Announcement

Collapse
No announcement yet.

রাশিয়ায় আইএস এর হামলা প্রমাণ করে- আইএস এখন কুফফার গোয়েন্দাসংস্থার নিয়ন্ত্রণে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রাশিয়ায় আইএস এর হামলা প্রমাণ করে- আইএস এখন কুফফার গোয়েন্দাসংস্থার নিয়ন্ত্রণে

    ২২ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার রাশিয়ার একটি হলে আয়োজিত কনসার্টে আগত উপস্থিত রাশিয়ান দর্শনার্থীদের হামলা করে কয়েকজন বন্দুকধারী। তারা পূর্ব-নির্ধারিত কনসার্ট হলে আচমকা ঢুকে যেতে যেতে গুলি ছুড়ে, গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, হলে আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ইউক্রেন সীমান্ত অভিমুখে যাওয়ার সময় রাশিয়ান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে এই হামলার দায় স্বীকার করে আইএস তার অফিসিয়াল সংবাদ মাধ্যম 'আমাক্ব' থেকে চার হামলাকারীর ছবি / ভিডিও প্রকাশ করে।

    এই হামলা নিয়ে সারাবিশ্ব থেকে নিন্দা প্রকাশ চলতে থাকে এমন অবস্থায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এই হামলাকে ইউক্রেন দ্বারা সংগঠিত বলে অভিযোগ করে, এবং তার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ প্রায় পুরো ইউক্রেনেই হামলা করে।


    প্রশ্ন হল, আইএস যখন তার নিজস্ব অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে দায় স্বীকার করে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করলো। তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন কিসের ভিত্তিতে এই হামলাকে ইউক্রেনের দ্বারা সংগঠিত হামলা বলে অভিযোগ করল?

    আবার, আমেরিকা আর ইউক্রেন- রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এই হামলাকে রাশিয়াই নিজদেশের জনমতকে যুদ্ধের পক্ষে টানার জন্য নিজে নিজের উপর এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে। এখানে কে সঠিক?


    আইএসের অফিসিয়াল মিডিয়া আমাক্ব থেকে হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে হামলা সংগঠিত হওয়ার পর। অবশ্যই এমনটাই হয়ে আসছে। আইএস তাদের হামলাগুলো পরিচালনার পর নিজস্ব মিডিয়ায় হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে এটা বিশ্ব মিডিয়ার সামনে প্রমাণ করে যে নিশ্চিতভাবেই তারা হামলাটা করেছে। তবে এসময় তারা হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করে পরিষ্কার ছবি পাবলিশ করে। অথচ, রাশিয়ার হামলাকারীদের ছবি ব্লার করে প্রকাশ করেছে।

    আইএস দ্বারা পরিচালিত হামলাগুলো সাধারণত আত্মঘাতী হয়ে থাকে। আর তাই হামলার পর হামলাকারীদের স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করার এই নিয়ম তারা নিত্য করে আসছে। এমনকি বাংলাদেশে আর্টিজান বেকারিতে হামলায় হামলাকারীদের ক্ষেত্রেও এমনটা করেছিলো।

    এখানে একটা বিষয় হচ্ছে, আইএস তার খারেজি মতাদর্শ দ্বারা অপেক্ষাকৃত তরুণদের প্রভাবিত করে এমন হামলার মাইন্ডসেট তৈরি করে। ফলে হামলাকারীরা হেসে হেসে নিজের জীবন দিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হয় না। অথচ, রাশিয়ার এই হামলায় হামলাকারীরা কেউ আত্মঘাতী ছিল না। তারা এক দিক দিয়ে গুলি করে, গ্রেনেড ছুড়ে, আগুন লাগিয়ে আরেক দিক দিয়ে দ্রুত বের হয়ে গেছে। পরবর্তীতে রাশিয়ান নিরাপত্তা বাহিনী ধরে ফেলার পর তাদের একজন স্বীকার করে যে, সে টেলিগ্রাম চ্যানেলে এমন জনবহুল জায়গায় গুলি করার বিনিময়ে এক মিলিয়ন রাশিয়ার রুবল (১১ হাজার ডলার প্রায়) পাওয়ার অফার পেয়েছে, যার অর্ধেক সে আগেই পেয়েছে। অফার যে দিয়েছে, তাকে সে চেনে না।

    আরেকটা বিষয় হল, আইএস তার অফিসিয়াল মিডিয়া আমাক্ব-এ রাশিয়ার হামলায় অংশগ্রহণকারীদের যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে হামলাকারীদের আটক হওয়ার সময় যে যে কালারের জামা পরিধান করেছিল, সেরকম জামা পরিহিত অবস্থায় চার ব্যাক্তিকে দেখিয়েছে। অথচ, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক বা নিহত হওয়া ঐ চার হামলাকারীর পোশাকের সাথে আইএসের প্রকাশিত ছবির ব্যক্তিদের মাঝে সাধারণ চোখে তেমন পার্থক্য নজরে না এলেও সূক্ষ্মদৃষ্টিতে নানান বৈপরীত্য নজরে পড়ে। মনে হয়ে যেন, হামলাকারীরা ধরা পড়ে যাওয়ার পর তাদের ডিটেইলস দেখে চারজনকে একই কালারের পোশাক পরিয়ে কোথাও ফটোশুট করে পাবলিশ করেছে।

    আইএসের অন্য সকল হামলার ছবি ভিডিওগুলোতে হামলাকারীরা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস আল্লাহ্‌র একত্ববাদের প্রকাশ করে শাহাদাত আঙ্গুল উঁচিয়ে। আর সেটা অবশ্যই ডান হাত দিয়ে। অথচ, আইএসের অফিসিয়াল মিডিয়া আমাক্ব-এ রাশিয়ায় হামলা করা ব্যক্তিদের ছবিতে তাদের বাম হাত দ্বারা শাহাদাত আঙ্গুল প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।


    ইতিপূর্বে ইসরাইল কর্তৃক রাশিয়ার হামাসকে মদদ দেয়ার অভিযোগ, সাথে আমেরিকা এবং ইউক্রেইনের বেশ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাশিয়াকে উচিত শিক্ষা দেয়ার নানান হুমকিগুলো আমলে নিলে এই হামলা আমেরিকা ইসরাইল ও ইউক্রেইনের দ্বারা সংগঠিত বলে অনুমান করার যথেষ্ট কারণ আছে।

    অবশ্যই এইসকল জালিম কুফফার জোটের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আমাদের মাথাব্যথা নেই। ওরা ধ্বংস হয়ে যাক নিজেরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে। আমি আমার মুসলিম ভাইদের নিয়ে চিন্তিত। তারা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন ভয়ঙ্কর ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের এবং নিজের অন্য ভাইদের দুনিয়া ও আখিরাতের ধ্বংস ডেকে আনছে নাতো?

    আইএসের অফিসিয়াল মিডিয়ায় দেখানো হামলাকারীর ছবি আর রাশিয়ায় হামলায় অংশগ্রহণকারী অরিজিনাল হামলাকারীদের মাঝের এই পার্থক্যগুলো, রাশিয়া ইউক্রেন আর আমেরিকার পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করার বিষয়গুলোর দিকে নজর দিলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয় যে, এই হামলা সরাসরি আইএসের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ করে নাই। বরং যারাই এই হামলা ঘটিয়েছে, তারা হামলাকারীদের আইএসের নাম দিয়ে রিক্রুট করেছে, পরবর্তীতে আইএসের মিডিয়ায় আইএসের হামলা বলে প্রকাশ করেছে।



    কিছুদিন আগে এমন একটা ভিডিও দেখেছিলাম, যাতে দেখানো হয়েছে- একটা গুপ্ত সংস্থা কাউকে টাকার বিনিময়ে মেরে ফেলার কন্ট্রাক্ট নেয়। কন্ট্রাক্ট নেয়া সেই সংস্থা এবং টাকা প্রদানকারী অর্থাৎ যার জন্য কাউকে হত্যা করা হচ্ছে, তাদের পরিচয় যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে এমন এক অদ্ভুত কৌশল অবলম্বন করে, যার সাথে বর্তমানের আইএসের হামলাগুলোর যথেষ্ট মিল রয়েছে।

    তো সেই গুপ্ত সংস্থা সোশাল মিডিয়া থেকে লাখো তরুণ ও যুবকের ডাটা কালেক্ট করে। তারপর বাছাই করে সেখান থেকে অতি প্রতিক্রিয়াশীল অর্থাৎ কোন নেগেটিভ ইস্যু দেখলেই যারা উগ্রতার সাথে তার জবাব দেয়। যেমন- 'এগুলো বোম মেরে উড়িয়ে দেয়া দরকার', 'ওর কল্লাটা ফেলে দেয়া দরকার' এমন ধরনের মন্তব্য করে, এই গুপ্ত সংস্থা এই ধরনের লোকদের টার্গেট করে। তারপর তার সাথে সেই সংস্থার একজন এজেন্ট বেশ সাদামাটাভাবে যেয়ে বন্ধুত্ব করে। আর বন্ধুত্বটাও এমন যে, যার ভিত্তি উগ্রতার উপরই। যেমন তাকে বলে- 'দেশে যা ঘটছে, তাতে তো ইচ্ছে করে সব বোমা মেরে উড়িয়ে দেই'। এমন বক্তব্য শুনে যদি সেই টার্গেটেড ব্যক্তি এমন বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে, তবে তার অজান্তেই তাকে রিক্রুট করা হয় হত্যা মিশনের জন্য। আর সহমত না করলে ঐ অবস্থায়ই তাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়।

    তারপর নানা ধরনের উগ্র কথাবার্তা দ্বারা তার মন মানসিকতাকে হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রস্তুত করা হয়। আর হত্যা করার সময় যাতে অনুশোচনাবোধ কাজ না করে, তার জন্য হত্যাকাণ্ডের ঠিক সামান্য সময় আগে কোন খাবার বা পানীয়র সাথে মাদক মিশিয়ে দেয়া হয়। এবং হত্যাকারী কীভাবে তার শত্রু, তার ধর্মের বা সমাজের শত্রু, সেটা ভুলভাল বুঝিয়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায়ই এই হামলা করার ব্যাপারে উস্কে দিয়ে ঐ এজেন্ট স্থানত্যাগ করে। আর মাতাল অবস্থায় হত্যা করে নিজ ঘাড়ে দায় নিয়ে সে নিজেকে আদালতের নিকট সমর্পণ করে। পরবর্তীতে হুশ এলে এমন কাণ্ডের জন্য সে নিজেকেই একমাত্র দোষী ভাবে। আর ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় প্রকৃত অপরাধীরা।



    রাশিয়ায় এই হামলার ঘটনায় এটা স্পষ্ট হয় যে, আইএস বলে যে একটা সংগঠন ছিল, তাদের আর অস্তিত্ব নেই, তাদের কথিত খিলাফাহ তো কবে থেকেই নেই। আইএসের নামে বর্তমানে যেসকল হামলা সংগঠিত হচ্ছে বিশ্বের নানা স্থানে, তা প্রকৃতপক্ষে সিআইএ, মোসাদ, আইএসআই এর মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রক্সি যুদ্ধের অংশ। আফগানে ইমারতে ইসলামিয়াকে ডি-স্ট্যাবিলাইজড করতে অনেকগুলো হামলা তারা আফগানিস্তানেই করেছে isis-k এর নামে। আফগান তালেবান সরকার ধৃত অপরাধীদের নানা সময়ের জিজ্ঞাসাবাদে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আফগান মাটিতে আইএস-কে এর হামলার ফান্ড করে ইরান আর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা। এমন অনেক চক্রান্ত অতীতে প্রকাশ হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আইএসের নামে কুফফার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ইসলামকে এবং ইসলামের সুমহান ইবাদত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ কে বিতর্কিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তা চলমান বিশ্ব পরিস্থিতির উপর নজর রাখা বিজ্ঞজনদের নিকট পরিষ্কার।

    দ্বীনের ব্যাপারে অপেক্ষাকৃত অল্পবুঝ সম্পন্ন লোকদের টার্গেট করে, সরকারের বিশাল ডেটাবেস কে ব্যবহার করে এমন তরুণদের খুঁজে বের করা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য খুবই সহজ।




    এই ঘটনা থেকে কিছু বিষয়ের প্রতি আমি আমার মুসলিম তরুণ যুবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। আর তাহল-

    আমি সোশাল মিডিয়ায় দেখতে পাই অনেকগুলো আইডি থেকে ক্রমাগত আইএসের পক্ষে প্রচারণা চালানো হয়। মুসলিম তরুণদেরকে মুসলিম আলিমদের বিরুদ্ধে, নেতাদের বিরুদ্ধে, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নানান অসঙ্গতি তুলে ধরে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়। এরা জিহাদের ফরজিয়াত তুলে ধরে, নির্যাতিত মুসলিমদের অবস্থা তুলে ধরে উদ্বুদ্ধ করে বেড়ায়। এসব যদি হক্কানি মুজাহিদ আলিমদের আলোচনা দ্বারা দলিল প্রমাণের ভিত্তিতে মুসলিমদের ইসলাহের নিয়তে করা হয়, তবে তো সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু যে উদ্বুদ্ধ করছে, তার নিয়ত যদি গলদ হয়, সে-ই যদি এজেন্সির লোক হয়, জিহাদের নাম দিয়ে গুঁটি কয়েক তরুণকে উস্কে দিয়ে কোন ফলস ফ্ল্যাগ এটাক করিয়ে তার প্রভু কুফফারদের নিকট থেকে প্রমোশন বা পুরস্কার প্রত্যাশী হয়, যার বলি হবে কিছু নিরীহ আবেগি তরুণ, এমন ফাঁদ থেকে আমাদের সরলমনা মুসলিম ভাইদের সতর্ক থাকা চাই, সতর্ক করা চাই।

    আর এমন ঘটনাগুলো কি এদেশে ঘটে নাই?
    এদেশের ত্বগুত পুলিশ, র‍্যাব এবং সরকারি অন্যান্য সংস্থা জঙ্গিবাদের নামে গ্রেফতার বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা চালানোর ইতিহাস কি আমাদের মন থেকে মুছে গেছে? এই ঘটনাগুলোতো এখনো কমবেশি ঘটে চলছে।


    প্রিয় ভাই, কেউ এসে বলল, এই কাজ করলে আপনি জান্নাতে চলে যাবেন, তার বলার কারণেই কি আপনি জান্নাতে চলে যাবেন? তার তথ্য কি যাচাই বাছাই করা উচিত নয়? এমনকি সে যদি সত্যিকারের কল্যাণকামীও হয়। সময় নিন, আর যে সময় দিতে চায় না, তাকে সন্দেহ করুন।

    বাজারে কিছু খারাপ ব্যবসায়ী আছে দেখবেন, তারা নষ্ট বা সমস্যাযুক্ত জিনিস বিক্রি করে। তারা এমন কাস্টমার দেখলেই চেনে যে একটু কম বুদ্ধির। একবার যদি এই কাস্টমার দোকানে স্ব-ইচ্ছায় ঢুকে, এবার তার কাছে নানান অপ-কৌশলে সেই দুর্বল বা খারাপ মাল বিক্রি করেই ছাড়ে। প্রথমে তো সত্যের মতো মিথ্যা বলে প্ররোচিত করে। কাজ নাহলে ধমক দেয়া শুরু করে। নানা কথার মারপ্যাঁচে ফেলে দ্রুত স্বিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে সেই সরলমনা কাস্টমার কে। তাই নিজে এমন দুর্বৃত্তদের থেকে বাচতে চাইলে যে আপনাকে একটু চিন্তাভাবনা করার, ভেবে কোন একটা স্বিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সময় দিতে চায় না, এমন লোকদের থেকে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রাখুন। যদি এমন সমস্যায় পরেই যান, তাহলে শক্ত ভাষায় 'না' বলুন। শুরুতেই আপনি 'না' বলতে পারলে তাদের ফাঁদ নষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মনে রাখবেন আপনার প্রকৃত কল্যাণকামী আপনাকে অবশ্যই সময় দিবে। আর প্রকৃত মুজাহিদ ভাইয়েরা মুসলিম উম্মাহের প্রকৃত কল্যাণকামী।



    রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাহাদাত লাভের তীব্র বাসনা, ইসলামে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহে শহীদদের পরকালীন মর্যাদা, কোরআন মাজীদে উল্লেখিত আসহাবে উখদুদের ঘটনাসহ আরও অনেক আয়াত, হাদিস এবং সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের বিভিন্ন ঘটনা আমাদের নিকট প্রমাণ করে যে, শত্রুশিবিরে ঢুকে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও হামলা করা, অর্থাৎ আত্মঘাতী বা ফিদায়ী অভিযান ইসলামে শুধু অনুমোদিতই নয়, বরং অত্যন্ত প্রশংসিত। কারণ, এই জীবন উৎসর্গ করা হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাআলার দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য। আল্লাহর নিয়ামতের প্রতি নাখোশ বা বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যা নয়।

    এখন ইসলামের এই বিষয়কে ব্যবহার অল্প বয়স্ক বা দ্বীনের ব্যপারে অল্প বুঝ সম্পন্ন আমাদের মুসলিম ভাইদের নানাভাবে উস্কে দিয়ে ত্বগুত-জায়োনিস্ট-ক্রুসেডারদের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো আইএসের লেভেল ব্যবহার করে তাদের দিয়ে আত্মঘাতী হামলা করিয়ে নিয়ে নিজেদের প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে নিচ্ছে। আর এই চক্রান্তের স্বীকার হয়ে দ্বীন-দুনিয়া-আখিরাত সব হারাচ্ছে আমাদের অল্পস্বল্প বুঝ সম্পন্ন আবেগি মুসলিম ভাইয়েরা।

    আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের ভাইদের হিফাজত করুন, দ্বীনের প্রকৃত বুঝ দান করে সঠিকভাবে আল্লাহ্‌র জমিনে আল্লাহ্‌র দ্বীন কায়েমের জন্য প্রকৃত ইসলামী জামা'আতের সাথে যুক্ত হয়ে জানমাল ব্যয় করার তাওফিক দিন, আমীন।

  • #2
    খুব গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল লেখা। আল্লাহ তা'য়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

    Comment


    • #3
      হামলায় ইসরাইল ও আমেরিকার সম্পৃক্ত থাকার মোস্ট পসিবলিটি আছে। গাযায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার দোষ এই সংকুলান মুহুর্তে আই এসের উপরে চাপিয়ে দিয়ে মুসলিমদেরকেও সিস্টেমিক্যালি জংগি ও বর্বর হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করে, বিশ্বের কাছে ইস্রাইলের কিছুটা দায় মুক্তির প্রভাব থাকতে পারে। আর তাদের এজেন্ডার কিছুটা প্রভাব হয়েছেও। (আল্লাহ আ'লাম)

      Comment


      • #4
        মাশা আল্লাহ খুবই উত্তম আলোচনা। বর্তমান যুগের বেশির ভাগ যুবকরা আইএস এবং কায়িদাতুল জিহাদকে এক মনে করে যার কারণে তাদের জিহাদ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তাই ফোরামের ভাইদের কাছে বিনীত অনুরোধ রইলো এই বিষয়ে আরো বেশি বেশি আলোচনা করার।

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল যাঝা। মাশাল্লাহ, খুব উপকারি পোস্ট করেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাগুত এবং কুফফারদের সমস্ত ফাঁদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, অনেক চিন্তাবহুল কলাম। জাযাকাল্লাহ ভাই।
            "ইয়াকীন ও সবরের মাধ্যমে দীনের ইমামত অর্জিত হয়"

            Comment

            Working...
            X