(বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারী পাঠ্যবই। তুমুল ইসলাম বিদ্বেষের অপর এক নাম। এই সিরিজের প্রতিটি পর্বে শিক্ষা কারিকুলাম ও সরকারী পাঠ্যবইগুলোর বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গতানুগতিক আলোচনার বাইরে গিয়ে বইগুলোর সঠিক-ভুল তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সবাই যেভাবে লেখে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি ইস্যু নিয়েই লেখা হয়নি। বরং বইয়ের যেই যেই বিষয়ই ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে সব বিষয়েই লেখা হচ্ছে। আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা। প্রিয় পাঠক! আপনার সার্বিক সহায়তা কামনা করি। সকলে যার যার স্থান থেকে সিরিজটিকে বেশি বেশি প্রচার করার চেষ্টা করি। হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহ হুমকির মোকাবেলায় তাওহীদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে দেই; বাংলার আনাচে কানাচে!)
প্রথম শ্রেণীর মতো দ্বিতীয় শ্রেণীর বাংলা বইটিও আজেবাজে সব ছড়া কবিতা দিয়ে ভরপুর।
প্রিয় পাঠক! এখানেও একই রকম । আল্লাহ, ইসলামের কোনো নাম নেই। দ্বীন ধর্মের কোনো চিহ্নমাত্রও নেই। বইগুলোতে বনের ভাল্লুক থেকে জঙ্গলের কাক পর্যন্ত স্থান পেয়েছে। ময়ুরের নাচ থেকে ময়নার গান পর্যন্ত স্থান পেয়েছে। একটু জায়গা হয়নি শুধু আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের সা. জন্য!! কী আশ্চর্য। আল্লাহ ও তার রাসূলকে তারা এতো ভয় পায় কেন? নাকি এটা তাদের আল্লাহর দ্বীন ও রাসূলের আদর্শের সাথে দুশমনির বহিঃপ্রকাশ? বইগুলোতে যদি একটা বারও আল্লাহর নাম থাকতো! ইসলাম নামক শব্দটা থাকতো!
বইতে রাজু ও মিতু বন্ধু হয়। কিন্তু রাজু ও রাফিই কেন বন্ধু হতে পারে না? ছেলে ও মেয়ে কেন বন্ধু হয়? শুধু ছেলে ও ছেলেই কেন বন্ধু হতে পারে না?
বইগুলোতে একুশের গান, বিজয় দিবস, জাতির পিতা এগুলো সম্পর্কে বাচ্চাদেরকে শেখানো হচ্ছে। কিন্তু বাচ্চাদেরকে এখনও চেনানো হয়নি আল্লাহ কে, নবী কে? অথচ তাদেরকে জাতির কথিত পিতার সাথেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তারা জাতির কথিত পিতাকে চেনে। তাদের কেউ কেউ এখন নৌকা মার্কাকেও চেনে!
আমাদের সন্তানদেরকে আল্লাহ রাসূল চেনাবে কে? নাকি আল্লাহ রাসূলের সাথে তাদের পরিচিত হওয়ার কোনো দরকার নেই? আপনি কি চান, আপনার সন্তান নাস্তিক হোক? আপনি কি চান আপনার সন্তান দ্বীনহীন হোক ? আপনি কি চান আপনার সন্তান বড় হয়ে আপনাকে অস্বীকার করুক? মনে রাখবেন, যে সন্তান আল্লাহকে, আল্লাহর রাসূলকে মানবে না, সে কখনোই আপনারও আনুগত্য করবে না।
বইতে কাজের লোকদের ছবি দেখানো হচ্ছে, তাদের লুঙ্গি হাঁটুর উপরে । গোছ দিয়ে সবাই কাজ করছে। সতর কই? কাজ করতে গেলে কি সতর লাগে না নাকি?
কাজের সময়ও সতর ঢাকা ওয়াজিব আবশ্যক। সতরের ব্যাপারে রাসূলের সা. প্রসিদ্ধ ঘটনাটি তো সকলেরই জানা। একবার যখন কাবা নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আব্বাস (রাঃ) পাথর বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, পাথর বহনের সুবিধার্থে তোমার লুঙ্গি কাঁধের ওপর তুলে নাও। এরপর তিনি (আব্বাস রা.) এরূপ করে দিলেন। সাথে সাথেই রাসূল সা. বেহুশ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। আর তাঁর উভয় চোখ আকাশের দিকে নিবদ্ধ হল। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, আমার লুঙ্গি! আমার লুঙ্গি! এরপর তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হল।
সহীহ মুসলিম। পরিচ্ছেদঃ ১৯. সতর ঢাকার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদীস নাম্বারঃ ৬৬৪, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৪০
আরো দেখুন। বইতে ৩৪ নং পৃষ্ঠায় গ্রাম ও শহর নামে একটি গল্পে দেখানো হচ্ছে, তিথি শহর থেকে গ্রামে এসে মামাতো ভাই আমিনের সাথে ঘুরাঘুরি করে । আর মামাতো ভাই আমিন শহরে গিয়ে ফুফাতো বোন তিথিকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। আচ্ছা, ফুফাতো বোন আর মামাতো ভাইয়ের মাঝে কীসের সম্পর্ক! মামাতো ভাই ফুফাতো বোনকে নিয়ে কেন ঘুরবে? তাদের মাঝে সতর ও পর্দা কোথায়? এর মাধ্যমে কি পর্দাহীনতা শেখানো হচ্ছে না? কেন হচ্ছে এগুলো এবং কারা করছে এগুলো? এবং কী উদ্দেশ্যে এগুলো করছে? এর কি কোনো সদুত্তর আছে?
বইতে ছেলে মেয়েরা গ্রামে আসে । শহরে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে । তারা চিড়িয়াখানা দেখতে যায়, শিশুপার্কে যায়। গ্রামে এসে কুমোরপাড়া যায়, হাঁসের প্যাঁক প্যাঁক শুনতে যায়। কিন্তু তারা গ্রামে বা শহরে কোথাও কোনো মসজিদ মাদরাসা বা ধর্মীয় তীর্থস্থান দেখতে যায় না কেন? বইতে তাদেরকে দেশের সুন্দর কোনো মসজিদ দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয় না কেন? বড়ো কোনো আলেমের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় না কেন? আলেমদের দোয়া কি শিশুদের জন্য উপকারী নয়? নাকি বইয়ের লেখকরা আলেমদেরকে, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরকে চিনেই না? নাকি বাচ্চাদেরকে ও দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলেমদের থেকে দূরে সরানোর চক্রান্ত এটা? আল্লাহ মালুম।
তবে আমরা মুসলিম হিসেবে একটি কথাই জানি, আমাদের বাচ্চারা আলেমদের নির্দেশনাতেই বড় হবে । আলেমগণ যেভাবে পড়তে বলবেন সেভাবে পড়বে। গ্রহণযোগ্য আলেমগণ যা পড়তে বলবেন তাই পড়বে। যে প্রতিষ্ঠানে যেতে বলবেন, সেখানেই যাবে। যেখানে যেতে নিষেধ করবেন, সেখান থেকে বিরত থাকবে। এভাবেই আমাদের সন্তানদেরকে আমরা যোগ্য সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।
বইতে বিড়ালের প্রতি ভালোবাসার একটি পাঠ আছে! প্রাণীজগতের প্রতি সদয় হওয়াও ধর্মের অংশ। ঠিক। কিন্তু প্রাণীজগতের ভালোবাসাকে বর্তমান সময়ের মতো ট্রেন্ড বানিয়ে নেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। এদিকটা খেয়াল রাখা খু্ব জরুরি। যেন শিশুদেরকে বিড়ালছানার গল্প শুনাতে গিয়ে বিড়ালের প্রতি অতিরিক্ত মুহাব্বাত সৃষ্টি না হয়ে যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মুসলিম শিশুদের পাঠ্যবইতে পহেলা বৈশাখের মতো একটা শিরকি দিবস সম্পর্কে আনন্দ আলোচনা কেন থাকবে? পহেলা বৈশাখের হাকীকত কী ? পহেলা বৈশাখ কি ইসলাম সমর্থিত? যদি ইসলাম সমর্থিত না হয়, তাহলে অনৈসলামিক একটা কালচার মুসলিম শিশুদেরকে কেন শেখানো হবে? মুসলিম শিশুরা কেন পহেলা বৈশাখ যা হিন্দুদের উৎসবের দিন এটা সম্পর্কে জানতে হবে? এগুলো কি অনিচ্ছায় কৃত ভুল? নাকি শিক্ষাব্যবস্থাকে হিন্দুয়ানীকরণ? হে মুসলিম সজাগ হোন, সাবধান হোন। নিজের ও নিজের সন্তানদের এবং অধীনস্তদের ঈমানের হেফাজত করুন। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দিন। আমীন। পহেলা বৈশাখের শিরক সম্পর্কে সামনে আলাদা পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, ইনশা-আল্লাহ।
রমনার বটমূলে গান হচ্ছে এটাও আমাদের জানতে হবে? রমনার বটমূলের মতো নোংরা একটা জিনিস কেন পাঠ্যপুস্তকে? একেমন শিক্ষা আর একেমন শিক্ষাব্যবস্থা? রমনায় আর রমনার বটমূলে কী হয় দেশের সাধারণ মানুষ কি তা জানে না? এসব নোংরা কাজের প্রচার মুসলিমদের মাঝে কেন করা হচ্ছে? উদ্দেশ্য কি? হিন্দুদের মানসসন্তানরা এই মুসলিম দেশে কী করতে চায়? তাদের এজেন্ডা কী? তারা কি এদেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়? হিন্দুয়ানী রীতি নীতি এদেশে প্রচার করতে চায়? কেন? এদেশ কাদের? মুসলিমদের নাকি হিন্দুদের? এই সরকার কাদের? মুসলিমদের নাকি হিন্দুদের? সরকার কাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে? পহেলা বৈশাখ ও রমনার বটমূল সম্পর্কে বইয়ের ৪৮ নং পৃষ্ঠায় আলাদা একটি পাঠ আছে।
মুসলিম সরকার হলে দেশে মুসলিম রীতি, ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করুক। অন্যথায় অমুসলিম হলে সে একটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হবারই যোগ্য না। সুতরাং হে মুসলিম, সিদ্ধান্ত নিন। আপনার সিদ্ধান্ত আপনার জান্নাতের পথকে অথবা জাহান্নামের রাস্তাকে প্রশস্ত করবে। হে আল্লাহ, আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। আমিন।
বইয়ের ৪৮ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বৈশাখী মেলায় নানা রকম জিনিস আছে। আছে মাটির হাতি, ঘোড়া, পুতুল। আছে......। মাটির পুতুল, মাটির ঘোড়া এবং মাটির হাতি সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? হোক না সেটা মাটির পুতুল সেটা কি বানানো জায়েয? সেটা কি ইসলামে বৈধ? ইসলামের আইন হলো, মাটির তৈরি কোনো প্রাণী, সেটা যত বড়ই হোক অথবা যত ছোটই হোক সেটা মূর্তি, সেটা হারাম। আখেরাতে সবচেয়ে বেশি কঠিন আযাব হবে যে সকল কারণে মূর্তিনির্মাণ তার মাঝে অন্যতম। হাদীসে এসেছে.......
عن ابن عمر رضي الله عنهما : أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إن الذين يَصْنَعُون هذه الصُّور يُعَذَّبُونَ يوم القيامة، يُقال لهم: أَحْيُوا ما خَلَقْتُم».
[متفق عليه] [صحيح]
হাদীস: যারা এ জাতীয় (প্রাণীর) মূর্তি বা ছবি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা বানিয়েছিলে তার জীবন দাও।
অবশ্যই যারা জীবের প্রতিকৃতি তৈরি করে, চাই সে প্রতিকৃতি ভাস্কর্য আকারে হোক বা চিত্র আকারে হোক, যেমন কোনো মানুষের প্রতিকৃতি বা কোনো জন্তুর প্রতিকৃতি। চাই প্রতিকৃতি বানানোর কাজটি পেশা হিসেবে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক। তাদের এ কর্মের কারণে কিয়ামতের দিন তাদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। কারণ, তারা আল্লাহর "সৃষ্টি করা' গুণের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করেছে। আর তাদের বলা হবে, তোমরা জীবন দাও। অর্থাৎ তোমরা যেভাবে দেহ বানিয়েছ সেভাবে তোমরা তার মধ্যে জীবন দাও। যখন তোমরা প্রতিকৃতিতে আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য অবলম্বন করলে, তখন তোমরা তার মধ্যে রূহও প্রেরণ কর। এ চাওয়াটি আল্লাহর সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করার কারণে, তাদের প্রতি বিদ্রূপ, উপহাস ও হুমকিস্বরূপ হবে। এই চাওয়ার কারণেই তারা লা জওয়াব হয়ে যাবে, যখন তারা এদেরকে রূহ দিতে অক্ষম হবে।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মূর্তি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাকে তাতে রূহ দেওয়ার দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেদিন সে তা করতে পারবে না।
সহীহ বুখারীর অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি কোনো মূর্তি বানাবে, তার মধ্যে রূহ না দেওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাকে অবশ্যই শাস্তি দিবেন।
ইমাম নববী রহ. বলেন, “আলেমগণ বলেছেন, জীবের প্রতিকৃতি তৈরি করা মারাত্মক হারাম, তা কবীরা গুনাহ। কারণ, হাদীসগুলোতে উল্লিখিত কঠিন হুমকি দ্বারা এ ধরনের কর্মের ওপর হুমকি দেওয়া হয়েছে। চাই তার কর্মটি পেশা হিসেবে হোক বা অন্য যে কোনো কারণেই হোক। এই কর্মটি সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। কারণ, এতে রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ।
বইতে আছে, পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা বের হয়। ছোট বড় সকলে নাকি সে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে । মঙ্গল শোভাযাত্রায়। শিরকী মঙ্গল শোভাযাত্রার কথা বলছি আমরা! মেলায় অনেকের মুখে রং-রেরঙের মুখোশ ! সকলে মুখোশ পরে আনন্দ করছে । মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সেখানে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। শিশুদেরকে এগুলো কী শেখাচ্ছে? এগুলো থেকে আমাদের শিশুরা ও তরুণ সমাজ কী বার্তা পাচ্ছে? এগুলো কি জায়েয? এগুলো কি বৈধ? পহেলা বৈশাখে এরকম রং-রেরঙের মুখোশ পরে বিজাতিদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ কি নিষিদ্ধ নয়? এটা কি হারাম নয়? হে মুসলিম তুমি কি জাগবে না? তুমি কি সচেতন হবে না? তুমি কি আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে না? তুমি কি আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করো না? তাহলে কেন নিজেকে এবং নিজের পরিবার পরিজনকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে ছুটে যাচ্ছো না?
হে মুসলিম! আখেরাতের কথা স্মরণ করো। যখন তোমার এবং তোমার রবের মাঝে কোনো পর্দা থাকবে না। তুমি আল্লাহকে কী জবাব দেবে? তুমি আল্লাহকে কী জবাব দেবে?
ধারাবাহিক চলবে......। আপনাদের মতামত জানাবেন। জাযাকুমুল্লাহ।
- এগুলো আমাদের শিশুদের কোমল মনে গভীর রেখাপাত করে। কারণ বাচ্চারা যে কোনো বিষয়ে দ্রুত প্রভাবিত হয়।
- কোনো একটা পক্ষ আমাদেরকে ও আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে ।
- আমরা ফ্রী-মিক্সিংকে ঘৃণা করি। কারণ আমরা মুসলিম।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন; সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০২
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196306
- একজন নারী বাইক নিয়ে গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মী সাজলে পর্দা কোথায়? শিশুরা এখান থেকে কী বার্তা পাবে?
বিস্তারিত জানতে পড়ুন; সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৪
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196457
হাদীসগুলোর মূল পাঠ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=31037
স্কুলের ২য় শ্রেণীর আমার বাংলা বইয়ের সরকারি পিডিএফ সংস্করণ লিঙ্ক।
https://drive.google.com/file/d/13O6...CxR14RDBS/view
প্রথম শ্রেণীর মতো দ্বিতীয় শ্রেণীর বাংলা বইটিও আজেবাজে সব ছড়া কবিতা দিয়ে ভরপুর।
প্রিয় পাঠক! এখানেও একই রকম । আল্লাহ, ইসলামের কোনো নাম নেই। দ্বীন ধর্মের কোনো চিহ্নমাত্রও নেই। বইগুলোতে বনের ভাল্লুক থেকে জঙ্গলের কাক পর্যন্ত স্থান পেয়েছে। ময়ুরের নাচ থেকে ময়নার গান পর্যন্ত স্থান পেয়েছে। একটু জায়গা হয়নি শুধু আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের সা. জন্য!! কী আশ্চর্য। আল্লাহ ও তার রাসূলকে তারা এতো ভয় পায় কেন? নাকি এটা তাদের আল্লাহর দ্বীন ও রাসূলের আদর্শের সাথে দুশমনির বহিঃপ্রকাশ? বইগুলোতে যদি একটা বারও আল্লাহর নাম থাকতো! ইসলাম নামক শব্দটা থাকতো!
বইতে রাজু ও মিতু বন্ধু হয়। কিন্তু রাজু ও রাফিই কেন বন্ধু হতে পারে না? ছেলে ও মেয়ে কেন বন্ধু হয়? শুধু ছেলে ও ছেলেই কেন বন্ধু হতে পারে না?
বইগুলোতে একুশের গান, বিজয় দিবস, জাতির পিতা এগুলো সম্পর্কে বাচ্চাদেরকে শেখানো হচ্ছে। কিন্তু বাচ্চাদেরকে এখনও চেনানো হয়নি আল্লাহ কে, নবী কে? অথচ তাদেরকে জাতির কথিত পিতার সাথেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তারা জাতির কথিত পিতাকে চেনে। তাদের কেউ কেউ এখন নৌকা মার্কাকেও চেনে!
আমাদের সন্তানদেরকে আল্লাহ রাসূল চেনাবে কে? নাকি আল্লাহ রাসূলের সাথে তাদের পরিচিত হওয়ার কোনো দরকার নেই? আপনি কি চান, আপনার সন্তান নাস্তিক হোক? আপনি কি চান আপনার সন্তান দ্বীনহীন হোক ? আপনি কি চান আপনার সন্তান বড় হয়ে আপনাকে অস্বীকার করুক? মনে রাখবেন, যে সন্তান আল্লাহকে, আল্লাহর রাসূলকে মানবে না, সে কখনোই আপনারও আনুগত্য করবে না।
বইতে কাজের লোকদের ছবি দেখানো হচ্ছে, তাদের লুঙ্গি হাঁটুর উপরে । গোছ দিয়ে সবাই কাজ করছে। সতর কই? কাজ করতে গেলে কি সতর লাগে না নাকি?
কাজের সময়ও সতর ঢাকা ওয়াজিব আবশ্যক। সতরের ব্যাপারে রাসূলের সা. প্রসিদ্ধ ঘটনাটি তো সকলেরই জানা। একবার যখন কাবা নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আব্বাস (রাঃ) পাথর বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, পাথর বহনের সুবিধার্থে তোমার লুঙ্গি কাঁধের ওপর তুলে নাও। এরপর তিনি (আব্বাস রা.) এরূপ করে দিলেন। সাথে সাথেই রাসূল সা. বেহুশ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। আর তাঁর উভয় চোখ আকাশের দিকে নিবদ্ধ হল। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, আমার লুঙ্গি! আমার লুঙ্গি! এরপর তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হল।
সহীহ মুসলিম। পরিচ্ছেদঃ ১৯. সতর ঢাকার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদীস নাম্বারঃ ৬৬৪, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৪০
আরো দেখুন। বইতে ৩৪ নং পৃষ্ঠায় গ্রাম ও শহর নামে একটি গল্পে দেখানো হচ্ছে, তিথি শহর থেকে গ্রামে এসে মামাতো ভাই আমিনের সাথে ঘুরাঘুরি করে । আর মামাতো ভাই আমিন শহরে গিয়ে ফুফাতো বোন তিথিকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। আচ্ছা, ফুফাতো বোন আর মামাতো ভাইয়ের মাঝে কীসের সম্পর্ক! মামাতো ভাই ফুফাতো বোনকে নিয়ে কেন ঘুরবে? তাদের মাঝে সতর ও পর্দা কোথায়? এর মাধ্যমে কি পর্দাহীনতা শেখানো হচ্ছে না? কেন হচ্ছে এগুলো এবং কারা করছে এগুলো? এবং কী উদ্দেশ্যে এগুলো করছে? এর কি কোনো সদুত্তর আছে?
বইতে ছেলে মেয়েরা গ্রামে আসে । শহরে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে । তারা চিড়িয়াখানা দেখতে যায়, শিশুপার্কে যায়। গ্রামে এসে কুমোরপাড়া যায়, হাঁসের প্যাঁক প্যাঁক শুনতে যায়। কিন্তু তারা গ্রামে বা শহরে কোথাও কোনো মসজিদ মাদরাসা বা ধর্মীয় তীর্থস্থান দেখতে যায় না কেন? বইতে তাদেরকে দেশের সুন্দর কোনো মসজিদ দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয় না কেন? বড়ো কোনো আলেমের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় না কেন? আলেমদের দোয়া কি শিশুদের জন্য উপকারী নয়? নাকি বইয়ের লেখকরা আলেমদেরকে, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরকে চিনেই না? নাকি বাচ্চাদেরকে ও দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলেমদের থেকে দূরে সরানোর চক্রান্ত এটা? আল্লাহ মালুম।
তবে আমরা মুসলিম হিসেবে একটি কথাই জানি, আমাদের বাচ্চারা আলেমদের নির্দেশনাতেই বড় হবে । আলেমগণ যেভাবে পড়তে বলবেন সেভাবে পড়বে। গ্রহণযোগ্য আলেমগণ যা পড়তে বলবেন তাই পড়বে। যে প্রতিষ্ঠানে যেতে বলবেন, সেখানেই যাবে। যেখানে যেতে নিষেধ করবেন, সেখান থেকে বিরত থাকবে। এভাবেই আমাদের সন্তানদেরকে আমরা যোগ্য সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।
বইতে বিড়ালের প্রতি ভালোবাসার একটি পাঠ আছে! প্রাণীজগতের প্রতি সদয় হওয়াও ধর্মের অংশ। ঠিক। কিন্তু প্রাণীজগতের ভালোবাসাকে বর্তমান সময়ের মতো ট্রেন্ড বানিয়ে নেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। এদিকটা খেয়াল রাখা খু্ব জরুরি। যেন শিশুদেরকে বিড়ালছানার গল্প শুনাতে গিয়ে বিড়ালের প্রতি অতিরিক্ত মুহাব্বাত সৃষ্টি না হয়ে যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মুসলিম শিশুদের পাঠ্যবইতে পহেলা বৈশাখের মতো একটা শিরকি দিবস সম্পর্কে আনন্দ আলোচনা কেন থাকবে? পহেলা বৈশাখের হাকীকত কী ? পহেলা বৈশাখ কি ইসলাম সমর্থিত? যদি ইসলাম সমর্থিত না হয়, তাহলে অনৈসলামিক একটা কালচার মুসলিম শিশুদেরকে কেন শেখানো হবে? মুসলিম শিশুরা কেন পহেলা বৈশাখ যা হিন্দুদের উৎসবের দিন এটা সম্পর্কে জানতে হবে? এগুলো কি অনিচ্ছায় কৃত ভুল? নাকি শিক্ষাব্যবস্থাকে হিন্দুয়ানীকরণ? হে মুসলিম সজাগ হোন, সাবধান হোন। নিজের ও নিজের সন্তানদের এবং অধীনস্তদের ঈমানের হেফাজত করুন। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দিন। আমীন। পহেলা বৈশাখের শিরক সম্পর্কে সামনে আলাদা পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, ইনশা-আল্লাহ।
রমনার বটমূলে গান হচ্ছে এটাও আমাদের জানতে হবে? রমনার বটমূলের মতো নোংরা একটা জিনিস কেন পাঠ্যপুস্তকে? একেমন শিক্ষা আর একেমন শিক্ষাব্যবস্থা? রমনায় আর রমনার বটমূলে কী হয় দেশের সাধারণ মানুষ কি তা জানে না? এসব নোংরা কাজের প্রচার মুসলিমদের মাঝে কেন করা হচ্ছে? উদ্দেশ্য কি? হিন্দুদের মানসসন্তানরা এই মুসলিম দেশে কী করতে চায়? তাদের এজেন্ডা কী? তারা কি এদেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়? হিন্দুয়ানী রীতি নীতি এদেশে প্রচার করতে চায়? কেন? এদেশ কাদের? মুসলিমদের নাকি হিন্দুদের? এই সরকার কাদের? মুসলিমদের নাকি হিন্দুদের? সরকার কাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে? পহেলা বৈশাখ ও রমনার বটমূল সম্পর্কে বইয়ের ৪৮ নং পৃষ্ঠায় আলাদা একটি পাঠ আছে।
মুসলিম সরকার হলে দেশে মুসলিম রীতি, ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করুক। অন্যথায় অমুসলিম হলে সে একটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হবারই যোগ্য না। সুতরাং হে মুসলিম, সিদ্ধান্ত নিন। আপনার সিদ্ধান্ত আপনার জান্নাতের পথকে অথবা জাহান্নামের রাস্তাকে প্রশস্ত করবে। হে আল্লাহ, আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। আমিন।
বইয়ের ৪৮ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বৈশাখী মেলায় নানা রকম জিনিস আছে। আছে মাটির হাতি, ঘোড়া, পুতুল। আছে......। মাটির পুতুল, মাটির ঘোড়া এবং মাটির হাতি সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? হোক না সেটা মাটির পুতুল সেটা কি বানানো জায়েয? সেটা কি ইসলামে বৈধ? ইসলামের আইন হলো, মাটির তৈরি কোনো প্রাণী, সেটা যত বড়ই হোক অথবা যত ছোটই হোক সেটা মূর্তি, সেটা হারাম। আখেরাতে সবচেয়ে বেশি কঠিন আযাব হবে যে সকল কারণে মূর্তিনির্মাণ তার মাঝে অন্যতম। হাদীসে এসেছে.......
عن ابن عمر رضي الله عنهما : أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إن الذين يَصْنَعُون هذه الصُّور يُعَذَّبُونَ يوم القيامة، يُقال لهم: أَحْيُوا ما خَلَقْتُم».
[متفق عليه] [صحيح]
হাদীস: যারা এ জাতীয় (প্রাণীর) মূর্তি বা ছবি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা বানিয়েছিলে তার জীবন দাও।
অবশ্যই যারা জীবের প্রতিকৃতি তৈরি করে, চাই সে প্রতিকৃতি ভাস্কর্য আকারে হোক বা চিত্র আকারে হোক, যেমন কোনো মানুষের প্রতিকৃতি বা কোনো জন্তুর প্রতিকৃতি। চাই প্রতিকৃতি বানানোর কাজটি পেশা হিসেবে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক। তাদের এ কর্মের কারণে কিয়ামতের দিন তাদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। কারণ, তারা আল্লাহর "সৃষ্টি করা' গুণের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করেছে। আর তাদের বলা হবে, তোমরা জীবন দাও। অর্থাৎ তোমরা যেভাবে দেহ বানিয়েছ সেভাবে তোমরা তার মধ্যে জীবন দাও। যখন তোমরা প্রতিকৃতিতে আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য অবলম্বন করলে, তখন তোমরা তার মধ্যে রূহও প্রেরণ কর। এ চাওয়াটি আল্লাহর সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করার কারণে, তাদের প্রতি বিদ্রূপ, উপহাস ও হুমকিস্বরূপ হবে। এই চাওয়ার কারণেই তারা লা জওয়াব হয়ে যাবে, যখন তারা এদেরকে রূহ দিতে অক্ষম হবে।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মূর্তি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাকে তাতে রূহ দেওয়ার দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেদিন সে তা করতে পারবে না।
সহীহ বুখারীর অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি কোনো মূর্তি বানাবে, তার মধ্যে রূহ না দেওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাকে অবশ্যই শাস্তি দিবেন।
ইমাম নববী রহ. বলেন, “আলেমগণ বলেছেন, জীবের প্রতিকৃতি তৈরি করা মারাত্মক হারাম, তা কবীরা গুনাহ। কারণ, হাদীসগুলোতে উল্লিখিত কঠিন হুমকি দ্বারা এ ধরনের কর্মের ওপর হুমকি দেওয়া হয়েছে। চাই তার কর্মটি পেশা হিসেবে হোক বা অন্য যে কোনো কারণেই হোক। এই কর্মটি সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। কারণ, এতে রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ।
বইতে আছে, পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা বের হয়। ছোট বড় সকলে নাকি সে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে । মঙ্গল শোভাযাত্রায়। শিরকী মঙ্গল শোভাযাত্রার কথা বলছি আমরা! মেলায় অনেকের মুখে রং-রেরঙের মুখোশ ! সকলে মুখোশ পরে আনন্দ করছে । মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সেখানে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। শিশুদেরকে এগুলো কী শেখাচ্ছে? এগুলো থেকে আমাদের শিশুরা ও তরুণ সমাজ কী বার্তা পাচ্ছে? এগুলো কি জায়েয? এগুলো কি বৈধ? পহেলা বৈশাখে এরকম রং-রেরঙের মুখোশ পরে বিজাতিদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ কি নিষিদ্ধ নয়? এটা কি হারাম নয়? হে মুসলিম তুমি কি জাগবে না? তুমি কি সচেতন হবে না? তুমি কি আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে না? তুমি কি আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করো না? তাহলে কেন নিজেকে এবং নিজের পরিবার পরিজনকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে ছুটে যাচ্ছো না?
হে মুসলিম! আখেরাতের কথা স্মরণ করো। যখন তোমার এবং তোমার রবের মাঝে কোনো পর্দা থাকবে না। তুমি আল্লাহকে কী জবাব দেবে? তুমি আল্লাহকে কী জবাব দেবে?
ধারাবাহিক চলবে......। আপনাদের মতামত জানাবেন। জাযাকুমুল্লাহ।
- এগুলো আমাদের শিশুদের কোমল মনে গভীর রেখাপাত করে। কারণ বাচ্চারা যে কোনো বিষয়ে দ্রুত প্রভাবিত হয়।
- কোনো একটা পক্ষ আমাদেরকে ও আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে ।
- আমরা ফ্রী-মিক্সিংকে ঘৃণা করি। কারণ আমরা মুসলিম।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন; সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০২
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196306
- একজন নারী বাইক নিয়ে গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মী সাজলে পর্দা কোথায়? শিশুরা এখান থেকে কী বার্তা পাবে?
বিস্তারিত জানতে পড়ুন; সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৪
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196457
হাদীসগুলোর মূল পাঠ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=31037
স্কুলের ২য় শ্রেণীর আমার বাংলা বইয়ের সরকারি পিডিএফ সংস্করণ লিঙ্ক।
https://drive.google.com/file/d/13O6...CxR14RDBS/view
Comment