বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
============> জবাবঃ-
ভাই, উক্ত হাদিসটির ব্যাপারে ইবনে হাযম রহঃ বলেছেনঃ এটি কুসংস্কার,জাল বা বানোয়াট। তাই এটাকে শুধু যয়ীফ বলা যায় না। এছাড়া আমরা বলেছিলাম যে, যয়ীফ হাদিস কেবল মাত্র ফাজায়েলের খেত্রে,তারগীব ও তাহরীবের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য, অন্য ক্ষেত্রে বলিনি।
ইমাম নববী রহ. জইফ হাদিস সম্পর্কে এভাবে মন্তব্য করেন: >>উম্মাহর সকল ওলামায়ে কেরামের নিকট জায়েজ হল, কোন হাদিস যদি মওযু বা জাল না হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়টি যদি আহকাম তথা হালাল হারাম বা আল্লাহ তায়ালার সিফাত সম্পর্কীয় না হয় তাহলে বর্ণিত হাদিসের সনদ জইফ হলে ও তার প্রতি নমনীয় আচরন করা হবে। অর্থাৎ তার দুর্বলতার কথা উল্লেখ ছাড়াই তা বর্ণনা করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা বৈধ (আল-আজভিবাহ-৪০, আত তাকরিব-১৯২)
সেই হিসেবে আপনার উল্লেখিত হাদিসটি যেহেতু আল্লাহর হকের সাথে সংশ্লিষ্ট তথা তাওহীদের বিষয় তাই ইমাম নববীর(রঃ) কথা অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য নয়। তাই যয়ীফ হাদিসের ব্যাপারে আমার বক্তব্য ছিল শুধুমাত্র আমলের ফাজায়েল, তারগীব এবং তাহরীবের জন্যে প্রযোজ্য। বিষয়টা আগেই পরিস্কার করা হয়েছে। তাই, জাল আর যয়ীফের হুকুমকে একাকার করার কোন সুযোগ নেই।
=============
শবই বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য শাইখ জসিমুদ্দিন রহমানির শবই বরাত নামক বইটি পড়ুন
=========> জবাবঃ-
প্রথমতঃ আপনার দেওয়া লিঙ্কটি কাজ করছে না।
আর কোন আমল সাব্যস্ত হওয়ার জন্যে একটা “হাসান” (যা সহীহ হাদিসেরই একটা প্রকার) পর্যায়ের হাদিসও যদি পাওয়া যায় তাহলে এই আমলটাকে বিদয়াত বলা যাবে না। সে হিসেবে নিচের হাদিসটি শবে বরাতের ফজিলতের জন্যে যথেষ্ট। যদিও এই ব্যাপারে আর গ্রহনযোগ্য হাদিস রয়েছে।
মুআয ইবনে জাবাল রা. বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে মাফ করে দেন।’’- (সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫৬৬৫)
হাদীসটির সনদ সহীহ। এজন্যই ইমাম ইবনে হিববান একে ‘কিতাবুস সহীহ’এ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটিকে পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘হাসান’ বলেছেন; কিন্তু হাসান হাদীস সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য হাদীসেরই একটি প্রকার।
ইমাম মুনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাসতাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। দেখুন, আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১১৮, ৩/৪৫৯; লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/৬৫; শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১
তাছাড়া বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহ. ‘‘সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা’’ ৩/১৩৫-১৩৯-এ এই হাদীসের সমর্থনে আরো আটটি হাদীস উল্লেখ করার পর লেখেন-
وجملة القول أن الحديث يمجموع هذه الطريق صحيح بلا ريب والصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كماهو الشأن في هذا الحديث.
‘‘এ সব রেওয়ায়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগতভাবে এই হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ প্রমাণিত হয়।’’ এরপর শায়খ আলবানী রাহ. ওই সব লোকের বক্তব্য খন্ডন করেন যারা কোনো ধরনের খোঁজখবর ছাড়াই বলে দেন যে, শবে বরাতের ব্যাপারে কোনো সহীহ হাদীস নেই।
দ্বিতীয়তঃ হক প্রকাশে নির্ভীক শাইখ জসীমুদ্দিন রহমানী (আল্লাহ তায়ালা শাইখকে দ্রুত মুক্ত করে দিন) শাইখকে আমি অন্তর থেকে অনেক ভালোবাসি। তবে শাইখ যদি শবে বরাতকে বিদআত বলেও থাকেন তাহলে উপরের হাসান (সহীহ) হাদিসটি ও আলবানীর বক্তব্য অনুযায়ী শবে বরাতকে বিদআত বলা ভুল প্রমানিত হয়। আর শাইখ নিজেই তাঁর প্রায় লেকচারে বলে থাকেন যে, আমার (শাইখের) কোন কথার বিরুদ্ধে যদি কোন সহীহ হাদিস থাকে তাহলে শাইখের কথা ছুড়ে ফেলতে বলেছেন,আর সেই সহীহ হাদিসকেই মানতে বলেছেন। তাই শাইখের কথার উপরই আমরা আমল করছি তথা শবে বরাতের পক্ষে সহীহ হাদিস রয়েছে বিদায় এটা বিদআত নয়।
=================
হাত তুলে দুয়া করার ব্যাপারের হাদিসটি জাল ছিল।আমি জঈফ বলার জন্য দুঃখিত
বর্ণনাটি এরূপ ছিল
"আসওয়াদ আল আমেরি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,আমি একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ফজরের সালাত আদায় করলাম । তিনি সালাম ফিরিয়ে ঘুরে বসলেন এবং দুহাত উঠালেন এবং দুয়া করলেন"
এটা জাল হাদিস
এটা আমি পড়েছি "জাল হাদিসের কবলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সালাত"
লেখক মুজাফফর বিন মুহসিন এ সম্পর্কে জানতে শারিঈ মানদণ্ডে মুনাজাত বইটি দেখুন"
============>> জবাবঃ-
প্রিয় ভাই, আপনি যেই হাদিসটি উল্লেখ করেছেন, তাঁর শব্দ নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। আর তা হলঃ-
عن أبيه قال : صليت مع رسول الله الفجر ، فلما سلم انحرف . ولفظ ابن حزم: فلما صلى انحرف . فإذن ليس في الحديث : رفع يديه ودعا . ولو سلمنا بثبوت هذه الجملة فإنها لا تكفي للوفاء بالاستدلال المقصود ؛ لأنها ليس فيها الجهر بالدعاء من الإمام ، ولا تأمين المأمومين جهراً
رفع يديه ودعا তথা দুহাত উঠালেন এবং দুয়া করলেন"এই বাক্যটা মূল হাদিসে নেই। এই অংশটা বানোয়াট । আর এর পূর্বের অংশটা যয়ীফ। ইবনে হাজম (রঃ) বলেনঃ যদি এই হাদিসকে দলীল হিসেবে মেনেও নেয়া হয় তথাপি এটা ফরয সালাতের পর ইমাম অ মুক্তাদির জামাতের সাথে উচ্চস্বরে দোয়া করা অ আমিন আমিন বলার পক্ষে দিলীল হয় না। কারন এখানে রাসুলের (সঃ) এর সাথে সাহাবায়ে কেরামগন হাত তুলে জামাতের সাথে উচ্চস্বরে আমীন আমিন বলেছেন বলে প্রমানিত হয় না।
তাই আমার পূর্বের কথাটি সঠিক ছিল বলে প্রমানিত হল।
ভাই, আপনি মনে ফুরুয়ী বা শাখাগত মাসয়ালার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের এমন কয়েকজনের বইয়ের রেফারেন্স দিলেন যারা (মুজাফফর বিন মুহসিন, আকরামুজ্জামান, আলবানী) আসলে আহলে হাদিস বলে পরিচিত ও বিতর্কিত। এছাড়া মুজাফফর বিন মুহসিন ও আকরামুজ্জামানদের আকীদা কি আপনি জানেন!? তাঁরা মুসলিম দেশের মুরতাদ শাসককে মুসলমান মনে করে !! মুরতাদ মনে করে না!!! তাঁরা সারা দুনিয়ার হকপন্থী মুজাহিদদেরকে খারেজী বলে বেড়ায়। তাদের কেউ কেউ তো জিহাদকে চরম্পন্থা বলে বই ও বের করেছে। তাই এই ধরনের উলামায়ে ছু দের বইয়ের রেফারেন্স দিতে রুচিতে বাধা উচিত। কারন তাঁরা দীনের ব্যাপারে হকপন্থী ও আমানতদার নয়। তাঁরা যায়েজ বিষয়ে না জায়েজের মত ফতওয়া দিয়ে থাকে অনেক ফুরুয়ী ইখতেলাফি বিষয়ে। তাঁরা কথা কলমের জিহাদে বিশ্বাসী-অস্ত্রের নয়। তাদের দীন কায়েমের মানহাজ হচ্ছে তাজকিয়াহ-তাসফিয়াহ!! জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নয়।
আমি নিজেই মুজাফফর বিন কে বলতে শনেছি এক মাহফিলের বয়ানে, তিনি বশির কে হতযার হাদিসটিকে জাল হাদিস বলেছেন। অথছ এটাকে মুহাদ্দিসিনরা যয়ীফ বলেছেন। কেউ জাল বলেন নি। ইবনে কাছিরের বরাতে তিনি জাল বলেছেন। আমি ইবনে কাছির সহ অন্য কিতাবে কোথায়ও এটাকে জাল বলতে দেখলাম না। বরং ইবনে তাইমিয়া মাজমুউল ফাতয়াতে এটাকে হাসান বলেছেন!! এরকম অনেক বিষয়ে মুজাফফর বিন অনেক বাড়াবাড়ি মুলক কথা বলে থাকেন।
তাই এই ধরেনের উলামায়ে ছু দের নিকট থেকে দ্বীনের বিষয়ে সমাধান নিতে সাবধান!!!
============
জঈফ হাদিস গ্রহন করার ক্ষেত্রে আপনি যেই বিষয়টি তুলে ধরলেন সেটি বাতিক্রম। এবং এই বাতিক্রম বিষয়টি নিয়েও অনেক মতভেদ আছে
ইবনুল আরাবি মালেকি বলেন " দুর্বল হাদিসের উপর কোন অবস্থায়েই আমল করা যাবে না।"
ইমাম শাওকানি একই মতামত দিয়েছেন।
আর এটিই শারিঈ দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য মত।
===========> জবাবঃ-
প্রিয় ভাই,
আমার উল্লেখিত বিষয় গুলোকে আপনি ব্যতিক্রম বললেন কিভাবে যেখানে উলামাদের ইজমা পেশ করা হয়েছে!! ২১ জনের স্টেটমেন্ট তুলে ধরা হয়েছে !! মূল কিতাবের হাওলা ও পেইজ নং দেওয়া হয়েছে !!
পক্ষান্তরে আপনি একজনের বক্তব্য দিয়েছেন তাও আবার রেফারেন্স বিহীন !! যদিও কারো কারো মত থাকতে পারে কিন্ত অধিকাংশ উলামারা আমলের ফজিলত,তারগীব ও তাহরিবের ক্ষেত্রে যয়িফ হাদিসকে আমলযোগ্য বলেছেন যা আমি ইতিপূর্বে প্রমান উল্লেখ করেছি। তাই আপনার কথা গ্রহন করা যাচ্ছে না আখি।
আশা করি এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে গেলো। ওয়াস সালাম। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক পথে গাইড করুন। দিলকে হকের উপর ছাবেত রাখুন। আমিন।
প্রিয় abcd1 ভাই,
আমার উত্থাপিত বিষয়গুলোর পর আপনার আর কোন say থাকার কথা না। রিপ্লাই না পেলে এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ।
অাল্লাহ অামাদের সঠিক পথ দেখান ও তার সন্তুষ্টির উপর এক করুন। অামিন
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
ভাই, একটু ভালোভাবে পড়ে দেখলে বুঝবেন যে,আপনার দেওয়া লিংক থেকে আমার দাবীর পক্ষেই দলীলকে সত্যায়ন করে।
আপনার দেওয়া লিংক এর শাইখ জসীমুদ্দিন রহমানী এর শবে বরাত বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় দেখুন তিনি স্বীকার করেছেন যে শবে বরাত (১৫ই শাবানের) এর ফজিলত বিষয়ে ২/১ টি হলে ও হাসান হাদিস রয়েছে (যদিও আলবানী সিহীহ বলেছেন, ইবনে হিব্বান সহীহ বলেছেন)।
তাহলে এটা কি শবে বরাতকে বিদআত সাব্যস্ত করে !?
(আমি বলেছি শবে বরাতকে নিয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি উভয়টাই ভুল।)
আর যয়ীফ হাদিসকে নিয়ে আপনি যে লিংক দিয়েছেন এগুলো কোন বই থেকে লেখক কে কিছুই উল্লেখ না করে শুধু মাঝ খান থেকে এভাবে উদ্ধৃতি দিলে মানুষ কি বুঝবে ?
قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে (তোমাদের দাবির পক্ষে) দিলিল-প্রমান নিয়ে আসো। (সুরা বাকারা-১১১), (সূরা নামল-৬৪)
অধিকিন্তু আপনার দেওয়া লিংক থেকে আবারও এটাই প্রমান হল যে যয়ীফ হাদিস সকল ক্ষেত্রে বাতিল নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে কেউ বলেছেন, শর্ত সাপেক্ষে গ্রহনযোগ্য। আপনার লিংকটা একটু ভালো করে পড়ে দেখুন। তাহলে এটাই পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আহলে হাদিস(মাদখালী) মুরজিয়াদের বইয়ের রেফারেন্স থেকে,তাদের সুহবত থেকে নিজে বাচুন ও অন্যদের সাবধান করুন। (অবশ্য শাইখ জসীমুদ্দীন রহমানীকে উদ্দেশ্য করা হয়নি)
ভাই এই ধরনের বালীর বাধ দিয়ে কি সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া যায় ! প্রকাশিত সত্যকে মেনে নিতে যদি আমাদের আপত্তি থাকে তাহলে আল্লাহর শাস্তির ভয় করা উচিত। “শুনলাম ও অমান্য করলাম” করলাম এটাতো কাফেরদের স্বভাব। পক্ষান্তরে “শুনলাম ও মানলাম” এটা মুমিনদের চরিত্র।
তাই পরিশেষে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর একটি গুরুত্বপুর্ন বানী স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেষ করছিঃ-
قال ابن تيمية : من أعرض عن اتباع الحق الذي يعلمه تبعا لهواه فإن ذلك يورثه الجهل والضلال حتى يعمى قلبه عن الحق الواضح] [ الفتاوى (١٩/١٠[
অর্থাৎ যে ব্যাক্তি নিজ প্রবৃত্তির কারনে সত্য জানতে পেরেও হকের (সত্যের) অনুসরণ করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো , তাহলে এই বিমুখতা তাকে এমন অজ্ঞ ও পথ-ভ্রষ্টতায় লিপ্ত করবে যে শেষ পর্যন্ত তাঁর অন্তর সুস্পষ্ট হক থেকেও অন্ধ হয়ে যাবে। (মাজমুউল ফাতওয়া ১০/১৯) ( নাইজুবিল্লাহ)
ইমাম ইবনুন কায়্যিম রহঃ তাঁর মাদারিজুস সালেকীন বইয়ে বলেনঃ-
كل من أعرض عن الحق وقع في الباطل
“যে ব্যাক্তি সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে বাতিলে পতিত হয়”।
তাই সত্য বিমুখতা থেকে সকলেই সাবধান থাকুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেদায়েত দিন। আমিন।
আসসালামুয়ালাইকুম।
ভাই প্রথমত আমি শবই বরাত কে বিদাত বলেনি, আমি বলেছিলাম শবই বরাতকে, শবই কদর মনে করা । আপনি হয়ত শুনে থাকবেন বা বিভিন্ন বইয়ে পরবেন বা টিভিতে শুনে থাকবেন যে তারা সুরা দুখান এর তিন ও চার নং আয়াত ,শবই বরাত এর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে। আমি নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তো দ্বীনে এ ধরনের মতবাদ চালু করা নিঃসন্দেহে বিদাত।
আর বইটির লিংক
আর জঈফ হাদিস গ্রহন করার ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। কারণ ইসলাম স্পষ্ট।কুরআন ও সহিহ হাদিসও স্পষ্ট। আর আপনি জানেন বিখ্যাত আলেমরা, আল্লাহ্*র ইচ্ছায় সহিহ ও জঈফ হাদিসের মধ্যে পার্থক্য করে দিয়েছেন, আমরা যেন সহিহ হাদিস গ্রহন করি ও জঈফ হাদিস বর্জন করি। আমরা জানি রাসুল (সাঃ) এর হাদিসে ত্রুটি নেই কিন্তু ত্রুটি রয়েছে দুর্বল রাবিদের কথায়। এখন আপনি যদি স্পষ্ট সহিহ হাদিস ছেড়ে জঈফ হাদিস গ্রহন করেন তাহলে শরিয়তে ত্রুটি প্রবেশ করবে। আর বইটি থেকে জানা যায় যে তারা যেসব শর্ত দিয়েছিলেন ৩নং শর্ত দেখুন,"কম দুর্বল হাদিসটির উপর এমন বিশ্বাস রাখা যাবে না যে সেটি শরিয়তে সাব্যস্ত হয়েছে।"
আর শরিয়তে যেটা সাব্যস্ত হয়নি সেটা আমি আপনি করতে পারি না।
ভাই,
"এখন আপনি যদি স্পষ্ট সহিহ হাদিস ছেড়ে জঈফ হাদিস গ্রহন করেন তাহলে শরিয়তে ত্রুটি প্রবেশ করবে।"------>>
>>>>> আমি কখন সহিহ হাদিস ছেড়ে যয়ীফ হাদিস মানার কথা বললাম !!?
আমি বলেছি,সহিহ হাদিসের সাথে যয়ীফ হাদিস ও কোন কোন কোন ক্ষেত্রে (শর্তানুযায়ী ) গ্রহনযোগ্য।
আমাদের উচিত নির্ভরযোগ্য উসূলে হাদিসের উসূলে ফিকহ এর কিতাব অধ্যয়ন করা। এগুলো না জানার কারনেই আমরা কোরআন হাদিস নিজের মত করে বুঝতে চেষ্টা করি।
কেননা একটা অপ্রিয় সত্য কথা রয়েছেঃ- "অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী "!
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে সহিহ বুঝ দিন।
অাসসালামু অালাইকুম
অামার মনে হয় অামরা এই পোস্টের সার সংক্ষেপ করতে পরি। অার তা হলো:
১। হাদীসের অনুবাদের ক্ষেত্রে টিকা পরিহার করা।
২। হাদীসের তাফসির এর ক্ষেত্রে তাকে স্পষ্ট করা যাতে তাকে হাদীস মনে না হয়।
৩। ব্যাক্ষার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা যাতে নির্ভরযোগ্য অালেম কতৃক বা দালীলিক হয়।
৪। দয়ীফ হাদীস সাহীহ হাদীসের বিপরিতে গ্রহনযোগ্য হয় না, কিন্তু সাহী হাদীসের পক্ষে গ্রহনযোগ্য। অাবার তারগীব ও তারহীবের জন্য ও গ্রহনযোগ্য যদি তা অাক্বিদাহ বা দ্বীনের কোন প্রামানিক সিদ্ধান্তের বিপরিত না হয়।
৫। এককভাবে কোন দায়ীফ হাদীস কোন বিচারিক স্বিদ্ধান্তে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
Comment