ভ্রান্ত তাবীলঃ উম্মাহকে গোমরাহ করার এক ভয়ঙ্কর হাতিয়ার
আচ্ছা মূলকে বা মূল কাজকে বা মূল কাজের নববী/মূল পদ্ধতি কেন্দ্র করেই তো তাবীল তাই না? যারা তাবীল করেন তারা নিজেরা বা উম্মাহ মূল কাজ করতে বা মূল কাজের নববী/মূল পদ্ধতি পরিপালনে অপারগ বা অসামর্থ্য এই যুক্তি বা দাবী করেই তো তাবীল করেন। এখন
প্রথমতঃ কেউ/কোন দল যদি এই অপারগতা আর অসামর্থ্যতাকে অতিক্রম করে বা জয় করে মূল কাজটা
বা কাজের নববী/মূল পদ্ধতি পরিপালন করতে পারেন তাহলে ঐ কাজ বা কাজের নববী/মূল
পদ্ধতির ব্যাপারে কি বাকীদের তাবীল করার কোন সুযোগ থাকবে ?
দ্বিতীয়তঃ কেউ/কোন দল যদি এই অপারগতা আর অসামর্থ্যতাকে অতিক্রম করে বা জয় করে মূল কাজটা
বা কাজের নববী/মূল পদ্ধতি পরিপালন করতে পারেন তাহলে যারা তাবীল করছেন তারা কি খুশি
হবেন নাকি বেজার হবেন ? যদি খুশি হন তাহলে কি তারা তাদেরকে সাহায্য করবেন নাকি
বিরোধীতা করবেন ? যদি সাহায্য করেন তাহলে তার ধরন হবে দোয়ার দ্বারা, কথার দ্বারা বা
যেকোন সমর্থন দ্বারা । আর যদি দেখা যায় তারা সমর্থনের বদলে কথায়, কাজে বা আচরনে
সাহায্য না করে উম্মাহকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঐ মূল কাজ থেকে বিরত রাখাছেন বা যারা
ঐ মূল কাজ করতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তাদের ব্যাপারে চুপ থাকছেন তাহলে তাদেরকে
কোন দলে রাখা হবে মোমিন না মুনাফিক ? আর ইসলাম ও কুফরের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে
তারা কোন পক্ষের বিবেচিত হবেন ? ইসলামের নাকি কুফরের ?
আরও স্পষ্ট করে বলি- দ্বীন কায়েম বা হারানো খিলাফাহ পুনরোদ্ধারের নববী/মূল পদ্ধতি কি ? উত্তর হচ্ছে জিহাদ/কিতাল । আর জিহাদ/কিতালের উপর এই বলে তাবীল করার সুযোগ নেই যে বর্তমান যামানায় জিহাদ/কিতাল করা অসম্ভব তাই আমরা আপাতত তাবিল করে কুফরী গণতান্ত্রিক পন্থার আশ্রয় নিয়েছি। কারণ -
জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী [সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি অসাল্লাম] বলেন - এ দ্বীন সব সময় প্রতিষ্ঠিত থাকবে এমতাবস্থায় যে, মুসলমানদের একটি দল এর জন্য যুদ্ধ করতে থাকবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত। {সহিহ মুসলিম}
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন। আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি অসাল্লাম] কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতের একটি দল সব সময় সত্যের উপর থেকে বিজয়ী অবস্থায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত ক্বিতাল (লড়াই) করতে থাকবে।
ই’মরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি অসাল্লাম]বলেছেন। আমার উম্মতের একটি দল সব সময় সত্যের উপর থেকে তাঁদের বিরোধীদের উপর বিজয়ী অবস্থায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত ক্বিতাল (লড়াই) করতে থাকবে। এক পর্যায়ে তাদের শেষ অংশ মাসীহ দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। {সুনানে আবূ দাউদ-২১৭০}
আর একটি বিষয় – আপনি না হয় তাবীল করে গণতন্ত্র বা দাওয়াতে তাবলীগ বা পীরালীর মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের একটা ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ এবং আরামদায়ক পথ আবিস্কার করলেন। কিন্তু সারা পৃথিবীর নির্যাতিত মুসলমানদের জান, মাল, ইজ্জত রক্ষার জন্য জিহাদ/কিতাল ছাড়া তাবীল করে এরকম কোন ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ এবং আরামদায়ক পথ আবিস্কার করতে পারবেন কি ? কামান, বন্দুক, মিসাইল, ট্যাংক, বোমারু বিমান, গ্রেনেড, মাইনের মোকাবেলায় তাবীল করে আপনারা কি আবিস্কার করবেন বা করেছেন ?
আল্লাহ তাআলা সকল গোমরাহী থেকে হেফাজত করুন। আমিন ।
আচ্ছা মূলকে বা মূল কাজকে বা মূল কাজের নববী/মূল পদ্ধতি কেন্দ্র করেই তো তাবীল তাই না? যারা তাবীল করেন তারা নিজেরা বা উম্মাহ মূল কাজ করতে বা মূল কাজের নববী/মূল পদ্ধতি পরিপালনে অপারগ বা অসামর্থ্য এই যুক্তি বা দাবী করেই তো তাবীল করেন। এখন
প্রথমতঃ কেউ/কোন দল যদি এই অপারগতা আর অসামর্থ্যতাকে অতিক্রম করে বা জয় করে মূল কাজটা
বা কাজের নববী/মূল পদ্ধতি পরিপালন করতে পারেন তাহলে ঐ কাজ বা কাজের নববী/মূল
পদ্ধতির ব্যাপারে কি বাকীদের তাবীল করার কোন সুযোগ থাকবে ?
দ্বিতীয়তঃ কেউ/কোন দল যদি এই অপারগতা আর অসামর্থ্যতাকে অতিক্রম করে বা জয় করে মূল কাজটা
বা কাজের নববী/মূল পদ্ধতি পরিপালন করতে পারেন তাহলে যারা তাবীল করছেন তারা কি খুশি
হবেন নাকি বেজার হবেন ? যদি খুশি হন তাহলে কি তারা তাদেরকে সাহায্য করবেন নাকি
বিরোধীতা করবেন ? যদি সাহায্য করেন তাহলে তার ধরন হবে দোয়ার দ্বারা, কথার দ্বারা বা
যেকোন সমর্থন দ্বারা । আর যদি দেখা যায় তারা সমর্থনের বদলে কথায়, কাজে বা আচরনে
সাহায্য না করে উম্মাহকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঐ মূল কাজ থেকে বিরত রাখাছেন বা যারা
ঐ মূল কাজ করতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তাদের ব্যাপারে চুপ থাকছেন তাহলে তাদেরকে
কোন দলে রাখা হবে মোমিন না মুনাফিক ? আর ইসলাম ও কুফরের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে
তারা কোন পক্ষের বিবেচিত হবেন ? ইসলামের নাকি কুফরের ?
আরও স্পষ্ট করে বলি- দ্বীন কায়েম বা হারানো খিলাফাহ পুনরোদ্ধারের নববী/মূল পদ্ধতি কি ? উত্তর হচ্ছে জিহাদ/কিতাল । আর জিহাদ/কিতালের উপর এই বলে তাবীল করার সুযোগ নেই যে বর্তমান যামানায় জিহাদ/কিতাল করা অসম্ভব তাই আমরা আপাতত তাবিল করে কুফরী গণতান্ত্রিক পন্থার আশ্রয় নিয়েছি। কারণ -
জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী [সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি অসাল্লাম] বলেন - এ দ্বীন সব সময় প্রতিষ্ঠিত থাকবে এমতাবস্থায় যে, মুসলমানদের একটি দল এর জন্য যুদ্ধ করতে থাকবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত। {সহিহ মুসলিম}
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন। আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি অসাল্লাম] কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতের একটি দল সব সময় সত্যের উপর থেকে বিজয়ী অবস্থায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত ক্বিতাল (লড়াই) করতে থাকবে।
ই’মরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি অসাল্লাম]বলেছেন। আমার উম্মতের একটি দল সব সময় সত্যের উপর থেকে তাঁদের বিরোধীদের উপর বিজয়ী অবস্থায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত ক্বিতাল (লড়াই) করতে থাকবে। এক পর্যায়ে তাদের শেষ অংশ মাসীহ দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। {সুনানে আবূ দাউদ-২১৭০}
আর একটি বিষয় – আপনি না হয় তাবীল করে গণতন্ত্র বা দাওয়াতে তাবলীগ বা পীরালীর মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের একটা ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ এবং আরামদায়ক পথ আবিস্কার করলেন। কিন্তু সারা পৃথিবীর নির্যাতিত মুসলমানদের জান, মাল, ইজ্জত রক্ষার জন্য জিহাদ/কিতাল ছাড়া তাবীল করে এরকম কোন ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ এবং আরামদায়ক পথ আবিস্কার করতে পারবেন কি ? কামান, বন্দুক, মিসাইল, ট্যাংক, বোমারু বিমান, গ্রেনেড, মাইনের মোকাবেলায় তাবীল করে আপনারা কি আবিস্কার করবেন বা করেছেন ?
আল্লাহ তাআলা সকল গোমরাহী থেকে হেফাজত করুন। আমিন ।
Comment