Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩৬ || “আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা” ।। মাহমুদ শীছ খাত্তাব || ৪র্থ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩৬ || “আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা” ।। মাহমুদ শীছ খাত্তাব || ৪র্থ পর্ব

    আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা
    ।। মাহমুদ শীছ খাত্তাব ||
    এর থেকে৪র্থ পর্ব


    সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রে [মিসরে ]

    হার্জেল (Hartzel) বলেন যে, “সিনাই এবং আল-আরিশ হলো স্বদেশে প্রত্যাগত য়াহূ দীদের আবাসভূমি।”

    ১৯০২ সালের ২০শে অক্টোবর তারিখে হার্জেল কলোনী বিষয়ক বৃটিশ মন্ত্রী মিঃ চেম্বারলিনের সংগে দেখা করেন যিনি য়াহূ দীদের প্রতি সহানুভূতির জন্য সুপরিচিত ছিলেন। হার্জেল স্বীয় স্মৃতিকথায় বলেন যে, তিনি বৃটিশ মন্ত্রীর নিকট আল-আরিশ প্রজেক্টের সাথে হাইফা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যোগসূত্রের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বিপুল সংখ্যক য়াহূ দী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য প্যালেস্টাইনের নিকটবর্তী কোন এলাকা বেছে নেবার কথা ব্যক্ত করেছেন। সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে হার্জেল বৃটিশ মন্ত্রীর প্রতি সরাসরি প্রশ্ন রাখেন- "আপনি কি সিনাই উপদ্বীপে য়াহূদী বসতি অনুমোদন করেন ?” উত্তরে মন্ত্রী বলেন- "হ্যাঁ, যদি (মিসরের গভর্নর) লর্ড ক্রোমার (Kromer) তা অনুমোদন করেন।[1]

    এই সাক্ষাৎকারের পর হার্জেল তাঁর স্মৃতিকথায় লেখেন যে, বৃটেন ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে একটি স্বায়ত্বশাসিত য়াহূদী কলোনী স্থাপনে অনুমোদন দিয়েছে।[2]

    উপরিউক্ত সাক্ষাৎকারের পর পরই এবং বৃটিশ মন্ত্রী লর্ড ল্যাম্সডনের পরামর্শ মতে বৃটেনের পররাষ্ট্র সচিব হার্জেলকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আল-আরিশ উপত্যকার ও সিনাই উপদ্বীপে য়াহূ দী বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। শুধু তাই নয়, মিসরে হার্জেলের সফর ও তার অনুসন্ধানী দলকে বিশেষ সুবিধাদানের জন্য গভর্নর লর্ড ক্রোমারকে তিনি চিঠি লেখারও ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।[3]

    হার্জেলের বিশেষ দূত এর পর পরই বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর চিঠি ও কলোনী বিষয়ক মন্ত্রীর অনুমোদন পত্র নিয়ে মিসর রওয়ানা হয়ে গেলেন। ১৯০৩ সালের ১৩ই নভেম্বরে হার্জেল তাঁর স্মৃতিকথায় লিখলেন- 'গ্রীনবার্গ[4] মিসর থেকে আশাতীত সাফল্য নিয়ে ফিরে এলেন। তিনি আমাদের স্বার্থের পক্ষে লর্ড ক্রোমার এবং প্রধান মন্ত্রী বুরস গাজী পাশা উভয়কেই জয় করে নিয়েছেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা, সেটা হলো তিনি মিঃ বয়েল (Mr. Boyle) এবং ক্যাপ্টেন হান্টারসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশিষ্ট বৃটিশ অফিসারদের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছেন।

    ১৯০৩ সালে 'য়াহূ দী কমিটি' নামে একটি কমিটি—হার্জেল নিজে যার অন্যতম সদস্য ছিলেন, মিসর সফরে যায় এবং গভর্নর লর্ড ক্রোমারের আলোচনায় বসে। গভর্নর অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দাবীসমূহের প্রতি সাড়া দেন এবং উক্ত য়াহূ দী কমিটিতে নিজের একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করেন। কমিটি সিনাই ও আরিশ এলাকায় ব্যাপক য়াহূ দী বসতি স্থাপনের সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য সেখানে একটি অনুসন্ধানী টীম প্রেরণ করেন।

    এটা সিদ্ধান্ত ছিল যে, যদি উক্ত অনুসন্ধান রিপোর্টে এ কথা বুঝা যায় যে, ভূখণ্ডটি ব্যাপক য়াহূ দী বসতির উপযোগী, তাহ'লে য়াহূদীদেরকে এই সুবিধা মঞ্জুর করা হবে যে, আগামী ৯৯ বৎসরের জন্য বৃটিশ সার্বভৌমত্বের অধীনে য়াহূদীরা উক্ত এলাকায় নিজেদের স্বায়ত্ব শাসিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে। হার্জেল এই সময়কার দৈনন্দিন ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করেছেন। এখানে তাঁর স্মৃতিকথা থেকে কতগুলো উদ্ধৃতি পেশ করা হলো।



    কায়রো ২রা এপ্রিল,

    গতকালের আলোচনা নিষ্ফল ছিল। আমি বলতে পারবো না এটা ভাল দিন ছিল না মন্দ দিন ছিল। আরিশ এলাকায় সুবিধা আদায়ের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত এবং অনুমোদিত ছিল। কিন্তু জানি না এটা মিসরীয় সরকারের উপর কি প্রভাব ফেলবে।

    আমি বিশ্বাস করি যে, May Ellopith-এর নিকট দেওয়া গ্রীনবার্গের পরিকল্পনার উপর আস্থা স্থাপন করে আমরা একটি ভুল করেছি। কেননা এখানে বিস্তারিত অনেক কিছু শামিল করা হয়েছে। অথচ আমার পরিকল্পনায় মাত্র কয়েকটি আলোচনা রয়েছে এবং সেখানে রয়েছে একটি অবিরোধীয় পরিকল্পনার সকল বৈশিষ্ট্যসমূহ। মোট কথা আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।


    কায়রো ৩রা এপ্রিল,

    গতকাল সন্ধার পরে আমি May Ellopith-এর সংগে দেখা করলাম তাঁর টেনিস স্যুট পরা অবস্থায়। কেননা তিনি তখন কেবলমাত্র 'জেবিরা স্পোর্টস ক্লাব' থেকে ফিরলেন। এই সাক্ষাতে তাঁকে পরিকল্পনার সফল- তায় সন্দিগ্ধ মনে হলো। আমার ধারণা হলো যে, টারবুশ পরিহিত বৃটিশ ভদ্রলোক মিঃ ব্রিলিয়ান্ট তাঁর চিন্তাধারা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করেছেন। যাই হোক, (সাব্যস্ত হলো যে), পরিকল্পনাটি ক্যাবিনেটে আলোচিত হবে।

    মূল আপত্তি হবে আমাদের দাবীকৃত এলাকাটির বৃদ্ধির ব্যাপারে। তারা আমাদেরকে কিছু ভূমি দিতে চান কিন্তু একটি এলাকা নয়।

    ১৯০৩ সালের বসন্তকালে য়াহূদী কমিশন আরিশ এলাকা থেকে কায়রো ফিরে এলো একটি আশাব্যাঞ্জক ফল নিয়ে। হার্জেল পরিপূর্ণ আশা নিয়েই আল-আরিশ ত্যাগ করেন। কেননা তিনি মিসরেও বিশেষ করে আলেকজান্দ্রিয়ায় বসবাসরত বিত্তশালী য়াহূদীদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি- সমূহের দ্বারা উৎসাহিত হয়েছিলেন।

    গভর্নর লর্ড ক্রোমারের সংগে সাক্ষাতের জন্য একটা সময় নেওয়া হয়ে- ছিল। হার্জেল তাঁর সংগে অত্যন্ত আশাবাদী ও খুশী মনে দেখা করলেন। এমন সময় হঠাৎ মিসরীয় সরকার ঘোষণা দিলেন যে, পূরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরক্ষণেই আর এক ঘোষণায় বলা হলো যে, য়াহূ দীদের জন্য যে এলাকার কথা বিবেচনা করা হয়েছিল সেটা একেবারেই শুষ্ক ও অনুর্বর এবং সেখানে নীলনদের পানি দ্বারা নিয়মিত সেচকার্য চালাতে হবে। অথচ নীলনদের প্রতিবিন্দু পানিই মিসরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। য়াহূ দী মিশন ব্যর্থ হলো। হার্জেল যেন বজ্রাহত হলেন।

    এইভাবে সেই প্রথম দিন থেকেই সিনাই উপদ্বীপ ও আরিশ উপত্যকাকে কলোনী বানানোর পথে বিভিন্ন প্রকারের বাধা-বিঘ্ন প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডেভিড তেরাউশ লেখেন যে, “ব্যাপার খুবই সহজ। কেউ তার দেশ প্যালেস্টাইনের দক্ষিণ-পূর্বাংশ শুধুমাত্র পানির অভাবে পরিত্যাগকরতে পারে না ।[5]

    এ কথা স্পষ্ট যে, য়াহূ দীদের দ্বারা সিনাইকে কলোনী, বানানোর ব্যর্থতার পিছনে প্রধান কারণ ছিল উক্ত এলাকায় নীলনদের পানি সরবরাহে অসুবিধা। যাই হোক, য়াহূদীরা তাই বলে সিনাই দখলের পরিকল্পনা ত্যাগ করেনি। বরং তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, মিসরীয় প্যালেস্টাইন (সিনাই) অবশ্যই বৃহত্তর প্যালেস্টাইনে--অন্যকথায় য়াহূ দীদের স্বদেশ ভূমিতে পরিণত হবে।

    ১৯১৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী সংখ্যা প্যালেস্টাইন সাময়িকীতে প্যালেস্টাইনের সীমানা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধে য়াহূ দীরা প্রথম মহাযুদ্ধ শেষে সিনাই উপদ্বীপ এবং অন্যান্য সীমানা সম্পর্কে মিসরের সংগে পুনরায় আলোচনা শুরু করার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে

    ১৯১৮ সালে উক্ত সাময়িকীতে বেন গুরিয়ান ও যেন জিভি লিখিত নিবন্ধে য়াহূ দীদের স্বদেশ ভূমির সাথে আরিশ উপত্যকার সংযুক্তির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয় এবং বলা হয়, প্যালেস্টাইনের পূর্ব অংশ এর দক্ষিণ অংশ থেকে মোটেই ছোট নয় যা ৭৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পরিব্যপ্ত। আমরা যদি এটাকে আল-আরিশের সংগে সংযুক্ত করি, তা হলে এর আয়তন দাঁড়াবে ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।[6]

    ইতিপূর্বে বর্ণিত স্বস্তি পরিষদের (Peace congress) নিকট পেশকৃত স্মারকলিপিতে য়াহূ দীদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, 'পূর্ব সীমানা অবশ্যই সরকারের স্বীকৃতি পাবে', সরকার অর্থাৎ যারা বৃটিশ কর্তৃপক্ষ হিসেবে মিসরে আছেন।

    য়াহূ দীদের নিকট সিনাই উপদ্বীপ প্যালেস্টাইনের নিকটতম প্রস্তর ধাপ এবং তারা সিনাইকে তাদের ধর্মীয় পূর্বস্মৃতির গভীর অনুভূতির সংগে স্মরণ করে থাকে।

    বস্তুতপক্ষে য়াহূদীরা ইসরাঈল রাষ্ট্রের সীমানা সুয়েজখানের পূর্ব তীর পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঈঙ্গিত লক্ষ্য থেকে এক মুহূর্তের জন্য বিচ্যুত হয়নি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ১৯৪৮ সালে প্যালেস্টাইনের উপরে আরোপিত বেলফোর ম্যান্ডেটের (১১ বৎসরের) সময়কালের মধ্যে তারা তাদের অবিরত প্রচেষ্টা জোরদার করে।

    য়াহূ দীরা সর্বদা অত্যন্ত সজাগ কিভাবে এক আরব রাষ্ট্রকে অপর আরব রাষ্ট্র থেকে পৃথক করা যায় এবং যে কোন মূখ্যে আরব ঐক্যে বাধা সৃষ্টি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়। য়াহূ দীরা সিনাই উপদ্বীপ ও আল-আরিশ এলাকা দখলের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং এই লক্ষ্য হাসিলের কোন প্রচেষ্টাই তারা বাদ দেয় না। যারা মাইনার তেশাজেনের (Meiner Teshangen ) স্মৃতি-কথা পড়েছেন, তারা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।[7]

    ১৯৫৬ ও ১৯৬৭ সালে ইসরাঈলের উপর্যুপরি দুঃসাহসিক মিসর অভিযান সম্ভবত সময় ও সুযোগমত সিনাই ও আরিশ এলাকা দখলের পূর্ব-পরিকল্পিত নীলনকশারই অংশ। '৬৭-এর যুদ্ধের পর ইসরাঈল 'শেরম আল-সেইথ' এলাকায় পর্যটন পরিকল্পনাসমূহ গড়ে তুলতে শুরু করে এবং সিনাই অঞ্চলে তেল অনুসন্ধানের চেষ্টা চালায়। সিনাইয়ের সেন্ট ক্যাথেরিন মঠের আর্চ বিশপ তখন গীর্জাসমূহের নেতৃবৃন্দের কাছে এই বলে প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করেন যে, এই পবিত্র মঠটি চঞ্চল সেনাবাহিনীর পদভারে কম্পিত গ্যারিসনে রাপান্তরিত হতে চলেছে। বিগত সঞ্চদশ শতাব্দীকাল ধরে এই স্থানটি উপাসনাকারীদের পবিত্র তীর্থ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। অথচ এবারই প্রথম এটিকে অপবিত্র করা হচ্ছে। য়াহূ দীরা মঠের নিকটেই দু'শো কামরার একটি হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে-যা ভবিষ্যতে নাইট ক্লাবে পরিণত হবে। যেখানে তারা সারারাত মদ খেয়ে মাতলামি করবে আর দিনেরবেলা উলংগ হয়ে সূর্যস্নান করবে। [8]

    এটা ১৯৬৭ সালের দখলীকৃত এলাকা থেকে সরে না আসার ব্যাপারে ইসরাঈলের সম্প্রসারণবাদী আকাঙ্ক্ষা ও প্রতিজ্ঞার একটি চূড়ান্ত দলীল।

    তবে মিসরে ইসরাঈলের আগ্রাসী লক্ষ্য আরো আগেকার। তাদের লক্ষ সুয়েজ খাল দখল করা যাতে ওটাকে নিজেদের ও উপনিবেশিক শক্তিগুলোর স্বার্থে ব্যবহার করা যায় এবং যাতে উপনিবেশিক শক্তিসমূহ এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারে যে, তাদের নিজেদের স্বার্থরক্ষার তাগিদে সুয়েজ খালের উপর খবরদারির ব্যাপারে ভবিষ্যতে তাদের পথ উন্মুক্ত থাকবে। এর ফলে মিসর তার একটি বিরাট আয়ের উৎস থেকে বঞ্চিত হবে এবং যা এক- চেটিয়া ভোগ করবে উপনিবেশিক শক্তিগুলো। এ সব ছিল ১৯৫১ সালে সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করে নেওয়ার আগেকার ঘটনা ।

    ইসরাঈলের অন্যতম লক্ষ্য হলো ডেলটা ও আলেকজান্দ্রিয়া দখল করা- যাতে ‘নীল থেকে ইউফ্রেটিস' পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল ইসরাঈল রাষ্ট্রের ভবিষ্যত স্বপ্ন তাদের সফল হয়।



    [1] . Hertzel’s memoirs, 1360-62-2.
    [2] . Hertzel’s memoirs, 1364-3.
    [3] . Do, 137-2.
    [4] . মিসরে প্রেরিত হার্জেলের দূতের নাম একজন বৃটিশ্ য়াহূ দী য়াহূ দী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য
    [5]. Robinovitch, p. 75.
    [6]. Palestine Magazine, 3rd Vol. No. 17.
    [7] . R. Menier TESHANGAN: Middle East Agenda, 1917-1956, London 1959
    [8]. Zionist expanasion intentions P. 89-91.




    আরও পড়ুন
    ৩য় পর্ব -------------------------------------------------------------------------------------------------- ৫ম পর্ব

    Last edited by tahsin muhammad; 6 days ago.
Working...
X