জিহাদের দাওয়াতের আড়ালে প্রছন্ন খারেজিয়াত-একটি পর্যালোচনা।
বর্তমানে তরুণ যুবকদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসা সত্যিই অনেক আশাব্যাঞ্জক। তরুণরাই ইসলামের বিজয়ের প্রথম সারিতে থাকে। মুজাহিদ আলেমদের দিকনির্দেশনা আর তরুণদের ময়দানে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা যখন সমম্বয় হবে,তখনই উম্মাহ কিছু একটা আশা করতে পারে।
কিন্তু বর্তমানে এরকম সদ্য দ্বীনে ফেরা ভাইদের মাঝে কিছু কিছু দূর্বলতা আমাদের সত্যিই ব্যাথিত করে। এসব দূর্বলতাগুলো ধীরে ধীরে বিষবাষ্প হয়ে চারপাশে আক্রান্ত করে,যার ফলশ্রুতিতে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা এর মতো কূটকৌশলী দের চক্রান্তে তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে গিয়ে; দ্বীনের বড় বড় ক্ষতি হওয়ার সুযোগ হবে। যার খেসারত হযরত উসমান,হযরত আলী ইবনু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এর উত্তরসূরী দের হারানোর মাধ্যমে উম্মতকে পোষাতে হয়।আফসোস...
জিহাদের দাওয়াত প্রসারের জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করা অনেক বেশী ফলদায়ক। কেননা,এভাবে জানা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশী সহজ। কারণ এসবের রিসোর্স একটু ঘাটা ঘাটা করলেই পাওয়া যায়। অপরদিকে অন্যদের যারা নেটের বাইরে,উনাদের অবদান কিন্তু কম নয়,কিন্তু সেটা জানার, দেখানোর,আইডল হিসেবে প্রচার করা ততটা সহজ নয়।
উদাহরণস্বরূপ,শায়খ উসামা বিন লাদেন রহি: এর ছোট ছোট ক্লিপ,মিডিয়া কভারেজ এগুলো অত্যন্ত ভাইরাল। তাই এসব প্রচারে সহজ হয়,জনমত গঠন করা,জিহাদ এর দাওয়াত দেয়ার পথ সুগম হয়।
কিন্তু একই ভাবে মুফতি হান্নান রহ: এর অবদান তুলনামূলক ভাবে মানুষের নিকট, বিশেষত সদ্য দ্বীনে ফেরা ভাইয়ের নিকট ততটা স্পষ্ট নয়।
যাইহোক,এগুলো তেমন বড় কোনো সমস্যা না প্রাথমিক ভাবে। কিন্তু পানি গড়াতে গড়াতে অনেক দূরে চলে যায়।
প্রত্যেক আমলের একটা রঙ আছে। গন্ধ আছে।জিহাদের রঙ হলো লাল,গন্ধ হলো বারুদের পোড়া গন্ধ।এই আমল মানুষকে স্বভাবগত ভাবে কঠিন করে তুলে। যে ছেলে ইঁদুর দেখে ভয় পেতো;জিহাদ তাকে শত কাফের এর প্রাণহননকারী সহজেই করে তুলে।
ভারসাম্য পূর্ণ স্বভাব,মুমিনদের প্রতি কোমল কাফেরদের উপর কঠোর,উম্মাহের প্রতি ব্যাথাতুর হৃদয় থাকে না। কেননা এগুলো অর্জন কষ্টকর বিষয় অনেক। খুব কম মানুষই এই গুণগুলো অর্জন করতে পারে। বিচ্যুতি সহজেই ঘটানো সম্ভব।
এই কঠিন স্বভাবের জন্য খারেজিয়াতের দাওয়াত সহজেই প্রশ্রয় পায়। কারণ খারেজিয়াত মতবাদই হলো সামান্য কারনে মুসলমানের রক্ত হালাল করা। ইন্টারনেটের দ্বারা এই দাওয়াত আরো প্রসারতা পায়।
আমাদের এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে যে- খারেজি মুজাহিদদের ভিতর থেকে তৈরি হয়। বেশিরভাগ খারেজিই ব্যক্তিজীবনে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।
তাই এ ব্যাপারে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে মুজাহিদ আমির উমারাগণের। জিহাদি জামাতের অন্তর্ভুক্তিকালীন একদম শুরুতেই প্রত্যেক সাথীদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। কিছু সময় পর পর এ আলোচনাগুলো আবার করতে হবে। তাহলেই এই রোগ মুজাহিদের ভিতরে ছড়াবে না ইন শা আল্লাহ।
দ্বিতীয় যেই জিনিসটি এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে জিহাদি মিডিয়া বা জিহাদের আলোচনা যারা করেন। তারা এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে পেশ করবেন। এতে করে আশু বিপদ থেকে উম্মত রক্ষা পাবে।
বর্তমানে তরুণ যুবকদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসা সত্যিই অনেক আশাব্যাঞ্জক। তরুণরাই ইসলামের বিজয়ের প্রথম সারিতে থাকে। মুজাহিদ আলেমদের দিকনির্দেশনা আর তরুণদের ময়দানে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা যখন সমম্বয় হবে,তখনই উম্মাহ কিছু একটা আশা করতে পারে।
কিন্তু বর্তমানে এরকম সদ্য দ্বীনে ফেরা ভাইদের মাঝে কিছু কিছু দূর্বলতা আমাদের সত্যিই ব্যাথিত করে। এসব দূর্বলতাগুলো ধীরে ধীরে বিষবাষ্প হয়ে চারপাশে আক্রান্ত করে,যার ফলশ্রুতিতে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা এর মতো কূটকৌশলী দের চক্রান্তে তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে গিয়ে; দ্বীনের বড় বড় ক্ষতি হওয়ার সুযোগ হবে। যার খেসারত হযরত উসমান,হযরত আলী ইবনু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এর উত্তরসূরী দের হারানোর মাধ্যমে উম্মতকে পোষাতে হয়।আফসোস...
জিহাদের দাওয়াত প্রসারের জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করা অনেক বেশী ফলদায়ক। কেননা,এভাবে জানা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশী সহজ। কারণ এসবের রিসোর্স একটু ঘাটা ঘাটা করলেই পাওয়া যায়। অপরদিকে অন্যদের যারা নেটের বাইরে,উনাদের অবদান কিন্তু কম নয়,কিন্তু সেটা জানার, দেখানোর,আইডল হিসেবে প্রচার করা ততটা সহজ নয়।
উদাহরণস্বরূপ,শায়খ উসামা বিন লাদেন রহি: এর ছোট ছোট ক্লিপ,মিডিয়া কভারেজ এগুলো অত্যন্ত ভাইরাল। তাই এসব প্রচারে সহজ হয়,জনমত গঠন করা,জিহাদ এর দাওয়াত দেয়ার পথ সুগম হয়।
কিন্তু একই ভাবে মুফতি হান্নান রহ: এর অবদান তুলনামূলক ভাবে মানুষের নিকট, বিশেষত সদ্য দ্বীনে ফেরা ভাইয়ের নিকট ততটা স্পষ্ট নয়।
যাইহোক,এগুলো তেমন বড় কোনো সমস্যা না প্রাথমিক ভাবে। কিন্তু পানি গড়াতে গড়াতে অনেক দূরে চলে যায়।
প্রত্যেক আমলের একটা রঙ আছে। গন্ধ আছে।জিহাদের রঙ হলো লাল,গন্ধ হলো বারুদের পোড়া গন্ধ।এই আমল মানুষকে স্বভাবগত ভাবে কঠিন করে তুলে। যে ছেলে ইঁদুর দেখে ভয় পেতো;জিহাদ তাকে শত কাফের এর প্রাণহননকারী সহজেই করে তুলে।
ভারসাম্য পূর্ণ স্বভাব,মুমিনদের প্রতি কোমল কাফেরদের উপর কঠোর,উম্মাহের প্রতি ব্যাথাতুর হৃদয় থাকে না। কেননা এগুলো অর্জন কষ্টকর বিষয় অনেক। খুব কম মানুষই এই গুণগুলো অর্জন করতে পারে। বিচ্যুতি সহজেই ঘটানো সম্ভব।
এই কঠিন স্বভাবের জন্য খারেজিয়াতের দাওয়াত সহজেই প্রশ্রয় পায়। কারণ খারেজিয়াত মতবাদই হলো সামান্য কারনে মুসলমানের রক্ত হালাল করা। ইন্টারনেটের দ্বারা এই দাওয়াত আরো প্রসারতা পায়।
আমাদের এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে যে- খারেজি মুজাহিদদের ভিতর থেকে তৈরি হয়। বেশিরভাগ খারেজিই ব্যক্তিজীবনে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।
তাই এ ব্যাপারে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে মুজাহিদ আমির উমারাগণের। জিহাদি জামাতের অন্তর্ভুক্তিকালীন একদম শুরুতেই প্রত্যেক সাথীদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। কিছু সময় পর পর এ আলোচনাগুলো আবার করতে হবে। তাহলেই এই রোগ মুজাহিদের ভিতরে ছড়াবে না ইন শা আল্লাহ।
দ্বিতীয় যেই জিনিসটি এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে জিহাদি মিডিয়া বা জিহাদের আলোচনা যারা করেন। তারা এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে পেশ করবেন। এতে করে আশু বিপদ থেকে উম্মত রক্ষা পাবে।
Comment