আপনারা অনেকেই হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে বর্তমানে ইন্টারনেটে বাগদাদী গ্যাঙের কিছু সমর্থক তৈরি হয়েছে। তারা বিভিন্ন গুলুর শিকার বিদেশী ভাষার বক্তাদের লেকচার ও লেখাঝোকা ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। তারা সাধারণ জিহাদ সমর্থক ও দ্বীনদার মুসলমানদের সাথে আকিদার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা তৈরি করছে। তাদের আরো একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো উম্মাহর আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা ও তাদেরকে কুফরী আকিদার অনুসারী সাব্যস্ত করা। (নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক) তাদের সাথে হাতেগোনা দুয়েকজন ব্রেইনওয়াশের শিকার আলেম ছাড়া আর কেউ নেই।
কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা এতদিন তো কোথাও ছিল না। যখনই জিহাদী দল কোন সাফল্য অর্জন করে তখনই কেবল বাগদাদী গ্যাঙ এর আবির্ভাব হয়। যখন ২০১৩ সালে বাংলাদেশের হক্বপন্থী মুজাহিদগণ একে একে গুস্তাখে রাসুল ও লাওয়াতাত গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করছিলো তখন জিহাদের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের সমর্থন অর্জিত হচ্ছিলো। সে সময় প্রতিটি সচেতন নাগরিক উপলব্ধি করেছিলো যে ইসলামের পক্ষে, মুসলমানদের পক্ষে কোন সরকার নেই, কোন আর্মি নেই, কোন আদালত নেই। শুধু আছে একদল দুঃসাহসিক যুবক যারা নিজের সুন্দর ভবিষ্যতকে বিসর্জন দিয়ে, কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসেছে। দেশের সাধারণ মানুষ তখন রাষ্ট্রব্যাবস্থাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলো তাদের দ্বারা কি আসলেই মুসলমানদের কোন উপকার হওয়া সম্ভব?
ঠিক তখনই এমন একটি ঘটনা ঘটে যা বাংলাদেশে জিহাদের ময়দানকে বন্ধ করে দেয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে বাগদাদী গ্যাঙ কর্তৃক একটি অপরিণামদর্শী হামলার ঘটনা ঘটে। সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনা। পাশাপাশি চলতে থাকে মিডিয়ার পরিকল্পিত অপপ্রচার। তৈরি হয় সিনেয়া, ডকুমেন্টারী, কবিতা, উপন্যাস। আয়োজিত হয় নানা রকম সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। জিহাদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে মানুষকে বিষিয়ে তোলার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চলতে থাকে। নিয়মিত টিভি বিজ্ঞাপন, স্কুল-কলেজে কর্মশালা ইত্যাদি ব্যাপক হারে চলতে থাকে। বার বার বলা হতে থাকে আপনাদের সন্তানদেরকে একত্রে মিশ্তে দেবেন না। হয়তো তারা কোন ভুল পথে জড়িয়ে পড়ছে। জনসাধারণও তা বিশ্বাস করে নেয়। যে সফলতা এতদিন যাবত অর্জিত হয়েছিলো তা এক লহমায়ই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। এটা ছিল খুবই ক্যালকুলেটেড একটি পদক্ষেপ যা আমাদের ব্যাকফুটে চলে যাওয়া প্রতিপক্ষকে আবার খেলায় ফিরিয়ে আনে। জিহাদের ময়দান দীর্ঘদিনের জন্য আবার বন্ধ হয়ে যায়।
তখন হক্বপন্থী মুজাহিদরাও ব্যাপকভাবে গ্রেফতার হতে থাকে। বাধ্য হয়ে তখন কিতালের কার্যক্রমের পরিবর্তে দাওয়াতী কাজের দিকে বেশি ফোকাস দিতে হয়। আর স্বাভাবিকভাবে বাগদাদী গ্যাঙও তখন দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায়। মুজাহিদরা দীর্ঘদিন দাওয়াতী মেহনতের মাধ্যমে, বছরের পর বছর টিকে থাকার লড়াইয়ের পাশাপাশি জনসাধারণকে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে আসছে। সেই সময় বাগদাদী গ্যাঙ এর কোন চিহ্নও আমরা দেখিনি। যখন হক্বপন্থী জিহাদ সমর্থকগণ দীর্ঘদিন দাওয়াতী মেহনত করে দেশের জনগণকে ইসলামের হাকীকত সম্পর্কে জানাতে শুরু করেছেন তখন আবার বাগদাদী গ্যাঙের আবির্ভাব হলো। এ যেন পরজীবীর মত। তারা নিজেরা নিজেদের ময়দান তৈরি করতে সক্ষম নয়। তারা বেঁচে থাকে আমাদের সাক্সেস শোষণ করে। আময়া যতদিন আছি, বাগদাদী গ্যাঙ ততদিন আছে। আমরা না থাকলে বাগদাদী ফেতনাও অটো বন্ধ হয়ে যাবে।
যতদিন জিহাদ থাকবে ততদিন বাতিলরা জিহাদের নাম খারাপ করার জন্য প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সব ধরনের ফেতনা চালিয়ে যাবে। এই একই প্যাটার্ন আপনারা দেখতে পাবেন বাগদাদী গ্যাঙের আন্তর্জাতিক ইতিহাসেও। যখন হক্বপন্থী মুজাহিদরা সিরিয়ার রাজধানী প্রায় দখল করে ফেলেছিলো তখন বাগদাদী গ্যাঙের উসিলা নিয়ে ফ্রান্স ও আমেরিকা দৃশ্যপটে প্রবেশ করে। তাছাড়া মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অনেক সময় আসাদ রেজিম ও বাগদাদী গ্যাঙ একসাথে মিলে যুদ্ধ করতো। যখন তার জিহাদীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম হয়েছে তখন তারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে একা একাই হারিয়ে গিয়েছে।
আসলে আমেরিকার টার্গেট হলো জিহাদকে দমন করার জন্য তারা জিহাদীদের মধ্যে থেকেই একদল সীমালঙ্ঘনকারী ও মূর্খ শ্রেণী তৈরি করে দেওয়া, যেন জিহদীরা সমর্থন হারাতে হারাতে যেন নিজে থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। কোন কন্সপিরেসি থিওরিস্টও নয়, কোন ইউটিউবারও নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৭ সালে জি-২০ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন যে আইসিস হলো আমেরিকার নিজের তৈরি। সত্য মিথ্যা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে আমরা মনে করি বাগদাদী গ্যাঙের দ্বারা আমেরিকারই বৈশ্বিক পলিসি লাভবান হচ্ছে।
কাজেই বাগদাদী গ্যাঙ কিভাবে ফাংশন করে ও তার প্রকৃত রূপ কি সে ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদল করতে হবে এবং খারেজী আদর্শের উৎস কোথায়, কোন চিন্তাধারা তাদেরকে এই পথে উদ্বুদ্ধ করছে তাও আমাদের এবে দেখা উচিত। অনলাইনের প্রচলিত দালিলিক মুনাযারার পরিবর্তে তাদের চিন্তাধারার উৎসগুলো শনাক্ত করে সেই চিন্তা ও শিক্ষার সেক্টরে তাদেরকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা এতদিন তো কোথাও ছিল না। যখনই জিহাদী দল কোন সাফল্য অর্জন করে তখনই কেবল বাগদাদী গ্যাঙ এর আবির্ভাব হয়। যখন ২০১৩ সালে বাংলাদেশের হক্বপন্থী মুজাহিদগণ একে একে গুস্তাখে রাসুল ও লাওয়াতাত গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করছিলো তখন জিহাদের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের সমর্থন অর্জিত হচ্ছিলো। সে সময় প্রতিটি সচেতন নাগরিক উপলব্ধি করেছিলো যে ইসলামের পক্ষে, মুসলমানদের পক্ষে কোন সরকার নেই, কোন আর্মি নেই, কোন আদালত নেই। শুধু আছে একদল দুঃসাহসিক যুবক যারা নিজের সুন্দর ভবিষ্যতকে বিসর্জন দিয়ে, কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসেছে। দেশের সাধারণ মানুষ তখন রাষ্ট্রব্যাবস্থাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলো তাদের দ্বারা কি আসলেই মুসলমানদের কোন উপকার হওয়া সম্ভব?
ঠিক তখনই এমন একটি ঘটনা ঘটে যা বাংলাদেশে জিহাদের ময়দানকে বন্ধ করে দেয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে বাগদাদী গ্যাঙ কর্তৃক একটি অপরিণামদর্শী হামলার ঘটনা ঘটে। সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনা। পাশাপাশি চলতে থাকে মিডিয়ার পরিকল্পিত অপপ্রচার। তৈরি হয় সিনেয়া, ডকুমেন্টারী, কবিতা, উপন্যাস। আয়োজিত হয় নানা রকম সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। জিহাদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে মানুষকে বিষিয়ে তোলার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চলতে থাকে। নিয়মিত টিভি বিজ্ঞাপন, স্কুল-কলেজে কর্মশালা ইত্যাদি ব্যাপক হারে চলতে থাকে। বার বার বলা হতে থাকে আপনাদের সন্তানদেরকে একত্রে মিশ্তে দেবেন না। হয়তো তারা কোন ভুল পথে জড়িয়ে পড়ছে। জনসাধারণও তা বিশ্বাস করে নেয়। যে সফলতা এতদিন যাবত অর্জিত হয়েছিলো তা এক লহমায়ই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। এটা ছিল খুবই ক্যালকুলেটেড একটি পদক্ষেপ যা আমাদের ব্যাকফুটে চলে যাওয়া প্রতিপক্ষকে আবার খেলায় ফিরিয়ে আনে। জিহাদের ময়দান দীর্ঘদিনের জন্য আবার বন্ধ হয়ে যায়।
তখন হক্বপন্থী মুজাহিদরাও ব্যাপকভাবে গ্রেফতার হতে থাকে। বাধ্য হয়ে তখন কিতালের কার্যক্রমের পরিবর্তে দাওয়াতী কাজের দিকে বেশি ফোকাস দিতে হয়। আর স্বাভাবিকভাবে বাগদাদী গ্যাঙও তখন দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায়। মুজাহিদরা দীর্ঘদিন দাওয়াতী মেহনতের মাধ্যমে, বছরের পর বছর টিকে থাকার লড়াইয়ের পাশাপাশি জনসাধারণকে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে আসছে। সেই সময় বাগদাদী গ্যাঙ এর কোন চিহ্নও আমরা দেখিনি। যখন হক্বপন্থী জিহাদ সমর্থকগণ দীর্ঘদিন দাওয়াতী মেহনত করে দেশের জনগণকে ইসলামের হাকীকত সম্পর্কে জানাতে শুরু করেছেন তখন আবার বাগদাদী গ্যাঙের আবির্ভাব হলো। এ যেন পরজীবীর মত। তারা নিজেরা নিজেদের ময়দান তৈরি করতে সক্ষম নয়। তারা বেঁচে থাকে আমাদের সাক্সেস শোষণ করে। আময়া যতদিন আছি, বাগদাদী গ্যাঙ ততদিন আছে। আমরা না থাকলে বাগদাদী ফেতনাও অটো বন্ধ হয়ে যাবে।
যতদিন জিহাদ থাকবে ততদিন বাতিলরা জিহাদের নাম খারাপ করার জন্য প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সব ধরনের ফেতনা চালিয়ে যাবে। এই একই প্যাটার্ন আপনারা দেখতে পাবেন বাগদাদী গ্যাঙের আন্তর্জাতিক ইতিহাসেও। যখন হক্বপন্থী মুজাহিদরা সিরিয়ার রাজধানী প্রায় দখল করে ফেলেছিলো তখন বাগদাদী গ্যাঙের উসিলা নিয়ে ফ্রান্স ও আমেরিকা দৃশ্যপটে প্রবেশ করে। তাছাড়া মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অনেক সময় আসাদ রেজিম ও বাগদাদী গ্যাঙ একসাথে মিলে যুদ্ধ করতো। যখন তার জিহাদীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম হয়েছে তখন তারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে একা একাই হারিয়ে গিয়েছে।
আসলে আমেরিকার টার্গেট হলো জিহাদকে দমন করার জন্য তারা জিহাদীদের মধ্যে থেকেই একদল সীমালঙ্ঘনকারী ও মূর্খ শ্রেণী তৈরি করে দেওয়া, যেন জিহদীরা সমর্থন হারাতে হারাতে যেন নিজে থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। কোন কন্সপিরেসি থিওরিস্টও নয়, কোন ইউটিউবারও নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৭ সালে জি-২০ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন যে আইসিস হলো আমেরিকার নিজের তৈরি। সত্য মিথ্যা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে আমরা মনে করি বাগদাদী গ্যাঙের দ্বারা আমেরিকারই বৈশ্বিক পলিসি লাভবান হচ্ছে।
কাজেই বাগদাদী গ্যাঙ কিভাবে ফাংশন করে ও তার প্রকৃত রূপ কি সে ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদল করতে হবে এবং খারেজী আদর্শের উৎস কোথায়, কোন চিন্তাধারা তাদেরকে এই পথে উদ্বুদ্ধ করছে তাও আমাদের এবে দেখা উচিত। অনলাইনের প্রচলিত দালিলিক মুনাযারার পরিবর্তে তাদের চিন্তাধারার উৎসগুলো শনাক্ত করে সেই চিন্তা ও শিক্ষার সেক্টরে তাদেরকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
Comment