মসজিদ-মাদ্রাসা-দ্বীনের উপর আঘাত
একেই বলে দারুল হারব
একেই বলে দারুল হারব
হিন্দুস্তান দারুল হারব হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহ. বলেছেন,
“এখানে নাসারা কাফেরদের বিধান কী পরিমাণ জোর এবং দাপটের সাথে চলছে!! যদি সাধারণ কোন কালেক্টরও হুকুম জারি করে যে, ‘মসজিদে জামাত করতে পারবে না’ তাহলে বিশিষ্ট-সাধারণ কারোই এ সামর্থ্য নেই যে, জামাত আদায় করবে। আর জুমআ, ঈদ এবং শরীয়তের আরো কিছু বুনিয়াদী বিষয়ের উপর আমল যা এখানে হচ্ছে, তা কেবল তাদের এই আইনের কারণে যে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজ ধর্মের ব্যাপারে স্বাধীন। এ ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই’।”
আমাদের এ দেশে এর কোন কারণটা নেই?
আমরা দ্বীনের যতটুকু পালন করতে পারছি, তা মূলত ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়; এ হিসেবে যে, সরকার নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে এবং প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীকে আপন ধর্মের এমন কিছু রীতিনীতি পালনের সুযোগ দিয়ে রেখেছে, যেগুলো রাষ্ট্রের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। এ হিসেবেই মূলত আমরা কিছু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারছি একান্ত ব্যক্তিগত পরিসরে।
অন্যথায়, তারা ক’দিন পর পর মসজিদ ভেঙে দিচ্ছে। কই, আমরা তো মসজিদ রক্ষা করতে পারছি না।
মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো রক্ষা করতে পারছি না।
করোনার অজুহাতে মসজিদে জুমা জামাত প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা তো ফেরাতে পারলাম না।
এভাবে তারা যখন চাইছে মসজিদ বন্ধ করছে, ভাঙছে; মাদ্রাসা বন্ধ করছে, ভাঙছে; মাহফিলগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে, আলেম উলামাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে কোণঠাসা করছে; দ্বীন বিরোধী নতুন নতুন ইস্যু গ্রহণ করছে। কিন্তু কই, আমরা তো ফেরাতে পারছি না।
আমাদের দশা ইংরেজ আমলের চেয়েও শোচনীয়। তখন তো ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু এখন কিছুই নেই। একেই বলে দারুল হারব।
আর দ্বীনেরই বা কতটুকু পালন করতে পারছি? একটু লক্ষ করুন-
১. নামায ফরয। অস্বীকারকারী কাফের। না পড়লে ফাসেক। শাস্তি দিতে হবে। নামাযে বাধ্য করতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
২. যাকাত ফরয। অস্বীকারকারী কাফের। না দিলে ফাসেক। জোর করে হলেও আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৩. সাওম ফরয। অস্বীকারকারী কাফের। না রাখলে ফাসেক। জোর করে হলেও রাখাতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধ করে হলেও। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৪. জিহাদ ফরয। অস্বীকারকারী কাফের। জিহাদ-ই’দাদ সর্বদা জারি রাখতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৫. মদ হারাম। অস্বীকারকারী কাফের। পানকারীর উপর হদ আরোপ করতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৬. যিনা হারাম। অস্বীকারকারী কাফের। যিনাকারের উপর হদ (দোররা বা রজম) কায়েম করতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৭. পর্দা ফরয। অস্বীকারকারী কাফের। বেপর্দায় চলতে পারবে না। চলতে শাস্তি দিয়ে হলেও বিরত রাখতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৮. সুদ হারাম। অস্বীকারকারী কাফের। যুদ্ধ করে হলেও বন্ধ করতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
৯. কাফেরের জান মাল হালাল। থাকতে হলে যিম্মার চুক্তিতে থাকতে হবে। জিযিয়া দিতে হবে। -কিন্তু হচ্ছে কি?
১০. কাফেরের আচার-অনুষ্ঠান প্রকাশ্যে করতে পারবে না। নতুন কোনো গীর্জা মন্দির বানাতে পারবে না। -কিন্তু হচ্ছে কি?
সবগুলোই তো না, না। তাহলে হচ্ছে কি? তাহলে আমরা কি পালন করতে পারছি? এরপরও যারা বলেন, জিহাদের দরকার নেই; একটু ভাবা উচিৎ।
Comment