মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার- এ বৈষম্য ইসলাম বিদ্বেষ ছাড়া আর কি?
এক. চট্টগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রকে প্রহারের ঘটনা ফলাও করে মিডিয়ায় প্রচার হলো। অভিভাবককে মামলা করতে দু’দিন পর্যন্ত ফুসলানো হলো। শেষে মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হল। মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার দাবি আসল। সরকারি আইন মেনে চলতে কঠিন হুঁশিয়ারি শুনানো হল। আরও অনেক কিছু।
দুই.
কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার একই অভিযোগে বাগেরহাটে আরেক শিক্ষকে গ্রেফতার করা হলো।
আহা! কত দরদ!!
তিন.
অপরদিকে চট্টগ্রামের ঘটনার দুয়েক দিন হতে না হতেই ভোলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পড়া না পরার অভিযোগে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো পাষণ্ড শিক্ষক। যে ছবি দেখা গেছে তাতে অনুমান করা যায় কত নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে তাকে।
কিন্তু কই? এ ঘটনা তো ফলাও করে প্রচার হলো না। অভিভাবককে মামলার জন্য ফুসলানোও হলো না।
চার.
এই তো দু’দিন হলো, সাতক্ষীরায় স্কুলের অনুষ্ঠানে ছোট ছোট দুই শিশু ছাত্রীকে কৌশলে আটকে রেখে শ্লীলহানি করল এক হিন্দু প্রধান শিক্ষক।
কিন্তু এ ঘটনার বিচার হলো না। ফলাও করে প্রচারও হলো না। মামলার জন্য উৎসাহও দেয়া হলো না। স্কুল বন্ধের দাবিও আসল না।
কেন?
আমাদের প্রচলিত মাদ্রাসা সিস্টেমে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে তা স্বীকার করতে হবে।
কিন্তু এ বৈষম্য কেন? -কারণ একটাই- ইসলাম বিদ্বেষ।
মসজিদ মাদ্রাসায় সামান্য সুযোগ পেলেই তুলকালাম কাণ্ড। অপর দিকে তাদের হাজারো অপরাধ কোনো অপরাধ নয়।
আহ! দেশের মুসলমান যদি একটু বুঝতো!
Comment