Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার নতুন স্ট্র্যাটিজ&

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার নতুন স্ট্র্যাটিজ&

    মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার নতুন স্ট্র্যাটিজি ও

    আল-কা’য়িদা এবং আই এস এর ভবিষ্যতের উপর তার প্রভাব
    =====================================




    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


    প্রথম পর্ব

    ৯/১১ এর পর আমেরিকা তার সেনাবাহিনী এবং যুদ্ধ বিমানগুলো নিয়ে মুসলিম বিশ্ব আক্রমণ করার মাধ্যমে সারা বিশ্বে জিহাদ এবং প্রতিরোধের আগুন প্রজ্বলিত করে দেয়। তোরাবোরা পাহাড়ের সেই বিখ্যাত অবরোধের পর, শত শত মুজাহিদিনগণ সেখান (আফগানিস্তান) থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আফগানিস্তানের পাশাপাশি, পাকিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন, মরক্কো এবং সোমালিয়ায় জিহাদের আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্যে জাহান্নামের দরজা খুলে দেন।



    মার্কিনিদের অব্যহত প্রচেস্টার পরও জিহাদের এই শিখাকে নিভিয়ে ফেলা, এই জোয়ারকে দমিয়ে রাখার চেস্টা সফল হয় নি। যতোবার মুসলিম বিশ্বে তারা তাদের সামরিক হস্তক্ষেপ বাড়িয়েছে, ততোবারই তা শুধু তাদের অর্থনীতির রক্তক্ষরণকেই বৃদ্ধি করেছে। একদশক ধরে এই যুদ্ধ চালাতে গিয়ে তাদের অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হল, এবং তাঁরা এমন এক অবস্থায় পৌছলো যে এধরণের সামরিক অভিযান এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য অত্যন্ত কস্টসাধ্য হয়ে উঠলো। এই অবস্থায় আমেরিকার রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার অবশিস্ট শক্তিটুকু সংরক্ষণ করার জন্য মুসলিম বিশ্ব থেকে সেনা প্রত্যাহার করা জরুরী।



    ওবামা নির্বাচিত হল। তার মিশনই ছিল যেকোন ভাবে দ্রুত একটি বিজয় অর্জন করা। এমনকি যদি এটি শুধুমাত্র একটা “মিডিয়া বিজয়” হয় তাও, যাতে করে আমেরিকা ইরাক এবং আফগান থেকে সরে আসার একটা সম্মানজনক অযুহাত নিজেদের জন্য তৈরী করতে পারে। ওবামা প্রশাসন সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে একটি সামরিক জয়ের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। অতঃপর তারা তাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে জেতার চেস্টা চালায় কিন্তু এ চেস্টাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।



    বছরের পর বছর চেষ্টার পর তাদের গোয়েন্দারা অবশেষে শাইখ উসামার অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়, এবং তারা তাকে অ্যাবোটাবাদে হত্যা করে। মার্কিনরা এই ঘটনাকে মিডিয়াতে তাদের বিজয় এবং আল-কা’য়িদার পতন বলে প্রচার করার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য একটি অজুহাত তৈরী করে। কিন্তু শাইখ উসামার মৃত্যুর এতো বছর পরেও কুফফার বিশ্বের প্রতি আল-কা’য়িদার হুমকি শেষ হয়ে যায় নি।



    বরং আরব বসন্তের পর থেকে আমেরিকা তথা পাশ্চাত্যের কুফর শক্তির প্রতি আল-কা’য়িদার হুমকি আরো বেড়েই চলল। কারণ গণমানুষের এই বিপ্লবকে আল-কায়িদা নিজেদের তৈরী স্ট্র্যাটিজি এবং লক্ষ্যে অনুযায়ী পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই বিশৃঙ্খলাকে কাজে লাগিয়ে আল-কা’য়িদা, লিবিয়া, ইয়েমেন, তিউনিসিয়া এবং সিরিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে এবং নৈতিক অঙ্গনে বিজয় লাভ করেছিল। এর ফলে আমেরিকা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে, এবং বুঝতে পারে এই যুদ্ধ এতো সহজে শেষ হবে না। এই উভয় সঙ্কট থেকে বাঁচতে আমেরিকা বাধ্য হল নতুন এক স্ট্র্যাটিজি নিয়ে ভাবতে।

    আল-কা’য়িদাকে নিয়ে মার্কিনিদের এরকম....

    (বাকি অংশ নিচের লিঙ্ক এ আছে)


    Last edited by titumir; 07-15-2015, 09:45 PM. Reason: links update

  • #2
    মাশাআল্লাহ, খুবই সুন্দর একটি আলোচনা।

    Comment


    • #3
      মাশাঅাল্লাহ
      কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

      Comment

      Working...
      X