Announcement

Collapse
No announcement yet.

অধঃপতিত জাতির অবাস্তব আশা || আমাদের বোধদয় হবে কবে !!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অধঃপতিত জাতির অবাস্তব আশা || আমাদের বোধদয় হবে কবে !!!

    অধঃপতিত জাতির অবাস্তব আশা




    পুরো বিশ্বে আজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে মুসলিম জাতি। সংখ্যায় কত বেশি; অথচ বীরত্বে ও শৌর্য-বীর্যে কত দুর্বল! উম্মাহর ক্ষুদ্র একটি দল তবুও নিজেদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে লড়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশগুলোর শাসকেরা সব নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে। শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে শহীদ হচ্ছে, তবুও সবাই চুপ। সদ্যভূমিষ্ট শিশু থেকে নিয়ে বালক, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ কেউই বাদ যাচ্ছে না। অসুস্থ থেকে নিয়ে অসহায় অবলা নারীরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। তবুও কারও ঘুম ভাঙছে না। সকলেই ব্যস্ত নিজেদের বিলাসিতার জীবন নিয়ে। শাসকশ্রেণীর পাশাপাশি জনগণের অধঃপতনও কম নয়। উম্মাহর এ সঙিন কালে তারা ব্যতিব্যস্ত খেলাধুলার আপডেট আর মুভি-সিনেমার গল্প নিয়ে।মূলত পঁচন ধরেছে একেবারে শেকড়ে, তাই আগায় পানি ঢেলে গাছ বাচানোর প্রচেষ্টা বৃথাই। এমন অধঃপতিত, উদাসীন আর কাপুরুষ উম্মাহ ইতিহাসে কখনো গত হয়নি। দিনে দিনে অনেক ঋণ জমেছে। এ ঋণ পরিশোধ হবে একমাত্র রক্ত দিয়ে। যত দেরি, দেনার পরিমাণ ততই বাড়বে। সন্দেহ নেই যে, এ জাতি যে রক্তিম পথ ধরে সম্মানিত হয়েছিল, তাদেরকে সে পথ ধরেই সম্মানের সিংহাসন উদ্ধার করতে হবে। এ ভিন্ন তাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই।

    স্বৈরাচারী কুফফার নেতৃত্বের পতন ও জায়নিস্ট ই.হু.দি.দের নিধনে অনেকে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, মু’তাসিম বিল্লাহ, এমনকি কেউ কেউ হিটলারের আগমন পর্যন্ত কামনা করে বসে আছে। অথচ এতে মুল সমস্যার কোনোই সমাধান হবে না। কেননা, যেখানে মুসলিমরা গভীর ঘুমে নিমজ্জিত এবং চরম উদাসীনতার চাদরে আচ্ছাদিত, সেখানে তাদের পক্ষ হয়ে লড়ে শত্রুদের নিধনে তাদের কী লাভ? তাদের ইমান-আকিদার সংশোধন কে করবে? তাদের ইবাদত-আমলের বৃদ্ধি কে ঘটাবে?? আর সোনালী অতীত স্মরণ করিয়ে তাদের হারানো শৌর্য-বীর্যই বা কে ফিরিয়ে আনবে??? অনেকে আবার অপেক্ষায় আছে আবাবিলের (ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের) আগমনের, যারা নুড়ি পাথর দিয়ে শত্রুদের ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে, এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত চিন্তা? আব্দুল মুত্তালিবের জামানায় তো বাইতুল্লাহর পক্ষে দাঁড়ানোর মতো জনবল ছিল না, কিন্তু আজকের যুগে দুই বিলিয়ন মুসলিমের অস্তিত্ব থাকতে আমরা কেন আকসার পক্ষে দাঁড়াতে পারছি না? কেন আমরা হারামাইনের মিম্বর থেকে প্রতিরোধের ডাক দিতে পারছি না?? কেন হাজার হাজার দারুল ইফতা থেকে জালিমদের বিরুদ্ধে ফতোয়া প্রকাশ করতে পারছি না???

    একটা বিষয় খুব ভালোভাবে অনুধাবন করা দরকার যে, বদরের যুদ্ধে আসমান থেকে ফেরেশতারা তখনই নেমে এসেছিল, যখন জমিনের বান্দারা নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিল। বস্তুত নিজেদের জান-মাল কুরবানির নজরানা পেশ না করে কেবল আসমানি সাহায্যের অপেক্ষায় বসে থাকা হলো অনেকটা পাত্র ছাড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহের আশায় বসে থাকার মতো। কোনো কিছু করার সামর্থ্য না থাকার কারণে বসে থাকা আর স্রেফ খালিদ-তারিক ও সালাহুদ্দিনদের অপেক্ষায় বসে থাকার মাঝে পার্থক্য আছে। প্রথম অবস্থায় চিন্তাগত সমস্যা নেই; বরং সেখানে ওজর আছে। সে ওজর গ্রহণযোগ্য কি-না, সেটা ভিন্ন আলোচনা। কিন্তু দ্বিতীয় অবস্থায় আমাদের চিন্তাতেই সমস্যা। প্রথমে আমাদের চিন্তাগত দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেটা দূর করার চেষ্টা করা উচিত। যদি দুর্বলতাই চিহ্নিত না হয় তাহলে সংশোধন কীভাবে হবে? মূল বিষয় হলো খালিদরা তো প্রতিটি যুগেই আসে, কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা চিনতে ভুল করি। অতীত ইতিহাস নিয়ে আমরা খুব গর্ব করি, কিন্তু সে অতীতকে ধারণ করে যারা লড়াই করে, তাদেরকেই আমরা টেরোরিস্ট বলে গালি দিই! তাহলে এ জাতি কীভাবে খালিদ-তারিকদের চিনবে? আর কীভাবেই-বা তাদের নেতৃত্বে লড়বে??

    আমাদের বোধদয় হবে কবে !!!


    গত কয়েক মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় যা ঘটছে, তা এককথায় অকল্পনীয়, অসহনীয় ও মানবতার সর্বোচ্চ লঙ্ঘন। ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং একই মঞ্চে শত শত লাশ দেখার পর না কাজে মন বসে, আর না ভালোভাবে খাবার খাওয়ার রুচি থাকে। চোখ বেয়ে কেবলই তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। কখনোবা সিজদায় গিয়ে, আর কখনোবা হাত তুলে মহান রবের শাহি দরবারে কেবল ফরিয়াদটুকুই জানানো হয়। নিজেকে এতটা অসহায় লাগে, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়! ডায়াপার পরিহিত কয়েক মাস বয়সী শিশুদের খণ্ডিত ও ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখে কারই-বা মাথা ঠিক থাকে! নিজেদের সন্তানদের কথা কল্পনা করলেও শরীর কেঁপে ওঠে। এরা কত আরামে ঘুম যায়, আর ওরা কতটা অসহায় অবস্থায় দিন কাটায়! আমরা রাতে পিঠ লাগাই নরম বিছানায়, আর তারা তপ্ত ইট-পাথরে ঘুমিয়ে রয়!! তবুও যেন আমাদের অভিযোগের অন্ত নেই!!! আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করুন এবং আমাদের অক্ষমতাকে প্রবল বিক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝায় পরিণত করুন।​ (আমীন)

    ✍️
    Collected‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬​

    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    আল্লাহ আপনি আমাদের ক্ষমা করুন আমিন। ভাইজান, যেই কথাগুলো বলেছেন তা সবই সত্যি। ভাই, আমরা এমন যে, শুধু বসে বসে ইসলামী রাষ্ট্র স্বপ্ন দেখি। তালিব কিন্তু বসে থাকেনি। আমরা ইসলাম বিরোধী জালিমদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিজেরা দরস তাদরিসে এভাবে বসে গিয়েছি, যে মনে হয় দরস তাদরিসই সব কিছু। মুসলিমরা যখন রাষ্ট্র হারায় তখন সব কিছুই হাত ছাড়া হয়ে যায়। এখন আমরা যা দেখছি এগুলো হচ্ছে আমাদের বসে থাকার ফল। সামনে আরো ভয়ংকর কিছু আসছে মনে হচ্ছে। নারী নেত্যৃত্ব আমরা মেনে নিয়েছি, সহ শিক্ষা মেনে নিয়েছি। এখন টান্সজেন্ডার গিলানো হচ্ছে। এখন আমাদের মেয়েরা কাফেরদের সাথে না জায়েজ সম্পর্ক করে। টিকটিক জাতী অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখন সবাই হিরো হতে চাই। এ-ই সব কিছুই হচ্ছে আমাদের উপর শ্বাসনের লাটি না থাকার ধরুন।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করুন এবং আমাদের অক্ষমতাকে প্রবল বিক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝায় পরিণত করুন।​ (আমীন)
      আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

      Comment


      • #4
        Originally posted by Hamjah Ibn Abdul Muttalib View Post
        আল্লাহ আপনি আমাদের ক্ষমা করুন আমিন। ভাইজান, যেই কথাগুলো বলেছেন তা সবই সত্যি। ভাই, আমরা এমন যে, শুধু বসে বসে ইসলামী রাষ্ট্র স্বপ্ন দেখি। তালিব কিন্তু বসে থাকেনি। আমরা ইসলাম বিরোধী জালিমদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিজেরা দরস তাদরিসে এভাবে বসে গিয়েছি, যে মনে হয় দরস তাদরিসই সব কিছু। মুসলিমরা যখন রাষ্ট্র হারায় তখন সব কিছুই হাত ছাড়া হয়ে যায়। এখন আমরা যা দেখছি এগুলো হচ্ছে আমাদের বসে থাকার ফল। সামনে আরো ভয়ংকর কিছু আসছে মনে হচ্ছে। নারী নেত্যৃত্ব আমরা মেনে নিয়েছি, সহ শিক্ষা মেনে নিয়েছি। এখন টান্সজেন্ডার গিলানো হচ্ছে। এখন আমাদের মেয়েরা কাফেরদের সাথে না জায়েজ সম্পর্ক করে। টিকটিক জাতী অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখন সবাই হিরো হতে চাই। এ-ই সব কিছুই হচ্ছে আমাদের উপর শ্বাসনের লাটি না থাকার ধরুন।
        আমাদের আজ্ঞতা আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক।ইসলাম কোন ভূখণ্ডে শক্তির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পায়।
        হাঁতে গোনা - নিতান্ত নিজষ্য প্রযুক্তি আর এক আল্লাহর ভরসায় জীবন বাজি রাখা উম্মাহর কিছু সন্তান শয়তানি দুনিয়ার সর্বস্ব প্রকাশ করে দিয়েছে। শয়তানের শক্তি আর ষড়যন্ত্র নিতান্তই মাকড়শার জাল তুল্য। আরব রাষ্ট্র গুলো তাঁদের বন্দর গুলো মুসলমানদের হত্যাকারীদের জন্যে অস্ত্র এবং রসদ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষে খুলে দিয়েছে। আরব রাষ্ট্র গুলো তাঁদের যার যার সামর্থ অনুযায়ী মুস্লিমদের প্রতিরোধ শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্ঠা করছে। মুসলমানদের গণহত্যায় সামিল হচ্ছে। ইসলাম পূর্ব আরব মনষ্য সমাজের লজ্জা।নেশাগ্রস্ত শাসক শ্রেণী নিকৃষ্ঠতার চূড়ান্ত পর্যায়ে তাঁদের অধিনস্ত জনগণ কে নিয়ে যাবার চেষ্ঠা করছে।

        ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য শক্তিতে বিশ্বাস এবং ভরসা মুশরিকদের ফিতরাত।বিশ্বাস এবং ভরসার এ পর্যায়ে আসার আগে , আল্লাহ আর আল্লাহর রাসুলকে অস্বীকার করতে হয়। একই সাথে আল্লাহ কে আল্লাহর জাত আর সিফতের সাথে মান্য করে আল্লাহর দুশমনের সহায়তা করা অসম্ভব।​​
        আস্তাগফিরুল্লাহ

        Comment

        Working...
        X