ড. ইউনূস বন্দনা বন্ধ করুন সে নারীবাদের এজেন্ট

[ইমরান খান]

এই দেশে সর্বপ্রথম নারীবাদ এর ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে ড, ইউনূস। সে নারীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। বাংলাদেশী মুসলিম নারীদের ধ্বংস করতে তার সমপর্যায়ের ভন্ড বাংলাদেশে ছিল আরেকজন - ফজলে হাসান আবেদ।

১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীন ব্যাঙ্কের সুদী সুবিধা নেওয়া গ্রাহকদের কত শতাংশ নারী জানেন? ৯৪%!!

(গ্রামীণ ব্যাঙ্কে লাস্ট ৩২ বছর ধরে কর্মচারিরা দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে কাজ করে। এরা পেনশন পায় না, অন্য কোনো সুবিধা পায় না, চাকরি স্থায়ী করে নি এখনো)

ইউনুস তার এই সুদী কারবার জাস্টিফাই করতে এক জঘন্য ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলো, উম্মুল মু'মিনিন খাদিজা (রাঃ) ইনভেস্টমেন্ট বিজনেসের সাথে তুলনা করেছিলো।

এই পর্যন্তও বলেছিলো, ভালো মুসলিম পুরুষ হতে হলে তাকে নাকি একজন নারী উদ্যোক্তার অধীনে চাকরি করতে হবে।

'ইউনুসকে আজীবন ক্ষমতায় চাই' - বলছে কারা? এক তো আরবান ক্লাস। আরেকটা হলো ব্রেইনলেস রিলখোর পেশাজীবি শ্রেণী। যারা রিল দেখতে দেখতে ঘুমোয়, সারাদিনে একটা মিনিট সময় হয়না পলিটিকাল লিটারাসি অর্জন করার। ফলে ফাঁকা ব্রেনটায় কেবল ফেসবুকে উৎপাদিত পলিটিকাল থিওরি ঢোকে। টাইমলাইনে যে পোস্টে লাইক বেশী, সেটাই তার আকীদা।

এর সাথে যোগ করেন কুরআনে বলা আনআম শ্রেণী, যারা পেট ভরে খেতে পারলে যেকোনো কিছু করতে রাজি।

অনলাইনে নানান পোস্ট দেখে ইউনুসের প্রশংসায়, ফ্যাক্ট চেক করার চিন্তাও করে না।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউনুস তো মসীহা হয়েই গিয়েছিলো। মিয়ানমারের পুরোনো এগ্রিমেন্ট , যেখানে মাত্র ১৩% রোহিঙ্গাকে নিতে রাজি হয়েছিল, পরে জানা গেলো তাও নেবে না।

ভারতের বিপক্ষে যে হিরো ইউনুসকে দেখানো হচ্ছে, সেটা সে না। তিস্তা প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে? লীগের করা একটা গোলামীর চুক্তি সামনে আনা হয়েছে? বা বাতিল হয়েছে? আদানীর বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করেছে কেন? ফেনীতে ইন্ডিয়ান ইপিজেড বাতিল হয়েছে? সেভেন সিস্টার্সের বেলায় কেবল মুখবক্তব্য ছাড়া অ্যাকচুয়াল কী কাজটা হয়েছে দেখাতে পারবেন?

এখন পর্যন্ত ইউনুসের 'অবদান' বলে যা দেখানো হচ্ছে, দয়া করে একবার গুগলেও সার্চ করে দেখুন। দেখুন আসল নিউজটা কী, কবেকার নিউজ, মাত্রাই বা কেমন।

যে বড় ছুতোটায় নির্বাচন পেছানো হচ্ছে, সেটা হলো আগে সংস্কার।
তো কি সেই সংস্কার? লীগ নিষিদ্ধকরণ? সংবিধানে ভারতকে শত্রুরাষ্ট্র ঘোষণা? জুলাইয়ের পৈশাচিকতার বিচার?

না।
বরং সেই সংস্কার আমরা দেখলাম, খোদ ইসলামের সংস্কার করতে চাচ্ছে ইউনুস। এক্সট্রিম ফেমিনিস্ট আইন, যেটা অপব্যবহারের হার ৯০% এর উপরে, খোদ ভারতে পর্যন্ত পাস হতে পারেনি, সেই ম্যারিটাল রেইপ মরিয়া হয়ে আইনে পরিণত করছে।

ইউনুসের সঙ্কার মানে ফেমিনিস্টদের হাতে মেশিনগান তুলে দেওয়া। আমাদের ভাইয়েরা এখনো জেলে, আহতরা হাসপাতালে।

> ইউনুস কিছু অপূরণীয় ক্ষতি করে যাচ্ছে।

(সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)

[Ibnul Irfan]

ড. মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর বাস্তবিক অর্থে কী পরিবর্তন এনেছেন, তা নিয়ে ভাবলে দেখা যায়—তার কর্মকাণ্ডে কোনো মৌলিক, জনকল্যাণমুখী রূপান্তর ঘটেনি। বরং তিনি এমন একটি সূক্ষ্ম কিন্তু ভয়ংকর কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন, যার মাধ্যমে সুশীল সমাজের ভূমিকা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্গত করে ফেলা হয়েছে। আগে যেসব কাজ সুশীল সমাজের চিন্তা, মতবিনিময় ও নীতিগত দ্বন্দ্বের মাধ্যমে সমাজে আলোচিত হতো, এখন সেসব বিষয়ের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।

এই যে ভয়ংকর রূপান্তর, এটি হঠাৎ করে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত এজেন্ডা। আর সেই এজেন্ডার ছাপ আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাই ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অধীনে গঠিত সংস্কার কমিটিগুলোর রিপোর্টে।

আমার দৃঢ়ভাবে মনে হয়—আমাদের সকলেরই উচিত ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রকৃত এজেন্ডা কী, তা গভীরভাবে অনুধাবন করার জন্য ‘সংস্কার কমিটির রিপোর্টগুলো’ একবার হলেও মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখা। বিশেষ করে ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন’টি পড়া অত্যন্ত জরুরি। এই একটি দলিলেই সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, কীভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধকে পাশ কাটিয়ে তথাকথিত আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতার নামে একটি ধর্মহীন সামাজিক কাঠামো চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এইসব রিপোর্ট আসলে আইনগত পরামর্শ নয়, বরং আদর্শিক নকশা। আর সেই নকশার লক্ষ্য হচ্ছে—এই দেশের রক্ষণশীল, বিশ্বাসভিত্তিক, ধর্মীয় সমাজ কাঠামোকে ভেঙে নতুন এক মূল্যবোধহীন সমাজ তৈরি করা, যেখানে আল্লাহ, ধর্ম, শালীনতা—সবই প্রশ্নবিদ্ধ, আর তথাকথিত ‘অগ্রগতি’ হচ্ছে একমাত্র পথ। এটা শুধু উদ্বেগের বিষয় নয়, এটা প্রতিরোধ করার মতো বিষয়। আর প্রতিরোধের প্রথম ধাপ—সচেতনতা। তাই বুঝতে হলে আগে জানতে হবে। পড়ুন, ভাবুন, বুঝুন—তারপর জবাব দিন।