গা বাঁচানো জাতির অজানা আকাবিরের স্বরূপ সন্ধানে
আমরা কোনো দ্বীনী সংকট বা উম্মাহর বিপর্যয়ের ক্ষণ মুহূর্তে যখন কোনো ‘বড়’ দের শরণাপন্ন হই , তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজি। তখন ‘বড়’ দের অনেকেই আরেক ‘বড়’ দের দিকে সোপর্দ করে থাকেন। এর চেয়ে উপর শ্রেণীর ‘বড়’ দের শরণাপন্ন হলে, তারাও 'বড়' দের দিকে সোপর্দ করে থাকেন । অতঃপর দেশবরেণ্য, খ্যাতিসম্পন্ন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্বদের শরণাপন্ন হলে, তারাও বলে থাকেন, ‘বড়’রা আছেন। তারা বিষয়টি দেখবেন। আমাদের এগুলি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
এ্যাইছা হি মুসালসাল, লা মুনতাহা লাহ...
এখন একটা অনুসন্ধান দরকার, এই ‘বড়’ কারা? বাস্তবে কি তাদের কোনো অস্তিত্ব আছে? নাকি গা বাঁচিয়ে পাশ কাটার চিন্তা?
তবে এ ধরনের উত্তরগুলো তারা সবক্ষেত্রেই দিয়ে থাকেন তা নয়; বরং শুধুমাত্র সে বিষয়গুলোতেই দিয়ে থাকেন, যেখানে নিজের চাকরি, বতন (পেট), জান-মাল, পরিবার ও সম্মানের ঝুঁকি আছে।
কিন্তু যে ব্যাপারে কোনো হুমকি নেই। রিস্ক নেই। পরীক্ষা নেই। মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় । দাওয়াত বেড়ে যায়। ভক্ত বেড়ে যায়। হাদিয়া পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে তাদের থেকে আবার কেউ বেশী জানে না। বরং অবস্থা এমন যে, তারাই শুধু এটা বুঝেন, অন্য কেউ তাদের থেকে বেশী বুঝা সম্ভব নয়!
তাহলে বুঝা যায়, গা বাচানোর জন্য, ভক্তবৃন্দ কমে যাওয়ার চিন্তায়, পেটে আঘাত লাগার ভয়েই তারা এগুলো করে থাকেন। সুবিধাভোগী ও সুযোগবাদী এ সমস্ত দরবারীরা তাগুতকেই ভয় করে। তাদের খুশি করার জন্যই তাদের মর্জি মোতাবেক কাজ করে। এমনকি তাদের আশা-ভরসা,ভয়-ভিতি সবই তাগুত নির্ভর। তাদের খুশি রাখতে তারা সদা ব্যস্ত।
এদের ব্যাপারে আল্লাহপাক বলেছেন।
"তুমি কি সেসব লোককে দেখনি যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখো নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত দিতে থাকো অতঃপর যখন তাদের প্রতি জিহাদের নির্দেশ দেয়া হলো তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে এমনকি তার চেয়েও অধিক ভয় আর বলতে লাগল হায় পালনকর্তা কেন আমাদের উপর যুদ্ধ খরচ করলে আমাদেরকে কেন আরো কিছুকাল অবকাশ দান করলে না হে রাসুল তাদেরকে বলে দিন পার্থিব ফায়দা সীমিত আর আখেরাত পরহেজগারদের জন্য উত্তম আর তোমাদের অধিকার একটি সুতা পরিমাণও খর্ব করা হবে না। " [নিসা-৭৭]
অর্থাৎ যখন এমন বিধান আসল, যাতে জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তখন তাদের সবকিছুর মোড় ঘুরে গেল। মানুষকে ভয় করতে শুরু করল।
আর প্রকৃত মুমিনরা সর্বদা আল্লাহকে ভয় করেন। আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে,
লোকেরা যাদের বলেছিল -- ''নিঃসন্দেহ তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েৎ হয়েছে, অতএব তাদের ভয় কর।’’ কিন্তু তাদের ঈমান বেড়ে গেল, আর তারা বলল -- ''আল্লাহ্ আমাদের জন্য যথেষ্ট ও তিনি অতি উত্তম রক্ষাকর্তা।’’[আলে ইমরান -১৭৩]
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এধরনের ওলামায়ে সু থেকে হেফাজত করুন এবং আমাদেরকে দ্বীনের উপর ওটল রাখুন। অন্তরে সদা আল্লাহর ভয় স্থির রাখুন। হিকমাহর সাথে সদা সত্য প্রচারে অটল রাখুন। আমিন।
আমরা কোনো দ্বীনী সংকট বা উম্মাহর বিপর্যয়ের ক্ষণ মুহূর্তে যখন কোনো ‘বড়’ দের শরণাপন্ন হই , তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজি। তখন ‘বড়’ দের অনেকেই আরেক ‘বড়’ দের দিকে সোপর্দ করে থাকেন। এর চেয়ে উপর শ্রেণীর ‘বড়’ দের শরণাপন্ন হলে, তারাও 'বড়' দের দিকে সোপর্দ করে থাকেন । অতঃপর দেশবরেণ্য, খ্যাতিসম্পন্ন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্বদের শরণাপন্ন হলে, তারাও বলে থাকেন, ‘বড়’রা আছেন। তারা বিষয়টি দেখবেন। আমাদের এগুলি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
এ্যাইছা হি মুসালসাল, লা মুনতাহা লাহ...
এখন একটা অনুসন্ধান দরকার, এই ‘বড়’ কারা? বাস্তবে কি তাদের কোনো অস্তিত্ব আছে? নাকি গা বাঁচিয়ে পাশ কাটার চিন্তা?
তবে এ ধরনের উত্তরগুলো তারা সবক্ষেত্রেই দিয়ে থাকেন তা নয়; বরং শুধুমাত্র সে বিষয়গুলোতেই দিয়ে থাকেন, যেখানে নিজের চাকরি, বতন (পেট), জান-মাল, পরিবার ও সম্মানের ঝুঁকি আছে।
কিন্তু যে ব্যাপারে কোনো হুমকি নেই। রিস্ক নেই। পরীক্ষা নেই। মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় । দাওয়াত বেড়ে যায়। ভক্ত বেড়ে যায়। হাদিয়া পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে তাদের থেকে আবার কেউ বেশী জানে না। বরং অবস্থা এমন যে, তারাই শুধু এটা বুঝেন, অন্য কেউ তাদের থেকে বেশী বুঝা সম্ভব নয়!
তাহলে বুঝা যায়, গা বাচানোর জন্য, ভক্তবৃন্দ কমে যাওয়ার চিন্তায়, পেটে আঘাত লাগার ভয়েই তারা এগুলো করে থাকেন। সুবিধাভোগী ও সুযোগবাদী এ সমস্ত দরবারীরা তাগুতকেই ভয় করে। তাদের খুশি করার জন্যই তাদের মর্জি মোতাবেক কাজ করে। এমনকি তাদের আশা-ভরসা,ভয়-ভিতি সবই তাগুত নির্ভর। তাদের খুশি রাখতে তারা সদা ব্যস্ত।
এদের ব্যাপারে আল্লাহপাক বলেছেন।
فلما كتب عليهم القتال اذا فريق منهم يخشون الناس كخشيه الله او اشد خشية وقالوا ربنا لما كتبت علينا القتال لولا اخرتنا الى اجل قريب قل متاع الدنيا قليل والاخره خير لمن اتقى ولا تظلمون فتيلا.
"তুমি কি সেসব লোককে দেখনি যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখো নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত দিতে থাকো অতঃপর যখন তাদের প্রতি জিহাদের নির্দেশ দেয়া হলো তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে এমনকি তার চেয়েও অধিক ভয় আর বলতে লাগল হায় পালনকর্তা কেন আমাদের উপর যুদ্ধ খরচ করলে আমাদেরকে কেন আরো কিছুকাল অবকাশ দান করলে না হে রাসুল তাদেরকে বলে দিন পার্থিব ফায়দা সীমিত আর আখেরাত পরহেজগারদের জন্য উত্তম আর তোমাদের অধিকার একটি সুতা পরিমাণও খর্ব করা হবে না। " [নিসা-৭৭]
অর্থাৎ যখন এমন বিধান আসল, যাতে জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তখন তাদের সবকিছুর মোড় ঘুরে গেল। মানুষকে ভয় করতে শুরু করল।
আর প্রকৃত মুমিনরা সর্বদা আল্লাহকে ভয় করেন। আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
والذين امنوا اشد حبا لله
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে,
الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
লোকেরা যাদের বলেছিল -- ''নিঃসন্দেহ তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েৎ হয়েছে, অতএব তাদের ভয় কর।’’ কিন্তু তাদের ঈমান বেড়ে গেল, আর তারা বলল -- ''আল্লাহ্ আমাদের জন্য যথেষ্ট ও তিনি অতি উত্তম রক্ষাকর্তা।’’[আলে ইমরান -১৭৩]
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এধরনের ওলামায়ে সু থেকে হেফাজত করুন এবং আমাদেরকে দ্বীনের উপর ওটল রাখুন। অন্তরে সদা আল্লাহর ভয় স্থির রাখুন। হিকমাহর সাথে সদা সত্য প্রচারে অটল রাখুন। আমিন।
Comment