Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাহলে তাদের প্রতি আবেগ হবে বিদ্বেষ আর বদ-দোআর।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাহলে তাদের প্রতি আবেগ হবে বিদ্বেষ আর বদ-দোআর।

    ইহুদি নিপীড়ন ও ইসরায়েলি বর্বরতার ইতিহাস মুসলিম চেতনায় যতটা গভীর ছাপ ফেলেছে, তার চেয়ে অনেক গভীর এক ট্র্যাজেডি আজও বহু মুসলমানের অজানা—ইরাকে সুন্নি মুসলিম ও মুজাহিদীনদের উপর শিয়া নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রযন্ত্র, মিলিশিয়া এবং তাদের বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষকদের নির্মম দমন-পীড়ন। এমন এক নীরব গণহত্যা ও ষড়যন্ত্র, যার শরিক হয়েছে মুসলিম নামধারী শাসকগোষ্ঠী, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ, এবং এমনকি বহু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, যারা বর্ণনা বদলে দেয়, শব্দ চেপে যায়, আর সত্য চাপা পড়ে ‘সন্ত্রাস দমন’-এর বুলি তলায়।

    ২০০৩ সালের মার্চ—যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু। বাহানা ছিল ‘মাস ডেস্ট্রাকশন’ অস্ত্র, যা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা; কিন্তু এই যুদ্ধের পরিণামে গোটা একটি রাষ্ট্র ভেঙে পড়ে, এবং বিশেষ করে সুন্নি মুসলমানদের জন্য তা এক মহাবিপর্যয়ের সূত্রপাত করে। মার্কিন সেনাবাহিনী যখন বাগদাদে প্রবেশ করে, তখন অনেক সুন্নি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয় ‘বিদ্রোহী’ অঞ্চল হিসেবে। ফলত: ফালুজা, বায়জী, সামারা, রামাদি, মসুলসহ বহু সুন্নি অধ্যুষিত শহরে চালানো হয় বিমান হামলা, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়, অগণিত বেসামরিক নিহত হয়, যার বেশিরভাগই ছিল নিরস্ত্র মুসলমান। ফালুজা শহর ২০০৪ সালে দু’বার ‘নাগরিক দমন’ অভিযানে মার্কিন এবং শিয়া পৃষ্ঠপোষিত বাহিনীর হাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, যেখানে ফসফরাস বোমা ও ইউরেনিয়াম-যুক্ত গোলাবারুদ ব্যবহার হয়—যা পরবর্তীতে সেখানকার শিশুদের জন্মগত ত্রুটির জন্য দায়ী বলে প্রমাণিত।

    এখানে যদি কেউ বলে, “মার্কিনরা তো সবাইকে মারছে”, তবে উত্তর হবে—সত্য, কিন্তু ‘কে কাকে সাহায্য করছে’ সেটা এখানে মুখ্য। ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের অন্যতম বড় মিত্র ছিল ইরানের নেতৃত্বাধীন শিয়া প্রশাসন ও মিলিশিয়া—বদর ব্রিগেড, কাতায়েব হিজবুল্লাহ, আসা'ইব আহলুল হাক। এই বাহিনীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রচ্ছায়ায় এবং ইরানের অর্থ ও কৌশলে সুন্নি মুসলমানদের ‘আল-কায়েদা’, ‘আইএস’ বা ‘সাদ্দাম অনুগামী’ তকমা দিয়ে নির্বিচারে গুম, খুন, অত্যাচার চালায়। বহু সুন্নি ধর্মীয় নেতা, মাদ্রাসা শিক্ষক, এমনকি মসজিদের ইমামদেরও অপহরণ করা হয়, কখনো লাশ মেলে রাস্তার পাশে, কখনো আর মেলেই না। বলা হয় যে ২০০৬-২০০8 সালের মাঝে প্রতি মাসে গড়ে ৩,০০০-৫,০০০ সুন্নি মুসলমান শুধুমাত্র পরিচয়গত কারণে হত্যা হয়েছে।

    শুধু সাধারণ মানুষ নয়, গোটা সুন্নি সামজিক কাঠামোকে ভেঙে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশে সুন্নি সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়, তাদের অঞ্চলগুলো অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত রাখা হয়। মসুল শহরে একটি সময় ইরাকের সুন্নি বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র ছিল, কিন্তু এখন তা হয়ে উঠেছে ভুতুড়ে শহর, যেখানে শিয়া-প্রভাবিত মিলিশিয়ারা জনবসতি দখল করে বসতি গড়ে তোলে।

    অন্যদিকে, যারা সামান্য প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে—‘জায়শুল ইসলাম’, ‘জায়শুল ফাতিহ’, এমনকি যারা স্থানীয় পর্যায়ে শুধু নিজেদের শহর রক্ষা করতো—তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে মার্কিন ড্রোনে হত্যা করা হয়েছে বা শিয়া মিলিশিয়ার হাতে নির্বিচারে নিধন হয়েছে।

    আর এই নির্মম চিত্রনাট্যের পরিচালক কে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাদের ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ যুদ্ধ ছিল আসলে রাজনৈতিক শত্রু নির্মূলের হাতিয়ার। কিন্তু সহ-নির্দেশক হিসাবে পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। কথিত ‘ইসরাইল বিরোধী’ এই রাষ্ট্রটি একই সাথে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের সাথে তথ্য বিনিময় করে, এবং আবার মার্কিন আগ্রাসনের সহযোগী হয়ে সুন্নি মুসলমানদের উপর শত্রুর মত আচরণ করে।

    তবে এখানেই শেষ নয়। ২০১৪ সালের পর আইএসের উত্থানকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় নতুন অজুহাত। হ্যাঁ, আইএস ছিল বর্বর, হ্যাঁ তারা অন্যায় করেছিল—কিন্তু আইএসের মুখোশে গোটা সুন্নি অঞ্চলকে ‘সন্ত্রাসী অঞ্চল’ বানিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। মসুল, রামাদি, তিকরিত—যেখানে আইএস ছিল, সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৮০% বাস্তুচ্যুত হয়। আর কে বোমা ফেলে? মার্কিন বিমান, ইরাকি সরকার বাহিনী, আর শিয়া মিলিশিয়ার বন্দুক। কে মদদ দেয়? সেই ইরান, যাদের বিপ্লবী গার্ড (IRGC) এবং আল-কুদস ফোর্স বিভিন্ন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছে। এটি ছিল ধর্মীয় পরিচয়-মূলক গণনির্মূল, যা গণমাধ্যমে এসেছে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা’ আর ‘জঙ্গি দমন’ নামধারী প্যাকেজে মোড়ানো।

    আর এইসব ঘটনার মাঝে মুসলিম বিশ্বের নীরবতা এক ভিন্ন রকমের কলঙ্ক। তারা ইরাকের শত্রুর মৃত্যুতে কাঁদেনি, বরং তাদেরই একাংশ বলেছে, “এরা তো সাদ্দামপন্থী, এরা তো আইএস।” অথচ এই সাদ্দামপন্থী বলে অভিযুক্তদের অনেকেই সাধারণ মুসল্লি, কৃষক, মাদ্রাসা ছাত্র, শিক্ষক। ২০১৭ সালে যখন মসুল শহর ‘মুক্ত’ হলো, তখন দেখা গেল শহরটা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, লাখো মানুষ উদ্বাস্তু, নারী ও শিশুরা গণধর্ষণের শিকার, আর বহু পুরুষ এখনো জীবিত না মৃত, কেউ জানে না।

    তারা আমাদের উপর যে জুলুম চালিয়েছে—সে জুলুমের কোনো সীমা নেই, কোনো শেষ নেই। এক প্রজন্মে নয়, এক শতাব্দীতেও নয়—বরং ইতিহাসের এক এক অধ্যায়ে তারা আমাদের রক্ত বইয়েছে। তারা আমাদের আলেমদেরকে হত্যা করেছে, যাঁরা আল্লাহর দীনকে তুলে ধরতেন। তারা আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে বন্দী করেছে, গুম করেছে, শহীদ করেছে, কেবল এজন্য যে তারা সত্য কথা বলত, কেবল এজন্য যে তারা জালিমের বিরুদ্ধে দাঁড়াত।

    তারা আমাদের শত্রুদের—ইসরায়েল হোক, আমেরিকা হোক, ন্যাটো হোক, এসডিএফ হোক—সবাইকে সহায়তা দিয়েছে। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো ছায়ার আড়ালে। তারা অস্ত্র দিয়েছে, বুদ্ধি দিয়েছে, সেনা পাঠিয়েছে, ড্রোন চালিয়েছে—কেবল আমাদের মুজাহিদদের কণ্ঠরোধ করতে, কেবল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে।

    তাদের জুলুম এমনই এক বিষাক্ত বৃক্ষ, যার শিকড় ঢুকেছে আমাদের ইতিহাসে, যার ডালপালা ছড়িয়ে পড়েছে আজকের ভূরাজনীতিতে। আমরা যদি ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধে কোনো পক্ষের পক্ষে দাঁড়াই না, কোনো বিজয়কে উদযাপন করি না, কোনো ক্ষতিতে আবেগপ্রকাশ না করি, তাহলে ইরাক এবং ইসরায়েলের সংঘাতেও আমাদের অবস্থান একই হওয়া উচিত। কারণ এই দুই পক্ষ যখনই সুযোগ পাবে, তখনই তারা আমাদের সুন্নি মুসলিম ভাইদের, আমাদের আলেম-ওলামাদের, আমাদের মুজাহিদদের হত্যা করবে, নিপীড়ন করবে। তাদের প্রতি যদি কোনো আবেগ দেখানোর প্রয়োজন বোধ করি, তাহলে তাদের প্রতি সেই আবেগ হবে বিদ্বেষ আর বদ-দোআর।

    কারণ মুসলমানের রক্ত অমূল্য, আল্লাহর ওয়াদার ভিত্তি দৃঢ়—“আল্লাহ জালিমদের ভালোবাসেন না।”




    প্রধান রেফারেন্স

    Reuters

    **“Two unpublished investigations show that the United States has consistently overlooked killings and torture by Iraqi government‑sponsored Shi’ite militias.”** — এই প্রতিবেদনটি মার্কিন সামরিক ও আইরাকি সরকার-অনুদানপুষ্ট শিয়া মিলিশিয়ার নামমাত্র প্রশ্নাতীত নির্যাতন উদ্‌ঘাটন করে ।

    **“Massacre reports show U.S. inability to curb Iraq militias”** — অনবরত শিয়া মিলিশিয়ার দ্বারা সংঘটিত হত্যা ও অপহরণের ঘটনা বর্ণনা করে ।

    **“Special Report: The fighters of Iraq who answer to Iran”** — ইরান‑সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ার ভূমিকা ও তারা কিভাবে সুনির্দিষ্ট করে নিরীহ সুন্নিদের গোষ্ঠী-ভিত্তিক হত্যার অভিযুক্ত তা নিরপেক্ষ ভাবে তুলে ধরে ।

    **“Iraq's top Shi'ite calls on Baghdad to help Sunni tribes after killings”** — ইরাকি উচ্চ পর্যায়ের শিয়া ধর্মীয় নেতা সুন্নিদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।

    **"Massacre reports show U.S. inability to curb Iraq militias"
    এই প্রতিবেদনটি ইরাকি সরকার-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।

    **"Survivors say Iraqi forces watched as Shi'ite militias executed 72 Sunnis"
    এই প্রতিবেদনে বারওয়ানাহ গ্রামে শিয়া মিলিশিয়া দ্বারা ৭২ জন সুন্নি মুসলিমকে হত্যা করার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।

    **"Why Washington ignored torture by Iraqi militias"
    এই বিশেষ প্রতিবেদনে ইরাকি মিলিশিয়া দ্বারা সংঘটিত নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের উদাসীনতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

    The Guardian

    **“Shia massacre revives fears of civil war”** — Hayy al‑Jihad এলাকায় শিয়া মিলিশিয়ার হাতে প্রায় ৪০–২৭০ জন সুন্নি নাগরিক নিহতের ঘটনা বর্ণিত।

    **"40 die in Baghdad massacre as Shia militia go on rampage"
    এই প্রতিবেদনটি বাগদাদের একটি উপশহরে শিয়া মিলিশিয়া দ্বারা ৪০ জন সুন্নি মুসলিম হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে।

    **"Shia militia fightback against Isis sees tit-for-tat sectarian massacres"
    এই প্রতিবেদনে শিয়া মিলিশিয়া ও আইএসআইএসের মধ্যে সংঘর্ষের পর সুন্নি মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

    **"Iraqi Shia militias accused of murder spree"
    এই প্রতিবেদনে শিয়া মিলিশিয়া দ্বারা সুন্নি মুসলিমদের অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

    Al Jazeera

    **“Scores dead in attack on Sunni mosque in Iraq”** — ২০১৪ সালে Diyala প্রদেশে шиয়া গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৭৩ জন সুন্নি মুসলিম শহীদ হয়।

    **"Scores dead in attack on Sunni mosque in Iraq"
    এই প্রতিবেদনে দিয়া'লা প্রদেশে একটি সুন্নি মসজিদে শিয়া মিলিশিয়া দ্বারা হামলার ফলে ৭৩ জনের মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

    **"Sunni mosques firebombed after attacks hit Iraqi Shias"
    এই প্রতিবেদনে শিয়া মুসলিমদের উপর হামলার পর সুন্নি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলি বর্ণিত হয়েছে।

    **"Fallujah fallout: More than 700 Sunni men 'missing'"
    এই প্রতিবেদনে ফালুজ্জাহ শহরে ৭০০ জন সুন্নি পুরুষ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এবং এর পেছনে শিয়া মিলিশিয়ার ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।

    °
    Wikipedia

    ** Wikipedia-র “Sunni Arab genocide in Iraq” পৃষ্ঠা সরকার-অনুদানিত শিয়া মিলিশিয়ার নির্যাতনের পরিসংখ্যান (২০১৪–২০১৬: ~২২,০০০ নিহত + ১.৫ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত হওয়া লোক) ও আগের “ethnic cleansing” প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ।

    ** Wikipedia-র “Sectarian violence in Iraq” পৃষ্ঠা ২০০৬ সালে মাত্র এক বছরে ২০,০০০+ প্রমাণিত ধর্মীয় ভিত্তিক নাগরিক হত্যাকাণ্ড ও মিলিশিয়া দ্বারা বসতি পরিমাণে পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরে ।
    فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

  • #2
    কথিত ‘ইসরাইল বিরোধী’ এই রাষ্ট্রটি একই সাথে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের সাথে তথ্য বিনিময় করে, এবং আবার মার্কিন আগ্রাসনের সহযোগী হয়ে সুন্নি মুসলমানদের উপর শত্রুর মত আচরণ করে।



    তারা আমাদের শত্রুদের—ইসরায়েল হোক, আমেরিকা হোক, ন্যাটো হোক, এসডিএফ হোক—সবাইকে সহায়তা দিয়েছে। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো ছায়ার আড়ালে। তারা অস্ত্র দিয়েছে, বুদ্ধি দিয়েছে, সেনা পাঠিয়েছে, ড্রোন চালিয়েছে—কেবল আমাদের মুজাহিদদের কণ্ঠরোধ করতে, কেবল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে।

    বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
    আল্লাহ তাআলা আপনার কলমে বারাকা দান করুক। আমীন।

    Comment


    • #3
      ইরানের প্রক্সিগুলো এই মুহূর্তেও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ্ এর সাথে ফ্রন্টলাইনে লড়াই করছে। কাতায়েব হিযবুশ শয়তানের সৈন্যরা সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে hts সদস্যদের বন্দি করে এনে ঠিকই জবাই করে পর্যন্ত হত্যা করছে।

      মুসলিম বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা (!) খামেনির দেশ খোদ ইরানের অভ্যন্তরেই কি অবস্থা? এখনো কি শুধু আবু বকর নাম রাখার কারণেও যুলুমের শিকার হতে হচ্ছে না? এই হচ্ছে ইরানের প্রকৃত বাস্তবতা।

      আজকাল তো সবাই জানে, ইরান কোন স্বার্থে মাঝে মাঝেই ইসরাইলকে নিঃশেষ করার হুমকি দেয়?

      কিন্তু কাজের বেলায় প্রতিবারের মত এবারও মেউ মেঊ..!! ইরানেই লাখ লাখ ইহুদি এবং জায়নবাদীদের বসবাস। এত নিশ্চিহ্ন করার ইচ্ছা থাকলে তো এখান থেকেই শুরু করা যেতো।

      কিন্তু শিয়াদের বাপ-দাদারা যে নিজেরাই ইহুদি ছিলেন, সেটা কেনো যেনো আমরা বারবার ভুলে যাই।
      نحن الذين بايعوا محمدا ﷺ على الجهاد ما بقينا أبدا

      Comment

      Working...
      X