আমাদের কিছু মুসলিম ভাইকে দেখা যায়, অযথাই অন্যদের খোঁচা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এসব পোস্ট প্রায় সময় মিথ্যাচারের নামান্তর। আমাদের ভাইদের কী হলো? ফেসবুকে অবাধে কথা বলার সুযোগ কি তাদেরকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিচ্ছে? না-কি ফেসবুকে মিথ্যা বললে আল্লাহ পাঁকড়াও করবেন না?
সম্মানিত ভাই আমার, আল্লাহকে ভয় করুন। আপনি অনেক বড়ো আলেম হতে পারেন, কিন্তু আল্লাহর সামনে আপনি অত্যন্ত তুচ্ছ। আল্লাহর কসম, আমি, আপনি, সবাই তুচ্ছ। আমি আপনাদের নসিহত করার উপযুক্ত নই, তারপরও কেন নসিহত করতে এলাম? ভাই, সহ্য হয় না আসলে। কখনো চোখের কোণে পানিও জমে। কীসের মোহে ছুটছি আমরা? যারা প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে থেকে জিহাদের কথা বলেন, আপনার তীর কেন তাদেরকেই বিদ্ধ করছে বার বার? কথার বিষাক্ত ছোবলে কেন তাদেরকেই দংশন করেন?
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, আজকে আপনি যে পোস্টগুলো ঠাট্টাচ্ছলে করছেন কিংবা বাস্তবে এগুলোর কোনো প্রভাব নেই মনে করছেন, আল্লাহ না করুন, এগুলোই কোনো একসময় ঠাট্টা থেকে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। আল্লাহ মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়ে দিন, সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
জিহাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের বাছ-বিচার না করে ঢালাওভাবে বাজে মন্তব্য করা মুজাহিদ সমর্থকদের হৃদয়ে তীব্রভাবে আঘাত হানে। আর এভাবেই আপনাদের প্রতি বিদ্বেষের বীজ বপন হয় একজন মুজাহিদ সমর্থকের হৃদয়ে। একসময় এই বিদ্বেষ থেকেই অনেক অবুঝ ভাই আপনাদের প্রতি কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন; যা নিয়ন্ত্রণ করার সাধ্য তখন কোনো তানযিমের থাকে না। বরং তাদের ঐরকম সিদ্ধান্তের জন্য অনেকাংশে আপনারাই দায়ী।
আপনাদের অভিযোগ, মুজাহিদগণ মানুষকে আলেমদের থেকে দূরে সরাতে চান। সুবহানআল্লাহ! এটা মুজাহিদিনের উপর ঢালাও অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। মুজাহিদগণ আলেমদেরকে ভালোবাসেন, তাঁদের সোহবতে থাকতে পছন্দ করেন, তাঁদের প্রতিরক্ষায় নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেন না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কোনো কোনো আলেমই মুজাহিদ সমর্থকদেরকে তাড়িয়ে দেন, সাধারণ মানুষের মাঝে মুজাহিদিনকে নিয়ে ভুল বার্তা দেন, মুজাহিদিনকে জনবিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালান। আল্লাহ ক্ষমা করুন, সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
আমি উম্মাতের একজন হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আপনাদের সামনে একটি বাস্তব উপলব্ধি তুলে ধরাকে জরুরি মনে করছি। আশা রাখি, সবাই উম্মাতের স্বার্থে একে-অপরের দিকে এভাবে বাজে মন্তব্য করা বন্ধ করবেন। হ্যাঁ, কারো ভুল হলে তাকে মার্জিত আচরণে সংশোধনের চেষ্টা করা যায়, গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়। এই কথা যেমন মুজাহিদ সমর্থকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনি অন্যরাও ভদ্র আচরণ থেকে দায়মুক্ত নন।
শুনুন ভাই, কারো পদস্থলনের ব্যাপারে যথাযথ ইলমি আলোচনা করাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে তা যখন অহেতুক ট্রলবাজিতে রূপ নেয়, তখন অবশ্যই তা নিন্দনীয়। যে পক্ষই এ কাজ করুক না কেন। আল-কায়েদার অফিসিয়াল সাইটগুলোতে অহেতুক ট্রলবাজি করা হয় না। এমন দৃশ্য আপনার নজরে পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। তারা ব্যবস্থা নিবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ।
যাইহোক, আমি আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে কথাগুলো বললাম। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরিয়ে দিবেন বলে আশা রাখি। আর আপনাদের ভালো মনে হলে গ্রহণ করতে পারেন, নয়তো ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেন। কাউকে আমার কথা মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে কোনো কাজ করে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই ভালো ফল বয়ে আনে না। খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই নিজেদেরকে শুধরানো উচিত।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন, ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন, পরস্পরের মাঝে সহানুভূতি সৃষ্টি করে দিন, কাফির-মুশরিকদের মোকাবেলায় এক কাতারে দাঁড়িয়ে লড়াই করার তাওফিক দিন, জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করুন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
সম্মানিত ভাই আমার, আল্লাহকে ভয় করুন। আপনি অনেক বড়ো আলেম হতে পারেন, কিন্তু আল্লাহর সামনে আপনি অত্যন্ত তুচ্ছ। আল্লাহর কসম, আমি, আপনি, সবাই তুচ্ছ। আমি আপনাদের নসিহত করার উপযুক্ত নই, তারপরও কেন নসিহত করতে এলাম? ভাই, সহ্য হয় না আসলে। কখনো চোখের কোণে পানিও জমে। কীসের মোহে ছুটছি আমরা? যারা প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে থেকে জিহাদের কথা বলেন, আপনার তীর কেন তাদেরকেই বিদ্ধ করছে বার বার? কথার বিষাক্ত ছোবলে কেন তাদেরকেই দংশন করেন?
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, আজকে আপনি যে পোস্টগুলো ঠাট্টাচ্ছলে করছেন কিংবা বাস্তবে এগুলোর কোনো প্রভাব নেই মনে করছেন, আল্লাহ না করুন, এগুলোই কোনো একসময় ঠাট্টা থেকে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। আল্লাহ মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়ে দিন, সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
জিহাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের বাছ-বিচার না করে ঢালাওভাবে বাজে মন্তব্য করা মুজাহিদ সমর্থকদের হৃদয়ে তীব্রভাবে আঘাত হানে। আর এভাবেই আপনাদের প্রতি বিদ্বেষের বীজ বপন হয় একজন মুজাহিদ সমর্থকের হৃদয়ে। একসময় এই বিদ্বেষ থেকেই অনেক অবুঝ ভাই আপনাদের প্রতি কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন; যা নিয়ন্ত্রণ করার সাধ্য তখন কোনো তানযিমের থাকে না। বরং তাদের ঐরকম সিদ্ধান্তের জন্য অনেকাংশে আপনারাই দায়ী।
আপনাদের অভিযোগ, মুজাহিদগণ মানুষকে আলেমদের থেকে দূরে সরাতে চান। সুবহানআল্লাহ! এটা মুজাহিদিনের উপর ঢালাও অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। মুজাহিদগণ আলেমদেরকে ভালোবাসেন, তাঁদের সোহবতে থাকতে পছন্দ করেন, তাঁদের প্রতিরক্ষায় নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেন না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কোনো কোনো আলেমই মুজাহিদ সমর্থকদেরকে তাড়িয়ে দেন, সাধারণ মানুষের মাঝে মুজাহিদিনকে নিয়ে ভুল বার্তা দেন, মুজাহিদিনকে জনবিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালান। আল্লাহ ক্ষমা করুন, সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
আমি উম্মাতের একজন হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আপনাদের সামনে একটি বাস্তব উপলব্ধি তুলে ধরাকে জরুরি মনে করছি। আশা রাখি, সবাই উম্মাতের স্বার্থে একে-অপরের দিকে এভাবে বাজে মন্তব্য করা বন্ধ করবেন। হ্যাঁ, কারো ভুল হলে তাকে মার্জিত আচরণে সংশোধনের চেষ্টা করা যায়, গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়। এই কথা যেমন মুজাহিদ সমর্থকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনি অন্যরাও ভদ্র আচরণ থেকে দায়মুক্ত নন।
শুনুন ভাই, কারো পদস্থলনের ব্যাপারে যথাযথ ইলমি আলোচনা করাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে তা যখন অহেতুক ট্রলবাজিতে রূপ নেয়, তখন অবশ্যই তা নিন্দনীয়। যে পক্ষই এ কাজ করুক না কেন। আল-কায়েদার অফিসিয়াল সাইটগুলোতে অহেতুক ট্রলবাজি করা হয় না। এমন দৃশ্য আপনার নজরে পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। তারা ব্যবস্থা নিবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ।
যাইহোক, আমি আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে কথাগুলো বললাম। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরিয়ে দিবেন বলে আশা রাখি। আর আপনাদের ভালো মনে হলে গ্রহণ করতে পারেন, নয়তো ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেন। কাউকে আমার কথা মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে কোনো কাজ করে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই ভালো ফল বয়ে আনে না। খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই নিজেদেরকে শুধরানো উচিত।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন, ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন, পরস্পরের মাঝে সহানুভূতি সৃষ্টি করে দিন, কাফির-মুশরিকদের মোকাবেলায় এক কাতারে দাঁড়িয়ে লড়াই করার তাওফিক দিন, জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করুন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Comment