আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমীপে
কোন ভূমিকা ছাড়াই বলছি । আপনারা যারা বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা (তাগুতী আইন) রক্ষার দায়িত্বে আছেন তাদের প্রায় ৯৮% ই মুসলিম দাবিদার । তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে –
কোন মুসলমান কি মুসলমানদের হত্যাকারী কসাই নরেন্দ্র মোদীর পক্ষাবলম্বন করতে পারে বা এই নরপিশাচের জন্য মুসলমানদের হত্যা করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি শাতিমে রাসূল (সাঃ) বা রাসূল (সাঃ)এর অবমাননাকারীর পক্ষাবলম্বন করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি শাতিমে রাসূল (সাঃ) বা রাসূল (সাঃ)এর অবমাননাকারীর রক্ষাকারীর পক্ষাবলম্বন করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ কে জঙ্গী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে পারে ?
কোন মুসলমান কি জেনে শুনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কোন মুসলমানকে মিথ্যে জঙ্গী তকমা দিয়ে বন্দী/নিরযাতন করতে পারে বা ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী সরকারের হাতে তুলে দিতে পারে ?
কোন মুসলমান কি জেনে শুনে মুসলিম নিধনের মিশন বাস্তবায়নকারী, নাস্তিক-মুরতাদদের বন্ধু ও মদদদাতা, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী, দাড়ি-টুপি বিদ্বেষী, বোরখা-হিজাব বিদ্বেষী, মাদ্রাসা-ওয়াজ মাহফিল বিদ্বেষী, আলেম-উলামা বিদ্বেষী মালাউনদের দালাল সরকারের পক্ষে কাজ করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি জেনে শুনে শাপলা চত্বরে নবী (সাঃ) এর প্রেমিক তৌহীদি জনতার গণহত্যাকারী নবী করিম (সাঃ)এর দুশমন সরকারের ক্ষমতার পাহারাদার হতে পারে ?
কোন মুসলমান এমনকি কোন মানুষও কি দেশ বিরুধী, দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী/ পাচারকারী, চরম দুর্নীতিবাজ, গুম, খুন, মামলা, হামলা, ধর্ষণের গডফাদার/গডমাদার মাদার অব মাফিয়া আর শতাব্দীর ভয়াবহতম নিষ্ঠুর সরকারের মদদদাতা হতে পারে ?
কোন মুসলমান বা দেশের কোন মানুষও কি পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মূল হোতা আজন্ম আর্মি বিদ্বেষী সিকিমের লেন্দুপ দর্জির প্রেতাত্মা ভারতের ক্রীড়ানক আওয়ামী সরকারের পক্ষাবলম্বন করতে পারে ?
প্রিয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (পুলিশ, আর্মড ফোরসেস, বিজিবি)মুসলিম ভায়েরা –
আপনাদেরকেই বলছি । আপনারা কোন আইন বা কার আইন রক্ষা করছেন ? আল্লাহর আইন নাকি মানবরচিত আইন ? আচ্ছা বাদ দেন । এই বিষয়টা যেহেতু বিগত একশত বছর যাবত প্রায় সবাই ভুলে গেছে এমনকি বেশীরভাগ উলামারাই ভুলে গেছেন তাহলে আর আপনাদেরকে বলে আর কি লাভ !
যাই হোক মূল কথায় আসি । ভাইয়েরা আমার - আপনারা কি চিন্তা করে দেখেছেন আপনারা কার সেবা করছেন ? কাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন ? কাকে মদদ যোগাচ্ছেন ? কার হয়ে বল প্রয়োগ করছেন ? আপনারা বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন আইন ফলো করছেন ? আল্লাহ তাআলার আইন ? নাকি রাষ্ট্রীয় আইন ? আপনার বল প্রয়োগকে আপনার বিবেক কি এলাউ করছে ? দিনান্তে বা সপ্তাহান্তে বা মাসান্তে বা বছরান্তে কি আপনাদের বিবেক কি আপনাদেরকে দংশন করে না ? আপনাদের বিবেক কি আপনাদেরকে মানুষ মনে করে ? আপনাদের বিবেক কি আপনাদেরকে এই কথা মনে করিয়ে দেয় না যে আপনাদের কারণে যারা নির্যাতিত বা বন্দী বা গুম বা খুন হচ্ছে তাদেরও আপনাদের মত পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, আত্নীয়-স্বজন আছে ? তাদের কষ্টে বা বিরহে বা অভাবে তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোনেরাও নিদারুন কষ্ট পায়।
আচ্ছা ভাই ! কোন মাজলুমের বদদোয়ায় যদি আপনাদের সাথেও কখনো এমন হয় ! আপনারা বা আপনাদের স্ত্রী-সন্তান যদি প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে (আসলে প্রকৃতির কোন নিয়ম নেই এই নিয়ম হচ্ছে আল্লাহর) এরকম নির্যাতন বা বন্দীত্ব বা গুম বা খুনের শিকার হন তখন কেমন লাগবে আপনার ? আপনি বন্দী বা গুম বা খুন হয়ে গেলে আপনার স্ত্রী বা সন্তানের কেমন লাগবে ? বা আপনার স্ত্রী বা সন্তান বন্দী বা গুম বা খুন হয়ে গেলে আপনার কেমন লাগবে ? ভেবেছেন কখনো ? অর্থ, প্রতিপত্তি, রক্ষিতা, ক্ষমতা আর ক্যারিয়ারের অন্ধ মোহে ভেবে না থাকলে ভাবুন ! সবচেয়ে বড় বাদশাহ আর সবচেয়ে বড় ন্যায় বিচারক মহান রাব্বুল আলামিন কখন ক্ষমতার চাকা ঘুরিয়ে দেবেন তা কি কেও জানে ?
ভাবুনত ভাইয়েরা আপনারা কার স্বপক্ষ আর কার প্রতিপক্ষ ? এদেশে যারা আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজ করে তাদের উদ্দেশ্য কি ? তাদের উদ্দেশ্য কি ক্ষমতার রাজনীতি করা ? নাকি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা ?
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমাদের উপর কিতালকে ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। হতে পারে কোনো বিষয় তোমরা অপছন্দ করছো অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোনো বিষয় তোমরা পছন্দ করছো অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। বস্তুত আল্লাহই জানেন আর তোমরা জানো না।(সূরা বাকারা:২১৬)
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে তার সম্যক দ্রষ্টা।(সূরা আনফাল:৩৯)
আর তোমাদের কী হলো! তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছো না। অথচ র্দুবল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে “হে আমাদের রব! আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধবিাসীরা যালিম। আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করে দিন। আর নির্ধারণ করে দিন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।” (সূরা নিসা: ৭৫)
যদি তোমরা যুদ্ধে বের না হও, তিনি তোমাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের পরির্বতে অন্য এক জাতিকে আনয়ন করবনে, আর তোমরা তাঁর বন্দিুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ তা‘আলা সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা: ৩৯)
হুজুর আকরাম (সাঃ) বলেন,
যখন তোমরা পরস্পর ঈনা নামক সুদি ব্যবসা করবে, গাভীর লেজ ধরে থাকবে, কৃষকিাজে মনোনিবেশ করবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দিবেন, তোমরা দ্বীনে ফিরে আসার আগ র্পযন্ত তা সরিয়ে নিবেন না। [আবু দাউদ, ৩৪৬৪]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো কিন্তু যুদ্ধ করলো না এবং যুদ্ধের ইচ্ছাও পোষণ করলনা, সে নেফাকের একটি স্তরে মৃত্যু বরণ করলো। (মুসলমি শরীফ, ৫০৪০)
মহান রাব্বুল আলামিনের এই মহান হুকুম পালন করা কি আবশ্যক (ফরজ) নাকি অপরাধ ? যদি আবশ্যক (ফরজ) হয় তাহলে আপনারা কি করছেন ? আল্লাহর হুকুম পালন করার অপরাধে আল্লাহ তাআলার প্রিয় মুজাহিদদেরকে বন্দী করছেন ? রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতিত করছেন ? গুম করছেন ? ক্রস ফায়ারের নামে খুন করছেন ? এহেন ঘৃণ্য কাজ করে আপনারা কাকে খুশী করছেন ? আল্লাহ তাআলাকে ? নাকি মানুষরূপী শয়তান মাদার অব মাফিয়াকে ? মহান আল্লাহ তাআলার দুশমন, খ্রিষ্টান আমেরিকা-ইউরোপ, ইয়াহুদী ইজরাইল, নাস্তিক/কম্যুনিস্ট রাশিয়া আর মালাউন ভারতের বিশ্বস্থ দালাল/মাসলম্যান অবৈধ আওয়ামী দখলদারদের হুকুম তামিল করে নিজেদের ঈমান যে কখন হারিয়ে ফেলেছেন সে খবর কি আছে আপনাদের ?
এখন আপনারা বলতে পারেন যে আমরা বাধ্য হয়ে হুকুম তামিল করছি ! কিন্তু আপনাদের এই যুক্তি যে ধোপে টেকে না ভায়া ! কারণ যেকোন অপরাধের ক্ষেত্রে আপনারা ঘুষ খেয়ে বা স্বজনপ্রীতি করে কি আসামীদের ছেড়ে দেন না বা আইনের মারপ্যাঁচ দিয়ে বা ফাঁক ফোকর গলিয়ে বাঁচিয়ে দেন না ? এমনকি মাদক খুন বা ধর্ষণের মামলা পর্যন্ত আপনারা নেন না। প্রায়শই দেখা যায় মানব বন্ধন বা মিছিল মিটিং করে খুন বা ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করাতে হয়। অথচ এই আপনারাই যখন আল্লাহর কোন মুমিন বান্দার নিকট জিহাদ সংক্রান্ত কোন বই বা শীট পান তৎক্ষণাৎ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার – ইসলাম ও কুফর শক্তির মধ্যে চলমান লড়াইয়ে আপনি কার পক্ষাবলম্বন করছেন ?
আপনার অবস্থান কোন শিবিরে ? তাওহিদের শিবিরে নাকি কুফরের শিবিরে ?
প্রিয় ভাইয়েরা এবার ভেবে দেখুনতো আপনারা কি এখনও মুসলমান আছেন ?
প্রিয় ভাইয়েরা আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদদের সাথে দুশমনি করে আপনারা আল্লাহর রহমতের উপযুক্ত হচ্ছেন নাকি গজবের ?
মনে রাখবেন
চাকরির চেয়ে ঈমান বড়
দলের চেয়ে ঈমান বড়
নেতা/নেত্রীর চেয়ে ঈমান বড়
শেষ বিচারের দিনে আপনার ঈমানের ভিত্তিতেই আপনার জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারিত হবে।
এখনো সময় আছে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন।
কোন ভূমিকা ছাড়াই বলছি । আপনারা যারা বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা (তাগুতী আইন) রক্ষার দায়িত্বে আছেন তাদের প্রায় ৯৮% ই মুসলিম দাবিদার । তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে –
কোন মুসলমান কি মুসলমানদের হত্যাকারী কসাই নরেন্দ্র মোদীর পক্ষাবলম্বন করতে পারে বা এই নরপিশাচের জন্য মুসলমানদের হত্যা করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি শাতিমে রাসূল (সাঃ) বা রাসূল (সাঃ)এর অবমাননাকারীর পক্ষাবলম্বন করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি শাতিমে রাসূল (সাঃ) বা রাসূল (সাঃ)এর অবমাননাকারীর রক্ষাকারীর পক্ষাবলম্বন করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ কে জঙ্গী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে পারে ?
কোন মুসলমান কি জেনে শুনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কোন মুসলমানকে মিথ্যে জঙ্গী তকমা দিয়ে বন্দী/নিরযাতন করতে পারে বা ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী সরকারের হাতে তুলে দিতে পারে ?
কোন মুসলমান কি জেনে শুনে মুসলিম নিধনের মিশন বাস্তবায়নকারী, নাস্তিক-মুরতাদদের বন্ধু ও মদদদাতা, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী, দাড়ি-টুপি বিদ্বেষী, বোরখা-হিজাব বিদ্বেষী, মাদ্রাসা-ওয়াজ মাহফিল বিদ্বেষী, আলেম-উলামা বিদ্বেষী মালাউনদের দালাল সরকারের পক্ষে কাজ করতে পারে ?
কোন মুসলমান কি জেনে শুনে শাপলা চত্বরে নবী (সাঃ) এর প্রেমিক তৌহীদি জনতার গণহত্যাকারী নবী করিম (সাঃ)এর দুশমন সরকারের ক্ষমতার পাহারাদার হতে পারে ?
কোন মুসলমান এমনকি কোন মানুষও কি দেশ বিরুধী, দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী/ পাচারকারী, চরম দুর্নীতিবাজ, গুম, খুন, মামলা, হামলা, ধর্ষণের গডফাদার/গডমাদার মাদার অব মাফিয়া আর শতাব্দীর ভয়াবহতম নিষ্ঠুর সরকারের মদদদাতা হতে পারে ?
কোন মুসলমান বা দেশের কোন মানুষও কি পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মূল হোতা আজন্ম আর্মি বিদ্বেষী সিকিমের লেন্দুপ দর্জির প্রেতাত্মা ভারতের ক্রীড়ানক আওয়ামী সরকারের পক্ষাবলম্বন করতে পারে ?
প্রিয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (পুলিশ, আর্মড ফোরসেস, বিজিবি)মুসলিম ভায়েরা –
আপনাদেরকেই বলছি । আপনারা কোন আইন বা কার আইন রক্ষা করছেন ? আল্লাহর আইন নাকি মানবরচিত আইন ? আচ্ছা বাদ দেন । এই বিষয়টা যেহেতু বিগত একশত বছর যাবত প্রায় সবাই ভুলে গেছে এমনকি বেশীরভাগ উলামারাই ভুলে গেছেন তাহলে আর আপনাদেরকে বলে আর কি লাভ !
যাই হোক মূল কথায় আসি । ভাইয়েরা আমার - আপনারা কি চিন্তা করে দেখেছেন আপনারা কার সেবা করছেন ? কাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন ? কাকে মদদ যোগাচ্ছেন ? কার হয়ে বল প্রয়োগ করছেন ? আপনারা বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন আইন ফলো করছেন ? আল্লাহ তাআলার আইন ? নাকি রাষ্ট্রীয় আইন ? আপনার বল প্রয়োগকে আপনার বিবেক কি এলাউ করছে ? দিনান্তে বা সপ্তাহান্তে বা মাসান্তে বা বছরান্তে কি আপনাদের বিবেক কি আপনাদেরকে দংশন করে না ? আপনাদের বিবেক কি আপনাদেরকে মানুষ মনে করে ? আপনাদের বিবেক কি আপনাদেরকে এই কথা মনে করিয়ে দেয় না যে আপনাদের কারণে যারা নির্যাতিত বা বন্দী বা গুম বা খুন হচ্ছে তাদেরও আপনাদের মত পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, আত্নীয়-স্বজন আছে ? তাদের কষ্টে বা বিরহে বা অভাবে তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোনেরাও নিদারুন কষ্ট পায়।
আচ্ছা ভাই ! কোন মাজলুমের বদদোয়ায় যদি আপনাদের সাথেও কখনো এমন হয় ! আপনারা বা আপনাদের স্ত্রী-সন্তান যদি প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে (আসলে প্রকৃতির কোন নিয়ম নেই এই নিয়ম হচ্ছে আল্লাহর) এরকম নির্যাতন বা বন্দীত্ব বা গুম বা খুনের শিকার হন তখন কেমন লাগবে আপনার ? আপনি বন্দী বা গুম বা খুন হয়ে গেলে আপনার স্ত্রী বা সন্তানের কেমন লাগবে ? বা আপনার স্ত্রী বা সন্তান বন্দী বা গুম বা খুন হয়ে গেলে আপনার কেমন লাগবে ? ভেবেছেন কখনো ? অর্থ, প্রতিপত্তি, রক্ষিতা, ক্ষমতা আর ক্যারিয়ারের অন্ধ মোহে ভেবে না থাকলে ভাবুন ! সবচেয়ে বড় বাদশাহ আর সবচেয়ে বড় ন্যায় বিচারক মহান রাব্বুল আলামিন কখন ক্ষমতার চাকা ঘুরিয়ে দেবেন তা কি কেও জানে ?
ভাবুনত ভাইয়েরা আপনারা কার স্বপক্ষ আর কার প্রতিপক্ষ ? এদেশে যারা আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজ করে তাদের উদ্দেশ্য কি ? তাদের উদ্দেশ্য কি ক্ষমতার রাজনীতি করা ? নাকি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা ?
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমাদের উপর কিতালকে ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। হতে পারে কোনো বিষয় তোমরা অপছন্দ করছো অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোনো বিষয় তোমরা পছন্দ করছো অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। বস্তুত আল্লাহই জানেন আর তোমরা জানো না।(সূরা বাকারা:২১৬)
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে তার সম্যক দ্রষ্টা।(সূরা আনফাল:৩৯)
আর তোমাদের কী হলো! তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছো না। অথচ র্দুবল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে “হে আমাদের রব! আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধবিাসীরা যালিম। আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করে দিন। আর নির্ধারণ করে দিন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।” (সূরা নিসা: ৭৫)
যদি তোমরা যুদ্ধে বের না হও, তিনি তোমাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের পরির্বতে অন্য এক জাতিকে আনয়ন করবনে, আর তোমরা তাঁর বন্দিুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ তা‘আলা সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা: ৩৯)
হুজুর আকরাম (সাঃ) বলেন,
যখন তোমরা পরস্পর ঈনা নামক সুদি ব্যবসা করবে, গাভীর লেজ ধরে থাকবে, কৃষকিাজে মনোনিবেশ করবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দিবেন, তোমরা দ্বীনে ফিরে আসার আগ র্পযন্ত তা সরিয়ে নিবেন না। [আবু দাউদ, ৩৪৬৪]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো কিন্তু যুদ্ধ করলো না এবং যুদ্ধের ইচ্ছাও পোষণ করলনা, সে নেফাকের একটি স্তরে মৃত্যু বরণ করলো। (মুসলমি শরীফ, ৫০৪০)
মহান রাব্বুল আলামিনের এই মহান হুকুম পালন করা কি আবশ্যক (ফরজ) নাকি অপরাধ ? যদি আবশ্যক (ফরজ) হয় তাহলে আপনারা কি করছেন ? আল্লাহর হুকুম পালন করার অপরাধে আল্লাহ তাআলার প্রিয় মুজাহিদদেরকে বন্দী করছেন ? রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতিত করছেন ? গুম করছেন ? ক্রস ফায়ারের নামে খুন করছেন ? এহেন ঘৃণ্য কাজ করে আপনারা কাকে খুশী করছেন ? আল্লাহ তাআলাকে ? নাকি মানুষরূপী শয়তান মাদার অব মাফিয়াকে ? মহান আল্লাহ তাআলার দুশমন, খ্রিষ্টান আমেরিকা-ইউরোপ, ইয়াহুদী ইজরাইল, নাস্তিক/কম্যুনিস্ট রাশিয়া আর মালাউন ভারতের বিশ্বস্থ দালাল/মাসলম্যান অবৈধ আওয়ামী দখলদারদের হুকুম তামিল করে নিজেদের ঈমান যে কখন হারিয়ে ফেলেছেন সে খবর কি আছে আপনাদের ?
এখন আপনারা বলতে পারেন যে আমরা বাধ্য হয়ে হুকুম তামিল করছি ! কিন্তু আপনাদের এই যুক্তি যে ধোপে টেকে না ভায়া ! কারণ যেকোন অপরাধের ক্ষেত্রে আপনারা ঘুষ খেয়ে বা স্বজনপ্রীতি করে কি আসামীদের ছেড়ে দেন না বা আইনের মারপ্যাঁচ দিয়ে বা ফাঁক ফোকর গলিয়ে বাঁচিয়ে দেন না ? এমনকি মাদক খুন বা ধর্ষণের মামলা পর্যন্ত আপনারা নেন না। প্রায়শই দেখা যায় মানব বন্ধন বা মিছিল মিটিং করে খুন বা ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করাতে হয়। অথচ এই আপনারাই যখন আল্লাহর কোন মুমিন বান্দার নিকট জিহাদ সংক্রান্ত কোন বই বা শীট পান তৎক্ষণাৎ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার – ইসলাম ও কুফর শক্তির মধ্যে চলমান লড়াইয়ে আপনি কার পক্ষাবলম্বন করছেন ?
আপনার অবস্থান কোন শিবিরে ? তাওহিদের শিবিরে নাকি কুফরের শিবিরে ?
প্রিয় ভাইয়েরা এবার ভেবে দেখুনতো আপনারা কি এখনও মুসলমান আছেন ?
প্রিয় ভাইয়েরা আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদদের সাথে দুশমনি করে আপনারা আল্লাহর রহমতের উপযুক্ত হচ্ছেন নাকি গজবের ?
মনে রাখবেন
চাকরির চেয়ে ঈমান বড়
দলের চেয়ে ঈমান বড়
নেতা/নেত্রীর চেয়ে ঈমান বড়
শেষ বিচারের দিনে আপনার ঈমানের ভিত্তিতেই আপনার জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারিত হবে।
এখনো সময় আছে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন।
Comment