আনুশকা ট্র্যাজেডি বনাম রয়েল রিসোর্ট- ব্রাহ্মণের মুখে কালিমার বুলির রহস্য কি?
মামুনুল হক সাহেবের ঘটনা নিয়ে সরকারের বক্তব্যে আপনারা লক্ষ করেছেন যে, হাসিনার ভাবটা এমন যেন লজ্জায় মুখ লুকাবার জায়গাও সে পাচ্ছে না। ছিঃ ছিঃ ....। এমন কাজও মানুষ করতে পারে ....!!
কি যেন এক তুলকালাম কাণ্ড।
অথচ অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে আনুশকার মৃত্যুর ঘটনা আমাদের এখনও চোখের সামনে। সেখানে প্রশাসনের বক্তব্য কি ছিল আপনারা দেখেছেন। প্রশাসন খতিয়ে দেখবে যে, ঐ ছেলের কোনো অপরাধ আছে কি’না?
উভয়ের মাঝে অনেক দিনের সম্পর্ক ছিল। ছেলের স্বীকারোক্তি, তাদের ফেসবুক পোস্ট ইত্যাদি থেকে তা বুঝা গেল। তাই পরস্পর সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন অপরাধ কিছু নয়। প্রশাসন এতটুকু মেনে নেয়ার পর তদন্ত করবে যে, ছেলের কোনো দোষ আছে কি’না? অর্থাৎ মেয়ের সাথে যিনা করার ক্ষেত্রে কোনো জবরদস্তি হয়েছে কি’না, নাকি তা পরস্পরের সম্মতিতেই ছিল- বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করবে। ছেলের দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ছেলের মাও মাতৃসূলভ (!!!) বক্তব্য দিয়েছেন। মা বলে তিনি ছেলের অপরাধে চুপ থাকবেন তা হতে পারে না। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, খতিয়ে দেখা হোক আমার ছেলের কোনো দোষ আছে কি’না? অর্থাৎ তাদের যিনা পরস্পর সম্মতিতে হয়েছে না’কি সেখানে জবরদস্তিমূলক কিছু ছিল?
পরস্পর বালেগ দু’টো ছেলে মেয়ে অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে আছে দীর্ঘদিন, ইসলামে অকাট্য হারাম যিনায় লিপ্ত হয়ে মেয়েটি মারা গেছে- এরপরও প্রশাসন তদন্ত করবে: দোষের কিছু ছিল কি’না? অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে পরস্পর সম্মতিতে যিনা করলে এ দেশের রাবেয়া বসরির সংবিধান অনুযায়ী তা অপরাধ কিছু নয়।
আপনি যদি এখানে কিছু বলতে যান, তারা বলবে, ধর্মকে আইন আদালতে টেনে আনবেন না। ধর্মকে ব্যক্তি জীবনে আবদ্ধ রাখুন।
তাহলে একই কথা তারা রয়েল রিসোর্টে কেন বললো না? এখানেও তো দু’জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মহিলা ছিল। পরস্পরের সম্মতিতে তারা অবকাশে এসেছেন। রাবেয়া বসরির আইন অনুযায়ী তারা যদি স্বামী স্ত্রী নাও হন, তাহলেও কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু এখানে কেন তুলকালাম কাণ্ড?? এখানে ধর্ম টেনে আনা হল কেন?
দেশের মানুষের কাছে বিচার চাওয়া হল। দেশের মানুষ বিচার করলে কোন আইনে করবে? দেশের আইনে না ধর্মের আইনে? ধর্মের আইনে করলে তো সেই ধর্মকেই টেনে আনা হল আইন আদালতে। এটা কি সরকার মেনে নেবে? তাহলে কি এ দেশ ধর্মের আইনে চলবে এখন থেকে?সব অন্যায়ের বিচারই কি এখন থেকে দেশের মানুষ করবে? আওয়ামীলীগের বিচারও কি এখন থেকে দেশের মানুষ করবে?
আনুশকার মতো অবৈধ প্রেমের জের ধরে শরীয়তের হারাম যিনা তো প্রতিদিন শত শত হচ্ছে। সেগুলোতে দেশের মানুষের কাছে কেন বিচার চাওয়া হচ্ছে না? আর যদি দেশের আইনেই বিচার হয়, তাহলে রয়েল রিসোর্টে ধর্মের কথা কেন টেনে আনা হল? ব্রাহ্মণের মুখে কালিমার বুলি কোন রহস্যে?
রহস্য সকলের জানা: সুবিধাবাদ যিন্দাবাদ।
তালেবান আলোচনার সে কথাটা মনে পড়ে গেল। আশরাফ ঘানির লোকেরা মিডিয়াতে শোরগোল তুলেছিল, দোহা চুক্তি বাদ দিন। ইসলাম অনুযায়ী কথা বলুন!
আহা! ইসলামের প্রতি কত দরদ!! দোহা চুক্তি মানেই তাদের মরণ। তাই দোহা চুক্তি বাদ দিন!! হাসিনার বিষয়টাও ঠিক এমনই।
Comment