এ যুদ্ধের প্রাপ্তি কী?
হামাসতো জানতো অক্টোবর ৭ এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাযায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। গাযায় রক্তের নদী বয়ে যাবে। হামাসেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ইনফ্যাক্ট যে নেতারা এই অভিযানের পরিকল্পনা করেছে তাদেরও অনেকে শহীদ হবে। এই সবগুলো পরিণতিই প্রেডিক্ট করা গেছে। তবুও তারা এ বিপজ্জনক রাস্তায় পা বাড়ালো কেনো? কোন লাভের আশায়?
সহজ করে বললে, পবিত্রভূমি সংলগ্ন সর্বশেষ ক্ষুদ্র ভূমির স্বাধীন সত্ত্বার অস্তিত্ব রক্ষায়। এই অস্তিত্বের প্রশ্ন কীভাবে এলো, তার উত্তর খুঁজতে আপনাকে একটু পেছনে যেতে হবে।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব আর দশটা দেশের স্বাভাবিক দ্বন্দ্বের চেয়ে আলাদা। এ সমস্যা দুটো দেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত সমস্যা না। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর, এ ভূমি নিয়ে পুরো বিশ্ব দুটি স্বতন্ত্র ভাগে ভাগ হয়ে যায়। নির্ণায়ক পক্ষগুলোর একটা অংশ (ওয়েস্ট) ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। আর আরবরা দেয় ফিলিস্তিনকে। নানান সময়ে দু'পক্ষই নিজেদের প্ল্যান দিয়েছে, টু স্টেট সলিউশনের কথা বলেছে। কিন্তু বাস্তবে এই পুরো ভূমিতে একেক পক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছে শুধু একটি দেশকে। অর্থাৎ বড় শক্তিগুলোর মধ্যে যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের প্রায় সবাইই এই পুরো ভূমির অফিসিয়াল ঔনার হিসেবে কনসিডার করেছে ইসরায়েলকে। আবার যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তারা কাগজে কলমে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছে শুধু ফিলিস্তিনকেই।
মোটামুটি এমনটাই চলছিলো গত দশক পর্যন্ত। এর বাইরে যতো প্ল্যান, প্রোজেক্ট ঘোষিত হয়েছে তার কোনোটাই ফলপ্রসূ হয়নি। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনকে 'বেয়ার মিনিমাম' দিয়েও একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে এমন কোনো প্রোজেক্টে অন্যপক্ষকে রাজি করানো যায়নি। তাই আরবদের যে অংশটা (স্পেশালি সৌদি জোট) ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের ফয়সালা ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি ছিলোনা, তারাও নতুন কোনো ডিসিশানে আসেনি। গাযা নিয়ে দুপক্ষের এমন অবস্থান ছিলো গত দশক পর্যন্ত (ওয়েস্ট ব্যংক না)।
কিন্তু গত দশকের শেষদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উদ্যোগে এ দৃশ্যপট বদলে যায়। ইউএস এর মধ্যস্ততায় ঘোষিত হয় 'ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি'। এই ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি অনুসারে, ইসরায়েলের সাথে আরবরা সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। তার বদলে এই ভূমিতে দুইটা আলাদা রাষ্ট্র গঠন করা হবে।
কিন্তু এই 'রাষ্ট্রের' জায়গায়ই আছে শুভঙ্করের ফাঁকি। নতুন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে, তার সার্বভৌম সেনাবাহিনী থাকবেনা। থাকবেনা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। মোটকথা তারা ওয়েস্ট ব্যাংক আর গাযা নিয়ে যে রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে, তা হবে রাষ্ট্ররূপী কলোনি। এই কলোনির ধরন কেমন হতে পারে, তার একটা প্রতিরূপ দেখা যায় ওয়েস্ট ব্যাংকে। আসলে এর মাধ্যমে ওয়েস্ট ব্যাংক প্রোজেক্ট গাযা পর্যন্ত এক্সটেন্ড করাই মূলত উদ্দেশ্য।
বাহ্যিকভাবে মনে হয়েছে সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন থাকায় এ প্রোজেক্ট ভেস্তে গেছে। কিন্তু এই প্রোজেক্টের অনুরূপ কিছু একটা যে ভেতরে ভেতরে আসতে যাচ্ছে, তা প্রমাণ হতে শুরু করে এর একবছর পর থেকে। পরের কিছু ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে থাকে।
২০২০ সালে ফিলিস্তিন প্রশ্নে কোনো সমাধান ছাড়াই হঠাৎ করে ইসরায়েলের সাথে নরমালাইজ করে ফেলে আরব আমিরাত।
তার তিন মাস পর সুদান।
তার কয়েক মাস পর বাহরাইন।
তারও কয়েক মাস পর মরক্কো।
অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রশ্নে শেষ যে বাতিটা টিমটিম করে জ্বলছিলো, তাও নিভে যেতে শুরু করে। সর্বশেষ, অক্টোবর ৭ এর আগে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে - সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে সৌদি আরবে ইউএস এর মধ্যস্ততায় সৌদি - ইসরায়েল বৈঠক হচ্ছে। সৌদি আরবের নরমালাইজেশন হলো, এ ভূমিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনের কফিনে শেষ পেরেক।
কেননা ইউএস ইসরায়েলকে গাযা/ফিলিস্তিন দখলে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া থেকে বিরত রেখেছে। মূলত তারা ছিলো আরবদের সাথে একটা নেগোসিয়েশনের অপেক্ষায়। যদি সৌদি জোটের সাথে এ নরমালাইজেশন হয়ে যেতো, তখন সেই শেষ সুতোটাও কেটে যেতো। আরবদের সাথে নরমালাইজেশনের পর 'ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি' কিংবা তার কাছাকাছি কোনো চুক্তি যদি এ দুই জোটের মধ্যে হয়ে যেতো, এবং হামাস তা না মানতো, তবে ইসরায়েল তাদের ওপর আগ্রাসন চালানোর আন্তর্জাতিক বৈধতা পেতো। স্বভাবতই তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে চুক্তি মানাতে চাইতো। এবং এ ডিল বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ সহযোগী হতো ইউএস ও আরবরা।
এমতাবস্থায় হামাসের হাতে অপশন ছিলো তিনটা -
- আরবদের সাথে আসন্ন চুক্তি মেনে নিয়ে ওয়েস্ট ব্যাংকের মতো কলোনি হতে প্রস্তুত থাকা।
- আরবরা চুক্তি করলেও তা না মানা। এবং ইসরায়েল কখন তাদের সুবিধামতো যুদ্ধ চাপিয়ে দেবে তার জন্য অপেক্ষা করা।
- নতুন বাস্তবতা তৈরি হওয়ার আগেই নিজেদের সুবিধামত অভিযান চালানো এবং এমন কোনো এক উপায়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয়া যাতে সবগুলো পক্ষ গাযা নিয়ে যেকোনো ডিসিশানে তাদের স্বাধীন সত্ত্বাসহ ইনক্লুড করতে বাধ্য হয়।
এই অপশন তাদের সফল করবে কি ব্যর্থ করবে তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেনা, কিন্তু এটাই ছিলো গাযার জন্য বেস্ট পসিবল অপশন। এর বাইরে কোনো রাস্তা তাদের জন্য খোলা ছিলোনা, এখনো নেই।
*******
হামাস ৭ অক্টোবর যে অভিযান চালিয়েছে তার লেজিটিমেসি কী?
অধিকৃত ভূমিতে ইসরায়েলের অবস্থানই তাদের বৈধতা। এ অঞ্চলের পুরোটা জুড়েই ইসরায়েলের বিস্তৃতি হানাদার হিসেবে। যদি সো কল্ড ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির(ওয়েস্ট) অবস্থান মেনেও নেয়া হয় তবুও ইসরায়েল তাদের স্বীকৃতির বাইরে বিশাল ভূমি দখল করে রেখেছে। ৬৭'র আরব ইসরায়েল যুদ্ধের বাস্তবতা মেনে নিলেও, সে যুদ্ধ পরবর্তী শান্তি সময়ে দখলকৃত ভূমিতেও তারা অবৈধ সত্ত্বা। তারউপর যে ভূমি তারা দখল করেনি, সে অংশেও তারা অবরোধ তৈরি করে রেখেছে। তাদের স্বাধীন কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে।
- রাশিয়াতে পা দেয়ার পর থেকেই যেমন রাশানদের লেজিটিম্যাসি তৈরি হয়ে যায় জার্মানদের আক্রমণ করার,
- ভিয়েতনামে পা দেয়ার পর থেকেই যেমন ইউএস বাহিনীকে আক্রমণ করা ভিয়েতনামিজদের জন্য লেজিটিমেট হয়ে গিয়েছিলো,
- চীনের মাটিতে পা দেয়ার পরপরই যেমন জাপানিজরা হয়ে গিয়েছিলো চায়নিজ স্বাধীনতাকামীদের লেজিটিমেট টার্গেট
- তেমনি গাযা কিংবা অধিকৃত ভূমির স্বাধীনতাকামীদের জন্য ইসরায়েল লেজিটিমেট টার্গেট।
*******
হামাস কি নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণে গাযার মানুষকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে?
সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা আসতে পারে গাযার সাধারণ মানুষকে নিয়ে। হামাস নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণে গাযার সাধারণ মানুষকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে? নাকি তারা গাযার সাধারণ মানুষের সমর্থিত যোদ্ধা?
এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হামাসের রিক্রুটমেন্টের দিকে তাকানোই যথেষ্ট। এ মাসের শুরুর দিকেই জেরুজালেমে পোস্টসহ হিব্রু মিডিয়াগুলো জানায়, গাযায় হামাস মেম্বারের সংখ্যা ২৩ হাজার থেকে ৪০ হাজারে মধ্যে। মজার ব্যাপার হলো, যুদ্ধের শুরুতেও তাদের এস্টিমেইটেড নাম্বার একই ছিলো। এমনটা কীভাবে হলো? যুদ্ধেতো হাজার হাজার যোদ্ধা মারা গেছে!
সহজ উত্তর, হামাস মেম্বার রিক্রুটমেন্টে কোনো সমস্যায়ই পড়েনি। গতকাল ব্লিংকেন বলেছে, তাদের কাছে খবর আছে, হামাস তাদের পুরো সংখ্যাটাই প্রতিস্থাপন করতে পেরেছে। কয়েকদিন আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্টারের কাছে এক ইসরায়েলি সিনিয়র জেনারেল বলেছে, তারা যতো দ্রুত হামাসকে শেষ করে, তারা তারচেয়েও দ্রুত সে সংখ্যা প্রতিস্থাপন করে ফেলে। সব ইউনিট পুরোপুরি প্রতিস্থাপনের একই খবর এসেছিলো গত মে-তেও। হামাসের এক কমান্ডার বলেছিলো, তাদের কাছে এতো আবেদন এসেছে যে তারা সবাইকে নিতেও পারেনা।
আপনি নিয়মিত টুইটার চালালে হয়তো প্রায়ই বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকবেন, ইউক্রেন আর্মির রিক্রুটাররা কোনো এক নাগরিকের পেছনে ছুটছে। কিন্তু সে নাগরিক দৌড়ে পালাচ্ছে। কারণ সে যুদ্ধ করতে চায়না। ইউক্রেনেও কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে যুদ্ধ চলছে। অথচ গত পনেরো মাসে গাযার এমন একটা ভিডিওও পাবেননা।
এমন একটা ফেসবুক পোস্ট কিংবা সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকার পাবেননা যেখানে গাযার কোনো অধিবাসী বলছে, তাদের জোর করে রিক্রুট করানো হচ্ছে।
ইসরায়েল প্রায়ই বিমান থেকে লিফলেট ছেড়ে, বিভিন্ন ঘোষণা জারি করে গাযাবাসীকে হামাসের বিরুদ্ধে উষ্কে দেয়ার চেষ্টা করতো যাতে তারা বিরক্ত হয়ে বিদ্রোহ করে।
কিন্তু এতো এতো ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত অংশেও আপনি একটা ছোট্ট মিছিলও দেখবেন না যেটা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিন্দা করছে। যদি হাজারখানেক নাগরিকের একটা দলও বিরক্ত হয়ে এ পথে যেতো তবে ইসরায়েল তাদের নিয়ে মিডিয়ায় এতোবেশি শো-অফ করতো যে বিশ্ববাসী ধরে নিতো হামাস গাযাবাসীদের ওপর জোরপূর্বক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এমন মোটামুটি একটা সংখ্যার দল পাওয়া গেলে ইসরায়েল তাদের নিয়ে একটা লোকাল ফোর্সও বানিয়ে ফেলতে পারতো। কিন্তু এমন কোনো বিদ্রোহ মাথাচাড়া দেয়নি।
এর বদলে আপনি ডজন ডজন ভিডিও দেখবেন, যেখানে বোমায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া ভাইয়ের দেহ সামনে নিয়ে আরেক ভাই প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। সন্তানের রক্তাক্ত লাশ সামনে নিয়ে মা ক্যামেরার সামনে চিৎকার করে ঘোষণা করছে, "আমি আল্লাহর জন্য সন্তানকে কোরবান করলাম। আমার অন্য সন্তানকেও দরকার হলে করবো।"
গতকাল থেকে সিজফায়ারের সম্ভাবনা দেখা দেয়ার পর থেকেই গাযার রাস্তায় মিছিল হচ্ছে। এর অনেকগুলো মিছিলে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জয়গান হচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা 'দেইফের' নামে স্লোগান দিচ্ছে।
এর অর্থ, গাযাবাসীর সমর্থনই হামাসের এ যুদ্ধের রসদ। তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনেই প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে। তারা নিজেরাই নিজেদের জীবনের ওপর নিজেদের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বকে মেনে নিয়েছে। দুনিয়ার সবার কাছে তাদের জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ না।
আইডিএফ ইসরায়েলিদের কাছে ২ টা প্রতিজ্ঞা করে গাযা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়-
- শক্তি প্রয়োগ করে হোস্টেজদের উদ্ধার করে আনা।
- হামাসকে ডিজআর্ম (নিরস্ত্র) করা।
নেতানিয়াহু বলেছিলো, কোনো আলোচনা না। যু্দ্ধ করে হোস্টেজদের ছাড়িয়ে আনা হবে। গত পনেরো মাস দুনিয়ার সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি আর সমরাস্ত্র ব্যবহার করেও এক ছোট্ট ভূমির মানুষের প্রতিরোধে তাদের সেই হুমকি আটকে গেছে। শেষপর্যন্ত তারা বাধ্য হচ্ছে হোস্টেজ ডিলে যেতে।
ইসরায়েল বলেছিলো, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার পরই গাযা নিয়ে যেকোনো নেগোসিয়েশন হতে পারে। কিন্তু হামাস নিশ্চিহ্ন হয়নি। তাদের সাথেই ডিল করতে হচ্ছে।
গাযা হয়তো ধ্বংসস্তূপ পরিণত হয়েছে। গাযার এমন কোনো পরিবার হয়তো বাকি নেই যাদের আপনজন হারানোর দুঃখ করতে হচ্ছেনা। সিজফায়ারের পর ধ্বংস্তূপের নীচে চাপা পড়া করুণতম দৃশ্যগুলো হয়তো সামনের কয়েকদিনে উঠে আসতে যাচ্ছে। সিজফায়ারও হয়তো কলাপ্স করতে পারে। আন্তর্জাতিক কমিউনিটি আর ইসরায়েল হয়তো বিশ্বাসঘাতকতা করবে আবার।
কিন্তু গাযাবাসী জানে তারা কী করছে। তারা জানে তাদের প্রায়োরিটি কী। তারা এটাও জানে প্রকৃত বিজয় কীসে। জায়নবাদিদের কলোনি হয়ে আত্মা বিসর্জন দেয়ার বদলে তারা সেই পথ হাঁটছে, যে পথে হেঁটেছিলো তাদের পূর্বসূরিরা। যে পথে হেঁটেছিলো খালিদ-সালাহউদ্দিন, হেঁটেছে হানিয়া- সিনওয়ার।
'নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারিব'
[ সংগৃহীত ও পরিমার্জিত ]
[ সংগৃহীত ও পরিমার্জিত ]
Comment