ক্ষমতার"সিঁড়ি"জনগণের ভোট নয়; আমেরিকা ও জাতিসংঘের মনাশা পূরণ!
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশ ২১-০৯-২০০১ইং তারিখে, আমেরিকার বৈশ্বিক সম্পর্কের একটি নীতিমালা নির্ধারণ করে দেয়, যা আজও বিশ্বে ক্ষমতার মসনদের একমাত্র নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে তা হলো:
'You Are Either With Us, Or With the Terrorists;- আপনি হয় আমাদের সাথে, না হয় সন্ত্রাসীদের সাথে।
উপরোক্ত নীতির আলোকে বর্তমান বিশ্বে মানবতার সবচেয়ে নিকৃষ্টতম শত্রু আমেরিকা সারা পৃথিবীতে তার সাম্রাজ্যবাদী নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে, যা বিশ্বময়
এখনো তাড়া করে বেড়ায় ক্ষমতার মসনদকে। দেশে দেশে ক্ষমতার মসনদ উলট-পালটে-'You Are Either With Us, Or With the Terrorists; নীতি একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে পরিগণিত। এই নীতির উপর ভিত্তি করেই ক্ষমতাসীনরা দেশ পরিচালনার পলিসি নির্ধারণ ও গ্রহণ করে যা আজ দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।
১. হামাস ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাস জয়ী হয় এবং ফিলিস্তিনি আইন পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব রাষ্ট্রসমূহ ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয় এবং আমেরিকা, ইজরায়েল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব রাষ্ট্রসমূহ হামাসকে ফিলিস্তিনি ক্ষমতায় বসতে বাধা দেয়।
২. মিশরে ইখওয়ানুল মুসলিমিন দল ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসে। মোহাম্মদ মুরসি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা লাভের করে এবং মিশরের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হন। পরবর্তিতে মাত্র ১ বছরের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতা চ্যুত করা হয়। এখন যে আবদেল ফাত্তাহ সিসি মিশরের ক্ষমতায় আছে, সে আমেরিকা ও ইজরায়েলের একনিষ্ঠ গোলাম।
৩. আলজেরিয়ায় ১৯৯০ সালে নির্বাচিত ইসলামি সরকারকে উৎখাত করে কালো দশকের স্থপতি 'খালেদ নিজার' ক্ষমতা দখল করে। ফলে ইসলামপন্থী জনগণ ও সরকার সংঘাতে জড়িয়ে। সংঘাতে ২ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় যার প্রত্যক্ষ মদদ ছিল পশ্চিমাদের। বর্তমান আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল মাদজিদ তেববুন সে আমেরিকা ও ইজরায়েলের সেবাদাস।
৪. পাকিস্তানের ৭৬ বছরের ইতিহাস বলে সামরিক আশীর্বাদ ছাড়া পাকিস্তানের কোনো শাসকেরই পক্ষে সম্ভব হয়নি ক্ষমতায় টিকে থাকা। এর সবশেষ উদাহরণ গত ৯ই এপ্রিল ২০২২ইং তেহরিক-ই ইনসাফ দলটির নেতা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অপসারণ। অনাস্থা ভোটে অভিশংসিত হন ইমরান খান। মনে করা হয়, ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ইসলামোফোবিয়া ও কাশ্মীর নিয়ে ইমরান খান দেওয়া বক্তব্যটি তার ক্ষমতার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। কারণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী হলো আমেরিকা এক বিশ্বস্ত বন্ধু ও একনিষ্ঠ সেবদাস, যারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমেরিকা, পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ সরাসরি পক্ষাবলম্বন ও সহযোগীতা করছে।
৫. সুদানের ইসলামী সরকারের সাফল্য সারাবিশ্বের ইসলামী আন্দোলনকে যখন আশান্বিত করছে তখন ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে খবর আসে যে,
প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশির ড: হাসান তুরাবীর সাথে বিরোধের প্রেক্ষিতে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং ড: হাসান তুরাবীকে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কংগ্রেসের সেক্রেটারী জেনারেল পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।বাইরে থেকে কিছু করতে ব্যর্থ হয়ে ভিতর থেকে বিরোধ ভাঙ্গন সৃষ্টি করে সাফল্য অর্জন করে আমেরিকার যা ছিলো পাশ্চাত্য শক্তির ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রের একটি পলিসি।
যদিও উপরোক্ত সরকারগুলো গণতান্ত্রিক ছিল তারপরও আমেরিকার তথা পশ্চিমা শক্তি ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি; কারণ তারা ইসলাম ও মুসলিম নিয় কথা বলত।
** নাইজার জনসংখ্যার ৯৯.৩% এরও বেশি মুসলিম হলেও সরকার সরাসরি ধর্মীয় কার্যক্রমে কোন অর্থায়ন করে না। সরকার আইনগতভাবে ধর্ম থেকে আলাদা অর্থাৎ ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার। নাইজারের সরকার ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রচারের সন্দেহভাজন গোষ্ঠীগুলোর উপর কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় গোষ্ঠী নিষিদ্ধ করেছে এবং নেতাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। এর জন্য দায়ী পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট মহামাদু ইসুফু ও পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম। বর্তমানে দেশটিতে সামরিক শাসন চলছে।
** তুরস্কো, সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি ও রাজা-বাদশাদের ক্ষমতা টিকে থাকার একমাত্র কারণ; আমেরিকা, পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ এবং একনিষ্ঠ গোলামী।
এ সমস্ত শাসকরাই মুসলিম দেশগুলোতে ইসলাম কায়েমের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ও প্রতিবন্ধক!
** ফ্যাসিস্ট হাসিনা রাতের ভোটে, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকলেও আমেরিকা, পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাজারো গুম, খুন মানবতাবিরোধী অপরাধ করলেও আমেরিকার, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন মুখে কুলুপ এটে বসে ছিল। এখন প্রশ্ন হলো- আমেরিকার, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকারের এ নিরবতার কারন কি?
নিরবতার একমাত্র কারণ ছিলো জঙ্গি নাটকের নামে তখন এদেশেটা ছিলো ইসলামের অনুশাসন মেনে চলে এরুপ মুসলমানদের জন্য কসাইখানা, যা আমেরিকার, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একমাত্র মনোশা। ফলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাজারো গুম খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ আমেরিকার, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষেই ছিল, তখন হাসিনা ক্ষমতার মসনদ অটুট রাখাতে একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে কাজ করেছে, আমেরিকার-You Are Either With Us,Or With the Terrorists' নীতির সাথে আপোস!
*** বিএনপির ৩১ দফার ১৮ নং দফা:
বৈদেশিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যা বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
*** জামায়াতের সরকার গঠনের কর্মনীতি:
হুজুগ, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে জাতি গঠনমূলক ও সমাজ পরিবর্তনের কাজ হতে পারে না। তাই জামায়াত "নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক" পথেই সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়। যা জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে বাস্তবায়নের ও সরকার গঠনের কর্মনীতি হিসেবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো- বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থী, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, হুজুগ(Mob),সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার জন্য কাদের কে দায়ী করা হয়? এবং তারা কারা? এর উত্তর একজন সাধারণ মুসলমানেরও আজ অজানা নয়। নিশ্চয় তারা ঐ সমস্ত মুসলমান, যারা সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের সম্মান, মর্যাদা ও অসত্ত্বিত রক্ষার জন্য রাষ্ট্র ও সমাজে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের চেষ্টায় জান, মাল এবং সম্পদ ব্যয় করে, যা ছিলো উম্মাহর শ্রেষ্ঠ যুগের একমাত্র পথ ও পন্থা। তারাই আজ আমেরিকার শত্রু, জাতিসংঘের শত্রু, মানবাধিকারের শত্রু, মুসলিম নামধারী সমগ্র বিশ্বের সেক্যুলার ও গণতন্ত্রবাদী নেতাদের শত্রু,।
সুতরাং বিএনপি জামায়াতসহ সকল গণতান্ত্রিক দলগুলো আমেরিকার-You Are Either With Us, Or With the Terrorists;- আপনি হয় আমাদের সাথে, না হয় সন্ত্রাসীদের সাথে।
নীতির সাথে আপোস করেই ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি নির্ধারণ করেছে; জনগণের ভোট নয়। যা তাদের সরকার গঠন, পরিচালনা ও কর্মনীতির প্রতিশ্রুতি দ্বারা প্রমাণিত।
*** বিএনপির ৩১ দফার ২৩ নং দফা:
নারী ও শিশুদের জীবনমান বিকাশে যুগোপযোগী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
*** এনসিপির ২৪ দফার ১৩ নং দফা:
নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন।
উপরোক্ত দফাগুলো মাধ্যমে বিএনপি, এনসিপিসহ অন্যান্য দলগুলো; নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো- যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, সংসদের স্পিকার নারী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী, কৃষিমন্ত্রী নারী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ প্রায় শতাধিক নারী সংসদ সদস্য হয়, সে দেশে নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়নের, কোন ক্ষমতা ও অধিকার দেওয়া এখনো বাদ আছে? বাদ থাকলে সেটা কী?
এর উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের দেখতে হবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলোর কার্যবিধি ও পলিসি, নারী কমিশন, নারীবাদী এবং বাম সংগঠনগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচি ও তাদের দাবীসমূহ, যার মাধ্যমে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব তাদের সুনিপুণ ঘৃর্ণিত নীতিগুলো বাস্তবায়ন করে, যা মানব ও মানবতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম ঘৃর্ণিত চক্রান্ত ও নিষ্ঠুরতা! এর মাধ্যমে তারা, মুসলিম হৃদয় ও সমাজ থেকে ইসলামী মূল্যবোধ, সংস্কৃতির চর্চা ও অনুশীলনের সমস্ত উপায় ও পন্থা গুলো ভেঙে দিয়ে, পাশ্চাত্যের পৈশাচিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ও দর্শন নামক এক ভয়ংকর নীল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টায় রত যা জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার; অভীষ্ট লক্ষ্য ৫-'লিঙ্গ সমতা'এবং অভীষ্ট লক্ষ্য ১০- বৈষম্য হ্রাস! কর্মসূচি বা ঘোষণার অংশ। যা সভ্যতা ও মানবাধিকারের নামে নরকীয় পশুত্ত্ব ও পৈশাচিক সমাজ প্রতিষ্ঠার এক নিকৃষ্টতম পলিসি, যেখানে পুরুষ নিজেকে পুরুষ এবং নারী নিজেকে নারী পরিচয় দিতে করবে লজ্জাবোধ, হবে সমকামী! এবং বেশ্যা ও পতিতাবৃত্তি হবে গৌরবের! ফলে বর্তমানে এদেশে ইসলাম ও মুসলমানের ঈমান আজ এক ভয়াবহ পরীক্ষার সম্মোখীন।
সুতরাং যারা গণতন্ত্র, নির্বাচন কিংবা ভোটের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের দিবাস্বপ্ন দেখছে, তারা চোরাবালিতে মুক্তা খোঁজে! যা কখনো পূর্ণ হবার নয়।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিশ্লেষণের পর এ বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে; ক্ষমতার"সিঁড়ি"এখন জনগণের ভোট নয়; বরং আমেরিকার ও জাতিসংঘের মনাশা পূরণে! যা গণতান্ত্রিক দল ও নেতাদের সরকার গঠন, পরিচালনা ও কর্মনীতির প্রতিশ্রুতি দ্বারা প্রমাণিত।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَلَنۡ تَرۡضٰی عَنۡکَ الۡیَہُوۡدُ وَلَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَہُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ ہُدَی اللّٰہِ ہُوَ الۡہُدٰی ؕ وَلَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَہۡوَآءَہُمۡ بَعۡدَ الَّذِیۡ جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّلَا نَصِیۡرٍ ؔ ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি তুমি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই। (আল বাকারা-১২০)
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تُتْرَكُوا وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوا مِن دُونِ اللَّهِ وَلَا رَسُولِهِ وَلَا الْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةً ۚ وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদের ছেড়ে দেয়া হবে এমনি, যতক্ষণ না আল্লাহ জেনে নেবেন তোমাদের কে যুদ্ধ করেছে এবং কে আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মুসলমানদের ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। (সূরা তাওবা-১৬)
হাদীসে এসেছে: আবূ বাকরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-
لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُم امْرَأَةً
“যে জাতি কোন মহিলাকে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের দায়িত্ব দিবে তাদের কখনো মুক্তি মিলবে না।
(সহীহ বুখারী হা/৪৪২৫; তিরমিযী হা/২২৬২, সিলসিলা সহীহাহ হা/২৬১৩)
অতএব, মুসলিম নামধারী সমগ্র বিশ্বের সেক্যুলার, গণতন্ত্রবাদী, ক্ষমতার মসনদে বসে থাকা নেতারা; আমেরিকা, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকারের মদদ ও আশির্বাদপুষ্ট এবং পরম বন্ধু; কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানের চরম শত্রু। বর্তমানে সকল মুসলমানের একনিষ্ঠ কর্তব্য হলো পশ্চিমাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার মূলা "নির্বাচন ও ভোট" প্রত্যাখ্যান করা। সেক্যুলার ও গণতন্ত্রবাদী এবং আমেরিকা, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকারের মদদ ও আশির্বাদপুষ্ট নেতাদের আহ্বান, কর্মকাণ্ড, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থেকে রাষ্ট্র ও সমাজে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর পথ ও পন্থা অনুসরণ করাই একমাত্র আবশ্যকীয় কর্তব্য। যার মধ্যেই নিহিত দুনিয়ার জীবনে নিরাপত্তার, শান্তি ও মর্যাদা এবং আখেরাতের কল্যাণ ও সফলতা।
Comment