Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিশোর গ্যাং নিয়ে সালাফদের মতামত কি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিশোর গ্যাং নিয়ে সালাফদের মতামত কি?

    আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাইয়েরা,

    বর্তমানে আমরা সবাই একটি নামের সাথে খুব বেশি পরিচিত যা হচ্ছে কিশোর গ্যাং। উঠতি বয়সী তরুণরা এইসব গ্যাং এ যুক্ত হয়ে সব ধরনের জুলুম করছে। তাগুত সরকারের চাটুকার নেতাদের আন্ডারে থাকায় নির্দ্বিধায় অপরাধ করে বেড়াচ্ছে এসব দল। এইসব কিশোররা কাউকে তোয়াক্কা করে না কাউকে ভয় করে না । এইসব কিশোরদের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি? তাদের শুধরানো সম্ভব কি?আমাদের কি ধৈর্য্য ধরা ছাড়া আদৌ কিছু করার আছে এ ব্যপারে?

    হে অন্তরের পরিবর্তনকারী দয়া করে আমাদের অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর অবিচল রাখুন। আমীন । (তিরমিযী)
    Last edited by Rakibul Hassan; 03-04-2024, 12:01 AM.

  • #2
    বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সমূহ মূলত তৈরি হচ্ছে ভিডিও গেম, টিক্টক বা এই জাতীয় অন্যান্য জিনিসের ভিত্তিতে। তারা আগে তাদের কমিউনিটি গঠন করে একত্রিত হয় তারপর মাদক, ইভটিজিং, উচ্চস্বরে গান বাজানো ইত্যাদি এক্টিভিটি করে থাকে। আমরা এগুলো সমর্থন করি না। এই ব্যাপারে সালাফদের স্পেসিফিক মত থাকা আসলে সম্ভব নয় বলেই মনে করি।

    তবে একদল যুবক একত্রিত হয়ে যখন সমাজ ও রাষ্ট্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করে ও তার প্রতিকারে তৎপর হয় সেটা রেজিমের জন্য আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটা খুবই আফসোসের একটি বিষয় যে আমাদের দেশে কোন একটি এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের যতটুকু প্রভাব আছে জিহাদিস্টদেরও ততটুকু নেই। এজন্য আমাদের উচিত আরো ঐক্যবদ্ধ হওয়া। বিশেষভাবে ছাত্রদের উচিত শক্তিশালী কমিউনিটি তৈরি করা।

    সব মিলিয়ে বলতে চাই পাঁচজন শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক ভাবে শক্তিশালী যুবক একত্রিত হলে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়। সারা পৃথিবীর বাতিল আতংকিত হয়।
    Last edited by Rakibul Hassan; 03-05-2024, 02:55 PM.

    Comment


    • #3
      এখানে কিশোরদের একসাথে কোন কাজ করার ব্যাপারটা আসলে সমস্যা না, সমস্যা তাদের কাজগুলো জায়েজ নাকি নাজায়েজ। এসব কাজের ব্যাপারে তো ইসলামের নির্দেশনা স্পষ্টভাবেই আছে। সেগুলোই এখানে হুকুম হিসেবে আসবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর কিশোরদেরকে ইসলামের খেদমতের তরে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        কিশোরদের গ্যাং - যাদের কথা আমরা বলছি ; তারা কেউ কেউ ভারত বিজয়ী প্রথম কাফেলা মুহাম্মদ বিন কাসিমের (রহঃ) সম বয়সী।হাজার মাইল দূর থেকে মুহাম্মদ বিন কাসিম এক জন মুসলিমার সম্মানের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যে জান বাজি রেখে হাজারো স্বেচ্ছা-সেবীর জামাত নিয়ে চলে এসেছিল।

        মুসলিমদের এই আলিশান জামাত আজকের মত অতিতে ও স্বেচ্ছা-সেবীরই জামাত ছিল বটে। এ জামাত প্রতি যুগেই নিজের বুকের রক্তের মূল্যে , জানের নাজরানায় উম্মাহর নিরাপত্তা যোগায়।যুগে যুগে মজলুমের ভরসা এ জামাত।

        যে শিশু নিকৃষ্ঠ হায়েনাদের হাঁতে আল্লাহর অলি - নবীর ওয়ারিশদের লাঞ্চিত হতে দেখে। হক পন্থী দের নিগ্রহন প্রত্যক্ষ করে। হক আর বাতিলের প্রশ্নের উত্তর গুলো যখন তাঁকে নিতে হয় উম্মাহর অবুঝ-ধোঁকায় পড়ে যাওয়া আপন জনদের থেকে;সে তাঁর গন্তব্য ঠিক করে নেয়।

        গ্যাং একদিনে তৈরি হয় না।

        অপরাধ গুলো তাঁর জন্যে তাঁর অস্থিত্যের স্বীকৃতি। তাঁকে বিশ্বাস যোগায়। ভরসা দেয়। পাপের পঙ্কিলতায় আকণ্ঠ ডুবে যায়। পাপের কারনে তাঁর ক্‌ল্বের উপর পরা কালো দাগের পুরু আস্তরণ ভেদ করে আসমানি নুরের অলো পৌছায় না। সে ও তখন কুফ্‌ফারদের হাতের এক ঐশী হয়ে যায়। হামজা (রাঃ) মত কোন এক অসম আল্লাহর ওলির ক্ষতি পৌছায়- উম্মাহর বিরাট কোন ক্ষতির কারন হয়ে যায়।

        এরা তাঁদের অপরাধের কারনে না লজ্জা পায়, না অনুশোচনা করে।নিশ্চিত মৃত্যুর সামনা সামনি দাঁড়িয়েও আবু জেহেলের মত স্পর্ধা প্রদর্শন করে।এরা শক্তির পূজারী। হক-বাতিল-আদর্শ এদের জন্যে বিলাস ভাষণ। এরা শুধু শক্তির ভাষাই বুঝে।

        উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কারিরা এদের ব্যাবহার করে। প্রশ্রয় দেয়।পয়সা-নাম আর প্রভাবের জন্যে এরা যে কোন মানুষের যে কোন ক্ষতি হাঁসতে হাঁসতে করে দেয়।

        যে কারো জন্যে এরা আস্ত্রের সহজ জোগান দাতা। বিভিন্ন বস্তুর চোরাচালানের ব্যাবস্থ্যা কারি।সংবাদ - খোঁজখবর নেয়ার জন্যে ব্যাবহার হতে পারে। তবে কখনোই ভরসা করা যায় না।সমস্ত গ্যাং এরি মুরুব্বি কিংবা স্পন্সর থাকে। তাঁরা প্রায় সমস্ত ইন্টারেকশন এই মুরুব্বীকে অবগত করে।পুলিশ তাগুতের লোক। এ গ্যাং গুলো শয়তানের আপন লোকজন।সংশ্রব-সংঘাতে সময়ের অপচয় না করাই ভালো।
        আস্তাগফিরুল্লাহ

        Comment


        • #5

          এদেরকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা উচিৎ। এবং এদের সাথে ঝামেলা না করে এদেরকে উপেক্ষা করে যাওয়া উচিৎ। কারণ তারা সাধারণ বিষয় নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড শুরু করে দেয়।






          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment


          • #6
            Originally posted by mahmud123 View Post
            এদেরকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা উচিৎ। এবং এদের সাথে ঝামেলা না করে এদেরকে উপেক্ষা করে যাওয়া উচিৎ। কারণ তারা সাধারণ বিষয় নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড শুরু করে দেয়।
            মুহতারাম ভাই, কিশোর গ্যাং বলতে প্রচলিত অর্থে যেটা বোঝায় তাদের ওই পরিমাণ সামর্থ্য থাকা উচিত নয় যে তারা এলাকার সাথী ভাইদের সাথে ঝামেলা করতে পারে। আমি কোন এক এলাকার একজন ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছি যে তাদের এলাকার ইউটিউবার, গেমাররা তাদের কথা শুনে এবং নামাজ পড়তে আসে। তাদের সামনে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করে না। ইনশাআল্লাহ সামনে হয়তো আরো চেঞ্জ হবে।
            Last edited by Rakibul Hassan; 03-13-2024, 05:20 PM.

            Comment

            Working...
            X