Announcement

Collapse
No announcement yet.

বৃন্তের ফুল নয় গো হিন্দু, মুশরিক যাহাদের নাম - কবি নজরুল মুসলিম জাহানে করিল অপমান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বৃন্তের ফুল নয় গো হিন্দু, মুশরিক যাহাদের নাম - কবি নজরুল মুসলিম জাহানে করিল অপমান

    বৃন্তের ফুল নয় গো হিন্দু, মুশরিক যাহাদের নাম - কবি নজরুল মুসলিম জাহানে করিল অপমান

    ৫ই আগস্টের পর হিন্দু তোষণের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে যেন প্রতিযোগিতা চলছে: কে কত বেশি হিন্দু হিতৈষী প্রমাণ হতে পারে। ভাবটা এমন, যেন ৯০/৯৫% মুসলমানের চেয়ে ৫% হিন্দুর করুণা-দৃষ্টি তাদের বেশি প্রয়োজন।

    শিশির মনির সাহেব তো এ ব্যাপারে অনেক বেশি এডভান্স প্রমাণ হয়েছেন। পূজা আর রোযা মিলিয়ে তিনি যা বলেছেন, তা আওয়ামী আমলেও বলা হতো না। তিনি নজরুলের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়েছেন:
    মোরা এক বৃন্তে দু’টি ফুল হিন্দু-মুসলমান।
    মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।

    লাইন দুটি নজরুলের ‘পুতুলের বিয়ে’ নাটিকার একটি কবিতা থেকে নেয়া। আগের অংশটাসহ দেখে মুসলমান সমাজ নিজেরাই বিবেচনা করুন, নজরুলকে এবং নজরুলের দৃষ্টিভঙ্গিকে তারা কোন দৃষ্টিতে দেখবেন:

    “আচ্ছা ভাই, মুসলমানের পুতুলের সাথে তোর পুতুলের বিয়া হবেক কি ক’রে খ।
    না ভাই, ও কথা বলিসনে। বাবা বলেছেন, হিন্দু মুসলমান সব সমান। অন্য ধর্মের কাউকে ঘৃণা করলে ভগবান অসন্তুষ্ট হন। বাবা আমাকে একটা গান শিখিয়েছিলেন, টুলি, তুইও ত জানিস ও গানটা, গা না ভাই আমার সাথে।
    মোরা এক বৃন্তে দু’টি ফুল হিন্দু-মুসলমান।
    মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ ...।”

    নজরুল এখানে মুসলমানদের কিভাবে নীচু করেছেন তা সচেতন পাঠক মাত্রই বুঝেন।

    কুরআনের সুস্পষ্ট ভাষ্যমতে মুসলিমরা সৃষ্টির সেরা আর মুশরিকরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট। একই বৃন্তের ফুল সাজিয়ে সমান বানিয়ে নজরুল মুসলিমদেরকে চরম অপমান করেছেন।

    মুসলমানদের নীচু আর হিন্দুদের উঁচু সাজিয়েছেন। যার ফলে প্রশ্ন উঠেছে, উঁচু জাতের হিন্দুর সাথে কি করে (অস্পৃশ্য নিচু জাত যবন) মুসলমানের বিয়ে হতে পারে। নজরুল কিন্তু এই প্রশ্ন করেননি, সৃষ্টির সেরা ‍মুসলিমের সাথে কি করে গরু-পূজারির বিয়ে হতে পারে।

    অধিকন্তু মুশরিকের সাথে মুসলিমের বিয়ের মতো শরীয়তের হারামকে যে হালাল করেছেন, তা তো আছেই।

    এ হচ্ছে নজরুলের শরীয়ত! রবিন্দ্র-নজরুলদের থেকে আমরা সাহিত্য শিখতে পারি, ভাষা শিখতে পারি, শরিয়ত তো শিখতে পারি না।

    আল্লাহ তাআলা যথার্থই বলেছেন,

    {وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ (224)} [الشعراء: 224]
    “আর কবিগণ- তাদের অনুসারি হয় তো যতসব বিপদগামী লোক।” –শুআরা: ২২৪

    নজরুলকে নিয়ে অনেকে ‍ভুল বুঝেন।নজরুল এমন এক সময়ে কবি হয়েছিলেন, যে সময়ে ইংরেজ প্রভুরা মুসলিমদের নীচু করতে বঙ্কিম-রবিন্দ্র-শরৎদের ভাড়া করেছিল। এসময় মুসলিম পরিচয়ে কোনো সাহিত্যিকের পক্ষে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ছিল অসম্ভব। বিষয়টি বুঝতে পেরে নজরুল প্রতিষ্ঠার আশায় হিন্দু তোষণে মন দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ধর্মের গণ্ডি থেকে বের হয়েও নজরুল হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতে পারেননি।
    অধ্যাপক গোলাম মর্তুজা তার ‘চেপে রাখা ইতিহাস’ বইয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন,

    “তাঁর জন্ম হয়েছিল পুরোপুরি মুসলিম পরিবেশে, মুসলিম বাবা-মা’র সন্ধিক্ষণে।” - চেপে রাখা ইতিহাস: ২৬২
    “নজরুল প্রথমে আরবী ও ফার্সী ভাষায় বেশ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলে। ফলে তাঁর ধর্মীয় ভাব বেশ গাঢ় ছিল। তাঁর প্রথম কবিতায় ধর্মের ঘ্রাণ বেশ তীব্রভাবে অনুভূত হয়।” - চেপে রাখা ইতিহাস: ২৬৩

    কিন্তু প্রতিষ্ঠা লাভের বাসনায় নজরুল ধীরে ধীরে তার ধর্ম বিসর্জন দিতে শুরু করেন। গোলাম মর্তুজা বলেন,

    “হিন্দু মানসে আঘাত না দিয়েই শুধু লিখে গেছেন তাই নয়, …. বরং স্বধর্মের বিরোধিতা করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। কুরআন হাদিস ও আলেম সমাজকেও আঘাত দিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রে। তবুও আশানুরূপ সমর্থন তিনি পাননি।” - চেপে রাখা ইতিহাস: ২৬২

    “কবি … আরও নমনীয় হলেন। সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে মুগ্ধ করতে তার কবিতা বের হতে লাগলো, যা শুধু ঠাকুর দেবতার কথা, রামায়ণ মহাভারতের কথা, প্রাচীন মুনি ঋষিদের কথায় ঠাসা সম্ভার ছিল।

    এবার যেন তাঁর উপর অনেকের দৃষ্টি পড়ল। তবুও তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মনে করলেন। তাই … শ্রীযুক্তা গিরিবালা দেবির কন্যা প্রমীলাকে বিয়ে করলেন। তাতে একদল হিন্দু খুশী হলেন বটে, কিন্তু আর একদল অসন্তুষ্ট হলেন এজন্য যে, হিন্দুর মেয়ে মুসলমানদের হাতে চলে গেল।

    … কবি আরো নমনীয় হয়ে আরো নেমে এলেন পূর্ব-পুরুষের ধর্মীয় গণ্ডির সীমা থেকে। নামায রোযা তো আড়াল করে দিলেনই উপরন্তু তাঁর পুত্রদের হিন্দু কায়দায় নাম রাখলেন। … তাছাড়া ছেলেদের জন্য এমন পরিবেশ তিনি গড়লেন যাতে তাঁর পুত্রেরা কল্পনা করতে পারতেন না যে, তাঁরা মুসলমান পাত্রীকে বিয়ে করবেন। আর হলও তাই। তাঁর ছেলেরা পুরোপুরি হিন্দু কায়দায় বড় হলেন, হিন্দু মেয়ে বিয়ে করলেন এবং তাঁরাও তাঁদের ছেলেমেয়েদের নাম হিন্দু পদ্ধতিতেই রাখলেন। ফলে এতদিনে প্রমাণ হল যে, তিনি মুসলমান সমাজ হতে নিজেকে বের করতে চান।

    এরপরেও নজরুল আরো দেবতাভক্ত হলেন, কালী দেবীর নামে অনেক শ্যামাসঙ্গীত সৃষ্টি করলেন, তাতে সুর লাগালেন, নিজে তা ভাবাবেগের সাথে গেয়েও শোনালেন। অনেকে তাঁকে তাঁদের মত মনে করে বরণ করলেও কিছু ‘কঠিন হৃদয়ে’ এ কথা মনে হয়েছিল যে, লেখা আর কাজ এক নয়।
    তাই নজরুল আরও নেমে এলেন- কালী সাধনায় নিমগ্ন হওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।” - চেপে রাখা ইতিহাস: ২৬৩

    কিন্তু কালী সাধনা করেও নজরুল হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হলেন না, হিন্দুদের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব হলো না।

    আজ যারা নজরুলকে আদর্শ মানছেন, মনে রাখা উচিত- তাদের পরিণতিও কিন্তু তাহলে নজরুলের মতোই হবে: না হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন, না মুসলমানদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন। তাই বলি: নজরুলের ভাবাদর্শে বলিয়ান না হয়ে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদতলে নিজেদের সমর্পণ করুন। দুনিয়াতেও প্রতিষ্ঠা পাবেন, আখেরাতেও সম্মান পাবেন।
    ***


    হিন্দুপ্রেমে একধাপ এগিয়ে গেলেন আমাদের ধর্ম উপদেষ্টা। একজন আলেম ঘরানার লোক এবং দাড়ি টুপি দেখে অনেকে ভাবছিলেন তিনি হয়তো মুসলিমদের প্রতিনিধি। কিন্তু জনাব ধর্ম ‍উপদেষ্টা অতি গৌরবের সাথে প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন: তিনি মুসলিমদের প্রতিনিধি নন। তিনি বলছেন, তিনি সকল ধর্মের উপদেষ্টা। কাজেই মুসলিমদের সাথে ঈদ যেমন পালন করবেন, হিন্দুদের সাথে দুর্গা পূজাও পালন করবেন। তিনি অবশ্য নাকোচ করে দিয়েছেন: এতে তার মুসলমানিত্বে কোনো ঘাটতি হবে না, বরং তিনি একজন পাক্কা মুসলমানই থেকে যাবেন।

    বলি: দুই নৌকায় পা দিয়েন না, ইতিহাসে বেডরেকর্ড হয়েই কিন্তু থাকবেন। গুটিকতক হিন্দুকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে মুসলমানদের এবং মুসলমানদের রবকে নারাজ করবেন না, অন্যথায় পরিণতি তেমন সন্তুষজনক হবে না; না দুনিয়াতে, না আখেরাতে।

    আপনার উদাহরণ তো এমন এক ম্যানেজারের মতো যে একটা হোটেলে চাকরি করে। যেখানে হালাল খাদ্যের পাশাপাশি মদ ও শুকরের গোশতও সরবরাহ করা হয়। সেখানে একটি পতিতালয়েরও ব্যবস্থা আছে, মদ-শুকর খেয়ে যেখানে যিনা করার ব্যবস্থা থাকে। সেই ম্যানেজার সাহেব মনে করলেন, তিনি যেহেতু হোটেলের সব বিষয়ের ম্যানেজার তাই মদ-শুকর সরবরাহ করার দায়িত্বও তার, পতিতালয়ের দেখাশুনা করা, পতিতা সংগ্রহ, কাস্টমার সংগ্রহ ও মানসম্পন্ন যৌন সেবা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব; নতুবা তার বেতন হালাল হবে না! এজন্যই দ্বীনদারির সাথে (!!) বেতন হালালের নিমিত্তে দায়িত্বশীলতার সাথে মানসম্পন্ন ড্রিংকিং ও যৌনসেবা নিশ্চিত করতে খেটে যাচ্ছেন। আমাদের ধর্মউপদেষ্টার বিষয়টা এমনই দাঁড়াচ্ছে।

    ইসলাম আজকে আসেনি দুনিয়াতে, মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফের সম্প্রদায় আজ থেকে বসবাস করেনি, সেই নববী যামানা থেকেই বসবাস করে আসছে। মুসলিম শাসক ও গভর্নরগণ পূজার সময় কি করতেন তা কি আপনারা একটু খুঁজে দেখতে পারেন না!?

    মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফেরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে কাফেরদের সাথে একাত্ম হওয়া নয়।
    মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফেরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে তাদের সাথে পূজায় শরীক হওয়া নয়।
    মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফেরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে পূজায় শুভেচ্ছা জানানো নয়।
    মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফেরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে মন্দিরের জন্য জায়গা দেয়া নয়।
    মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফেরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে মন্দিরের জন্য বরাদ্দ দেয়া নয়।
    মুসলিমদের রাষ্ট্রে কাফেরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে পূজায় অনুদান দেয়া নয়।


    ধর্ম উপদেষ্টা তো এবার জাতির মাথা উঁচু করেছেন (!!); ২/৩ কোটির জায়গায় এবার ৫ কোটি বরাদ্দ দিতে পেরেছেন!

    মুসলিম রাষ্ট্রে কাফেররা তাদের নিজেদের বরাদ্দে নিজেদের পরিসরে পূজা-পার্বন যা করার করবে, রাষ্ট্র এতে কড়িআনাও বরাদ্দ দিবে না। তারা নিজেদের পরিসরে করবে, মুসলিমদের লোকচক্ষুর আড়ালে করবে, আমরা বাধা দিবো না- ব্যস এতটুকু। এর বেশি নয়। এতে বরাদ্দ দেয়া, সহযোগিতা করা, একাত্মতা ঘোষণা করা, শুভেচ্ছা জানানো ঈমান বিধ্বংসী কাজ।
    ***

    “উমার রাদি. বলেন, মুশরিকদের উৎসবের সময়ে গির্জায় যাবে না, কেননা, (এসময়) তাদের উপর লা’নত পড়তে থাকে। আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাদি. বলেন, যে ব্যক্তি কাফেরদের ভূখণ্ডে বাড়ি করে, তাদের সাথে উৎসব করে, তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে অতঃপর এ অবস্থায়ই মারা যায়- কেয়মাতের দিন তাকে তাদের সাথেই উঠানো হবে।

    উৎসবের সময়ে গির্জায় যাবে - উমার রাদি. এটাও নিষেধ করেছেন। তাহলে উৎসবের কোনো কাজে শরীক হলে কি অবস্থা হতে পারে? কিংবা কি অবস্থা হতে পারে যদি কোনো ধর্মীয় কাজে শরীক হয়ে পড়ে? তাদের (কুফরি) কাজের কারণে উৎসবের সময় যখন তাদের উপর লা’নত পড়তে থাকে, যে ব্যক্তি তাদের সাথে যোগ দিল বা তাদের কোনো কাজে শরীক হলো, সে কি ঐ আযাব নিজের উপর টেনে আনলো না? আর আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদি. তো স্পষ্ট বলেছেন, যে ব্যক্তি কাফেরদের ভূখণ্ডে বাড়ি করে, তাদের সাথে উৎসব করে, তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে অতঃপর এ অবস্থায়ই মারা যায়- কেয়মাতের দিন তাকে তাদের সাথেই উঠানো হবে। এর অর্থ: এইসবগুলো কাজ যে করবে, তিনি তাকে কাফের মনে করছেন। কিংবা এতটুকু তো অবশ্যই যে, এগুলো জাহান্নাম অবধারিতকারী কবিরা গুনাহ।” – ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকি, ইবনে তাইমিয়া: ১/৫১১-৫১৫[1]

    “চুক্তিবদ্ধ যিম্মি কাফেরদের গির্জা ভেঙে পড়লে আগে যেমন ছিল তেমন বানিয়ে নিতে পারবে, আগের চেয়ে বড় করতে পারবে না, আগের চেয়ে মজবুতও করতে পারবে না। ইমামুল মুসলিমিন যদি আগে ছিল না নতুন বানানো হয়েছে এমন কোনো গির্জা পান বা কোনোটি আগের চেয়ে বড় করা হয়েছে দেখতে পান: তাহলে নতুন বানানোটি ভেঙে ফেলবেন, (পুরানটির মূল অংশটা রেখে) নতুন বাড়ানো অংশটি ভেঙে দিবেন।”

    “গির্জা ভেঙে গেলে মেরামত করে নিতে পারবে অর্থ এই না যে, আমরা তাদেরকে মেরামত করতে বলবো। বরং উদ্দেশ্য: তারা করলে নিষেধ করবো না। তবে এর অর্থ এও নয় যে, তারা যা করছে তা করা তাদের জন্য বৈধ হচ্ছে। (বরং তা করা তাদের জন্য অবৈধ, যদিও আমরা বাধা দিচ্ছি না) কাজেই সুলতান বা কাজির জন্য তাদেরকে তা করতে বলা বা সহযোগিতা করা জায়েয হবে না, কোনও মুসলমান এতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করাও হালাল হবে না।”

    “ইমাম কারাফি (মালিকি) রহ. তো ফতোয়া দিয়েছেন, গির্জা ভেঙে গেলে পুনঃনির্মাণ করা যাবে না। যে ব্যক্তি এতে সহযোগিতা করবে সে কুফরের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করলো, আর কুফরের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা কুফর।” –শামি: ২০৪-২০৫[2]



    [1] روى البيهقي بإسناد صحيح في باب كراهة الدخول على أهل الذمة في كنائسهم والتشبه بهم يوم نيروزهم ومهرجانهم: عن سفيان الثوري، عن ثور بن يزيد عن عطاء بن دينار قال: قال عمر: " لا تعلّموا رطانة الأعاجم، ولا تدخلوا على المشركين في كنائسهم يوم عيدهم؛ فإن السخطة تنزل عليهم " وبالإسناد عن الثوري، عن عوف عن الوليد - أو أبي الوليد - عن عبد الله بن عمرو قال: " من بنى ببلاد الأعاجم فصنع نيروزهم ومهرجانهم، وتشبه بهم حتى يموت وهو كذلك، حُشر معهم يوم القيامة ".
    ... وهذا عمر نهى عن تعلم لسانهم، وعن مجرد دخول الكنيسة عليهم يوم عيدهم، فكيف بفعل بعض أفعالهم؟ أو بفعل ما هو من مقتضيات دينهم؟ . ... وإذا كان السخط ينزل عليهم يوم عيدهم بسبب عملهم؛ فمن يشركهم في العمل أو بعضه: أليس قد يعرض لعقوبة ذلك؟ ... وأما عبد الله بن عمرو فصرح أنه: " من بنى ببلادهم، وصنع نيروزهم ومهرجانهم وتشبه بهم حتى يموت؛ حشر معهم " وهذا يقتضي أنه جعله كافرا بمشاركتهم في مجموع هذه الأمور، أو جعل ذلك من الكبائر الموجبة للنار. - اقتضاء الصراط المستقيم لمخالفة أصحاب الجحيم (1/ 511-515)

    [2] وفي الحاوي القدسي: وإذا انهدمت البيع والكنائس لذوي الصلح إعادتها باللبن والطين إلى مقدار ما كان قبل ذلك، ولا يزيدون عليه، ولا يشيدونها بالحجر والشيد والآجر، وإذا وقف الإمام على بيعة جديدة أو بنى منها فوق ما كان في القديم خربها وكذا ما زاد في عمارتها العتيقة اهـ -الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (4/ 205)
    ذكر الشرنبلالي في رسالة في أحكام الكنائس عن الإمام السبكي أن معنى قولهم لا نمنعهم من الترميم ليس المراد أنه جائز نأمرهم به بل بمعنى نتركهم وما يدينون فهو من جملة المعاصي التي يقرون عليها كشرب الخمر ونحوه ولا نقول: إن ذلك جائز لهم، فلا يحل للسلطان ولا للقاضي أن يقول لهم افعلوا ذلك ولا أن يعينهم عليه، ولا يحل لأحد من المسلمين أن يعمل لهم فيه. -الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (4/ 204)
    وقد نقل الشرنبلالي في رسالته عن الإمام القرافي أنه أفتى بأنه لا يعاد ما انهدم من الكنائس، وأن من ساعد على ذلك فهو راض بالكفر والرضا بالكفر كفر اهـ. -الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (4/ 205)



  • #2
    আজ যারা নজরুলকে আদর্শ মানছেন, মনে রাখা উচিত- তাদের পরিণতিও কিন্তু তাহলে নজরুলের মতোই হবে: না হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন, না মুসলমানদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন।
    এমনই হচ্ছে ভাই! নামধারী কেউ কেউ পছন্দ করলেও না প্রকৃত মুসলমান গ্রহণ করে আর না মুশরিকের বাচ্চারা তাদের ভাল কাজের কারণে তাদের কাছে টেনে নেয়।
    যারা আল্লাহ তাআলার সঙ্গ থেতে দূরে সরে গিয়েছে, তাদের মন থাকে বিক্ষিপ্ত , ভঙ্গুর , সংকির্ণ ও অস্থির ওরা কারো প্রতি আস্থা যে রাখবে এই যোগ্যতাই তাদের নেই, শুধু শুধু আমাদের দুধারী ভাইয়েরা নিজেদেরকে উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম লেখানোর প্রচেষ্টা করে যান আর ভাবেন, তিনি ফিরদাউসের অগ্রগামী সৈনীক।

    Comment


    • #3

      يقول النبي صلى الله عليه وسلم: « الإسلام يعلو ولا يعلى عليه ». رواه البيهقي، وحسنه الألباني لغيره في الإرواء 5/106- 108
      ..نحن الذين بايعوا محمدا ﷺ على الجهاد ما بقينا أبدا

      Comment

      Working...
      X