- ইসলামের জন্য সবচে বড় ক্ষতিকারক কারা?
- লেবাসধারী মুনাফিকরা; যাদের জবান আলিম হবে, কিন্তু অন্তর জাহিল হবে। মূর্খরা তাদের ওয়াজ-নসিহত, বয়ান-বক্তৃতা শুনে কিংবা তাদের বইপত্র, লেখাজোকা ইত্যাদি পড়ে তাদেরকে আলিম ভেবে অনুসরণ করতে শুরু করবে। ফলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জায়গায় অবচেতনেই ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত হবে।
- আপনার কথার প্রমাণ কী?
- রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন :
أَخْوَفُ مَا أَخَافَ عَلَى أُمَّتِي كُلُّ مُنَافِقٍ عَلِيمُ اللِّسَانِ
আমি আমার উম্মাহর ব্যাপারে সবচে বেশি ভয় করি এমন প্রত্যেক মুনাফিককে, যারা বিজ্ঞ জবানের অধিকারী হবে।
(হাদিসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। হাফিজ ইরাকি এর সনদকে হাসান বলেছেন।)
ইমাম গাজালি 'ইহইয়া' গ্রন্থে উল্লেখ করেন, উমর রা.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল :
وكيف يكون منافقاً عليماً
মুনাফিক আবার কীভাবে আলিম (বিজ্ঞ) মুনাফিক হয়?
তিনি জবাব দিলেন :
عليم اللسان جاهل القلب والعمل
বিজ্ঞ জবানের অধিকারী হয়; কিন্তু অন্তর ও আমলের ব্যাপারে অজ্ঞ হয়।
প্রথমে বর্ণনাটি অনুধাবন করুন। এরপর লেবাসধারী ইমানচোরগুলোর ওপর একে একে প্রয়োগ করুন। এই যুগে তাওহিদবাদী মুসলিমদের জন্য প্রকাশ্য তাগুত যতটা না ভয়াবহ ও ক্ষতিকর, তারচে শতগুণ বেশি ভয়াবহ ও ক্ষতিকর হলো এই লেবাসধারী মুনাফিকরা। যারা তাদের মুখে ইলমের ফুলঝুরি ছড়ায়। কিন্তু তাদের অন্তর ইলমের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকে। অন্তরে তাওহিদ ও শিরকের মৌলিক জ্ঞানেরও অনুপস্থিতি থাকে। আর তারা তত্ত্বকথাই শুধু শোনাতে পারে; যদিও প্রায়শই তত্ত্বকথার মধ্যেও বিকৃতি সাধন করে বসে। তথাপি শরিয়াহর বিধিবিধান বাস্তবায়ন করার কোনো রূপরেখা কস্মিনকালেও তারা উপস্থাপন করতে পারে না।
আর পারবেই বা কেন! তাওহিদের পুনর্জাগরণের জন্য তো তাদের উত্থান হয়নি। তাদের উত্থান হয়েছে কফিনের শেষ প্যারেক ঠোকার জন্য। আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন তাদের অন্তরে। তাদের অন্তরকে করে দিয়েছেন বক্র। তাদের কানে রয়েছে ছিপি এবং চোখে রয়েছে ঘন আবরণ। এসব কারণে তারা সহজে ফিরবে না। 'নিশ্চয়ই আপনি শোনাতে পারবেন না মৃতদেরকে। আর শোনাতে পারবেন না বধিরদেরকে, যখন তারা উল্টো পায়ে ফিরে যায়।'
ঘৃণা, সম্পর্কচ্ছেদ ও আল-বারা এই সকল ভণ্ড চাটুকার কপটদের জন্য।
- লেবাসধারী মুনাফিকরা; যাদের জবান আলিম হবে, কিন্তু অন্তর জাহিল হবে। মূর্খরা তাদের ওয়াজ-নসিহত, বয়ান-বক্তৃতা শুনে কিংবা তাদের বইপত্র, লেখাজোকা ইত্যাদি পড়ে তাদেরকে আলিম ভেবে অনুসরণ করতে শুরু করবে। ফলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জায়গায় অবচেতনেই ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত হবে।
- আপনার কথার প্রমাণ কী?
- রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন :
أَخْوَفُ مَا أَخَافَ عَلَى أُمَّتِي كُلُّ مُنَافِقٍ عَلِيمُ اللِّسَانِ
আমি আমার উম্মাহর ব্যাপারে সবচে বেশি ভয় করি এমন প্রত্যেক মুনাফিককে, যারা বিজ্ঞ জবানের অধিকারী হবে।
(হাদিসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। হাফিজ ইরাকি এর সনদকে হাসান বলেছেন।)
ইমাম গাজালি 'ইহইয়া' গ্রন্থে উল্লেখ করেন, উমর রা.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল :
وكيف يكون منافقاً عليماً
মুনাফিক আবার কীভাবে আলিম (বিজ্ঞ) মুনাফিক হয়?
তিনি জবাব দিলেন :
عليم اللسان جاهل القلب والعمل
বিজ্ঞ জবানের অধিকারী হয়; কিন্তু অন্তর ও আমলের ব্যাপারে অজ্ঞ হয়।
প্রথমে বর্ণনাটি অনুধাবন করুন। এরপর লেবাসধারী ইমানচোরগুলোর ওপর একে একে প্রয়োগ করুন। এই যুগে তাওহিদবাদী মুসলিমদের জন্য প্রকাশ্য তাগুত যতটা না ভয়াবহ ও ক্ষতিকর, তারচে শতগুণ বেশি ভয়াবহ ও ক্ষতিকর হলো এই লেবাসধারী মুনাফিকরা। যারা তাদের মুখে ইলমের ফুলঝুরি ছড়ায়। কিন্তু তাদের অন্তর ইলমের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকে। অন্তরে তাওহিদ ও শিরকের মৌলিক জ্ঞানেরও অনুপস্থিতি থাকে। আর তারা তত্ত্বকথাই শুধু শোনাতে পারে; যদিও প্রায়শই তত্ত্বকথার মধ্যেও বিকৃতি সাধন করে বসে। তথাপি শরিয়াহর বিধিবিধান বাস্তবায়ন করার কোনো রূপরেখা কস্মিনকালেও তারা উপস্থাপন করতে পারে না।
আর পারবেই বা কেন! তাওহিদের পুনর্জাগরণের জন্য তো তাদের উত্থান হয়নি। তাদের উত্থান হয়েছে কফিনের শেষ প্যারেক ঠোকার জন্য। আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন তাদের অন্তরে। তাদের অন্তরকে করে দিয়েছেন বক্র। তাদের কানে রয়েছে ছিপি এবং চোখে রয়েছে ঘন আবরণ। এসব কারণে তারা সহজে ফিরবে না। 'নিশ্চয়ই আপনি শোনাতে পারবেন না মৃতদেরকে। আর শোনাতে পারবেন না বধিরদেরকে, যখন তারা উল্টো পায়ে ফিরে যায়।'
ঘৃণা, সম্পর্কচ্ছেদ ও আল-বারা এই সকল ভণ্ড চাটুকার কপটদের জন্য।
Comment