Announcement

Collapse
No announcement yet.

"Secret revealed" এর সিক্রেট রিভিলড (রহস্য উন্মোচন)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "Secret revealed" এর সিক্রেট রিভিলড (রহস্য উন্মোচন)

    Secret revealed এর সিক্রেট রিভিলড

    ইলুমিনাতি, ফ্রিমেসন বা কন্সপিরেসি থিউরি নিয়ে কথা আসলেই ইদানিং ইউটিউবে “Secret Revealed” নামে এক ইউটিউব চ্যানেলের নাম অনেকের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। অতি সম্প্রতি সেই চ্যানেল থেকে বেশ কিছু ভিডিও এসেছে আল কায়েদা, ৯/১১, আত্মঘাতী হামলা ইত্যাদি বিষয়ে। আমি তার সব ভিডিও দেখি নি, তবে কিছু ভিডিও দেখেছি যা থেকে চ্যানেল সম্পর্কে মোটামুটি একটা উপসংহারে পৌছানো গেছে যে, এখানে মৌলিকভাবে জ্ঞানের উপাদান নেই। এরপরেও যেহেতু বেশ কিছু মানুষের মাঝে এটি পরিচিতি পেয়েছে সচেতনতার লক্ষ্যে কিছু লিখতে হচ্ছে।

    কিছুদিন আগে আল কায়েদা নিয়ে তার আরেকটি ভিডিও এসেছে। "আল কায়-দার জিহাদ কি সঠিক? Q&A Part 2' এই নামে। তো সেটার লেন্থও ১৬ মিনিটের বেশি। একটু শুনে দেখলাম। এরপর মনে হলো কিছু কথা না বললেই নয় আসলে। এতে করে যেসব সাথী আল কায়েদার প্রতি মুহব্বত রাখেন তারাও হয়ত উপকৃত হবেন আবার যারা ঐ চ্যানেল দেখেন তাদেরও উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। আর যদি কারো সুযোগ থাকে চ্যানেলের পরিচালকের কাছে পৌছে দেয়ার তাহলে তা করতে পারলেও যদি উনি আল্লাহর সাথে সৎ হন তাহলে উনারও উপকার হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

    আসুন শুরু করি ইনশাআল্লাহ।

    بسم اللہ الرحمٰن الرحیم
    الحمد للہ وکفیٰ والصلاۃ والسلام علی رسول اللہ، أما بعد


    ভিডিওটিতে আল কায়েদার অফিসিয়াল অবস্থান এটা, বা অফিসিয়াল কেউ বলেছে বা বা আল কায়েদার কোন সদস্য এই কথা বলেছে এরকম কিছু বলেন না বরং আল কায়েদার ভক্ত সমর্থকরা এটা বলে, সেটা বলে ; এগুলো বলেছেন। উনি যদি আল কায়েদার অফিসিয়াল বিষয়াদি সামনে রেখে এরকম পর্যালোচনা করতেন তাহলে আর এই ভিডিওই হয়ত বানাতে হত না। যাই হোক, আমি আল কায়েদার একজন ভক্ত, সমর্থক হিসেবে তার ভিডিওর কিছু বিষয়ে কথা বলছি। আল্লাহ্‌ তায়ালা হিকমাহর সাথে বলার তাওফিক দিন। আমীন।

    ভিডিও নির্মাতা ও তার সমর্থকদের প্রতি আহবানঃ

    মুহব্বতের ভাই আমার! আপনি মুসলিম পরিচয় প্রকাশ করার দ্বারাই আমার ভাই হিসেবে বিবেচিত হবেন, যতক্ষণ আপনার মধ্যে স্পষ্ট ঈমান নষ্ট করা কোন বিষয় না পাওয়া যায় বা আপনি স্পষ্টভাবে ইরতিদাদের ঘোষণা না দেন। তাই এই দুইয়ের কোনটা না আসা পর্যন্ত আপনার প্রতি আমার মুহব্বত অটুট থাকবে ইনশাআল্লাহ। কারণ মানুষ ভুল করে, নফসের ধোঁকায় পতিত হয়। কোন বিষয়ে কম জেনেও বা না জেনেও বোদ্ধার মত কথা বলে। মানুষের দ্বারা ভুল হওয়া স্বাভাবিক, কম জানা স্বাভাবিক। সবকিছু সবাই জানবে না বা বুঝবে না। তবে সেই উত্তম বলে বিবেচিত হবে যে নিজের কমতিকে স্বীকার করে, ভুল হলে তওবা করে নেয়। আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদেরকে মাফ করুন। আমাদেরকে তাওবা নসীব করুন এবং সর্বদা দ্বীনের উপর ইস্তেকামাত রাখুন। আমীন।

    প্রিয় ভাই, আমি এই ভিডিওর ব্যাপারে অল্প কিছু কথা লিখছি ইনশাআল্লাহ। আপনি যদি প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহর সাথে সৎ হন এবং আসলেই ইসলামকে ভালোবাসেন ও সঠিক বিষয় অনুসন্ধান করে সেটা মানতে চান, তাহলে আশা করি কিছু আলামত বা চিন্তা করার উপাদান পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ্‌ তায়ালা সহজ করে দিন। আমীন।



    মূল আলোচনাঃ

    এই ভিডিওতে মূলত আত্মঘাতী হামলা নিয়ে আলোচনা করে এটিকে হারাম প্রমাণের জন্য কিছু দলিল পেশ করা হয়েছে।
    “আত্মঘাতী হামলা জায়েজ নাকি হারাম” এই বিষয়টি মূলত একটি ফাতওয়া। আর একটি ফাতওয়ার ব্যাপারে যদি কেউ নিজে তাহকীক করতে চান তাহলে তাকে মুফতী হতে হবে, ফাতওয়া দেয়ার মূলনীতি ও এ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানতে হবে। আকল দিয়ে, যৎসামান্য পড়াশোনা দিয়ে ফাতওয়া দেয়াও যায় না বা বিচার বিশ্লেষণও করা যায় না। এখন কথা হতে পারে- সবাই তো এ রকম যোগ্য না, তাহলে তারা ফাতওয়া মানবে কীভাবে? এক্ষেত্রে সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে- যে মুফতি সাহেবের ব্যাপারে আপনার এতটুকু ইতমিনান আছে যে, তার ইলম, আমল, ইখলাস সঠিক আছে, তাকওয়ার বিচারে আপনার কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য; তাহলে তাকে আপনি অনুসরণ করে তার দেয়া ফাতওয়া অনুযায়ী চলতে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আওয়ামদের জন্য এভাবেই চলা উত্তম। আর যারা আহলুল ইলম তারা দলিলাদী যাচাই বাছাই করে গ্রহণ করবেন ইনশাআল্লাহ।

    উম্মতের মধ্যে ইখতিলাফ সেই পূর্ব থেকেই চলমান আছে, আজো আছে সামনেও থাকবে। কিন্তু যারা দ্বীনের গভীর বুঝ রাখেন তাদের কাছে এই ইখতিলাফগুলো কোন পেরেশানীর কারণ না। কিন্তু যারা ভাসা ভাসা জ্ঞান রাখেন, তাদের কাছে এগুলো নিয়ে পড়ে থাকাই হচ্ছে ইবাদতের মত। যারা এটাকে ইবাদতের পর্যায়ে নিয়েছে, তারা এক পক্ষকে মেনে অন্য পক্ষকে ঘায়েল করাকে নিজেদের মূলনীতি বানিয়ে নিয়েছে।

    একই ধরনের বিষয়ের জন্যও ঘটনা, অবস্থান, ব্যক্তি ভেদে ফাতওয়া আলাদা হতে পারে। এগুলো বুঝতে হলে আপনাকে ফাতওয়া কীভাবে দেয়া হয় তা নিয়ে জানতে হবে এবং গভীরভাবে বিষয়গুলো অনুধাবন করতে হবে।

    প্রিয় ভাই, আপনি আত্মঘাতী হামলা হারাম এই মতের পক্ষে এবং এই মতের পক্ষের যা আছে তা খুঁজে দেখিয়েছেন। আপনার জন্য এটাও উচিত- যারা আত্মঘাতী হামলাকে জায়েজ বলেন তাদের মতগুলোকেও গভীরভাবে অধ্যয়ন করা। কারণ আত্মঘাতী হামলা উম্মাহর মধ্যে স্বীকৃত আলিমদের মাধ্যমে জায়েজ প্রমাণিত। এবং বর্তমানে এই ফাতওয়ার সর্বব্যাপী আমলও চলমান আছে আলহামদুলিল্লাহ। অনেক আলিম শুরুতে আত্মঘাতী হামলার বিপরীতে থাকার পরেও পরবর্তীতে এই হামলার পক্ষাবলম্বন করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এগুলো বুঝতে হলে আপনাকে খোলা অন্তর নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে।
    আমি এই ফাতওয়ার ব্যাপারে এখানে বেশি কিছু আর আলোচনা করব না। কারণ বিদগ্ধ আলিমরা এই বিষয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ব্যয় করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। আপনি যদি আসলেই সঠিক বেঠিক বুঝতে চান বা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চান, তাহলে আপনাকে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত পড়ার আমন্ত্রণ রইল। আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনার জন্য কল্যাণের দরজা খুলে দিন। আমীন

    ভিডিওতে আল কায়েদার সমর্থকদের ব্যাপারে ও আল কায়েদার কাছে গ্রহণযোগ্য আলিম কারা এ বিষয়ে কিছু কথা, অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা যাক ইনশাআল্লাহ।

    ভিডিও থেকে-
    “আল কায়েদার অসংখ্য সাপোর্টার্স বা ভক্ত আছে যারা এতটাই তাদের সংগঠন নিয়ে কট্টর যে সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে আপনি কোন কথা বললে আপনাকে তাকফির করবে। আপনাকে ভ্রান্ত ও ভন্ড আকীদার বলে ট্যাগ লাগাবে। নার্সিসিস্ট যাদেরকে বলে আরকি।”
    জবাবঃ
    আমি আল কায়েদার একজন ভক্ত,সমর্থক হিসেবে বলছি- আপনার এই দাবী সঠিক নয়। আপনি জামাতুল বাগদাদী ও আল কায়েদার ব্যাপার গুলিয়ে ফেলেছেন। আল কায়েদার আচরণবিধি পড়লে এবং আল কায়েদার উমারাদের লেখা ও প্রকাশনাগুলো পড়লে আপনার কাছে স্পষ্ট হবে যে, আল কায়েদা তাদের সাথে ভিন্নমত রাখলেই তাদের কাফের বলে না, তাদের ভন্ড বলে না, তাদের তাকফীর করে না। এবং সব মানুষকে আল কায়েদার সাথে মিলে জিহাদ করতে হবে এটাও বলে না। বরং আল কায়েদা সবাইকে আহবান করে যাতে সবাই নিজের কাঁধে থাকা আল্লাহ প্রদত্ত ফরজ দায়িত্ব আদায়ে ব্রতী হয়। সেটা হতে পারে আল কায়েদার সাথে বা হতে পারে অন্য কোন হক জামাতের সাথে। বা হতে পারে নিজেরা মিলে জামাতবদ্ধ হয়ে কাজ করার মাধ্যমে। [আমার মতে-হক জামাত, যারা আগে থেকেই ময়দানে আছে তাদের সাথে মিলে কাজ করা অধিক ফায়দাজনক, এতে করে একই গর্তে বারবার পড়া লাগবে না ইনশাআল্লাহ]

    আল কায়েদা যদি তার নিজের বাইরেও অন্যদের হক বলতে দ্বিধা না করে, তাহলে আপনার এতটুকু বুঝার কথা যে, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর ফরজ আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই আল কায়েদার প্রকৃত সমর্থক ও ভক্তদের আপনি এমন পাবেন না। তবে সব জায়গাতেই কিছু ভাই থাকেন, যারা এবিষয়গুলো সঠিকভাবে জানেন না বা মানতে পারেন না। অনেক সময় মুহব্বত থাকার কারণে বিরোধিতা সহ্য করতে পারেন না, এজন্য কটু কথা বলে ফেলেন। উমারাদের থেকে এগুলো করতে বার বার নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হয়ত ঐসব ভাই তা পড়েন নি বা জানেন না বা মানতে পারেন নি। অজ্ঞতা বা আবেগের বশে বলে ফেলেছেন। কিছু অদুরদর্শী সমর্থকের জন্য যদি আপনি কোন বিষয়ের দায় পুরো জামাতের ঘাড়ে তুলে দেন তাহলে এটা অনেক বড় বেইনসাফি, অসতততা।

    আপনার উচিত অফিসিয়াল পজিশনের ব্যাপারে কথা বলা এবং সমর্থকদেরও বলা তারা যাতে অফিসিয়াল রিলিজগুলো দেখে সেই অনুযায়ী আচরণ করেন। তাহলেই সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনার জন্য ইসলামী বসন্ত, দাওয়াতের মূলনীতি – এই দুইটি কিতাব পড়ার আহবান করছি, তাহলে বুঝবেন ভিন্নমত ও উলামাদের ব্যাপারে আল কায়েদার আচরণ কেমন। এমনকি জামাতুল বাগদাদির ব্যাপারেও ধারণা স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া আরো অসংখ্য লেখা ছড়িয়ে আছে। Gazwah.net এ অনেক অনেক লেখা/কিতাব/রিসালাহ পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

    ভিডিও থেকে-
    “তাদের মতের বিরুদ্ধে তারা কোন মত গ্রহণ করতে পারে না আরকি। ওদের বাছাইকৃত আলেমদেরকে ছাড়া সব আলিমদেরকে ভ্রান্ত মনে করে, মডারেট মনে করে।”
    জবাবঃ
    উপরের জবাবেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।

    উপযুক্ত দলিল-আদিল্লার ভিত্তিতে সমালোচনাকে যেকোন হক আহলুল ইলম ই স্বাগত জানান। আমার মনে পড়ে, ইউটিউবে আকীদা সিরিজের কাজের সময় একটি ভিডিওতে কিছু ভুল থেকে গিয়েছিলো। একজন আলিম সেটা পর্যালোচনা করে দেয়ার পর তা খুব সানন্দে গ্রহণ করা হয়েছিলো এবং সেই ভুলটি ঠিক করে পরে আবার ভিডিও দেয়া হয়েছিলো। এবং আল কায়েদা নিজেদের কাজকে আলিমদের নেগরানীতে করতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল কায়েদার সাথে অনেক অনেক আলিম সম্পর্ক রাখেন এবং এর পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। কিছু অবিবেচকের কমেন্ট দেখে সেটা আল কায়েদার মত্‌ মনে করা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। যেকেউই এরকম করতে পারে আল কায়েদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। যেহেতু বিষয়টি আল কায়েদার অফিসিয়াল অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক। এবিষয়গুলো একেবারে স্পষ্ট হবে যদি "দাওয়াতের মূলনীতি" কিতাবটি আপনি পড়েন। আশা করি এই কিতাবের পর্যালোচনা করে একটি ভিডিও বানাবেন ইনশাআল্লাহ।

    ভিডিওটিতে উইকিপিডিয়া থেকে দেখিয়ে বলা হচ্ছে-
    “ওরা নিজেদেরকে সালাফি দাবি করে” সালাফীদের নীতি অনুযায়ী জিহাদ করে বলে দাবি করে।
    জবাবঃ
    এই কথার প্রেক্ষিতে আসলে দীর্ঘ আলাপ করা যায়! কিন্তু অল্পেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি। এখানে সালাফী বলতে নব্য সালাফী বুঝিয়েছেন বা আছারী আকীদার কথা হয়ত বুঝাতে চেয়েছেন। আল্লাহু 'আলাম। আর শাব্দিকভাবে বুঝালে তো আমরা সবাইই সালাফী আলহামদুলিল্লাহ।

    আকীদার মধ্যে গ্রহণযোগ্য কিছু ভিন্নমত আছে। যাদের নাম হিসেবে আমরা আছারী, আশ’আরী, মাতুরিদি বলি। এই তিন ভাগকেই গ্রহণযোগ্য উলামারা হক বলেন। কাউকেই একেবারে বাতিল সাব্যস্ত করেন না। এটাই গ্রহণযোগ্য। আল কায়েদা যাদের হাতে গঠিত হয়েছে তারা যে অঞ্চল থেকে এসেছিলেন ও তারা যে আকীদায় পড়াশোনা করেছেন তা ছিলো আছারী। স্বাভাবিকভাবেই তারা তাই ফলো করবেন। এর মানে আল কায়েদা আছারীদের জন্য সংগঠন আর বাকিদের বাতিল সাব্যস্ত করে – এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া শুধু বোকা আর নির্বোধদের দ্বারাই হতে পারে। এই জামাতের উদ্দেশ্য আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা। আর এর লক্ষ্যে যে ভূমিতে যে হক আকীদা প্রতিষ্ঠিত আছে তার উপরেই তারা আমল করেন। এই জামাতে তিন আকীদার লোকই খুব ভালোভাবেই কাজ আঞ্জাম দিয়ে চলছেন, কোন সমস্যা ছাড়াই। আর সালাফী বলতে যদি এখানে ফিকহের বিষয় বুঝানো হয় তাহলেও আলোচনার প্রথম দিকেই এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।

    ভিডিও নির্মাতা ভাই এবিষয়ে বিস্তারিত না জেনে শুধু ধারণার ভিত্তিতে আর উইকিপিডিয়াকে দলিল বানিয়ে বিষয়গুলো নিয়ে অতিরঞ্জন করেছেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা মাফ করে দিন। সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।

    এরপরের দাবিটি এরকম-
    আল কায়েদা সমর্থককে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আইসিস ও আল কায়েদা আলাদা, আইসিস ভ্রান্ত বলে দাবি করে। কিন্তু তারা উভয়ই সালাফীদের নীতি অনুযায়ী জিহাদ করে বলে দাবি করে।
    জবাবঃ
    এই বিষয়টি যারা বৈশ্বিক জিহাদ সম্পর্কে অথেন্টিক সোর্স থেকে সামান্য খোজখবরও রাখেন তাদের কাছে খুব হাস্যকর লাগতে পারে। তবে যারা জানেন না তাদের জন্য এটা অনেক বড় একটা যুক্তি। "আরে! তাইতো !! তার মানে আল কায়দা আর আইসিস একই"! আসুন একটু খোলাসা করি-

    আইসিস কীভাবে তৈরি হয়েছে তা আগে আপনার জানা উচিত ছিলো। তাহলে আপনি বুঝতেন যে আইসিস আর আল কায়েদার মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। আল কায়েদা ইন ইরাক (AQI) আল কায়েদার একটি শাখা ছিলো ইরাকে। পরবর্তীতে আল কায়েদার নির্দেশনা না মেনে এবং তাদের সাথে বাইয়াত ভংগ করে নিজের মত করে চলা শুরু করে তাদের নেতৃত্ব। সেটাই পরে জামাতুল বাগদাদী বা আইসিস হিসেবে প্রকাশিত হয়। এই বিষয়ে ইসলামী বসন্ত সহ জামাতুল বাগদাদীদের(আইএস) নিয়ে উমারাদের বিভিন্ন লিখনী পড়লে জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। না জেনে কোন বিষয়ে কথা বলা তো শোভনীয় ভাই। ভিডিও নির্মাতা ভাই এই কাজটাই যেন বারংবার করে চলছেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা বুঝার তাওফিক দিন। আমীন।

    ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের সময় আব্দুল্লাহ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহর কথা বলার সময় আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ আল শেখ কে দেখিয়েছেন ভিডিও নির্মাতা ভাই। এটা ঠিক করে নেয়া উচিত বা সবাইকে বলা উচিত যে উনি আসলে বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ নয়। যদিও তার একটু পরে আসল বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহকে দেখিয়েছেন। আমি এটা দেখে আসলে সন্দিহান ছিলাম যে ভিডিও নির্মাতা ভাই বিন বায রাহিমাহুল্লাহকে চেনেন কিনা। ভুল হতেই পারে, শুধরে নেয়ার অনুরোধ থাকবে। আর আল কায়েদা বিন বাযকে তাকফীর করেছে এর অফিসিয়াল দলিল খুঁজে দিলে ভালো হবে। তাহলে আমরা কারণসহ জানতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে এতটুকু জানি যে, বিন বায রাহিমাহুল্লাহর এমন কিছু শক্ত ফতোয়া সরিয়ে ফেলা হয়েছে যেগুলো সামনে আসলে অনেকে উলটা পথে দৌঁড় দিতে পারে। হয়ত এখনো খুঁজলে অনেক জায়গায় পাওয়া যেতে পারে। সেগুলোও অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন যে উনি জিহাদের ব্যাপারে কি কি ফতোয়া দিয়েছিলেন।

    ভিডিও থেকে সর্বশেষ যে বিষয়টি সামনে আনবো-
    শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিযাহুল্লাহর একটি ভিডিওতে হাদীসের মান যাচাইয়ের সময় মুহাদ্দিসদের মত উল্লেখ করছিলেন। তো সেটা থেকে ভিডিও নির্মাতা ভাই মোটামুটি এমন বলেছেন-

    কুতুবুস সিত্তাহর হাদিস যাচাই এর প্রয়োজন থাকে। এগুলো যাচাইয়ের জন্য নাসিরউদ্দিন আল আলবানী রাহিমাহুল্লাহর মত গ্রহণ করেছে। অতএব, আল আল কায়েদার কাছে উনি গ্রহণযোগ্য আলিম। সোজা কথায় আলবানী আল কায়েদার পছন্দের আলিম।
    জবাবঃ
    ভিডিও নির্মাতা ভাইকে জিজ্ঞেস করা দরকার “কুতুবুস সিত্তাহ” মানে কি আদৌ আপনি জানেন? সাথে এটা বলতে কি বুঝায়? আমি সুধারণা করছি যে, হয়ত আপনি জানেন, তবে এখানে বলতে গিয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে। গুছিয়ে বলতে পারেন নি। তবে যদি আসলেই না জেনে থাকেন তাহলে এধরনের আরবি শব্দমালা বলতে না যাওয়াই ভালো। আশা করি এবিষয়টি আপনি মাথায় রাখবেন ইনশাআল্লাহ।

    সকল হাদিসই যাচাই বাছাই করে সেগুলোর মান নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই, কোন বিশেষ কিছুর জন্য মান যাচাই করতে হয় আর অন্যগুলোর করতে হয় না এমন না ব্যাপারটা। যেসব হাদীসের কিতাবে প্রায় সবই সহীহ হাদিস সংকলিত আছে সেগুলোও যাচাই করার পরেই আছে। ওখানে এসেছে বলেই সহীহ হয়ে গেছে, ব্যাপারটা এমন না। এবিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে এবিষয়ে আরো জানাশুনা করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

    হাদীসের মান যাচাই করা একটা আলাদা শাস্ত্র। উলুমুল হাদীস নিয়ে যারা পড়েন তারা এটা করেন। মুহাদ্দিসরা হাদিসের মান যাচাই করেন- কোনটা গ্রহণযোগ্য, কোনটা গ্রহণযোগ্য নয়। কোনটার মান কেমন। এই বিষয়গুলোও বিস্তর বিষয়। ঐ ভিডিওতে শুয়াইব আরনাউত, শাইখ আহমাদ শাকির রাহিমাহুমুল্লাহ উনাদের নামও ছিলো। মান যাচাইয়ের জন্য যাদের নাম এসেছে উনারা মূলত মুহাদ্দিস। হাদীসের মান যাচাইয়ে তাদের মতকে সামনে রাখা হয়। ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহও একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। হাদীসের মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসদের মত উল্লেখ করার দ্বারা এটা কোনভাবেই বুঝা যায় না যে- অমুক আল কায়েদার পছন্দের বা অপছন্দের। ভিডিও নির্মাতা ভাই এখানে বুঝতে ভুল করেছেন এবং নিজে যা প্রতিষ্ঠা করতে চান তা সামনে রেখে কিছু জোড়াতালি দিয়েছেন। হয়ত নিজেকে অজ্ঞতাসুলভ আচরণ করেছেন অন্যথায় অবুঝ দর্শকদের বোকা বানিয়েছেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা ভাইকে সংশোধন করে দিন। আমীন

    আল কায়েদা সব আলিমকেই পছন্দ করে- যারা হকের সাথে আপসহীন। যারা প্রকৃত ইসলামকে উপস্থাপন করে তাদের প্রতি সবসময়ই আল কায়েদা সম্মান ও শ্রদ্ধা বজায় রাখে, যদিও কোন বিষয়ে ইখতিলাফ হয়। আবার যারা মানুষকে দ্বীনের নামে ভ্রান্তির মাঝে ফেলে দেয়, তাদের ব্যাপারে আল কায়েদা আমাদের বলে এ ধরনের আলিমদের ভ্রান্তি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে, কিন্তু তাদের ব্যাপারে কটু কথা, আশালীন বক্তব্য পেশ না করতে। আপনি এগুলো জানতে “দাওয়াতের মূলনীতিঃ শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ” পড়তে পারেন ইনশাআল্লাহ।


    ভিডিওর ব্যাপারে কথা এ পর্যন্তই থাকুক। এবার ছোট করে ভিডিও নির্মাতা ভাইয়ের একটি রোগের ব্যাপারে বলি-

    উনি নিজেই দাবী করেন আল কায়েদা আমেরিকার তৈরি(!), শাইখ উসামা রাহিমাহুল্লাহ এফবিআই এর এজেন্ট(!) ছিলেন ইত্যাদি। ঠিক তিনিই আবার এই ভিডিওতে এসে বলতেছেন আল কায়েদা এই করে সেই করে, এগুলো ঠিক না। উনার প্রথম দাবী যদি সত্য হয় তাহলে পরের আলোচনা তো অর্থহীন। কারণ আমেরিকা সর্বসম্মতিক্রমে মুসলিমদের শত্রু ও সাপের মাথা। তার বানানো মুসলিম জিহাদি কোন দল নিশ্চয়ই মুসলিমদের ভালো চাইবে না। তাহলে উনার এত কষ্ট করা তো আসলে অনর্থক। উনি উনার মৌলিক দাবী প্রমাণ করতে থাকতে পারেন, যদি আসলেই উনি মানুষকে ভুল থেকে ফেরাতে চান। কিন্তু তা আসলে উনার মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ উনি হয়ত নিজেই জানেন না উনি কত স্ববিরোধী কথা বলেন। উনার স্ববিরোধিতা নিয়ে লিখতে গেলে এই নন প্রোডাক্টিভ কাজে অনেক সময় নষ্ট হবে। তাই ঐটা থাকুক। আপনারা মৌলিক বিষয়কে মাথায় রেখে উনাকে শুনলে দেখবেন উনি মুহূর্তে মুহূর্তে মূল বিষয়কে বদলে ফেলছেন। এটা হতে পারে ভিডিও নির্মাতা ভাইয়ের অপারগতা/রোগ অথবা কৌশল। অবশ্য যারা কন্সপিরেসি/ফ্রিমেসন নিয়ে কথাবার্তা বলতে ভালোবাসে তাদের কাজের মৌলিক কোন ভিত্তি থাকে না। কো-ইন্সিডেন্টলি মিলে গেলেও সেটা থেকে তারা কোন একটা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব আবিষ্কার করে ফেলবেন। তাই ভাইয়ের উচিত মৌলিক আরগুমেন্ট এ জমে থেকে এরপর বাকি বিষয় সমাধানের চেষ্টা করা। যদিও কন্সপিরেসি প্রেমীদের জন্য এই কাজ অনেক বেশি কঠিন। এটা করতে গেলে এবং উনি আল্লাহর সাথে সৎ হলে উনার অনেক পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ। আর অসৎ হলে বা ব্যবসায়ী হলে তো কিছু করার নেই।


    ভিডিও নির্মাতা ভাইয়ের কল্যাণকামী হিসেবে আরও একটি বিষয়ে সতর্ক করা খুব জরুরি মনে করছি। আর তা হলো আন্দাজে কথা বলা। ভিডিও নির্মাতা ভাই প্রচুর কথা আন্দাজে ও জোড়াতালি দিয়ে বলেন। ভাইয়ের উদ্দেশ্য বলি- আল্লাহকে ভয় করুন ভাই। দুনিয়া তো শেষ হয়েই যাবে। বিচারের দিনে এই কয়টা টাকা আর কিছু ফলোয়ার আপনাকে কিছুই দিতে পারবে না। তাই এমন কথা বলার ব্যাপারে ভয় করুন যে কথার ব্যাপারে আপনার সঠিকভাবে জানা নেই বা আপনার কাছে স্পষ্ট কোন দলিল নেই।
    কারণ আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন-

    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَکَرِهۡتُمُوۡهُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ

    ‘হে মুমিনগণ! তোমরা বেশি অনুমান করা থেকে দূরে থাক। নিশ্চয়ই কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোস্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১২)

    দুয়া করি- আল্লাহ্‌ তায়ালা ভাইকে হিদায়েত দিন, সঠিক বুঝ দিন, দ্বীনের খেদমত করার তাওফিক দিন, উপকারী ইলম বাড়িয়ে দিন, জোড়াতালি ও অনুমান নির্ভর কথাবার্তা থেকে হিফাযত করুন। আমীন



    আল কায়েদার ভক্ত, সমর্থক, সদস্যদের প্রতি আকুল আবেদন, আপনারা উমারাদের বিভিন্ন রিসালা থেকে গুরুত্বপুর্ণ অংশগুলো নিয়ে ছড়িয়ে দিন। এই পোস্টে কমেন্ট করুন। যারা পারেন তারা তার ইউটিউবে গিয়ে এসব কোট করে দেখিয়ে দিতে পারেন যে, তিনি আসলে আল কায়েদা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। বিভ্রান্তির জগতে আছেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা সকলকে ইখলাসের সাথে সামনে আগানো তাওফিক দিন। আমীন


  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ, অনেক উপকারী লেখা। সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি।
    আল্লাহ তাআলা লেখককে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      ভাই আমার মনে হয় এই লোক ভুলে করেনা,,,এ সব কিছু জানে,,,জেনে বুঝে করে

      Comment


      • #4
        এই ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা দরকার,
        সে মুজাহিদদের সাথে সাধারণ মুসলিমদের মাঝে দূরত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে জেনে বুঝে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে।
        আল্লাহ্‌ তাআলা তার চক্রান্ত সমূলে উৎপাটিত করে দিন, আমীন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু খাইর

          Comment


          • #6
            Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
            এই ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা দরকার,
            সে মুজাহিদদের সাথে সাধারণ মুসলিমদের মাঝে দূরত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে জেনে বুঝে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে।
            আল্লাহ্‌ তাআলা তার চক্রান্ত সমূলে উৎপাটিত করে দিন, আমীন।
            আমিন, আমিন

            Comment


            • #7
              1. জাজাকাল্লাহ, আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন।
              2. প্রথমত ভাইদের বলব এই কিবরিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে, সে নিজেই সম্ভবত ইলুমিনাতির হয়ে কাজ করতেছে, বাংলাদেশের মানুষ হল আবেগি সে এটারই ফায়দা নিচ্ছে। এই লোক ফাত্তান৷ সিনেমা দেখে দেখে ইলুমিনাতি খুঁজে
              Last edited by Munshi Abdur Rahman; 11-25-2023, 11:24 AM.

              Comment


              • #8
                Originally posted by abu ahmad View Post
                আলহামদুলিল্লাহ, অনেক উপকারী লেখা। সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি।
                আল্লাহ তাআলা লেখককে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
                আমীন, সুম্মা আমীন। আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনাকেও জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন

                Comment


                • #9
                  Originally posted by আবু তালহা ৩১৩ View Post
                  ভাই আমার মনে হয় এই লোক ভুলে করেনা,,,এ সব কিছু জানে,,,জেনে বুঝে করে
                  আখি, আমরা কুধারণা থেকে বেঁচে থাকি। তবে বাস্তবিকই যদি এমন প্রমাণিত হয় তাহলে ভিন্ন কথা। যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে তার ভুলগুলো নিয়ে সমালোচনা ও খন্ডন করি, কিন্তু কোন কুধারণা না করি। আমরা আমাদের কাজগুলোকে উত্তমভাবে তুলে ধরলে যারা জানে না তারা জানতে পারবে এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও সফল হতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
                  আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সঠিকভাবে তুলে ধরার তাওফিক দিন। আমীন

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
                    এই ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা দরকার,
                    সে মুজাহিদদের সাথে সাধারণ মুসলিমদের মাঝে দূরত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে জেনে বুঝে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে।
                    আল্লাহ্‌ তাআলা তার চক্রান্ত সমূলে উৎপাটিত করে দিন, আমীন।
                    সে যদি চক্রান্তকারী হয় তাহলে আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদেরকে হেফাযত করুন এবং তার চক্রান্তকে সমূলে বিনাশ করে দিন। আমীন
                    আর যদি সে ভুলে এমন করে থাকে, তাহলে আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে হিদায়েত দিয়ে দিন। আমীন

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by abuqatada View Post
                      জাযাকাল্লাহু খাইর
                      ওয়া আনতা ফাজাযাকাল্লাহু খাইরান ।

                      আমরা প্রত্যেকে শাইখদের রিসালা থেকে সম্পর্কিত বিষয়গুলো এনে এনে জমা করতে পারি এই কমেন্টে ইনশাআল্লাহ।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Abu Basir Abu Zandal View Post
                        1. জাজাকাল্লাহ, আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন।
                        2. প্রথমত ভাইদের বলব এই কিবরিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে, সে নিজেই সম্ভবত ইলুমিনাতির হয়ে কাজ করতেছে, বাংলাদেশের মানুষ হল আবেগি সে এটারই ফায়দা নিচ্ছে। এই লোক ফাত্তান৷ সিনেমা দেখে দেখে ইলুমিনাতি খুঁজে
                        ওয়া আনতা ফাজাযাকাল্লাহু খাইরান। আমীন।
                        আখি, সে মনে এখানেই সফল যে- সে কাউকে দিয়ে ইলুমিনাতি বলাতে পেরেছে। এই ইলুমিনাতির ধারণাটাই একটা কন্সপিরেসি। এজন্য আমরা অমূলক এগুলো নিয়ে পড়ে থাকবো না। প্রয়োজন না হলে এসব দেখবো না বা ঘাটবো না। আমাদের জন্য কুরআন সুন্নাহ র গভীর ইলমের মাঝেই সব সমাধান রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। যেকোন চক্রান্ত তা ইলুমিনাতি(!) করুক বা যেই করুন এগুলো কুরআন সুন্নাহর দর্পণে ধরা পরে যাবে ইনশাআল্লাহ।

                        Comment


                        • #13
                          এর চুলকানি তো থামছে না, উপযুক্ত মলম দিতে হবে মনে হচ্ছে...

                          Comment


                          • #14
                            আত্মহত্যা এবং আত্মঘাতী হামলার মাঝে পার্থক্য রয়েছে। আত্মহত্যা মানে হল নিজেকে নিজে হত্যা করে দেওয়া। আর আত্মঘাতী হামলা মানে হল জিহাদি কোন কাজ পরিচালনা করা । এবং কাজটি এতটাই প্রচন্ড ছিল যে, এর প্রভাব তার দেহের উপর পড়ার কারনে সে মৃত্যু বরন করল। আত্মহত্যার মধ্যে নিজেকে নিজে হত্যা করা হয়। কিন্তু অত্যঘাতী হামলার মধ্যে জিহাদি কাজকে নিজেদের জীবনের থেকেও বেশি প্রধান্য দেওয়া হয়। এবং নিজের জীবন দিয়ে জিহাদি কোন কাজ সম্পাদন করা হয়। সুতরাং জিহাদের জন্য কেউ বের হয়ে যদি দূর্ঘটনার কারণে নিহত হয় তাহলে তাকে শহীদ ধরা হয়। তাহলে এটাওতো একটি দূর্ঘটনা। তাহলে এটা শাহাদাত হবে না কেন?
                            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 01-16-2024, 10:20 AM.
                            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                            Comment


                            • #15
                              সে আমাদের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে। একের পর এক ভিডিও তৈরী করে যাচ্ছে। তার ভিডিও দেখে বুঝা যে, সে কট্টর শিয়া পন্থী। আমি একটু করে জবাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সে দেখি থামছে না।

                              Comment

                              Working...
                              X