Announcement

Collapse
No announcement yet.

Interfaith (আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাস): এক ভয়াবহ ঈমান বিধ্বংসী ফিতনা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Interfaith (আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাস): এক ভয়াবহ ঈমান বিধ্বংসী ফিতনা

    Interfaith (আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাস): এক ভয়াবহ ঈমান বিধ্বংসী ফিতনা

    শাব্দিক অর্থে ইন্টারফেইথ (Interfaith)মানে হচ্ছে আন্তঃবিশ্বাস বা আন্তঃধর্ম বা আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাসইন্টারফেইথ এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল ধর্মকে সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা ইন্টারফেইথ মূল বক্তব্য হচ্ছে সকল ধর্মই সমান, কোন ধর্মই অপর কোন ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ নয় সকল ধর্মই সত্য , সকল ধর্মই ভাল কথা বলে, সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে ইন্টারফেইথ এর মিশন হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর পার্থক্য মুছে দেওয়া
    মূলত ইন্টারফেইথ হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মের পারস্পারিক সম্পর্ক কেমন হবে তার রূপরেখা যা সম্মিলিত অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিশেষ করে ইহুদী, খ্রিষ্টান এবং হিন্দুদের নেতৃত্বে প্রণীত হচ্ছে। এটি ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের (Secularism) এর একটি বিষাক্ত প্রজেক্ট

    ইন্টারফেইথ (Interfaith) যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেঃ বাহ্যিক দিক দিয়ে ইন্টারফেইথ (Interfaith) এর প্রবক্তারা সাধারণত নিম্নোক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

    ১. আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা ইন্টারফেইথ ডায়ালগ (Interfaith Dialogue ) এর মাধ্যমে
    ২. আন্তঃধর্মভিত্তিক কর্ম (Interfaith-based Action) এর মাধ্যমে যেমন - আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা
    . আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি (Interfaith Harmony)
    . আন্তঃধর্মীয় ঐক্য/মৈত্রী/জোট (Interfaith Alliance)

    এই ইন্টারফেইথ (Interfaith)বা আন্তঃবিশ্বাস বা আন্তঃধর্ম বা আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাস বিষয়ে আলোচনার পূর্বে দেখতে হবে অন্যান্য ধর্ম/দ্বীন সম্পর্কে ইসলাম আমাদেরকে কি ধারণা পোষণ করতে বলে। তাই প্রথমে দেখা যাক অন্যান্য দ্বীন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে।

    অন্যান্য ধর্ম সর্ম্পকে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিঃ

    অন্যান্য ধর্ম সর্ম্পকে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ইসলাম ছাড়া বাকী সকল ধর্ম মিথ্যা বা বাতিল। কেউ মুসলিম হতে চাইলে তাকে অবশ্যই এই ঘোষণা দিতে হবে যে, ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম বাকী সকল ধর্ম মিথ্যা। শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মালম্বী তথা মুসলিমরাই জান্নাতে যাবে বাকী সকল ধর্মালম্বী তথা ইয়াহুদী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান তথা সম্মিলিত কাফের সম্প্রদায় জাহান্নামে যাবেমিজানের পাল্লায় শুধুমাত্র ঈমানদার তথা ইসলাম ধর্মালম্বীদের আমল পরিমাপ করা হবে। আর সম্মিলিত কাফের সম্প্রদায়কে বিনা হিসেবে জাহান্নামে ফেলে দেওয়া হবে।

    আল্লাহ তাআলা বলেন, إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ
    “ নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বীন শুধু ইসলাম’’ (৩:১৯)।

    আল্লাহ তাআলা আরোও বলেন, وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
    “ যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কোনোকালেই তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত’’ (৩:৮৫)।

    মুসলিমদের প্রতি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের দৃষ্টিভঙ্গিঃ

    অন্যান্য ধর্ম সর্ম্পকে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিকিতাআমরাসংক্ষেপেজানলামএবারআমরাজানবমুসলিমদেরপ্রতিঅন্যান্যধর্মাবলম্বীদেরদৃ ষ্টিভঙ্গিকিবাকেমন
    মুসলিমদের প্রতি অন্যান্যধর্মাবলম্বীদেরদৃষ্টিভঙ্গিঅত্যন্ত ভয়াবহ মুসলিমদের প্রতি তারা কিয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা চালিয়ে যাবে মুসলিমদেরকে ঈমান হারা করার আগ পর্যন্ত তারা (কাফির-মুশরিকরা) মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই থাকবে, নির্যাতন করতেই থাকবেমুসলিমরা যতই সম্প্রীতি দেখাকনা কেন বা যতই সহনশীলতা দেখাকনা কেন। এর সবচাইতে বড় উদাহরণ হচ্ছেন হুজুর আকরাম () হুজুর আকরাম ()এর চেয়ে উত্তম আখলাকের কোন মানুষ কি পৃথিবীতে এসেছে বা আসবে ? সেই খুলুকিন আজিম মক্কার মুশরিকদেরকে শুধুমাত্র ইসলামের দিকে আহ্বান করেছিলেন, কাউকে বাধ্য করেননি। আর সেই আহ্বানে সাড়া দেয়ার কারণে মুশরিকরা সুমাইয়্যা (রাঃ) কে শহীদ করে দেয় এবং বেলালা (রাঃ) সহ অসংখ্য সাহাবীকে অমানুষিক নির্যাতন করে

    আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلاَ يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّىَ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا
    “ তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই থাকবে, যতক্ষণ না তারা তোমাদের দ্বীন থেকে তোমাদের ফেরাতে পারে- যদি তারা তা করতে সক্ষম হয় (২:২১৭)

    আল্লাহ তাআলা আরোও বলেন, وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَن يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
    আর তারা (কাফেররা) তাদেরকে (মুসলিমদেরকে) নির্যাতন করেছিল শুধুমাত্র এ কারণে যে, তারা মহাপরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।” (৮৫:৮)

    অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে মুসলিমদের সর্ম্পক কেমন হবেঃ

    এবার আসুন দেখি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক কেমন হবে ?
    একজন মুসলিম হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলার গোলাম বা দাস একজন দাস কখনই নিজের ইচ্ছায় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা তাকে অবশ্যই তার মালিকের প্রদত্ত বিধি-বিধানের আলোকে সকল সিদ্ধান্ত নিতে হয়কাজেই অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে মুসলিমদের সর্ম্পক কেমন হবে অর্থাৎ কাফির-মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের হবে নাকি শত্রুতার হবে তা নির্ভর করবে আল্লাহ তাআলার নাজিলকৃত শরীয়ার বিধি-বিধানের উপর, নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনার উপর নয় আসুন দেখি এসম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কি নির্দেশ দিয়েছেন


    কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
    “ যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদের আপনি আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধচারণকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না’’ (সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ৫৮:২২)।

    আল্লাহ তাআলা আরোও ঘোষণা করেছেন,
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاء بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ
    “ হে মুমিনগণ, তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অন্যের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অর্ন্তভুক্ত’’( ৫:৫১)।

    لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ
    “ মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।” (৩:২৮)

    تَرَى كَثِيراً مِّنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ أَنفُسُهُمْ أَن سَخِطَ اللّهُ عَلَيْهِمْ وَفِي الْعَذَابِ هُمْ خَالِدُونَ وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِالله والنَّبِيِّ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاء وَلَـكِنَّ كَثِيراً مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ
    “ আপনি তাদের অনেককে দেখবেন, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা নিজেদের জন্য যা পাঠিয়েছে তা অবশ্যই মন্দ। তা এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা চিরকাল আযাবে থাকবে। যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার।” ( ৫:৮০-৮১)

    مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ
    মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের প্রতি পরস্পর সহানুভূতিশীল” (৪৮:২৯)

    অন্যান্য ধর্ম এবংধর্মাবলম্বী সর্ম্পকে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মুসলিমদেরপ্রতিঅন্যান্যধর্মাবলম্বীদেরদৃষ্টিভঙ্গিসহ এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এটা সুস্পষ্ট যে ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের বা মুসলিমদের সাথে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের নয় বরং চরম শত্রুতার, সম্প্রীতির নয় বরং চরম বৈরীতার। তাওহীদের সাথে শিরকের এবং ঈমানের সাথে কুফরের সম্প্রীতি বা বন্ধুত্ব হতে পারে নাইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আল্লাহ তাআলার জমিনে কাফির-মুশরিকরা নির্ধারিত জিজিয়া প্রদানপূর্বক বসবাস করতে পারবে। তাদেরকে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করা যাবে না। তবে তারা ইসলামী আইন-শাসন মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। কোন ধরণের রাজনৈতিক অধিকার তারা পাবে না। আল্লাহ তে অবিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও, আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করা সত্ত্বেও রাহমানুর রাহিম রাব্বুল আলামিন কাফির-মুশরিকদেরকে তাঁর জমিনে থাকার অনুমতি দিয়েছেন, তবে তা অবশ্যই অত্যন্ত জিল্লতির সাথে। কোন ধরণের মর্যাদা তারা পাবে না। কারণ তারা মালিকের বিদ্রোহী। রাষ্ট্রের বিদ্রোহী হলে অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহী হলে যদি রাষ্ট্রদ্রোহীর রাষ্ট্রে কোন মর্যাদা না থাকে তাহলে সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিকের বিদ্রোহী হলে তার মর্যাদা কেমন করে থাকতে পারে ?

    সুতরাং সম্মানিত পাঠক বুঝতেই পারছেন ইন্টারফেইথ (Interfaith)বা আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাস কতবড় ঈমান বিধ্বংসী বিষয় ! একজনমুসলিমের আকিদা যেখানে ইসলাম ছাড়া বাকী সকল ধর্ম মিথ্যা, মুসলিম ছাড়া বাকী সকল ধর্মাবলম্বী জাহান্নামী, মুসলিমদের সাথে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের, তাওহীদের সাথে শিরকের এবং ঈমানের সাথে কুফরেরসম্পর্ক বন্ধুত্বের নয় বরং চরম শত্রুতার, সম্প্রীতির নয় বরং চরম বৈরীতারসেখানে সকল ধর্মই সমান, কোন ধর্মই অপর কোন ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ নয়, সকল ধর্মই সত্য , সকল ধর্মই ভাল কথা বলে, সকল ধর্মই শান্তির কথা বলেএমন ধরণের ইন্টারফেইথ (Interfaith)বা আন্তঃধর্মীয় কুফরী আকিদা কি কোন মুসলিম পোষণ করতে পারে ?

    ইন্টারফেইথ নামক গ্রন্থে ইন্টারফেইথ (Interfaith)এর কুফরী সংক্রান্ত ১০ (দশ) টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা নিম্নরূপঃ

    ০১. ইন্টারফেইথ (Interfaith)আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন ইসলাম’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক
    ০২. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘কুফরের প্রতি সন্তুষ্টি কুফর’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৩. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘ইসলাম সকল ধর্মকে মানসুখ/রহিত করে দিয়েছে’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৪. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘আহলে কিতাব নিজেদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত করে ফেলেছে’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৫. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘ ইসলাম ছাড়া ভিন্না ধর্ম ও মতবাদের অনুসারীরা কাফির’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৬. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘একজন কাফির আল্লাহ, তাঁর রাসুল, ও ইসলাম শত্রু’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৭. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘কাফিররা জন্তু-জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৮. ইন্টারফেইথ (Interfaith)মুমিনরা সৃষ্টির সেরা ও সম্মানিতএই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।
    ০৯. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘মুমিনরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এর বন্ধু এবং পরস্পরের বন্ধু ও ভাই ভাই’ এই উসুলের
    সাথে সাংঘর্ষিক।

    ১০. ইন্টারফেইথ (Interfaith)‘আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা’ এই উসুলের সাথে সাংঘর্ষিক।

    পরিশেষে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা Interfaith Dialogue সম্পর্কে কিছু কথা বলে নিবন্ধের ইতি টানছি।

    আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা Interfaith Dialogue:
    উইকিপিডিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের (Interfaith Dialogue) এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবে –
    “ আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বলতে ব্যাক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় স্তরেই বিভিন্ন ধর্মীয় ঐতিহ্যের (যেমন বিশ্বাস) এবং/অথবা আধ্যাত্মিক বা মানবতাবাদী বিশ্বাসের মধ্যে সহযোগীতামূলক, গঠনমূলক এবং ইতিবাচক মিথস্ক্রিয়কে বুঝায়।”
    ইন্টারফেইথ ওয়ালারা মূলত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা Interfaith Dialogue এর মাধ্যমেই তাদের ধোঁকার জাল বিস্তার করে। একজন মুসলিমের কাছে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ হচ্ছে তাওহীদ বনাম শিরকের সংলাপ, ঈমান বনাম কুফরের সংলাপ ইসলামে আন্তঃধর্মীয় বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সংলাপের অর্থ হচ্ছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়া বা আহ্বান করা আর ইসলামে এই ধরণের সংলাপ শুধু অনুমোদিতই নয় বরং উৎসাহিতও।
    আল্লাহ তাআলা বলেন, “ হে নবী, জ্ঞানের কথা ও উপদেশ দিয়ে উত্তমরূপে আপনার পালনকর্তার পথে ডাকুন, আর তাদের সঙ্গে বিতর্ক করুন সুন্দরতম পন্থায়।” (সূরা ফুসসিলাতঃ আয়াত-৩৩)
    এ ধরণের সংলাপের এজেন্ডা/বিষয়বস্তু/আলোচ্য বিষয় থাকবে একটাই, আর তা হচ্ছে সত্য ধর্ম ইসলামের দিকে আহ্বান।

    কিন্তু ইন্টারফেইথ ডায়ালগ বা আন্তঃধর্মীয় সংলাপগুলো কি নিয়ে হয় ?
    এখানে কি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়াবা আহ্বান করা বিষয়ক এজেন্ডা থাকে ? নাকি
    সকল ধর্মই সমান কোন ধর্মই অপর কোন ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ নয়, সকল ধর্মই সত্য , সকল ধর্মই ভাল কথা বলে, সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে এ ধরণের এজেন্ডা থাকে ?
    সুতরাং বুঝতেই পারছেন এদের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা Interfaith Dialogue হচ্ছে মূলত তাওহীদ ও শিরকের এবং ঈমান ও কুফরের সীমানা মুছে দেওয়ার সংলাপ। হক এবং বাতিল দ্বীন/ধর্ম একত্র করার সংলাপ

    আল্লাহ তাআলা এই নব্য ঈমান বিধ্বংসী ফিতনা থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন। আমিন।


    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 08-09-2024, 02:42 PM.
    এসো জিহাদ শিখি
Working...
X