..............
Announcement
Collapse
No announcement yet.
দায়েশের(isis)এর ফিতনার ব্যাপারে নবী কারীম (সাঃ
Collapse
X
-
রিবিঈ ইবনে হিরাশ থেকে বর্ণিত। তিনি আলি (রাঃ) কে এক ভাসনে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না কারন যে বাক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।সহিহ মুসলিম খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ৩৭
ইসলামিক ফাউনডেশন ।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে বাক্তি জেনে শুনে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, সে যেন আগুনে তার বাসস্থান ঠিক করে নেয়। সহিহ মুসলিম খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ৩৭
ইসলামিক ফাউনডেশন ।
আপনি রাসুল (সা) এর প্রতি যেই জঘন্য মিথ্যা আরোপ করলেন,হাদিসের অপব্যাখ্যা করলেন আর আল্লাহ্* তালা সেটা ভাল করেই জানেন। আল্লাহ্*ই যথেষ্ট আমাদের জন্য।
- Stuck
-
ভাই হাদিসটা কিতাবুল ফিতানে নুয়াইম বিন হাম্মাদ উল্লেখ করেছেন এ ছাড়াও এটা কাঞ্জুল উম্মালে এসেছে
رواه نـُعيم بن حماد في كتاب الفتن عن الوليد بن مسلم ورشدين بن سعد عن عبد الله بن لهيعة عن أبي قبيل عن أبي رومان عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أنه قال: "إذا رأيتم الرايات السود فالزموا الأرض، فلا تحركوا أيديكم ولا أرجلكم، ثم يظهر قوم ضعفاء لا يُؤبه لهم، قلوبهم كزبر الحديد، هم أصحاب الدولة، لا يفون بعهد ولا ميثاق، يدعون إلى الحق وليسوا من أهله، أسماؤهم الكنى، ونسبتهم القرى، وشعورهم مرخاة كشعور النساء، حتى يختلفوا فيما بينهم، ثم يؤتي الله الحق من يشاء".
- Stuck
Comment
-
ভাই হাদিসের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে যেমন সহিহ,হাসান,জঈফ,জাল ইত্যাদি। আপনি যে হাদিসটা বললেন সেটার মান কি?ফুকাহ কেরামগন এই হাদিসের ব্যাপারে কি বলেছেন? আর আপনি ব্রাকেটে is কে দিয়ে রাসুল (সাঃ) ব্যাপারে মিথ্যাচার করলেন।
আর যারা জানতে চান কিয়ামতের আগে কি কি হবে তারা আসেম ওমর এর "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও দাজ্জাল" এই বইটা ডাউনলোড করতে পারেন। বইটাতে ভুল আছে কিন্তু অনেক সহিহ ও গ্রহণযোগ্য হাদিস আছে। ইনশাল্লাহ ইরাকের মুজাহিদিনদের ব্যাপারে আপনাদের ভুল ভেঙ্গে যাবে
Last edited by titumir; 07-11-2015, 10:23 AM.
Comment
-
অাসসালামু অালাইকুম
অাখি abdullah afnan, অাপনি অাপনার পোস্টটি এডিট করে প্রথমে শুধু অারবি, তারপর মুল বাংলা অনুবাদ এবং শেষে এই হাদিস থেকে কি বোঝা যায় ও করনীয়কি তা উল্লেখ করুন।
হাদীসের অনুবাদ ও তাতে ব্রাকেটে কমেন্ট ইতিপুর্বে বিভৃন্তির কারন ছিল।
ওমা অালাইনা ইল্লাল বালাগ
জাঝাকাল্লাহকাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...
Comment
-
ভাই abcd1,
ভবিষ্যত বানী কৃত কোন যয়ীফ হাদিস যদি পরবর্তীতে বাস্তবতার সাথে মিলে যায় তাহলে কি এটাকে আমরা গ্রহন করতে পারি না !
যয়ীফ আর জাল হাদীস কি একই রকম ! অনেক যয়ীফ হাদিস প্রকৃত পক্ষে হাসান হাদিস হাদীসের হুকুমে হয়ে যায়। যখন তা একাধিক রাবী থেকে বিভিন্ন পন্থায় বর্নিত হয়। শাওয়াহেদ থাকার কারনে। স্মরণ শক্তি দুর্বল থাকা,সামান্য ফিসক থাকা ইত্যাদির কারনে রাবী দুরবল হয়ে যায়। তাই বলে রাবী মথ্যাবাদী হয়ে যায় নি। 'যয়ীফ' ও 'জাল' মানে হলঃ যয়ীফ মানে রাবী দুর্বল আর জাল মানে রাবী মিথ্যা কথা বলে থাকে ইত্যাদি । কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কেরাম যয়ীফ যয়ীফ হাদিসকেও গ্রহন করেছেন।কিন্তু জাল হাদীসকে কেউ গ্রহন করেন নি।
সুতরাং যয়ীফ ও জাল কে একরকম মনে করা মারাত্নক ভুল হবে।
Comment
-
বিসমিল্লাহ্*
প্রথমে আমি বলব প্রায় প্রত্যেক ফুকাহ কেরামগন জঈফ হাদিস গ্রহন না করার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন।এখন যদি আপনি জঈফ হাদিস গ্রহন করেন তাহলে আপনি প্রমান করতে পারবেন আদম (আঃ) শিরক করেছিলেন নাউযুবিল্লাহ।আপনি এই দ্বীনে অনেক বিদাত চালু করতে পারবেন। যেমন হাত তুলে দুয়া করা,শবই কদরকে শবই বরাত বলে প্রচার করা, ইত্যাদি। আর আমরা জানি হাদিসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।যেমন ভুলভাবে ব্যাখ্যাকরে ওসামা বিন লাদেন (রহিঃ) কে খারেজী ফতওয়া দেওয়া,সৌদির মুরতাদ শাসকদের মুসলিম মনে করা, মুজাহিদীনদের সন্ত্রাসী বলা ইত্যাদি।সুতরাং আমাদের কি ভুল ব্যাখ্যাগুলো গ্রহন করা উচিত হবে?
Comment
-
অাসসালামু অালাইকুম
ভাইরা অামরা এই হাদিসটিকে তারগীব ও তারহীব এর কাতারের সতর্কবানী হাদীস হিসেবে নেয় এবং এই একক হাদীস থেকে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে না অাসি।
অামাদের সামনে উলামায়ে হাক্বরা রয়েছেন যারা হাক্বকে প্রকাশ করলে তারা হবেন অাসমানের নিচে জামিনের উপরে সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা।
কোন হাদীসকে নিজেরা তাফসির না করি, সর্বোচ্চ নিজেদের অনুভুতি শেয়ার করতে পারি সতর্কতার সাথে কিন্তু অন্যের অনুভুতিতে অাঘাত না এনে।
উত্তমভাবে বিতর্ক করতে পারাও অনেক সুন্দর একটি গুন।
অাল্লাহ অামাদের জন্য সহজ করুন।কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...
Comment
-
Originally posted by abcd1 View Postবিসমিল্লাহ্*
প্রথমে আমি বলব প্রায় প্রত্যেক ফুকাহ কেরামগন জঈফ হাদিস গ্রহন না করার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন।এখন যদি আপনি জঈফ হাদিস গ্রহন করেন তাহলে আপনি প্রমান করতে পারবেন আদম (আঃ) শিরক করেছিলেন নাউযুবিল্লাহ।আপনি এই দ্বীনে অনেক বিদাত চালু করতে পারবেন। যেমন হাত তুলে দুয়া করা,শবই কদরকে শবই বরাত বলে প্রচার করা, ইত্যাদি। আর আমরা জানি হাদিসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।যেমন ভুলভাবে ব্যাখ্যাকরে ওসামা বিন লাদেন (রহিঃ) কে খারেজী ফতওয়া দেওয়া,সৌদির মুরতাদ শাসকদের মুসলিম মনে করা, মুজাহিদীনদের সন্ত্রাসী বলা ইত্যাদি।সুতরাং আমাদের কি ভুল ব্যাখ্যাগুলো গ্রহন করা উচিত হবে?
সন্মানিত abcd1 ভাই ,
আপনি বলেছেন যে, "প্রায় প্রত্যেক ফুকাহ কেরামগন জঈফ হাদিস গ্রহন না করার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন"-- একথাটা আপনি কোথায় পেলেন ??!! আসলেই আপনি যয়ীফ হাদিসের ব্যাপারে ফোকাহায়ে কেরামদের বক্তব্যই পড়েন নি। না পড়েই এই মন্তব্য করে ফোকাহায়ে কেরামের উপর একটা ইলজাম (অপবাদ) দিয়েছেন। ইসলামের ব্যাপারে না জেনে কোন কথা বলা হারাম। বরং আমলের ফজিলত,তারগীব ও তাহরীবের ব্যাপারে উম্মাহর অধিকাংশ সালাফ,ফুকাহায়ে কেরাম ও উলামাগণ প্রায় একমত ছিলেন (নিচে দেখুন)।
আদম আলাইহি অয়া সাল্লাম শিরক করেছেন (নাউজুবিল্লাহ) আদৌ কি এরকম কোন যয়ীফ হাদিস আছে ! নাকি জাল হাদিসকেই যয়ীফ বলছেন! আমি তো জানি এরকম একটা জাল হাদিস আছে। আর ফরজ সালাতের পর ইমাম ও মুসল্লী একসাথে হাত তোলে জামাতের সাথে দোয়া করার কোন সহীহ ও যয়ীফ হাদিস আপনি দেখাতে পারবেন না। একাকী হাত তোলে দূয়া করার সহীহ হাদিস রয়েছে। কলেবর দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার আশংকায় বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। আর শবে বরাতের ফজীলতের ব্যাপারে কিছু সহীহ হাদিস ও রয়েছে তম্মধ্যে একটা হাদিস দেখুন :-
১৫ই শাবান অর্থাৎ ১৪ই শাবান দিবাগত রাত। হাদীস শরীফে এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান’ বলা হয়েছে। এর ব্যাপারে সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান হল, এ রাতের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সম্মিলিত কোনো রূপ না দিয়ে এবং এই রাত উদযাপনের বিশেষ কোনো পন্থা উদ্ভাবন না করে বেশি ইবাদত করাও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত। এই রাতকে অন্য সব সাধারণ রাতের মত মনে করা এবং এ রাতের ফযীলতের ব্যাপারে যত হাদীস এসেছে তার সবগুলোকে ‘মওযূ’ বা ‘যয়ীফ’ মনে করা যেমন ভুল তেমনি এ রাতকে শবে কদরের মত বা তার চেয়েও বেশি ফযীলতপূর্ণ মনে করাও একটি ভিত্তিহীন ধারণা। বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি কোনটিই উচিত নয়। যতটুকু ফযীলত প্রমাণিত এ রাতকে ততটুকুই গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং এ কেন্দ্রিক সকল রসম-রেওয়াজ পরিহার করা উচিত।
এ রাত ও তার আমল সম্পর্কে হাদীসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা নিম্নরূপ :
১.
عن مالك بن يخامر عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميعخلقه إلا لمشرك أو مشاحن، رواه ابن حبان وغيره ورجاله ثقات وإسناده متصل على مذهب مسلم الذي هو مذهب الجمهور فيالمعنعن ولم يجزم الذهبي بأن مكحولا لم يلق مالك بن يخامر كما زعم وإنما قاله على سبيل الحسبان، راجع : سير أعلام البلاء.
মুআয ইবনে জাবাল রা. বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে মাফ করে দেন।’’- সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫৬৬৫
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দ্বার ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত হয়। কিন্তু শিরকী কাজকর্মে লিপ্ত ব্যক্তি এবং অন্যের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষ এই ব্যাপক রহমত ও সাধারণ ক্ষমা থেকেও বঞ্চিত থাকে।
হাদীসটির সনদ সহীহ। এজন্যই ইমাম ইবনে হিববান একে ‘কিতাবুস সহীহ’এ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটিকে পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘হাসান’ বলেছেন; কিন্তু হাসান হাদীস সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য হাদীসেরই একটি প্রকার।
ইমাম মুনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাসতাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। দেখুন, আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১১৮, ৩/৪৫৯; লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/৬৫; শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১
বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহ. ‘‘সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা’’ ৩/১৩৫-১৩৯-এ এই হাদীসের সমর্থনে আরো আটটি হাদীস উল্লেখ করার পর লেখেন-
وجملة القول أن الحديث يمجموع هذه الطريق صحيح بلا ريب والصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كماهو الشأن في هذا الحديث.
‘‘এ সব রেওয়ায়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগতভাবে এই হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ প্রমাণিত হয়।’’ এরপর শায়খ আলবানী রাহ. ওই সব লোকের বক্তব্য খন্ডন করেন যারা কোনো ধরনের খোঁজখবর ছাড়াই বলে দেন যে, শবে বরাতের ব্যাপারে কোনো সহীহ হাদীস নেই।
==========
হে আমার প্রিয় ভাই,
তর্কের উদ্দেশ্যে যেন আমরা কমেন্ট না করি। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا “আর মানুষ অধিকাংশ বিষয়ে তর্কপ্রিয়” (কাহাফ-৫৪)।
নিজের মতকে উপরে রাখাই যেন আমাদের মাকসাদ না বনে যায়। আপনি বা আমি যেই মত পোষন করি সেটাই হক হতে হবে তেমনতো কোন কথা নেই আখি! আমরা মুসলিম। সত্য স্পষ্ট হওয়ার পর তাঁর সামনে মাথা পেতে দেওয়াই মুসলিমের পরিচয়।
আমরা যেনো সালমান ফারেসী (রাঃ) এর মত হই যিনি হক গ্রহনের নিয়তে হক তালাশে মুখলিস ছিলেন। আমি আপনার দীনি ভাই। আমি আপনাকে ভালোভাসি বলেই এই নসিহা। আল্লাহ তায়ালা আমাকে ও আপনাকে হকের অনুসরনের তৌফিক দিন। ফিতনা থেকে হেফাযত রাখুন। কেউ আমার abcd1 ভাইকে আক্রমনাত্নক ভাবে কমেন্ট করবেন না। সকলেরই উচিত এই ভাইকে সত্য বুঝতে সহযোগিতা করা উচিত।
আমলের ফজিলত,তারগীব ও তাহরীবের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদিস গ্রহনযোগ্য ও আমলযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে উম্মাহর অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম ও উলামাদের বক্তব্যঃ-
১। শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন। *
*"পূর্ববর্তী জামানার সমিক্ষাবাদি মুহাদ্দিসগণ যেমন, আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহমতুল্লাহি আলাইহি , ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম নাসাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং যারা ওই স্তরের ছিলেন তারা সবাই তাদের কিতাবসমূহে জইফ হাদীস বর্ণনা করে তার দ্বারা দলিল পেশ করতেন এবং তদানুযাই আমল করতেন। এর বিপরিতে তাদের কাউকে জইফ হাদীস এড়িয়ে চলতে দেখা যায় নি-(জাফারুল আমানি-১৮৬, টিকা)-
২. ঈমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি(মৃ:৬৭৬ হি.)
¤ ইমাম নববী রহ. জইফ হাদিস সম্পর্কে এভাবে মন্তব্য করেন: >>উম্মাহর সকল ওলামায়ে কেরামের নিকট জায়েজ হল, কোন হাদিস যদি মওযু বা জাল না হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়টি যদি আহকাম তথা হালাল হারাম বা আল্লাহ তায়ালার সিফাত সম্পর্কীয় না হয় তাহলে বর্ণিত হাদিসের সনদ জইফ হলে ও তার প্রতি নমনীয় আচরন করা হবে। অর্থাৎ তার দুর্বলতার কথা উল্লেখ ছাড়াই তা বর্ণনা করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা বৈধ (আল-আজভিবাহ-৪০, আত তাকরিব-১৯২)
* ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার বিখ্যাত গ্রন্থ আল আজকার-এর মধ্যে বলেন, উম্মাহর সকল ফকিহ ও হাদিস বিশারদদের মত হল, ফাযায়েলে আমল ও তারগিব, তারহিবের মধ্যে জইফ হাদিস যদি তা মাউজু বা জাল পর্যায়ে না পৌঁছে তাহলে তা আমলযোগ্য(আল আজকার-৫০)
ﻭﻗﺪ ﺍﺗﻔﻖ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀﻋﻠﻲ ﺟﻮﺍﺯﺍﻟﻌﻤﻞ ﺑﺎﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﻀﻴﻒ ﻓﻲ ﻓﻀﺎ ﺋﻞ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ ﺑﻤﻘﺘﻀﺎﻩ٠
সকল ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষন করেন যে, ফাযায়েলে আমালের ক্ষেত্রে জইফ হাদিস আমলযোগ্য (আল মাজমু-২/৯৮)
ﺍﻟﻀﻴﻒ ﻳﻌﻤﻞ ﺑﻪ ﻓﻲ ﻓﻀﺎﺋﻞ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ ﺑﺎﺗﻔﺎﻕ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ٠
সকল ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমতে জইফ হাদিস আমলযোগ্য(আল-মাজ মু-৩/১২২)
* এব্যাপারে সকল ওলামা একমত যে, কোন আমলের ফজিলত প্রসঙ্গে বর্ণিত মুরসাল, জইফ বা মাওকুফ হাদিসের সনদের বাপারে সহনশীল হতে হবে। এবং তদানুযায়ী আমল করতে হবে। তবে হালাল-হারামের বিষয় ভিন্ন (আল-মাজমু-৩/২৪৮)
* ফাযায়েলে আমলের ক্ষেত্রে বর্ণিত জইফ হাদিসের সনদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের বাপারে ওলামায়ে কেরাম একমত (আল-মাজমু-৮/২৬১)
৩.শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহঃ).(মৃ:৭২৮ হি.)
¤ অষ্টম শতাব্দীর ইবনে তাইমিয়া যার ব্যাপারে জইফ হাদিস কবুল না করার বিশোধগার সর্বজন বিদিত। তিনি স্বীয় মতকে এভাবে ব্যাক্ত করেছে: >>আর ইসরাইলিয়াত বা এজাতীয় কোন বিষয়ের বর্ণনার ক্ষেত্রে রাবি যদি মিথ্যুক পর্যায়ে না হয় তাহলে তারগিব বা তারহিব জাতীয় বিষয়ে তাদের বর্ণনা গ্রহনযোগ্য। এবং তিনি আরো বলেন- যদি কোন মুস্তাহাব আমলের ফজিলত বা সওয়াব পাওয়া বা কোন অপছন্দনীয় আমলের অসঙ্গতি বা তার পরিণতি বিষয়ক কোন হাদিস বর্ণিত হয়, আর একথাও কোনভাবে জানা না যায় যে, সংশ্লিষ্ট হাদিসটি জাল, তাহলে উক্ত হাদিস মোতাবেক আমল করতে কোন সমস্যা নেই (মাজমু আতুল ফাতাওয়া-১/৭৬, খুলাসাহ-২৭)
৪.হাফেজ ইবন হাজার মক্কি রহমতুল্লাহি আলাইহি . (মৃ:৮৯৭ হি.)
¤ তিনি বলেন >> ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত পোষন করেছেন যে ফাযায়েলে আমলের ক্ষেত্রে জইফ হাদিস আমলযোগ্য।(আল ফাতহুল মুবিন-৩২, আল আজভিবাহ-৪২)
৫.হাফেজ সাখাভি রহমতুল্লাহি আলাইহি ..(মৃ:৯০২ হি.)
¤ জইফ হাদিস কবুলের ব্যাপারে উম্মতের ইজমা নকল করে বলেন: ﺛﺎﻟﺜﻬﺎ : - ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺠﻤﻬﻮﺭ -ﻳﻌﻤﻞ ﺑﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻀﺎﺋﻞ ﺩﻭﻥ ﺍﻷﺣﻜﺎﻡ - তৃতীয় মত যা জমহুর ওলামায়ে কেরাম গ্রহন করেছেন তা হল (জইফ হাদিস) আহকামের ক্ষেত্রে আমলযোগ্য না হলেও ফাজায়েলের ক্ষেত্রে আমলযোগ্য(আল-কওলুল বাদি-৪৯৮)
৬.ইমাম সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি .(মৃ:৯১১ হি.)
¤ তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ আল মাকালা-ইয়ে বলেন >>পূর্বেকার সকল ফকিহ ও হাদিস বিশারদ গন তারা খবর (জইফ হাদিস)-গুলকে খাসায়েস বা গুণাগুণ, অথবা মু'জিযাত বা অলৌকিক বিষয় প্রভৃতি অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন। আবার কখনো কখনো মানাকিব (ব্যক্তির নৈতিক বা মহৎ কার্যাবলি),মুকাররমাত (ব্যাক্তির মাহাত্মবলি) ইত্যাদি অধ্যায়ের অধীনেও উল্লেখ করতেন। আর তারা মনে করতেন এজাতীয় অধ্যায়ে এধরনের হাদিস উল্লেখ করা এবং
তেমনি ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে সহিহ নয় এমন হাদিস উল্লেখ করার অবকাশ আছে।(আল-আজভিবাহ-৩৯)
৭.মোল্লা আলী কারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ..(মৃ:১০১৪ হি.)
¤ তিনি স্বীয় কিতাব আল-হাজ্জুল আওফার ফিল হাজ্জিল আকবার-এরমধ্যে নিজের মত এভাবে উল্লেখ করেন-
-ﻓﺈﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ﻣﻌﺘﺒﺮ ﻓﻲ ﻓﻀﺎﺋﻞ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ ﻋﻨﺪ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﻣﻦ ﺃﺭﺑﺎﺏ ﺍﻟﻜﻤﺎﻝ٠
সকল ওলামায়ে কেরামের নিকট ফাযায়েলে আমালের ক্ষেত্রে জইফ হাদিস গ্রহনযোগ্য (আল আজভিবাহ-৩৭)
৮.ইবনে হাজার আল হায়তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি .(মৃ:৯৭৪ হি.)
¤ তিনি বলেন: >> উম্মাহর সর্বসম্মত মত হল, জইফ হাদিস তথা মুরসাল, মু'দাল, মুনকাতে পর্যায়ের হাদিস দ্বারা আমলের ফযীলত সাব্যস্ত করা যাবে (খুলাসাহ-২৬)
বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে যানঃ- http://anonym.to/?http://justpaste.it/mbi0
========
আশা করি এগুলোই আপনার জন্যে যথেষ্ট হবে ভাই। আর কোন বিষয় পরিস্কার হওয়ার প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন ইনশাল্লাহ ।
হাদাকাল্লাহ ইলা সিরাতিল মুসতাকীম।Last edited by titumir; 07-14-2015, 10:00 AM.
Comment
-
আসসালামুয়ালাইকুম। আপনার কথা শুনে মনে হল আপনি আমাকে ভালবাসেন আল্লাহ্*র জন্য। যদি তাই হয় তাহলে আমিও আপনাকে ভালবাসি আল্লাহর জন্য।
আদম (আঃ) শিরক করেছিলেন (নাউযুবিল্লাহ) এরকম জঈফ হাদিস, সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লেকচারটি শুনুন
শবই বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য শাইখ জসিমুদ্দিন রহমানির শবই বরাত নামক বইটি পড়ুন
হাত তুলে দুয়া করার ব্যাপারের হাদিসটি জাল ছিল।আমি জঈফ বলার জন্য দুঃখিত
বর্ণনাটি এরূপ ছিল
"আসওয়াদ আল আমেরি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,আমি একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ফজরের সালাত আদায় করলাম । তিনি সালাম ফিরিয়ে ঘুরে বসলেন এবং দুহাত উঠালেন এবং দুয়া করলেন"
এটা জাল হাদিস
এটা আমি পড়েছি "জাল হাদিসের কবলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সালাত"
লেখক মুজাফফর বিন মুহসিন
তো এখানে সালাতের পদ্ধতিএ মুনাজাত করা নামক একটি অধ্যায় আছে।যেখানে এই জাল হাদিসটির কথা বলা আছে তবে একই অধ্যায়ে একই বিষয়ে তিনি অন্য একটি বর্ণনা সম্পর্কে বলেছিলেন "উক্ত মর্মে আরও অনেক জাল ও জঈফ হাদিস রয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে শারিঈ মানদণ্ডে মুনাজাত বইটি দেখুন"
জঈফ হাদিস গ্রহন করার ক্ষেত্রে আপনি যেই বিষয়টি তুলে ধরলেন সেটি বাতিক্রম। এবং এই বাতিক্রম বিষয়টি নিয়েও অনেক মতভেদ আছে
ইবনুল আরাবি মালেকি বলেন " দুর্বল হাদিসের উপর কোন অবস্থায়েই আমল করা যাবে না।"
ইমাম শাওকানি একই মতামত দিয়েছেন।
আর এটিই শারিঈ দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য মত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন
জঈফ ও জাল হাদিস সিরিজ ও উম্মতের মধ্যে তার কু প্রভাব
লেখক। নাসির উদ্দিন আলবানি
এখান থেকে ডাউনলোড করুন
জাযাকাল্লাহ খাইরLast edited by titumir; 07-14-2015, 10:09 AM.
Comment
Comment