Tweet
ইসকন সমাচার||এক উগ্র সংঘের উত্থান||
ইসকন সমাচার||এক উগ্র সংঘের উত্থান||
ইদানিংকালে হিন্দু সন্নাসী নামে পরিচিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু গ্রেপ্তারের পরেই তার সঙ্গে যে সংগঠনের যোগাযোগ ছিলো সেই ইসকন নিয়ে সারাদেশে নানা আলাপ- আলোচনা চলছে, চলছে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক ।
আসলে ইসকন কী, কী তাদের কর্মতৎপরতা, বা কে তাদের পরিচালনা করছে তা জানার চেষ্টা করবো ইনশআল্লাহ।
ইসকন প্রতিষ্ঠা:-
ইসকনের উৎপত্তি কিন্তু ভারতের মাটিতে নই। প্রায় ৫০ বছর আগে আমেরিকার নিউইয়র্কে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন- অভয়াচরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। অবাক করা বিষয়- এ ভদ্র ব্যক্তি ভারতের কোন হিন্দু বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি, তিনি লেখাপড়া করেছেন খ্রীষ্টানদের চার্চে। আর পেশায় ছিলেন ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী।
শুনে আশ্চর্য হতে পারেন- স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরণের এই সংগঠনটি প্রথমে ভারতের র মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মূলধারার সনাতন হিন্দুরা এতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে জো. স্টিলসন, হারভে কক্সসহ ল্যারি সিনের মত ইহুদী-খ্রীষ্টান এজেন্টদের সহযোগীতায় সাপের মাথা আমেরিকায় এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ইসকনের পরিচয়:-
ইসকন সংক্ষিপ্তরূপ। মূলরূপ ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস। ইসকনের সদর দপ্তর ভারতের মায়াপুরে। সারা পৃথিবীতে ১০০শরো বেশি এদের মন্দির ও আশ্রম রয়েছে। ইসকনরা নিজেদের পরিচয় হিসাবে বলে থাকে- ইসকন একটি আন্তর্জাতিক হিন্দু সংগঠন।
বাস্তবতা হলো :- ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নই। বরং হিন্দুবেশধারী ইহুদী সংগঠন। চট্রগ্রামের "হিন্দু প্রবর্তক সংঘের এক নেতা বলেন, ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নই"।আবু রুশদ তাঁর লেখা "বালাদেশে র" বয়ে বলেন, "ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দপ্তর ভারতের মায়াপুরে। এটা মূলত: ইহুদের সংঘঠন।" এক সংবাদসূত্র প্রকাশ করেছে - ইসকনের এক নেতা দাবি করেছে, বর্তমানে ইসকন ইহুদীরা চালায়। ইরসকনের মূলনীতিনির্ধাকদের অধিকাংশই হচ্ছে ইহুদী।
ইসকনের উগ্রতা :-
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ইসকনের উদ্দেশ্য হলো - ধর্ম নিয়ে জনসেবা, শিক্ষা ও আধ্যাত্নিকতা করা।
ইদানিংকালে হিন্দু সন্নাসী নামে পরিচিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু গ্রেপ্তারের পরেই তার সঙ্গে যে সংগঠনের যোগাযোগ ছিলো সেই ইসকন নিয়ে সারাদেশে নানা আলাপ- আলোচনা চলছে, চলছে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক ।
আসলে ইসকন কী, কী তাদের কর্মতৎপরতা, বা কে তাদের পরিচালনা করছে তা জানার চেষ্টা করবো ইনশআল্লাহ।
ইসকন প্রতিষ্ঠা:-
ইসকনের উৎপত্তি কিন্তু ভারতের মাটিতে নই। প্রায় ৫০ বছর আগে আমেরিকার নিউইয়র্কে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন- অভয়াচরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। অবাক করা বিষয়- এ ভদ্র ব্যক্তি ভারতের কোন হিন্দু বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি, তিনি লেখাপড়া করেছেন খ্রীষ্টানদের চার্চে। আর পেশায় ছিলেন ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী।
শুনে আশ্চর্য হতে পারেন- স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরণের এই সংগঠনটি প্রথমে ভারতের র মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মূলধারার সনাতন হিন্দুরা এতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে জো. স্টিলসন, হারভে কক্সসহ ল্যারি সিনের মত ইহুদী-খ্রীষ্টান এজেন্টদের সহযোগীতায় সাপের মাথা আমেরিকায় এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ইসকনের পরিচয়:-
ইসকন সংক্ষিপ্তরূপ। মূলরূপ ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস। ইসকনের সদর দপ্তর ভারতের মায়াপুরে। সারা পৃথিবীতে ১০০শরো বেশি এদের মন্দির ও আশ্রম রয়েছে। ইসকনরা নিজেদের পরিচয় হিসাবে বলে থাকে- ইসকন একটি আন্তর্জাতিক হিন্দু সংগঠন।
বাস্তবতা হলো :- ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নই। বরং হিন্দুবেশধারী ইহুদী সংগঠন। চট্রগ্রামের "হিন্দু প্রবর্তক সংঘের এক নেতা বলেন, ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নই"।আবু রুশদ তাঁর লেখা "বালাদেশে র" বয়ে বলেন, "ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দপ্তর ভারতের মায়াপুরে। এটা মূলত: ইহুদের সংঘঠন।" এক সংবাদসূত্র প্রকাশ করেছে - ইসকনের এক নেতা দাবি করেছে, বর্তমানে ইসকন ইহুদীরা চালায়। ইরসকনের মূলনীতিনির্ধাকদের অধিকাংশই হচ্ছে ইহুদী।
ইসকনের উগ্রতা :-
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ইসকনের উদ্দেশ্য হলো - ধর্ম নিয়ে জনসেবা, শিক্ষা ও আধ্যাত্নিকতা করা।
| ইসকন (ISKCON) |
| ১৩ জুলাই ১৯৬৬; ৫৮ বছর আগে নিউ ইয়র্ক শহর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[১] |
| অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ |
| ধর্মীয় |
| জনসেবা শিক্ষা ধর্মচর্চা অধ্যাত্মচর্চা |
| মায়াপুর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত |
|
| বিশ্বব্যাপী |
| গভর্নিং বডি কমিশন |
| গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম (হিন্দুধর্ম) |
| ISKCON.com |
কিন্তু কিছু বিষয় বিশ্লেষন করলে আমরা তা মেনে নিতে পারছি না।
১/ ইসকনের বেসিক কনসেপ্ট মধ্যযুগের "চৈতন্য মহাপ্রভু" ( তাদের বিশ্বাসমতে সে একজন প্রভু)। আর "চৈতন্য মহাপ্রভু" র অন্যতম থিউরী হচ্ছে, "নির্যবন করো আজি সকল ভুবন"।
এর অর্থ হলো - সারা পৃথিবী থেকে মুসলিম নিধন করো।
২/ আবু রুশদ তাঁর লেখা " বাংলাদেশে র" বয়ে বলেন, ইসকনের প্রধান কাজ হলো উস্কানীমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা। যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানো। তাই আমাদের এ কথা বলতে কোন দ্বিধা নেই যে, ইসকন একটি উগ্র, জঙ্গি সংঘঠন। উগ্রতা ছড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশে ইসকন:-
ইসকন আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরেই সারা পৃথিবীতে এর কাযর্ক্রম ছড়িয়ে পড়ে। আমার আপনার প্রিয় মাতৃভূমি এ বাংলাদেশেও বাদ যায়নি। ইসকন বাংলাদেশে আসে ১৯৭৮ সালে। রাজধানী ঢাকা থেকে এর সূচনা হয়। প্রথমে সীমিত পরিসরে এর কার্যক্রম চলে। পরে ১৯৮০ সালে দেশের বড় বড় শহরে এর শাখা গড়ে উঠে।
ইসকন বাংলাদেশে ১০০টিরও বেশি মন্দির ও আশ্রম স্থাপন করছে।
ঢাকার শাঁখারিবাজার এলাকায় সর্বপ্রথম একটি মন্দির স্থাপন করে। উল্যেখযোগ্য মন্দির ও আশ্রম হলো - ঢাকার স্বামীবাগের আশ্রম, চট্রগ্রামের চ্ক্রেশ্বরী মন্দির, ময়মনসিংহের নিত্যানন্দ ধাম। এছাড়াও তাদের বিভিন্ন শিক্ষপ্রতিষ্ঠান ও এনজিও সংস্থা রয়েছে।
ইসকনের অপরাধনামা:-
এই ৫৮ বছরে ইসকনের অপরাধের ফিরিস্তি অনেক লম্বা।অনেক জঘন্য।হত্যা, খুন, মারামারি, উস্কনি দেওয়াসহ সবই হয়েছে। আমেরিকায় ১৯৯০ এর দশকে ইসকনের শির্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শিশুনির্যাতনের অভিযোগ উঠে। বর্তমানে বাংলাদেশে ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধেও শিশুনির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
( সূত্র:- আলফিরদাউস)
২০১৪ সালে ঢাকার স্বামীবাজার এলাকার এক মসজিদে তারাবির নামাযে বাধা দেয়।২০১৬ সালে সিলেটে এক মসজিদের মুসল্লীদের উপর গুলি বর্ষণ করে।
জমি দখল করা , এমনকি সনাতন হিন্দুদের জমি দখল করা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সনাতন হিন্দুদের মন্দির দখল করা এমনকি তাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।
কলেজের স্টুডেন্ট আবরার ফাহাদকে হত্যা করার প্রমাণ আছে।আর অ্যাডভোকেড সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিষয় তো সবারই জানা।
তাদের এসব উগ্রতার কারণে সিঙ্গাপুর, চীন, মালশিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানসহ আরো কিছু দেশে এদের কড়া নজরে রাখা হচ্ছে।
তাই বিশ্লেষকগণ মনে করেন, বাংলাদেশে যদি এখনি এদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে, বা এমনও হতে পারে যে, বাংলাদেশ অখণ্ড রামরাজ্যের কোন অংশ হয়ে যেতে পারে।
Comment