কাতার-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা ইংলিশ-এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনী ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন নজরদারী করার প্রযুক্তি ইসরায়েল থেকে আমদানি করেছে।
সোমবার প্রচারিত এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিকসিক্স নামের একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এই যন্ত্র দিয়ে ওয়াই-ফাই, সেলুলার এবং ভিডিও নজরদারী করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে পূর্ব ইউরোপীয় দেশ হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের কাছে দু’জন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর চারজন বাংলাদেশী গোয়েন্দাকে প্রশিক্ষণ দেয়।
আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক দল যেসব দলিল সংগ্রহ করেছে, তার মধ্যে নজরদারী করার প্রযুক্তি ক্রয় করার একটি কন্ট্রাক্ট আছে, যেখানে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ই জুন, ২০১৮।
এই চুক্তিতে সই করা হয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেসেস (ডিজিডিপি)-এর পক্ষ থেকে। ডিজিডিপি সামরিক বাহিনীর একটি সংস্থা, যেটি বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তবে ইসরালের সঙ্গে ব্যবসার আরও তথ্য আসে বুদাপেস্টে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তাকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে পুরো সময় দেখানো হলেও, তিনি একটি ছদ্মনাম ‘স্যামি’ ব্যবহার করেন।
মি. স্যামি ঐ প্রতিবেদনে বলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক বন্ধু তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যিনি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)-এ কর্মরত ছিলেন।
”তিনি জানালেন, চার জন বাংলাদেশী অফিসার সরকারি কাজে বুদাপেস্ট সফর করছেন,” মি. স্যামি বলেন।
এই চারজন অফিসার ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তা বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।
মি. স্যামি বলেন, “আমি তাদের রাতে খাবারের জন্য দাওয়াত দিলাম। তারা বললেন, তাদের সাথে আরও তিন জন অতিথি থাকবেন।”
এই তিনজন অতিরিক্ত অতিথির মধ্যে ছিলেন দু’জন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এবং একজন আইরিশ ব্যক্তি, জানাচ্ছে আল জাজিরা। কিন্তু ইসরায়েলিরা ওই দাওয়াতে যোগ দেয়নি, অংশ নেন শুধু আইরিশ লোকটি।
ওই দিনের ঘটনার আরও বিস্তারিত বর্ণনা দেন মি. স্যামি: “বাংলাদেশী অফিসাররা আমার সাথে আইরিশ লোকটির পরিচয় করিয়ে দেন। বলা হয়, তিনি একজন কনট্রাক্টর (ঠিকাদার), যিনি নজরদারী সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন।”
”আমি তাদের কথা-বার্তা শুনলাম, নজরদারী প্রযুক্তি ক্রয় করা নিয়ে কথা-বার্তা হচ্ছিল। একটি ডিভাইস নিয়ে আলাপ হচ্ছিল, যেটা দিয়ে সবার মোবাইল ফোনের ওপর নজরদারী করা যায়।”
এক পর্যায়ে ঐ আইরিশ কনট্রাক্টর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন কোন ভাবেই বুঝতে না পারে যে এই সরঞ্জাম ইসরায়েল থেকে আসবে। সেই মুহূর্তে মি. স্যামি তার ফোনে রেকর্ডার চালু করে দেন।
কনট্রাক্টরের পরিচিতি হিসেবে বলা হয়েছে যে তার নাম জেমস ম্যালনি এবং তিনি সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক কোম্পানি সভেরেইন সিস্টেমস-এর প্রতিনিধি। তিনি এই ক্রয় চুক্তির মধ্যস্থতাকারী বলে আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়।
”আমারা ওয়াই-ফাই, সেলুলার এবং ভিডিও নজরদারী সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারি,” মি. ম্যালনিকে বলতে শোনা যায়।
আল জাজিরার হাতে আসা দলিলে দেখা যায়, বাংলাদেশ পরোক্ষভাবে ইসরায়েলের একটি কোম্পানি থেকে এই নজরদারী সরঞ্জাম ক্রয় করছে।
পিকসিক্স নামের এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিল ইসরায়েলের কয়েকজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
কিন্তু বাংলাদেশ এখনও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, দেশটির সাথে কোন বাণিজ্য সম্পর্ক নেই, এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে কেউ ইসরায়েলে যেতে পারেন না।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক সভেরেইন সিস্টেমস-এর ওয়েবসাইটে পিকসিক্সের কোন কথা নেই।
মি. স্যামির ধারণকৃত কথোপকথনে শোনা যায়, জেমস ম্যালনি বলছেন – হ্যাঁ, এটা ইসরায়েল থেকে আসবে।
”কিন্তু আমরা এই প্রযুক্তি বিজ্ঞাপনে দেই না। আমার ওয়াই-ফাই বা সেলুলার নজরদারী সরঞ্জাম আমাদের ওয়েবসাইটে দেই না। আমাদের ভাবমূর্তি নিয়ে আমরা সতর্ক,” জেমস ম্যালনিকে আরও বলতে শোনা যায়।
আজ জাজিরার হাতে আসা ক্রয় চুক্তিতে সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী দেশের নাম বদলে দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি হাঙ্গেরিতে তৈরি করা হয়েছে।
চারজন বাংলাদেশী অফিসারকে ইসরায়েলিরা বুদাপেস্টের কাছে একটি গুদামঘরে প্রশিক্ষণ দেয়।
আল জাজিরার ছবিতে বাংলাদেশী অফিসারদের ঝাপসা করে দেয়া হয়েছে। তবে মি. ম্যালনির পাশে দাঁড়ানো ইসরায়েলি দু’জনের পরিচয় আল জাজিরা সংগ্রহ করতে পারেনি।
আল জাজিরার প্রায় এক ঘণ্টা দীর্ঘ এই প্রতিবেদনে মূলত বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই হারিস আহমেদ কীভাবে নতুন পরিচয় তৈরি করে ইউরোপে ব্যবসা করছেন, তার ওপরই আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে গোপন রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে বুদাপেস্ট-এ হারিস আহমেদ ওরফে হাসান মোহাম্মদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়।
তবে প্রতিবেদনে হারিস আহমেদে সাথে ইসরায়েলি কোম্পানি পিকসিক্স-এর কোন যোগযোগের কথা বলা হয়নি।
‘গণহারে’ নজরদারী করার প্রযুক্তি
পিকসিক্স নজরদারী সরঞ্জামের ম্যানুয়ালে এই যন্ত্রকে ‘ইমসি ক্যাচার’ (IMSI catcher) বা স্টিংরে নামে বর্ণনা করা হয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে মোবাইল ফোন ‘মনিটরিং’ হচ্ছে এর কাজ।
এই মেশিন একটি মোবাইল ফোন টাওয়ারের মত কাজ করে, বলছেন এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এলিওট বেনডেনেলি।
”এটা সেল টাওয়ারের মত আচরণ করে। একটি নির্দিষ্ট এলাকার সব মোবাইল ফোন তার সাথে যোগ হবে এবং এই যন্ত্র সব কমিউনিকেশন ইনটারসেপ্ট করতে পারবে।
”টেক্সট মেসেজ, ইন্টারনেট – সব ধরনের কমিউনিকেশন ইনটারসেপ্ট করতে পারবে, এবং যে কোন সময় ২০০ থেকে ৩০০ মোবাইল ফোন এক সাথে ইনটারসেপ্ট করতে পারবে।
”এই মডেল সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে, যেমন টেক্সট মেসেজের কথা বদলে দিতে পারে, যে ব্যবহার করছে তার পরিচয় বদলে দিতে পারে,” বলছিলেন এলিওট বেনডেনেলি।
এই বিশেষজ্ঞ জানান, এটা হচ্ছে ‘গণহারে’ নজরদারী করার প্রযুক্তি।
সুত্র: আল-ফিরদাউস নিউজ
https://alfirdaws.org/2021/02/02/46694/
সোমবার প্রচারিত এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিকসিক্স নামের একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এই যন্ত্র দিয়ে ওয়াই-ফাই, সেলুলার এবং ভিডিও নজরদারী করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে পূর্ব ইউরোপীয় দেশ হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের কাছে দু’জন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর চারজন বাংলাদেশী গোয়েন্দাকে প্রশিক্ষণ দেয়।
আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক দল যেসব দলিল সংগ্রহ করেছে, তার মধ্যে নজরদারী করার প্রযুক্তি ক্রয় করার একটি কন্ট্রাক্ট আছে, যেখানে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ই জুন, ২০১৮।
এই চুক্তিতে সই করা হয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেসেস (ডিজিডিপি)-এর পক্ষ থেকে। ডিজিডিপি সামরিক বাহিনীর একটি সংস্থা, যেটি বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তবে ইসরালের সঙ্গে ব্যবসার আরও তথ্য আসে বুদাপেস্টে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তাকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে পুরো সময় দেখানো হলেও, তিনি একটি ছদ্মনাম ‘স্যামি’ ব্যবহার করেন।
মি. স্যামি ঐ প্রতিবেদনে বলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক বন্ধু তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যিনি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)-এ কর্মরত ছিলেন।
”তিনি জানালেন, চার জন বাংলাদেশী অফিসার সরকারি কাজে বুদাপেস্ট সফর করছেন,” মি. স্যামি বলেন।
এই চারজন অফিসার ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তা বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।
মি. স্যামি বলেন, “আমি তাদের রাতে খাবারের জন্য দাওয়াত দিলাম। তারা বললেন, তাদের সাথে আরও তিন জন অতিথি থাকবেন।”
এই তিনজন অতিরিক্ত অতিথির মধ্যে ছিলেন দু’জন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এবং একজন আইরিশ ব্যক্তি, জানাচ্ছে আল জাজিরা। কিন্তু ইসরায়েলিরা ওই দাওয়াতে যোগ দেয়নি, অংশ নেন শুধু আইরিশ লোকটি।
ওই দিনের ঘটনার আরও বিস্তারিত বর্ণনা দেন মি. স্যামি: “বাংলাদেশী অফিসাররা আমার সাথে আইরিশ লোকটির পরিচয় করিয়ে দেন। বলা হয়, তিনি একজন কনট্রাক্টর (ঠিকাদার), যিনি নজরদারী সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন।”
”আমি তাদের কথা-বার্তা শুনলাম, নজরদারী প্রযুক্তি ক্রয় করা নিয়ে কথা-বার্তা হচ্ছিল। একটি ডিভাইস নিয়ে আলাপ হচ্ছিল, যেটা দিয়ে সবার মোবাইল ফোনের ওপর নজরদারী করা যায়।”
এক পর্যায়ে ঐ আইরিশ কনট্রাক্টর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন কোন ভাবেই বুঝতে না পারে যে এই সরঞ্জাম ইসরায়েল থেকে আসবে। সেই মুহূর্তে মি. স্যামি তার ফোনে রেকর্ডার চালু করে দেন।
কনট্রাক্টরের পরিচিতি হিসেবে বলা হয়েছে যে তার নাম জেমস ম্যালনি এবং তিনি সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক কোম্পানি সভেরেইন সিস্টেমস-এর প্রতিনিধি। তিনি এই ক্রয় চুক্তির মধ্যস্থতাকারী বলে আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়।
”আমারা ওয়াই-ফাই, সেলুলার এবং ভিডিও নজরদারী সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারি,” মি. ম্যালনিকে বলতে শোনা যায়।
আল জাজিরার হাতে আসা দলিলে দেখা যায়, বাংলাদেশ পরোক্ষভাবে ইসরায়েলের একটি কোম্পানি থেকে এই নজরদারী সরঞ্জাম ক্রয় করছে।
পিকসিক্স নামের এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিল ইসরায়েলের কয়েকজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
কিন্তু বাংলাদেশ এখনও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, দেশটির সাথে কোন বাণিজ্য সম্পর্ক নেই, এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে কেউ ইসরায়েলে যেতে পারেন না।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক সভেরেইন সিস্টেমস-এর ওয়েবসাইটে পিকসিক্সের কোন কথা নেই।
মি. স্যামির ধারণকৃত কথোপকথনে শোনা যায়, জেমস ম্যালনি বলছেন – হ্যাঁ, এটা ইসরায়েল থেকে আসবে।
”কিন্তু আমরা এই প্রযুক্তি বিজ্ঞাপনে দেই না। আমার ওয়াই-ফাই বা সেলুলার নজরদারী সরঞ্জাম আমাদের ওয়েবসাইটে দেই না। আমাদের ভাবমূর্তি নিয়ে আমরা সতর্ক,” জেমস ম্যালনিকে আরও বলতে শোনা যায়।
আজ জাজিরার হাতে আসা ক্রয় চুক্তিতে সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী দেশের নাম বদলে দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি হাঙ্গেরিতে তৈরি করা হয়েছে।
চারজন বাংলাদেশী অফিসারকে ইসরায়েলিরা বুদাপেস্টের কাছে একটি গুদামঘরে প্রশিক্ষণ দেয়।
আল জাজিরার ছবিতে বাংলাদেশী অফিসারদের ঝাপসা করে দেয়া হয়েছে। তবে মি. ম্যালনির পাশে দাঁড়ানো ইসরায়েলি দু’জনের পরিচয় আল জাজিরা সংগ্রহ করতে পারেনি।
আল জাজিরার প্রায় এক ঘণ্টা দীর্ঘ এই প্রতিবেদনে মূলত বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই হারিস আহমেদ কীভাবে নতুন পরিচয় তৈরি করে ইউরোপে ব্যবসা করছেন, তার ওপরই আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে গোপন রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে বুদাপেস্ট-এ হারিস আহমেদ ওরফে হাসান মোহাম্মদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়।
তবে প্রতিবেদনে হারিস আহমেদে সাথে ইসরায়েলি কোম্পানি পিকসিক্স-এর কোন যোগযোগের কথা বলা হয়নি।
‘গণহারে’ নজরদারী করার প্রযুক্তি
পিকসিক্স নজরদারী সরঞ্জামের ম্যানুয়ালে এই যন্ত্রকে ‘ইমসি ক্যাচার’ (IMSI catcher) বা স্টিংরে নামে বর্ণনা করা হয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে মোবাইল ফোন ‘মনিটরিং’ হচ্ছে এর কাজ।
এই মেশিন একটি মোবাইল ফোন টাওয়ারের মত কাজ করে, বলছেন এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এলিওট বেনডেনেলি।
”এটা সেল টাওয়ারের মত আচরণ করে। একটি নির্দিষ্ট এলাকার সব মোবাইল ফোন তার সাথে যোগ হবে এবং এই যন্ত্র সব কমিউনিকেশন ইনটারসেপ্ট করতে পারবে।
”টেক্সট মেসেজ, ইন্টারনেট – সব ধরনের কমিউনিকেশন ইনটারসেপ্ট করতে পারবে, এবং যে কোন সময় ২০০ থেকে ৩০০ মোবাইল ফোন এক সাথে ইনটারসেপ্ট করতে পারবে।
”এই মডেল সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে, যেমন টেক্সট মেসেজের কথা বদলে দিতে পারে, যে ব্যবহার করছে তার পরিচয় বদলে দিতে পারে,” বলছিলেন এলিওট বেনডেনেলি।
এই বিশেষজ্ঞ জানান, এটা হচ্ছে ‘গণহারে’ নজরদারী করার প্রযুক্তি।
সুত্র: আল-ফিরদাউস নিউজ
https://alfirdaws.org/2021/02/02/46694/
Comment