ইসলাম বিদ্বেষী মুরতাদ সরকার
আসসালামু আলাইকুম
না পারলে ঘরে ফিরে যান। খানকায় গিয়ে জিকিরে লেগে যান। মারকাযে গিয়ে ৬ নম্বর মশক করুন। মাদরাসায় গিয়ে মুতালাআ করুন, দারস দিন। পার্টি অফিসে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করুন। আর যদি ময়দানে থাকতে চান তাহলে যে সকল আকাবিরের নাম বিক্রি করে চলেন অর্থাৎ শাহ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী (র) এর মত থকেন। সৈয়দ আহমদ শহীদ(র) এর মত থাকেন। সোনালী অতীতের কিচ্ছায় পেট ভরবে না। বাপ-দাদা আর আকাবিররা অনেক কিছু করেছেন। আমরা কি করেছি/করছি ? আকাবির সৈয়দ নিসার আলী তীতুমীর, হাজী শরীয়ত উল্লাহ ফরায়েজী, শাহ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী, সৈয়দ আহমদ শহীদ, হাজী ইমদাদ উল্লাহ মুহাজিরে মাক্কী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী আর কাসেম নানুতুবী রা তো টানা ১০০ বছর অসম শক্তির প্রতিপক্ষের (ব্রিটিশ রাজ) বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জিহাদের ফতোয়া দিয়েছেন, শরীয়ার সুস্পষ্ট বিধান/বক্তব্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামনে পেশ করে তাদের করণীয় বুঝিয়ে দিয়ে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেছেন।
আমরা কি করছি? একটি স্বঘোষিত রাম-বামপন্থী, নাস্তিক্যবাদী (ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, সমাজতন্ত্র তাদের মূলনীতি আর হিন্দুত্ববাদী ভারত তাদের স্বামী এটা তারা হাজারওবার লিখিত ও মৌখিক ঘোষণা দিয়েছে) আজন্ম কট্টর ইসলাম বিরুধী একটা দল যারা –
• দীর্ঘ এক যুগ যাবত ৯০% মুসলিমের দেশে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।
• জঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে ক্রসফায়ারের নামে দিনে দুপুরে যত্রতত্র মুসলিম যুবক/তালিবে ইলমদেরকে হত্যা করছে।
• ৫৭ জন মুসলিম সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহ নাম দিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা দিয়ে হত্যা করিয়েছে।
• প্রশাসনের অনুমতির নামে ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন ইসলামী সম্মেলন বন্ধ করে দিচ্ছে।
• দেশের হাজার হাজার আলেম-উলামাকে শত শত মিথ্যা মামলায় হয়রানী করছে।
• শিক্ষানীতির নামে মুসলমানের দেশে ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে মুসলমানের সন্তানদেরকে ধর্মহীন নাস্তিক বানাচ্ছে।
• রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে গুম-খুনের নাৎসি বাহিনীতে পরিণত করেছে।
• মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর শানে কটুক্তিকারী স্বঘোষিত নাস্তিকদেরকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে। আর নবী প্রেমিক উম্মাতে মুহাম্মাদীকে রাজপথে গুলি করছে, লাঠিপেটা করছে, জেলে পুরছে, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করছে।
• রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ইসলামী কিতাব সিজ করে জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় প্রচার করে মহান আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে চরম অপমান করেছে।
• ওয়াজ মাহফিল আর জুমার খুতবায় উলামায়ে কেরামের মুখ সেলাই করে দিয়েছে আর মুখ খুললেই গালাগালি করছে আর হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
• পহেলা বৈশাখের নামে রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি চালু করেছে।
• স্বঘোষিত রাম-বামপন্থী, নাস্তিক্যবাদীদেরকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
• ইসলাম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক হিন্দুদেরকে রাষ্ট্রের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করে ক্ষমতার চাবিকাঠি ওদের হাতে তুলে দিয়েছে।
• মূর্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় উলামায়ে কেরামকে গালি দিচ্ছে, হুমকী-ধমকী দিচ্ছে, মামলা-হামলা করছে।
আওয়ামী লীগ জন্ম থেকেই একটি ইসলাম বিদ্বেষী রাজনৈতিক দল। আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও যাত্রা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে ইসলাম বিরোধী কুফরী ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহন করে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসেই তারা -
১। ইসলাম বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুযায়ী সংবিধান রচনা করে।
২। রাব্বী জিদনী ইলমা খচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গেইট ভেঙ্গে ফেলে
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের লগো থেকে পবিত্র কুআনের প্রতিকৃতির পরিবর্তে মঙ্গল প্রদীপের প্রতিকৃতি প্রতিস্থাপন করে।
৪। জাহাঙ্গীর নগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে দেয়।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে দেয়।
২য় বার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই তারা তাদের চিরচেনা সেই ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ আরম্ভ করে দেয়।
১। হাইকোর্ট কর্তৃক ফতোয়া বিরোধী ইসলাম বিদ্বেষী রায়ের প্রতিবাদে উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে এই আওয়ামী সরকারের নির্দেশে পুলিশ-বিডিআর এর গুলিতে ৯ জন হাফেয শাহাদাত বরণ করে।
২। দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী আলেমে দ্বীন শাইখুল হাদিস আল্লামা আযিযুল হক (র) ও আল্লামা মুফতি ফজলুল হক আমিনী (র) কে কারাগারে নিক্ষেপ করে।
এরপর মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের কাঁধে ভর করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে এই ইসলাম বিদ্বেষী ভারতপন্থী সরকার ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে তার চূড়ান্ত আক্রমনের নীল নকশা তৈরী করে-
১। প্রথমেই তারা তাদের পথের কাঁটা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে চিরতরে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় বিডিআরে কর্মরত ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহ নাম দিয়ে হত্যা করে।
২। এরপর থেকে যেই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে সেই গুম হয়েছে না হয় খুন হয়েছে না হয় সাজানো মিথ্যা মামলায় জেলে গেছে।
৩। ধর্মদ্রোহীদের মদদদাতা এই সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই নাস্তিক পাড়ায় উৎসব শুরু হয়ে যায়। এরা প্রকাশ্যে ব্লগ খুলে আল্লাহ তাআলার শানে, হুজুর আকরাম (সা) এর শানে, ইসলামের শানে মারাত্মক কটূক্তি করতে থাকে। আর এই ইসলাম বিরোধী সরকার পর্দার আড়াল থেকে এই নাস্তিক-মুরতাদদেরকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতা দিতে থাকে।
৪। ঢাকার শাহবাগের মত গুরুত্বপূর্ণ জন চলাচলের এবং দেশের বৃহৎ দুটি হাসপাতালের সংযোগস্থলে একাধারে ২ মাস এই নাস্তিক লম্পটদেরকে সম্পূর্ণ সরকারী পৃষ্টপোষকতায় জমায়েত করে থাকতে দেয়া হয়। আর এই সুযোগে এরা প্রকাশ্যে হুজুর আকরাম (সা), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম অবমাননাকর বিষোদয়াগার করার দুঃসাহস পায়।
৫। দেশের নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই সকল নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলে এই রাম-বামপন্থী সরকার ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে র কালো রাতে নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতার উপর ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক গণহত্যার কালো অধ্যায় রচনা করে।
৬। সর্বশেষ শেখ মুজিবের মূর্তির ইস্যুতেও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মূর্তির পক্ষ নিয়েছে এবং এই ইস্যুতে উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসলমানদেরকে গালি দিচ্ছে, হুমকী-ধমকী দিচ্ছে, মামলা-হামলা করছে।
এমতাবস্থায় আমাদের করনীয় কি ? আমাদের করনীয় হচ্ছে -
# আওয়ামী লীগকে কুফরী সংগঠন
# আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক নেতাদেরকে, এদের পক্ষের বুদ্ধিজীবি আর মিডিয়া কর্মী/সাংবাদিকদেরকে এবং যে সকল নেতা-কর্মী উলামায়ে কেরামকে গালি দিয়েছে তাদেরকে সরাসরি মুরতাদ ঘোষণা
# আর আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীদেরকে শর্ত সাপেক্ষে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে (যাতে করে যারা তাওবা করে ফিরে আসতে চায় তারা যেন ফিরে আসতে পারে)
ফতোয়া প্রদান করতে হবে।
যে সকল কথা বা কাজ করলে মুসলমান থাকা যায় না অর্থাৎ ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায় সে বিষয়গুলো জনগণের সামনে পরিস্কারভাবে তুলে ধরতে হবে।
শুধু নাম মুজিব, হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ, ওবায়দুল কাদের, হানিফ, ফজলে নূর, বেনজীর, হাসানুল হক বা নওফেল বা আল নাহিয়ান বা তাসলিমা বা শাহরিয়ার বা রাশেদ বা আসিফ মহিউদ্দিন বা আসাদ নূর বা রাজীব হায়দার বা সামসুর রহমান বা হুমায়ুন আজাদ হলেই মুসলমান হওয়া যায় না এটা দেশের মুসলমানদেরকে পরিস্কারভাবে বুঝাতে হবে।
সবশেষে আবারো বলছি আওয়ামী লীগ যে কাফেরদের/কুফরী সংগঠন তা শুধুমাত্র নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন। এজন্য মুফতি হওয়া জরুরী না।
# কুফরী ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ হচ্ছে তাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
# মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর শানে কটুক্তিকারী স্বঘোষিত নাস্তিকদেরকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে। আর নবী প্রেমিক উম্মাতে মুহাম্মাদীকে রাজপথে গুলি করছে, লাঠিপেটা করছে, জেলে পুরছে, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করছে।
# শেখ মুজিবের মূর্তির ইস্যুতেও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মূর্তির পক্ষ নিয়েছে এবং এই ইস্যুতে উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসলমানদেরকে গালি দিচ্ছে, হুমকী-ধমকী দিচ্ছে, মামলা-হামলা করছে।
# রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ইসলামী কিতাব সিজ করে জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় প্রচার করে মহান আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে চরম অপমান করেছে।
# জঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে ক্রসফায়ারের নামে দিনে দুপুরে যত্রতত্র মুসলিম যুবক/তালিবে ইলমদেরকে হত্যা করছে।
# প্রশাসনের অনুমতির নামে ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন ইসলামী সম্মেলন বন্ধ করে দিচ্ছে।
# মালাউন হিন্দুরা যেখানে দেশে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে সেখানে মুসলমানরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জাগ্রত করে দিন। আমিন।
আসসালামু আলাইকুম
না পারলে ঘরে ফিরে যান। খানকায় গিয়ে জিকিরে লেগে যান। মারকাযে গিয়ে ৬ নম্বর মশক করুন। মাদরাসায় গিয়ে মুতালাআ করুন, দারস দিন। পার্টি অফিসে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করুন। আর যদি ময়দানে থাকতে চান তাহলে যে সকল আকাবিরের নাম বিক্রি করে চলেন অর্থাৎ শাহ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী (র) এর মত থকেন। সৈয়দ আহমদ শহীদ(র) এর মত থাকেন। সোনালী অতীতের কিচ্ছায় পেট ভরবে না। বাপ-দাদা আর আকাবিররা অনেক কিছু করেছেন। আমরা কি করেছি/করছি ? আকাবির সৈয়দ নিসার আলী তীতুমীর, হাজী শরীয়ত উল্লাহ ফরায়েজী, শাহ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী, সৈয়দ আহমদ শহীদ, হাজী ইমদাদ উল্লাহ মুহাজিরে মাক্কী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী আর কাসেম নানুতুবী রা তো টানা ১০০ বছর অসম শক্তির প্রতিপক্ষের (ব্রিটিশ রাজ) বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জিহাদের ফতোয়া দিয়েছেন, শরীয়ার সুস্পষ্ট বিধান/বক্তব্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামনে পেশ করে তাদের করণীয় বুঝিয়ে দিয়ে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেছেন।
আমরা কি করছি? একটি স্বঘোষিত রাম-বামপন্থী, নাস্তিক্যবাদী (ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, সমাজতন্ত্র তাদের মূলনীতি আর হিন্দুত্ববাদী ভারত তাদের স্বামী এটা তারা হাজারওবার লিখিত ও মৌখিক ঘোষণা দিয়েছে) আজন্ম কট্টর ইসলাম বিরুধী একটা দল যারা –
• দীর্ঘ এক যুগ যাবত ৯০% মুসলিমের দেশে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।
• জঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে ক্রসফায়ারের নামে দিনে দুপুরে যত্রতত্র মুসলিম যুবক/তালিবে ইলমদেরকে হত্যা করছে।
• ৫৭ জন মুসলিম সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহ নাম দিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা দিয়ে হত্যা করিয়েছে।
• প্রশাসনের অনুমতির নামে ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন ইসলামী সম্মেলন বন্ধ করে দিচ্ছে।
• দেশের হাজার হাজার আলেম-উলামাকে শত শত মিথ্যা মামলায় হয়রানী করছে।
• শিক্ষানীতির নামে মুসলমানের দেশে ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে মুসলমানের সন্তানদেরকে ধর্মহীন নাস্তিক বানাচ্ছে।
• রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে গুম-খুনের নাৎসি বাহিনীতে পরিণত করেছে।
• মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর শানে কটুক্তিকারী স্বঘোষিত নাস্তিকদেরকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে। আর নবী প্রেমিক উম্মাতে মুহাম্মাদীকে রাজপথে গুলি করছে, লাঠিপেটা করছে, জেলে পুরছে, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করছে।
• রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ইসলামী কিতাব সিজ করে জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় প্রচার করে মহান আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে চরম অপমান করেছে।
• ওয়াজ মাহফিল আর জুমার খুতবায় উলামায়ে কেরামের মুখ সেলাই করে দিয়েছে আর মুখ খুললেই গালাগালি করছে আর হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
• পহেলা বৈশাখের নামে রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি চালু করেছে।
• স্বঘোষিত রাম-বামপন্থী, নাস্তিক্যবাদীদেরকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
• ইসলাম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক হিন্দুদেরকে রাষ্ট্রের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করে ক্ষমতার চাবিকাঠি ওদের হাতে তুলে দিয়েছে।
• মূর্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় উলামায়ে কেরামকে গালি দিচ্ছে, হুমকী-ধমকী দিচ্ছে, মামলা-হামলা করছে।
আওয়ামী লীগ জন্ম থেকেই একটি ইসলাম বিদ্বেষী রাজনৈতিক দল। আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও যাত্রা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে ইসলাম বিরোধী কুফরী ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহন করে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসেই তারা -
১। ইসলাম বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুযায়ী সংবিধান রচনা করে।
২। রাব্বী জিদনী ইলমা খচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গেইট ভেঙ্গে ফেলে
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের লগো থেকে পবিত্র কুআনের প্রতিকৃতির পরিবর্তে মঙ্গল প্রদীপের প্রতিকৃতি প্রতিস্থাপন করে।
৪। জাহাঙ্গীর নগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে দেয়।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে দেয়।
২য় বার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই তারা তাদের চিরচেনা সেই ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ আরম্ভ করে দেয়।
১। হাইকোর্ট কর্তৃক ফতোয়া বিরোধী ইসলাম বিদ্বেষী রায়ের প্রতিবাদে উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে এই আওয়ামী সরকারের নির্দেশে পুলিশ-বিডিআর এর গুলিতে ৯ জন হাফেয শাহাদাত বরণ করে।
২। দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী আলেমে দ্বীন শাইখুল হাদিস আল্লামা আযিযুল হক (র) ও আল্লামা মুফতি ফজলুল হক আমিনী (র) কে কারাগারে নিক্ষেপ করে।
এরপর মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের কাঁধে ভর করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে এই ইসলাম বিদ্বেষী ভারতপন্থী সরকার ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে তার চূড়ান্ত আক্রমনের নীল নকশা তৈরী করে-
১। প্রথমেই তারা তাদের পথের কাঁটা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে চিরতরে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় বিডিআরে কর্মরত ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহ নাম দিয়ে হত্যা করে।
২। এরপর থেকে যেই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে সেই গুম হয়েছে না হয় খুন হয়েছে না হয় সাজানো মিথ্যা মামলায় জেলে গেছে।
৩। ধর্মদ্রোহীদের মদদদাতা এই সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই নাস্তিক পাড়ায় উৎসব শুরু হয়ে যায়। এরা প্রকাশ্যে ব্লগ খুলে আল্লাহ তাআলার শানে, হুজুর আকরাম (সা) এর শানে, ইসলামের শানে মারাত্মক কটূক্তি করতে থাকে। আর এই ইসলাম বিরোধী সরকার পর্দার আড়াল থেকে এই নাস্তিক-মুরতাদদেরকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতা দিতে থাকে।
৪। ঢাকার শাহবাগের মত গুরুত্বপূর্ণ জন চলাচলের এবং দেশের বৃহৎ দুটি হাসপাতালের সংযোগস্থলে একাধারে ২ মাস এই নাস্তিক লম্পটদেরকে সম্পূর্ণ সরকারী পৃষ্টপোষকতায় জমায়েত করে থাকতে দেয়া হয়। আর এই সুযোগে এরা প্রকাশ্যে হুজুর আকরাম (সা), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম অবমাননাকর বিষোদয়াগার করার দুঃসাহস পায়।
৫। দেশের নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই সকল নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলে এই রাম-বামপন্থী সরকার ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে র কালো রাতে নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতার উপর ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক গণহত্যার কালো অধ্যায় রচনা করে।
৬। সর্বশেষ শেখ মুজিবের মূর্তির ইস্যুতেও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মূর্তির পক্ষ নিয়েছে এবং এই ইস্যুতে উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসলমানদেরকে গালি দিচ্ছে, হুমকী-ধমকী দিচ্ছে, মামলা-হামলা করছে।
এমতাবস্থায় আমাদের করনীয় কি ? আমাদের করনীয় হচ্ছে -
# আওয়ামী লীগকে কুফরী সংগঠন
# আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক নেতাদেরকে, এদের পক্ষের বুদ্ধিজীবি আর মিডিয়া কর্মী/সাংবাদিকদেরকে এবং যে সকল নেতা-কর্মী উলামায়ে কেরামকে গালি দিয়েছে তাদেরকে সরাসরি মুরতাদ ঘোষণা
# আর আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীদেরকে শর্ত সাপেক্ষে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে (যাতে করে যারা তাওবা করে ফিরে আসতে চায় তারা যেন ফিরে আসতে পারে)
ফতোয়া প্রদান করতে হবে।
যে সকল কথা বা কাজ করলে মুসলমান থাকা যায় না অর্থাৎ ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায় সে বিষয়গুলো জনগণের সামনে পরিস্কারভাবে তুলে ধরতে হবে।
শুধু নাম মুজিব, হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ, ওবায়দুল কাদের, হানিফ, ফজলে নূর, বেনজীর, হাসানুল হক বা নওফেল বা আল নাহিয়ান বা তাসলিমা বা শাহরিয়ার বা রাশেদ বা আসিফ মহিউদ্দিন বা আসাদ নূর বা রাজীব হায়দার বা সামসুর রহমান বা হুমায়ুন আজাদ হলেই মুসলমান হওয়া যায় না এটা দেশের মুসলমানদেরকে পরিস্কারভাবে বুঝাতে হবে।
সবশেষে আবারো বলছি আওয়ামী লীগ যে কাফেরদের/কুফরী সংগঠন তা শুধুমাত্র নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন। এজন্য মুফতি হওয়া জরুরী না।
# কুফরী ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ হচ্ছে তাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
# মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর শানে কটুক্তিকারী স্বঘোষিত নাস্তিকদেরকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে। আর নবী প্রেমিক উম্মাতে মুহাম্মাদীকে রাজপথে গুলি করছে, লাঠিপেটা করছে, জেলে পুরছে, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করছে।
# শেখ মুজিবের মূর্তির ইস্যুতেও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মূর্তির পক্ষ নিয়েছে এবং এই ইস্যুতে উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসলমানদেরকে গালি দিচ্ছে, হুমকী-ধমকী দিচ্ছে, মামলা-হামলা করছে।
# রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ইসলামী কিতাব সিজ করে জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় প্রচার করে মহান আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে চরম অপমান করেছে।
# জঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে ক্রসফায়ারের নামে দিনে দুপুরে যত্রতত্র মুসলিম যুবক/তালিবে ইলমদেরকে হত্যা করছে।
# প্রশাসনের অনুমতির নামে ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন ইসলামী সম্মেলন বন্ধ করে দিচ্ছে।
# মালাউন হিন্দুরা যেখানে দেশে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে সেখানে মুসলমানরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জাগ্রত করে দিন। আমিন।
Comment