আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
“ফিতনার যুগে
মুজাহিদদের প্রতি নসিহত” ।।
ড. শায়খ সামী আল-উরাইদী হাফিযাহুল্লাহ ||
এর থেকে– ১২তম পর্ব
“ফিতনার যুগে
মুজাহিদদের প্রতি নসিহত” ।।
ড. শায়খ সামী আল-উরাইদী হাফিযাহুল্লাহ ||
এর থেকে– ১২তম পর্ব
সহনশীলতা, নম্রতা, দয়া
সহনশীলতা ও নম্রতাকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন। যে বান্দা এ দুটি গুণে গুণান্বিত আল্লাহ তা’আলা তার প্রশংসা করেছেন। কারণ, এ দুটি গুণের মাঝে রয়েছে কল্যাণ, সিদ্ধান্ত ও সঠিক মতামত গ্রহণ করতে সহায়ক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশাজ্জ আব্দুল কায়েসকে বললেন,
إن فيك خصلتين يحبهما الله الحلم والأناة
‘তোমার মাঝে দুটি গুণ আছে, যা আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন। তা হচ্ছে সহনশীলতা ও স্থিরতা।’ -সহীহ মুসলিম: ৪০৫৯
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
التَّأنِّي مِن الله، والعَجَلة مِن الشَّيطان
‘স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ -তারগীব: ১৫৭২
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ الرِّفْقَ لاَ يَكُونُ فِي شَىْءٍ إِلاَّ زَانَهُ وَلاَ يُنْزَعُ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ شَانَهُ
নম্রতা যে কোন বিষয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। আর যে কোন বিষয় থেকে নম্রতা বিদূরিত হলে তাকে কলুষিত করে। (অর্থাৎ ‘নম্রতা যার মধ্যে থাকবে, তাকে সুন্দর করে তুলবে। যার থেকে দূর হয়ে যাবে তাকে লাঞ্ছিত করে ছাড়বে।’) -সহীহ মুসলিম: ৬৪৯৬
ফিতনা থেকে দূরে থাকা
ফিতনার জমানায় বান্দাকে যে নসিহতটি গ্রহণ করা দরকার, তা হচ্ছে ফিতনা থেকে দূরে থাকা। কারণ, ফিতনা থেকে দূরে থাকার মধ্যে রয়েছে শান্তি ও মুক্তি। অনেক লোক এমন রয়েছে, যারা ফিতনার দিকে অগ্রসর হওয়ার কারণে, ফিতনাকে আলিঙ্গন করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি, যে ফিতনার জমানায় ফিতনা থেকে বেঁচে থাকল, ফিতনা থেকে দূরে থাকল। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّـهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ ۖوَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّـهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ﴿٢٤﴾وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَّا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنكُمْ خَاصَّةً ۖوَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّـهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ﴿٢٥﴾
‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহ্বান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে। আর তোমরা এমন ফাসাদ থেকে বেঁচে থাক, যা বিশেষতঃ শুধু তাদের উপর আপতিত হবে না যারা তোমাদের মধ্যে জালিম এবং জেনে রেখো, আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠোর।’ -সূরা আনফাল 8:২৪-২৫
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ وَلَمَنِ ابْتُلِيَ فَصَبَرَ فَوَاهًا
‘সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকল। সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকল। সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকল। এবং যে ফিতনায় পতিত হয়েও ধৈর্য ধারণ করল। তার জন্য সৌভাগ্য।’ -আবু দাউদ: ৪২৬৩
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
تَكُونُ فِتْنَةٌ النَّائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْيَقْظَانِ وَالْيَقْظَانُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي فَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَسْتَعِذْ
‘ফিতনার জমানায় ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত ব্যক্তির চেয়ে শ্রেষ্ঠ, জাগ্রত ব্যক্তি দাঁড়ানো ব্যক্তির চেয়ে শ্রেষ্ঠ, দাঁড়ানো ব্যক্তি ধাবমান ব্যক্তি চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যে মুক্তির বা আশ্রয়ের কোনো জায়গা পেয়ে যায়, সে যেন আশ্রয় গ্রহণ করে।’ -সহীহ মুসলিম: ২৮৮৬
ইমাম জাওযী রহ. বলেন, ‘যে ফিতনার নিকটবর্তী হয়ে যায়, শান্তি তার থেকে দূরে সরে যায়। যে সবরের দাবি করে, তার দায়ভার তার উপরই বর্তাবে। অনেক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি আছে যারা দেখতে পায় না।’- সয়দুল খাতের: ৩
তাকওয়া ও ন্যায়ের পথে জামাআত-বদ্ধ হয়ে থাকা, মতবিরোধ ও বিভেদ থেকে দূরে থাকা
যখন ফিতনা শুরু হয়ে যাবে, সে সময় যদি কোনো মুসলিম জামাআত বা দল থাকে তাহলে ন্যায় ও হকের উপর সকলে তাতে জমায়েত হয়ে যাবে। কেননা, ফিতনার জমানায় জামাআত-বদ্ধ হয়ে থাকা, তাকওয়া ও ন্যায়ের পথে সহযোগিতা করা, বিভেদ থেকে দূরে থাকা- এগুলো বান্দাকে ফিতনা থেকে মুক্তিদানে সাহায্য করে। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّـهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا ۚوَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّـهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا ۗكَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّـهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ﴿١٠٣﴾
‘আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদেরকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুণ্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে, অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শন সমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।’ –(সূরা আলে ইমরান 3:১০৩)
আল্লাহ তা’আলা বলেন:
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖوَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚوَاتَّقُوا اللَّـهَ ۖإِنَّ اللَّـهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ﴿٢﴾
তোমরা সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা কর না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।-সূরা মায়িদা 5:২
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَلَا تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ ۖوَاصْبِرُوا ۚإِنَّ اللَّـهَ مَعَ الصَّابِرِينَ﴿٤٦﴾
‘তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে।’ -সূরা আনফাল 8:৪৬
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
الْجَمَاعَةُ رَحْمَةٌ، وَالْفُرْقَةُ عَذَابٌ
‘জামাআত-বদ্ধতায় রয়েছে রহমত, বিভেদে রয়েছে শাস্তি।’ –(মুসনাদে আহমাদ, শাইখ আলবানি সহিহ বলেছেন)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا وَحَفِظَهَا وَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ . ثَلاَثٌ لاَ يُغَلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَمُنَاصَحَةُ أَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومِ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ الدَّعْوَةَ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ
‘আল্লাহ তা’আলা সে ব্যক্তিকে উজ্জ্বল করে দেন, যে আমার কথা শুনে তা সংরক্ষণ করে, হেফাজত করে এবং অন্যের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। অনেক ফকিহ আছে যে তার চেয়ে অধিক বিজ্ঞ ফকিহের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। তিনটি বিষয়ের ব্যাপারে মুসলমানের অন্তর বিদ্বেষী হতে পারে না: এক. আল্লাহর জন্য ইলম অর্জনে ইখলাস থাকা। দুই. মুসলিম ইমামদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। তিন. তাদের জামাআতকে আঁকড়ে ধরা। কারণ, দাওয়াত পরবর্তীদেরকেও বেষ্টন করে নেয়।’ -তিরমিযী: ২৬৫৮
হুযাইফা ইবন ইয়ামান রা. বলেন,
كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنْ الشَّرِّ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ فَجَاءَنَا اللهُ بِهَذَا الْخَيْرِ فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ قَالَ نَعَمْ وَفِيهِ دَخَنٌ قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ قَالَ قَوْمٌ يَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ قُلْتُ فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ نَعَمْ دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صِفْهُمْ لَنَا قَالَ هُمْ مِنْ جِلْدَتِنَا وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ قَالَ تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ قُلْتُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ.
‘লোকেরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কল্যাণের বিষয়াবলী জিজ্ঞেস করত। কিন্তু আমি তাঁকে অকল্যাণের বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম এ ভয়ে যে, অকল্যাণ আমাকে পেয়ে না বসে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো জাহিলিয়্যাত ও অকল্যাণের মাঝে ছিলাম। এরপর আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এ কল্যাণের মধ্যে শামিল করলেন। এ কল্যাণের পর আবারও কি অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে এর মধ্যে কিছুটা ধূম্রজাল থাকবে। আমি প্রশ্ন করলাম, এর ধূম্রজাল কিরূপ? তিনি বললেন, এক জামাআত আমার তরীকা ছেড়ে অন্য পথ ধরবে। তাদের থেকে ভালো কাজও দেখবে এবং মন্দ কাজও দেখবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সে কল্যাণের পর কি আবার অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জাহান্নামের দিকে আহ্বানকারী এক সম্প্রদায় হবে। যে ব্যক্তি তাদের আহ্বানে সাড়া দেবে, তাকে তারা জাহান্নামে নিক্ষেপ করে ছাড়বে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের কিছু স্বভাবের কথা আমাদের বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, তারা আমাদের লোকই এবং আমাদের ভাষায়ই কথা বলবে। আমি বললাম, যদি এমন অবস্থা আমাকে পেয়ে বসে, তাহলে কী করতে হুকুম দেন? তিনি বললেন, মুসলিমদের জামাআত ও ইমামকে আঁকড়ে থাকবে। আমি বললাম, যদি তখন মুসলিমদের কোনো জামাআত ও ইমাম না থাকে? তিনি বললেন, তখন দলমত ত্যাগ করে সম্ভব হলে কোনো গাছের শিকড় কামড়িয়ে পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে অবস্থায় তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়।’ -বুখারী: ৭০৮৪
ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, ‘বিদআতের সম্পর্ক বিভেদের সাথে, আর সুন্নতের সম্পর্ক জামাআতের সাথে। এ জন্য এক দিকে বলা হয়, ‘আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’। অপরদিকে বলা হয়, ‘আহলুল্ বিদআতি ওয়াল ফিরকাহ’। -আল-ইস্তিক্বামাহ: ৪২
Comment