত্র ভাস্কর্য ইস্যুতে শাসকগোষ্ঠীর সাথে কথা বলার জন্য এত বিশাল সংখ্যক ইসলামপ্রেমী মানুষকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। মুসলিম জনসাধারণকে গ্রেফতার করার স্বপক্ষে আপনারা কি তাদের হাতে দলিল তুলে দিয়ে আসলেন? আপনাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কি অর্জন করতে পেরেছেন? কোন সিদ্ধান্তে তো যেতে পারেননি? বরং সবকিছু দিয়ে এসেছেন।
একটা বিষয় তো বলাই হয়নি, সেই বিষয়ে তো সকলের নজর এড়িয়ে যায়। ওলামায়ে কেরামের এই প্রতিনিধি দলে সেই শাহবাগী গাদ্দারও ছিল। এখনো কি এই মুরতাদকে কওমী অঙ্গন থেকে বহিষ্কার করার সময় আসেনি? ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধিদলে সে জায়গা পায় কিভাবে?
সাংবাদিকরা সরাসরি মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনার কিছু আছে নাকি। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। তাদের সাথে কিসের আলাপ?
হায়! আমাদের অপদস্থতা! এই কথা তো আমাদের বলার কথা ছিল! যারা নবীর ওয়ারিশদের সাথে বেয়াদবি করে, তাদেরকে ঘাড় মটকে দিতে চায়, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভরা মজলিসে ওলামায়ে কেরামকে চ্যালেন্জ জানায়। তাঁদেরকে উপহাস করে। এদের সাথে ওলামায়ে কেরামের কিসের আলাপ! কিসের আলোচনা?
এবার আসি ওলামায়ে কেরাম সেখানে গিয়ে কি আলোচনা করে এলেন! কি অর্জন করতে পারলেন? আর কি দিয়ে এলেন?
তারা বলে এলেন, হাসিনা নাকি একজন খাঁটি মুসলিম। শুধু তাই না, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এমনকি তাহাজ্জুদও পড়েন। অথচ তার রিদ্দা একটা সুস্পষ্ট বিষয়। এই আমরাই কয়েক দিন আগে একজন ক্রিকেটারের মূর্তি পূজা উদ্বোধনের সমালোচনা করিনি?
তাহলে তার চেয়ে বড় একজন পূজা উদ্বোধন কারিনী, বরং পূজারী কিভাবে খাটি মুসলিম হয়? ক্রিকেটার তো এই প্রথম পূজা উদ্বোধন করেছে। আর 'খাটি মুসলিম' প্রতিবছর উদ্বোধন করছে। তার মানে কি ক্ষমতাসীন হওয়া তাকফির করার ক্ষেত্রে বাধা? আমাদের আলেম সমাজের অবস্থা কি সেই বনি ইসরাইলের আলেমদের মত নয়, যারা সম্ভ্রান্ত কারো অপরাধ পাওয়া গেলে ছেড়ে দিত আর অপরাধী যদি দুর্বল শ্রেণীর হতো, তাকে শাস্তি দিত?
তারা আরো বলেছেন, যারা ভাস্কর্য ইস্যুতে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন লেখালেখি করছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বরং আপনারা তাদেরকে ধরুন। তাদের প্রতি নজরদারি বাড়ান।
এই কথাটা শোনার পর আমার মনে হচ্ছে যদি কলিজাটা ফেটে যেত!
আচ্ছা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লেখালেখি করছে তারা কাদের পক্ষে লেখালেখি করছে আর কাদের বিপক্ষে লেখালেখি করছে! তারা কি আলেমদের পক্ষে লেখালেখি করছে না, তারা কি ইসলামের জন্য লেখালেখি করছে না? আপনারা কাদেরকে ধরতে বলছেন? কাদের প্রতি নজরদারি করতে বলছেন? এটা কোন প্রকারের হেকমত! শুধুমাত্র ভাস্কর্য ইস্যুতে শাসকগোষ্ঠীর সাথে কথা বলার জন্য এত বিশাল সংখ্যক ইসলামপ্রেমী মানুষকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। মুসলিম জনসাধারণকে গ্রেফতার করার স্বপক্ষে আপনারা কি তাদের হাতে দলিল তুলে দিয়ে আসলেন? আপনাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কি অর্জন করতে পেরেছেন? কোন সিদ্ধান্তে তো যেতে পারেননি? বরং সবকিছু দিয়ে এসেছেন।
একটা বিষয় তো বলাই হয়নি, সেই বিষয়ে তো সকলের নজর এড়িয়ে যায়। ওলামায়ে কেরামের এই প্রতিনিধি দলে সেই শাহবাগী গাদ্দারও ছিল। এখনো কি এই মুরতাদকে কওমী অঙ্গন থেকে বহিষ্কার করার সময় আসেনি? ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধিদলে সে জায়গা পায় কিভাবে?
Comment