Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাকিল চিত্রকরের আত্মহত্যা এবং সেক্যুলার প্রগতিশীল গোষ্ঠীর কান্নাকাটি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাকিল চিত্রকরের আত্মহত্যা এবং সেক্যুলার প্রগতিশীল গোষ্ঠীর কান্নাকাটি

    সম্প্রতি একজন স্বঘোষিত "মুক্তচিন্তক", শাকিল চিত্রকর নামক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুকে ঘিরে দেশের তথাকথিত সেক্যুলার, নাস্তিক ও ধর্মবিরোধী গোষ্ঠী সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, এই মৃত্যুর জন্য দায়ী "ধর্মান্ধ গোষ্ঠী", যারা তাকে মানসিক চাপে ফেলেছে, এমনকি একান্ত স্বেচ্ছায় করা তার আত্মহত্যাকে তারা হত্যাকাণ্ড বলে এশটাবলিশ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    কিন্তু এই বক্তব্যের অন্তরালের বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। এটা বুঝতে হলে জানতে হবে শাকিল চিত্রকর ঠিক কী করছিলেন?
    ☞ তিনি ধারাবাহিকভাবে ইসলাম, কুরআন, রাসূল ﷺ এবং সাহাবাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে আসছিলেন।
    ☞ তাঁর বক্তব্যে ছিল স্পষ্ট ধর্মবিদ্বেষ, চরম অবমাননাকর ব্যঙ্গ এবং অশ্লীলতার মাত্রা ছাড়ানো উপস্থাপন।
    ☞ একাধিকবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগে আঘাত করেছেন, এবং তা মাত্র একটি মন্তব্য নয়—এটি ছিল ধারাবাহিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    যখন কিছু মানুষ এসব কথার প্রতিবাদ করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের জানান—তখনই শাকিল আত্মহত্যা করেন।

    এখন প্রশ্ন হলো: এই আত্মহত্যার দায় কার?
    যিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে ধারাবাহিকভাবে আঘাত দিয়ে মুসলমানদের অন্তরে আগুন লাগাচ্ছিলেন তার, নাকি যারা সেই আগুনে পুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তাদের?


    এদিকে আত্মহত্যার খবর ছড়াতেই দেশের তথাকথিত প্রগতিশীল গোষ্ঠী মুখে রুমাল চেপে কান্নাকাটি শুরু করেছে:
    "তাকে খুন করা হয়েছে।"
    "মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে হলো!"
    "এই দেশ এখন তালেবান রাষ্ট্র!"

    এই কান্না বাস্তবতা বিবর্জিত। কারণ তারা নিজেরা ধর্মানুরাগীদের প্রতি যুগের পর যুগ ধারাবাহিকভাবে ঘৃণা ছড়ালেও কখনো আত্মপর্যালোচনা করেনি।
    যখন ইসলামপ্রিয় কাউকে "জঙ্গি", "রাজাকার", "ব্যাকডেটেড", "মূর্খ", "নারীলিপ্সু" বলা হয়—তখন তাদের বিবেক জাগে না।

    কিন্তু আজ একজন প্রমাণিত ধর্মদ্রোহী ব্যক্তি যখন সামাজিক প্রতিক্রিয়ায় বিব্রত হয়ে নিজে নিজের জীবন নেয়—তখন সেটিকে "সামাজিক হত্যা" বলে চালানোর চেষ্টা করছে!

    আবারও ভাবুন তো আত্মহত্যার দায় কার?
    ধরুন, একজন ব্যক্তি নিজের অফিসে দীর্ঘদিন ধরে সহকর্মীদেরকে গালি দিচ্ছেন, সম্মানহানি করছেন, এবং এরপর যখন কেউ অফিস কর্তৃপক্ষকে জানালেন—তখন তিনি মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করলেন।
    এই ঘটনায় আপনি কাকে দায়ী করবেন?
    সেই সহকর্মীকে, না সেই গালিদাতাকে?
    শাকিল চিত্রকরের ঘটনাও তেমনই।
    তাঁর বিরুদ্ধে জনগণ আইন হাতে নেয়নি, কেউ তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেনি, বরং অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য সামাজিক রীতি মেনে তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল তার অনৈতিক আচরণ সম্পর্কে। সেটিই কি অপরাধ?


    এই ঘটনার পেছনে সেক্যুলারদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট:
    ☞ তারা একজন ধর্মদ্রোহীর আত্মহত্যাকে শহীদী মর্যাদা দিতে চায়।
    ☞ তারা ইসলামপ্রিয় জনগোষ্ঠীকে আবার ‘নিপীড়ক’ বানাতে চায়।
    ☞ তারা সত্যিকার সামাজিক প্রতিরোধের ভাষাকে ‘হত্যার প্ররোচনা’ হিসেবে চালাতে চায়।
    ☞ তাদের কাছে "মতপ্রকাশের স্বাধীনতা" মানে কেবল ইসলাম ও মুসলমানদেরকে গালি দেওয়ার অধিকার।
    কিন্তু কেউ যদি সেই গালির প্রতিবাদ করে—তাকে তারা "ধর্মান্ধ", "উগ্র", "মানসিক খুনী" বলে দোষী সাব্যস্ত করতে চায়।

    আমাদের বুঝতে হবে যে:
    ☞ আত্মহত্যা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, কেউ কাউকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করতে পারে না যদি না সহিংসতা থাকে। শাকিল চিত্রকর কোনো সহিংসতার শিকার ছিলেন না।
    ☞ ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি অবজ্ঞা যদি মুক্তচিন্তা হয়, তবে তার প্রতিবাদও মুক্ত প্রতিক্রিয়া। একতরফা স্বাধীনতা থাকতে পারে না।
    ☞ এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে—সেক্যুলাররা স্বাধীনতা চায় না, চায় একচেটিয়া গালি দেওয়ার অধিকার।


    শাকিল চিত্রকরের মৃত্যু তার পরিবারের জন্য অবশ্যই দু:খজনক হতে পারে, কিন্তু এটিকে ব্যবহার করে মুসলমানদের নৈতিক অবস্থানকে আক্রমণ করা একটা বড় ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য—ধর্মদ্রোহীদের অপরাধ ঢেকে দেওয়া, এবং ধর্মবিশ্বাসীদের প্রতিবাদকে নিষিদ্ধ করা।
    এটাই সময় যখন সত্য উচ্চারণ, প্রতিবাদ, এবং সাংস্কৃতিক আত্মরক্ষাকে আরও স্পষ্ট ও সুসংগঠিত করা জরুরি।​



    সংগৃহীত
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে
Working...
X