Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের দাওয়াতের আড়ালে প্রছন্ন খারেজিয়াত-একটি পর্যালোচনা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদের দাওয়াতের আড়ালে প্রছন্ন খারেজিয়াত-একটি পর্যালোচনা।

    জিহাদের দাওয়াতের আড়ালে প্রছন্ন খারেজিয়াত-একটি পর্যালোচনা।

    বর্তমানে তরুণ যুবকদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসা সত্যিই অনেক আশাব্যাঞ্জক। তরুণরাই ইসলামের বিজয়ের প্রথম সারিতে থাকে। মুজাহিদ আলেমদের দিকনির্দেশনা আর তরুণদের ময়দানে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা যখন সমম্বয় হবে,তখনই উম্মাহ কিছু একটা আশা করতে পারে।

    কিন্তু বর্তমানে এরকম সদ্য দ্বীনে ফেরা ভাইদের মাঝে কিছু কিছু দূর্বলতা আমাদের সত্যিই ব্যাথিত করে। এসব দূর্বলতাগুলো ধীরে ধীরে বিষবাষ্প হয়ে চারপাশে আক্রান্ত করে,যার ফলশ্রুতিতে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা এর মতো কূটকৌশলী দের চক্রান্তে তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে গিয়ে; দ্বীনের বড় বড় ক্ষতি হওয়ার সুযোগ হবে। যার খেসারত হযরত উসমান,হযরত আলী ইবনু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এর উত্তরসূরী দের হারানোর মাধ্যমে উম্মতকে পোষাতে হয়।আফসোস...

    জিহাদের দাওয়াত প্রসারের জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করা অনেক বেশী ফলদায়ক। কেননা,এভাবে জানা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশী সহজ। কারণ এসবের রিসোর্স একটু ঘাটা ঘাটা করলেই পাওয়া যায়। অপরদিকে অন্যদের যারা নেটের বাইরে,উনাদের অবদান কিন্তু কম নয়,কিন্তু সেটা জানার, দেখানোর,আইডল হিসেবে প্রচার করা ততটা সহজ নয়।

    উদাহরণস্বরূপ,শায়খ উসামা বিন লাদেন রহি: এর ছোট ছোট ক্লিপ,মিডিয়া কভারেজ এগুলো অত্যন্ত ভাইরাল। তাই এসব প্রচারে সহজ হয়,জনমত গঠন করা,জিহাদ এর দাওয়াত দেয়ার পথ সুগম হয়।

    কিন্তু একই ভাবে মুফতি হান্নান রহ: এর অবদান তুলনামূলক ভাবে মানুষের নিকট, বিশেষত সদ্য দ্বীনে ফেরা ভাইয়ের নিকট ততটা স্পষ্ট নয়।

    যাইহোক,এগুলো তেমন বড় কোনো সমস্যা না প্রাথমিক ভাবে। কিন্তু পানি গড়াতে গড়াতে অনেক দূরে চলে যায়।

    প্রত্যেক আমলের একটা রঙ আছে। গন্ধ আছে।জিহাদের রঙ হলো লাল,গন্ধ হলো বারুদের পোড়া গন্ধ।এই আমল মানুষকে স্বভাবগত ভাবে কঠিন করে তুলে। যে ছেলে ইঁদুর দেখে ভয় পেতো;জিহাদ তাকে শত কাফের এর প্রাণহননকারী সহজেই করে তুলে।

    ভারসাম্য পূর্ণ স্বভাব,মুমিনদের প্রতি কোমল কাফেরদের উপর কঠোর,উম্মাহের প্রতি ব্যাথাতুর হৃদয় থাকে না। কেননা এগুলো অর্জন কষ্টকর বিষয় অনেক। খুব কম মানুষই এই গুণগুলো অর্জন করতে পারে। বিচ্যুতি সহজেই ঘটানো সম্ভব।

    এই কঠিন স্বভাবের জন্য খারেজিয়াতের দাওয়াত সহজেই প্রশ্রয় পায়। কারণ খারেজিয়াত মতবাদই হলো সামান্য কারনে মুসলমানের রক্ত হালাল করা। ইন্টারনেটের দ্বারা এই দাওয়াত আরো প্রসারতা পায়।

    আমাদের এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে যে- খারেজি মুজাহিদদের ভিতর থেকে তৈরি হয়। বেশিরভাগ খারেজিই ব্যক্তিজীবনে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।

    তাই এ ব্যাপারে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে মুজাহিদ আমির উমারাগণের। জিহাদি জামাতের অন্তর্ভুক্তিকালীন একদম শুরুতেই প্রত্যেক সাথীদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। কিছু সময় পর পর এ আলোচনাগুলো আবার করতে হবে। তাহলেই এই রোগ মুজাহিদের ভিতরে ছড়াবে না ইন শা আল্লাহ।

    দ্বিতীয় যেই জিনিসটি এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে জিহাদি মিডিয়া বা জিহাদের আলোচনা যারা করেন। তারা এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে পেশ করবেন। এতে করে আশু বিপদ থেকে উম্মত রক্ষা পাবে।​
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-16-2024, 03:18 PM.

  • #2
    [QUOTE=ইয়াকুব ইবনে ওমর;n200449]জিহাদের দাওয়াতের আড়ালে প্রছন্ন খারেজিয়াত-একটি পর্যালোচনা।

    আমাদের এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে যে, খারেজি মুজাহিদদের ভিতর থেকে তৈরি হয়। বেশিরভাগ খারেজিই ব্যাক্তিজীবনে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।




    Comment


    • #3
      আল্লাহ্‌ পাক আমাদের ভুল জায়গায় কঠোর হওয়া থেকে হিফাজত করুন, এবং সঠিক জায়গায় সঠিক পরিস্থিতিতে কঠোরতা ও কোমলতার প্রয়োগ করার তৌফিক দিন।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ খাইরান। ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এসেছেন। শুকরিয়া আল্লাহ আপনাদের কাজগুলোকে কবুল করুন আমিন। একজন মুজাহিদ অবশ্যই চেইন অফ কমান্ড অনুসরণ করতে হবে। চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে দিয়েই খারিজিদের তৈরি করা হয়েছিলো। এইজন্য এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে সবার আগে রাখতে হবে। স্যাকুলাররা / গনতান্ত্রিক দলের লোকেরা জনগণকে যেভাবে তাদের দলের দিকে নিয়ে যায় / যাচ্ছে, মুজাহিদ ভাইদের দ্বারা ওরকমভাবে হচ্ছে না। এর জন্য কোন কোন বিষয়টি দায়ী তা চিহ্নিত করা খুবই জরুরি ছিলো। প্রিয় ভাইয়েরা,,, আমাদের জন্য অপরিহার্য হলো দ্বীনকে আদর্শ হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া। তা না হলে নিজের আমল তো ধ্বংস হবেই সাথে করে আশেপাশেও এর প্রভাব পড়বে। আমাদের দ্বারা যেনো খারেজীয়্যত স্টাবল না হয়,সাথে সাথে লক্ষ রাখতে হবে বেশি ছাড় দিতে গিয়ে স্যাকুলারদের মাঝে হারিয়ে না যায়। দ্বীনকে আদর্শ হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ করা। দাওয়াতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। গনতান্ত্রীক ইসলামী দলগুলোর ভুলগুলো নাম উল্লেখ্য না করে মুসলিমদের সামনে উল্লেখ্য করাও অপরিহার্য। হাসিনার পলায়নের পরে আমার কাছে জিহাদ দাওয়াতের কাজ আরো কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ হচ্ছে লোকজন গনতন্ত্রের দিকে ঝুকে যাচ্ছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি ( দাওয়াত) ( জিহাদ) আরো বেশি জঙ্গিপনা হিসেবে সমাজে তুলে ধরা হচ্ছে। এইজন্য চেইন অফ কমান্ড অবশ্য ই টিক রাখতে হবে। হক্বের সাথে থাকাটাই হলো আসল বিজয়। সাংগঠনিক শক্তি অপরিহার্যভাবে মজবুত করাও অপরিহার্য।

        Comment


        • #5
          খারেজিরা থাকবেই। খারেজিরা আল্লাহর অবাধ্যতা করতে এসে খারেজি হয় না। তাদের কম আঁকলের কারণে তারা খারেজি হয়। খারেজিদের ব্যাপারে সফল প্রক্রিয়া হতে পারে ময়দানের কমান্ডারের পক্ষ থেকে। খারেজির আলামত যাদের মধ্যে দেখবেন তাদেরকে কমান্ডাররা ফ্রন্ট থেকে পিছনে পাথিয়ে দিবেন মুবাল্লিগের দায়িত্ব দিয়ে। আশা করা যায়- উম্মাহর ময়দানে কাজ করতে করতে দিল নরম হবে - আল্লাহর রহমতের ভাগীদার হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। কিছুদিন পর আবার জেহাদের ময়দানে অন্য কমান্ডারের সাথে তাঁর কাজের মাধ্যমে তাটার রোগের চিক্তসার ফলাফল বুঝা যাবে।
          দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

          Comment


          • #6
            অনেকে আছে না বুঝেই এক শ্রেনির ভ্রান্ত আলেমদের পাল্লায় পড়ে যায় ও ভাবে তারা মনে হয় জিহাদী মানহাজের মুখপাত্র। এই ভেবে তারা খারেজিদের সমর্থক হয়ে পরে।

            Comment

            Working...
            X