Announcement

Collapse
No announcement yet.

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের (কু)প্রস্তাবনার আড়ালে চাপা পড়ে গেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আরো ভয়াবহ প্রস্তাব

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের (কু)প্রস্তাবনার আড়ালে চাপা পড়ে গেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আরো ভয়াবহ প্রস্তাব

    গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশে ৩টি আইন বাতিল করার মাধ্যমে ধর্ম অবমাননাকে কার্যত ডিক্রিমিনালাইজ করার ব্যাপারে সুপারিশ করেছে। তারা সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারা এবং পেনাল কোডের ২৯৫ক এবং ২৯৮ ধারা বাতিলের সুপারিশ করেছে। এই ধারাগুলো হচ্ছে ধর্মীয় অবমাননার শাস্তি সংক্রান্ত।

    এমনিতেই দেশে সুযোগ পেলেই একদল অসভ্য জানোয়ার ইসলাম ও নবীজিকে গালিগালাজ করার জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকে। এই আইনগুলো বাতিল করার অর্থ অনলাইন, অফলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া, কিংবা বইপত্রে -- কোনো কথা, কাজ, শব্দ, লেখা, ইঙ্গিত, ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে কেউ যদি ইসলাম, আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অসম্মান বা অবমাননা করে তাহলে তাদের জন্য আইনের ধারায় যে শাস্তিগুলো কাগজে-কলমে ছিল সেগুলো আর কার্যকর হবে না।

    সোজা বাংলায় থাবা বাবা, তসলিমা নাসরিন আর রাখাল রাহার মত কুলাঙ্গারদের ইনডেমনিটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইনের এই ধারাগুলো বাতিল করতে সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।​

    এই আইনগুলো এমনিতেই কতোটুকু প্রয়োগ হয় তা তো আমরা জানিই। এখন এগুলো বাতিল হলে যে কেউ আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামকে অনলাইনে ও অফলাইনে কটুক্তি, অবমাননা ও আচ্ছামতো গালিগালাজ করলেও সেটা কোনো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও আর গণ্য হবে না।

    যে আইন বা আইনের ধারাগুলো বাতিল করতে চাচ্ছে সেগুলো হল -

    সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ নং ধারা
    ২৮। (১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    পেনাল কোডের ২৯৫ক ধারা
    295A. Whoever, with deliberate and malicious intention of outraging the religious feelings of any class of the citizens of Bangladesh, by words, either spoken or written, or by visible representations insults or attempts to insult the religion or the religious beliefs of that class, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both

    পেনাল কোডের ২৯৮ ধারা
    298. Whoever, with the deliberate intention of wounding the religious feelings of any person, utters any word or makes any sound in the hearing of that person or makes any gesture in the sight of that person or places any object in the sight of that person, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to one year, or with fine, or with both.

    এই ধারাগুলো বাতিলের অর্থ কি দাঁড়াচ্ছে এই যে, কেউ যদি কথা, কাজ, শব্দ, লেখা, ইঙ্গিত, ছবি বা ভিডিওতে কিছু দেখানোর মাধ্যমে ইসলামের অবমাননা করে সেটা শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ হবে না? ইসলামের কথা বললাম কারণ ধর্ম বলতে বাংলাদেশে অনলাইনে, অফলাইনে, প্রিন্ট মিডিয়ায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সাহিত্যচর্চা আর এন্টারটেইনমেন্ট মিডিয়ায় সবচে বেশি আক্রমণ করা ইসলামকে।

    ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে অনেক বিষয়ে অনেক আলাপ থাকলেও এই তিনটি ধারা কেন বাতিল করা উচিত সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য বা যৌক্তিকতা উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই যে ধর্মীয় বিষয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যগুলো সংক্রান্ত আইনগুলোই কেবল বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে। শুধু আইনের ধারার নাম্বার উল্লেখ করা, আর কিছুই নেই -- কেমন যেন একটা লুকোচুরি ব্যাপার। আইনের ধারাগুলো সোর্স থেকে পড়ে না দেখলে একজন সাধারণ মানুষ জানতেও পারবে না এগুলো কীসের কথা বলছে।

    মিডিয়া অফিসে 'সব' (আল্লাহ জানেন কয়টা) জেন্ডারের জন্য যেন আলাদা টয়লেট ফ্যাসিলিটি থাকে সে পর্যন্তও সুপারিশ করা হয়েছে কিন্তু উপরোল্লিখিত ধারাগুলো রহিত করার ব্যাপারে যৌক্তিকতা কী এই ব্যাপারে একটা লাইনও খরচ করা হয় নি। নারীবিদ্বেষ নিয়ে বিস্তারিত সুপারিশ করা হয়েছে অথচ মিডিয়ায় বহুলচর্চিত ইসলামবিদ্বেষ মোকাবেলা নিয়ে একটা কথাও নেই।

    থাবা বাবা, রাখাল রাহার মতো যারা ইসলাম নিয়ে গালিগালাজ করে, ব্যাঙ্গ করে, অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে -- তারা ছাড়া আর ঠিক কারা এই আইন বাতিলে উপকৃত হবে?​

    সংগৃহীত
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

  • #2
    আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান এনেছি’, কিন্তু তারা মু’মিন নয়;— সূরা আল বাকারা - ৮​

    Comment

    Working...
    X