সম্প্রীতি ভারতের হিন্দুত্ববাদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার দল বিজেপির বিরোধিতা করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসে জার্মান প্রবাসী ভারতীয় এক্টিভিষ্ট ধ্রুব রাঠী। হিন্দুত্ববাদি গোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডা মাফিয়াচক্রের বিরুদ্ধে সে যেভাবে লড়ছে, তার লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে তার মতো আরও অনেকেই এখন মোদী, বিজেপি সরকার এবং হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস করছে। ভারতের নানা প্রান্তের মানুষের তার ভিডিওগুলোকে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে বড় স্ক্রিনে দেখার বিষয়টাই প্রমাণ করছে যে তার জনপ্রিয়তা কোন স্তরে পৌঁছেছে।
তবে, মূলত সে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়। বলা যায় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একজন একাডেমীক বা শিক্ষক টাইপের। রাজনীতি, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাম্প্রিতিক ঘটনাবলীর মতো বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় নিয়েই সে মূলত ভিডিও বানিয়ে থাকে।
তাকে নিয়ে কেন কথা বলা প্রয়োজন মনে করলাম? কারণ সে হিন্দুত্ববাদিদের বিরোধিতা করতে যেয়ে ইসলাম এবং মুসলিমদের পক্ষে কথা বলছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মেরও ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে মানুষদের ন্যায় ও সাম্যের কথা বলছে। অথচ সে একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। যেকিনা দৃঢ়ভাবেই স্রষ্ঠার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। তার ভিডিওতে সে অতি সূক্ষ্মভাবে নাস্তিকতার প্রচার এবং বিভিন্ন ধর্মের ব্যপারে, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের ব্যপারে সংশয় ছড়িয়ে থাকে। আর এমন ব্যক্তিকে এখন বাংলাদেশের দাজ্জালি মিডিয়াগুলো প্রমোট করছে। ফলে সোশাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাই বলা যায় এদেশ থেকেও অচিরেই সে বেশ ভালো পরিমাণ ভিউয়ার পেয়ে যাবে।
সে দৃঢ়ভাবে বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে, এবং তা প্রচারও করে। এই নিয়ে তার চ্যানেলে বিস্তারিত অনেকগুলো ভিডিওর পুরো এক প্লেলিস্ট আছে। যা এতই ধাঁধালো যে, স্বল্প ও সাধারণ শিক্ষিত যেকোন মুসলিমের ঈমান সংশয়গ্রস্থ হয়ে যাবে (আল্লাহ্ তা'য়ালা হিফাজত করুন)। আর বাস্তবেও বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের অনেক মুসলিম আইডি থেকে তার এই ভিডিওগুলোতে বিবর্তনবাদ নিয়ে সংশয় কেটে গেছে, ভিডিও অনেক হেল্পফুল, অনেক ইনফরমেটিভ বলে অজস্র কমেন্ট দেখেছি।
এখন কেউ যদি তার এই বিবর্তনবাদ নিয়ে ভিডিওগুলো এভয়েড করে অন্য ভিডিওগুলো দেখে, তাহলেও সে নাস্তিকতার দিকে ঝুঁকে পড়বে। কারণ অন্যান্য ভিডিওগুলোর ন্যারেটিভও বিবর্তনবাদ ভিত্তিক নাস্তিকতার ভিত্তিতে প্রডিউস করেছে সে। আর এর ভিত্তিতে সকল ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে মানবরচিত এবং সেসকল ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত কাহিনীগুলোকে শ্রেফ কাল্পনিক পুরনো কল্প/লোককথা বলেই মানুষের মনে গেঁথে দেয়ার একটা সূক্ষ্ম প্রচেষ্টা তার ভিডিওগুলোতে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই বিষয়টা তার নিজ ধর্ম- হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রে সঠিক। তবে সমস্যা তখনই, যখন আল্লাহ্র নাবী ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর জীবনকে রামায়ণের কাহিনীর সাথে তুলনা করে একপ্রকার কল্পকাহিনী হিসেবে মানুষকে ভাবার দিকে ঠেলে দেয়। এমনিভাবে আল্লাহ্র নাবী নূহ আলাইহিস সালামের কাহিনী বা এর মতো কাহিনীগুলো।
তবে শুধু একটা ভিডিও দেখে কেউ আমার কথার বিরোধিতা করতে পারেন। কিন্তু অন্য যেকোন ভিডিও দেখার শুরুতেই বিবর্তনবাদের ভিডিওগুলো দেখলে, এবং সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে ও তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে করা ভিডিওগুলো আগে দেখে থাকলে বিষয়গুলো সহজেই রিলেট করতে পারবেন।
তার এক্টিভিজম আপাতদৃষ্টিতে ভারতের হিন্দুত্ববাদি জঙ্গিদের দ্বারা নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে গেলেও নাস্তিকদের স্বর্গরাজ্য খ্যাত দেশ জার্মানীতে বাস করা, নাস্তিকতা এবং সমকামিতা প্রতিষ্ঠার পেছনে কাজ করা ডয়চে ভেলে এর ট্রাভেল হোস্ট ধ্রুব রাঠীর ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে বা সাঙ্কেতিকভাবে সাধারণ মানুষকে নাস্তিকতার দিকে প্রভাবিত করে। আর এটা স্বল্প ও সাধারণ শিক্ষিত মুসলিম তরুণদের জন্য ভয়ানক বিপজ্জনক।
বাংলাদেশের পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো তারও লক্ষ লক্ষ মুসলিম তরুণ ভক্ত আছে। যাদেরকে তার ভিডিও দেখে অবচেতনভাবেই তার কথাগুলোকে সব সত্য বলে মেনে নিয়ে প্রশংসাসূচক কমেন্ট করতে দেখা গেছে।
সে অন্যসকল পশ্চিমা লিবারেল এক্টিভিষ্টের মতোই র্যান্ড কর্পোরেশনের অনুমোদিত শান্তিবাদি ইসলামের পক্ষে কথা বলে। অপরদিকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করা, বৈশ্বিক কুফফার জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সকল মুজাহিদকে টেরোরিস্ট বলা, মুজাহিদদেরকে প্রায় প্রতিটা ভিডিওতে উগ্র হিন্দুত্ববাদি জঙ্গিদের সাথে তুলনা করে সমানমাত্রার উগ্রবাদী বলে উপস্থাপন করে।
এখন কেউ হয়তো বলতে পারেন যে, সে এসব জানে না। কথা হচ্ছে সে একজন গবেষক। সব কিছু রিসার্চ করেই কথা বলে। এমনকি তার ভিডিওতে সে এমন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তথ্যও তুলে আনে যে, অন্যেরা হয়রান হয়ে যায় দেখে। সেখানে সারাবিশ্বে ঘটে চলা এমন মেজর বিষয়গুলো সে জানে না, এমন সুধারনা করতে আমি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশগুলোতে নাস্তিকতা এবং সমকামিতার মতো জঘন্য বিষয় রপ্তানি করা দেশ জার্মানীতে বাস করা, নাস্তিকতা এবং সমকামিতা প্রতিষ্ঠার পেছনে কাজ করা সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে'র সাথে মিলে কাজ করা স্বঘোষিত নাস্তিক ধ্রুব রাঠীর জন্য প্রস্তুত নই।
যাইহোক, দাজ্জালি বিশ্বব্যবস্থাকে মহান হিসেবে দেখানো, ন্যায় ও সাম্যের নামে লিবারেলিজমের প্রচার করা, সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যার নামে বিবর্তনবাদের প্রচার করা, ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মগ্রন্থের কাহিনীকে বিশেষ করে একেশ্বরবাদী ধর্ম ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের কাহিনীকে হিন্দু ধর্মের বানোয়াট কাহিনীর মতো উপস্থাপন করে ধ্রুব রাঠি মানুষকে দাজ্জালি ব্যবস্থার অনুগত বানানোর সুগভীর চক্রান্তে লিপ্ত আছে বলে মনে করি। তার মত এই ধরনের এক্টিভিষ্টদের ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা কাম্য।
তবে, মূলত সে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়। বলা যায় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একজন একাডেমীক বা শিক্ষক টাইপের। রাজনীতি, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাম্প্রিতিক ঘটনাবলীর মতো বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় নিয়েই সে মূলত ভিডিও বানিয়ে থাকে।
তাকে নিয়ে কেন কথা বলা প্রয়োজন মনে করলাম? কারণ সে হিন্দুত্ববাদিদের বিরোধিতা করতে যেয়ে ইসলাম এবং মুসলিমদের পক্ষে কথা বলছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মেরও ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে মানুষদের ন্যায় ও সাম্যের কথা বলছে। অথচ সে একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। যেকিনা দৃঢ়ভাবেই স্রষ্ঠার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। তার ভিডিওতে সে অতি সূক্ষ্মভাবে নাস্তিকতার প্রচার এবং বিভিন্ন ধর্মের ব্যপারে, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের ব্যপারে সংশয় ছড়িয়ে থাকে। আর এমন ব্যক্তিকে এখন বাংলাদেশের দাজ্জালি মিডিয়াগুলো প্রমোট করছে। ফলে সোশাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাই বলা যায় এদেশ থেকেও অচিরেই সে বেশ ভালো পরিমাণ ভিউয়ার পেয়ে যাবে।
সে দৃঢ়ভাবে বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে, এবং তা প্রচারও করে। এই নিয়ে তার চ্যানেলে বিস্তারিত অনেকগুলো ভিডিওর পুরো এক প্লেলিস্ট আছে। যা এতই ধাঁধালো যে, স্বল্প ও সাধারণ শিক্ষিত যেকোন মুসলিমের ঈমান সংশয়গ্রস্থ হয়ে যাবে (আল্লাহ্ তা'য়ালা হিফাজত করুন)। আর বাস্তবেও বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের অনেক মুসলিম আইডি থেকে তার এই ভিডিওগুলোতে বিবর্তনবাদ নিয়ে সংশয় কেটে গেছে, ভিডিও অনেক হেল্পফুল, অনেক ইনফরমেটিভ বলে অজস্র কমেন্ট দেখেছি।
এখন কেউ যদি তার এই বিবর্তনবাদ নিয়ে ভিডিওগুলো এভয়েড করে অন্য ভিডিওগুলো দেখে, তাহলেও সে নাস্তিকতার দিকে ঝুঁকে পড়বে। কারণ অন্যান্য ভিডিওগুলোর ন্যারেটিভও বিবর্তনবাদ ভিত্তিক নাস্তিকতার ভিত্তিতে প্রডিউস করেছে সে। আর এর ভিত্তিতে সকল ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে মানবরচিত এবং সেসকল ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত কাহিনীগুলোকে শ্রেফ কাল্পনিক পুরনো কল্প/লোককথা বলেই মানুষের মনে গেঁথে দেয়ার একটা সূক্ষ্ম প্রচেষ্টা তার ভিডিওগুলোতে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই বিষয়টা তার নিজ ধর্ম- হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রে সঠিক। তবে সমস্যা তখনই, যখন আল্লাহ্র নাবী ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর জীবনকে রামায়ণের কাহিনীর সাথে তুলনা করে একপ্রকার কল্পকাহিনী হিসেবে মানুষকে ভাবার দিকে ঠেলে দেয়। এমনিভাবে আল্লাহ্র নাবী নূহ আলাইহিস সালামের কাহিনী বা এর মতো কাহিনীগুলো।
তবে শুধু একটা ভিডিও দেখে কেউ আমার কথার বিরোধিতা করতে পারেন। কিন্তু অন্য যেকোন ভিডিও দেখার শুরুতেই বিবর্তনবাদের ভিডিওগুলো দেখলে, এবং সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে ও তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে করা ভিডিওগুলো আগে দেখে থাকলে বিষয়গুলো সহজেই রিলেট করতে পারবেন।
তার এক্টিভিজম আপাতদৃষ্টিতে ভারতের হিন্দুত্ববাদি জঙ্গিদের দ্বারা নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে গেলেও নাস্তিকদের স্বর্গরাজ্য খ্যাত দেশ জার্মানীতে বাস করা, নাস্তিকতা এবং সমকামিতা প্রতিষ্ঠার পেছনে কাজ করা ডয়চে ভেলে এর ট্রাভেল হোস্ট ধ্রুব রাঠীর ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে বা সাঙ্কেতিকভাবে সাধারণ মানুষকে নাস্তিকতার দিকে প্রভাবিত করে। আর এটা স্বল্প ও সাধারণ শিক্ষিত মুসলিম তরুণদের জন্য ভয়ানক বিপজ্জনক।
বাংলাদেশের পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো তারও লক্ষ লক্ষ মুসলিম তরুণ ভক্ত আছে। যাদেরকে তার ভিডিও দেখে অবচেতনভাবেই তার কথাগুলোকে সব সত্য বলে মেনে নিয়ে প্রশংসাসূচক কমেন্ট করতে দেখা গেছে।
সে অন্যসকল পশ্চিমা লিবারেল এক্টিভিষ্টের মতোই র্যান্ড কর্পোরেশনের অনুমোদিত শান্তিবাদি ইসলামের পক্ষে কথা বলে। অপরদিকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করা, বৈশ্বিক কুফফার জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সকল মুজাহিদকে টেরোরিস্ট বলা, মুজাহিদদেরকে প্রায় প্রতিটা ভিডিওতে উগ্র হিন্দুত্ববাদি জঙ্গিদের সাথে তুলনা করে সমানমাত্রার উগ্রবাদী বলে উপস্থাপন করে।
এখন কেউ হয়তো বলতে পারেন যে, সে এসব জানে না। কথা হচ্ছে সে একজন গবেষক। সব কিছু রিসার্চ করেই কথা বলে। এমনকি তার ভিডিওতে সে এমন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তথ্যও তুলে আনে যে, অন্যেরা হয়রান হয়ে যায় দেখে। সেখানে সারাবিশ্বে ঘটে চলা এমন মেজর বিষয়গুলো সে জানে না, এমন সুধারনা করতে আমি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশগুলোতে নাস্তিকতা এবং সমকামিতার মতো জঘন্য বিষয় রপ্তানি করা দেশ জার্মানীতে বাস করা, নাস্তিকতা এবং সমকামিতা প্রতিষ্ঠার পেছনে কাজ করা সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে'র সাথে মিলে কাজ করা স্বঘোষিত নাস্তিক ধ্রুব রাঠীর জন্য প্রস্তুত নই।
যাইহোক, দাজ্জালি বিশ্বব্যবস্থাকে মহান হিসেবে দেখানো, ন্যায় ও সাম্যের নামে লিবারেলিজমের প্রচার করা, সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যার নামে বিবর্তনবাদের প্রচার করা, ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মগ্রন্থের কাহিনীকে বিশেষ করে একেশ্বরবাদী ধর্ম ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের কাহিনীকে হিন্দু ধর্মের বানোয়াট কাহিনীর মতো উপস্থাপন করে ধ্রুব রাঠি মানুষকে দাজ্জালি ব্যবস্থার অনুগত বানানোর সুগভীর চক্রান্তে লিপ্ত আছে বলে মনে করি। তার মত এই ধরনের এক্টিভিষ্টদের ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা কাম্য।