আমরা একটা চক্রে হারিয়ে গেছি, "ময়দানে তীহ" এর মত ঘুরেফিরে বারবার একই জায়গায় আসছি।
আমাদের অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকে, অনেক সপ্ন ও আশা থাকে, কত কথা মনে জমে থাকে, কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও আমি যেই তিমিরে সেই তিমিরেই থাকি, কোন উন্নতি হয় না, কোন অগ্রগতিও দেখা যায় না!
এক সময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী কর্মঠ যুবককে সময়ের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে দেখা যায়, দ্বীনের কাজে সামনে থেকে লীড দেওয়া চঞ্চল ছেলেটিকে ঝিমিয়ে পড়তে দেখা যায়, দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানের ঘোড়সওয়ারও এক সময় নিশ্চুপ বসে পড়ে।
কারো কারো মাঝে আল্লাহ অনেক সম্ভাবনা দিয়ে রেখেছেন, সাথে ভালো বুঝ ও ফিকিরের নিয়ামতও দিয়েছেন, কিন্তু দিন শেষে এসে দেখা যায়, এত এত যোগ্যতা সব আলমারীতে তুলে রাখা কোন দামী আসবাবপত্রের মত সাজানো থাকে, কিন্তু কাজের বেলায় এ থেকে কোন ফায়দা না তার নিজের হয়, না হয় উম্মাহর!
খুব মনে চাই! এই এই কাজ করব, এই বিষয়ে আমাকে শিখতে হবে! অমুক বিষয়টা জানতে হবে!
কিন্তু বহুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও দেখা যায়; অজানা বিষয়গুলো অজানাই রয়ে গেছে, নতুন আর কিছু তেমন শেখা হয়নি, আমি আগে যেমন ছিলাম, ঠিক তেমনই আছি!
কেন এমন হয়? এর পিছনে মূল হেতু আসলে কী?
কেন আমরা এভাবে পিছিয়ে পড়ছি!
আমরা আসলে এ কোন চক্রে ফেঁসে গেছি? আর এর পরিণতিই বা কী হবে? আমি কি পারবো আবার উঠে দাঁড়াতে না এমনই থেকে যাব? এই চক্র থেকে বের হতে সক্ষম হব কী ? নাকি গোলক ধাঁধায় আটকা পড়ে অক্ষমদের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে বসে তামাশা দেখতে থাকবো??
যদি আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকি, তাহলে এটা হবে আমাদের দয়ালু রবের রহমত থেকে নৈরাশ্যতা! আর আমরা যদি তামাশা দেখতে চাই, তবে আমাদের জেনে রাখা উচিৎ! জীবন নিয়ে তামাশা চলে না।
সামনের দিন টা যে বড়ই ভয়াবহ!
হে বুঝমান ভাই! তোমার লক্ষ্য তো অনেক বড়, তুমি তো আর দশ সাধারণ যুবকের মত নও, তোমার কাঁধে তো সমগ্র উম্মারহ'র জিম্মাদারি, তুমি যদি আজ হারিয়ে যাও, দ্বীনের সাহায্যে হাত না বাড়াও, তাহলে কে ধরবে উম্মাহর হাল! কে তুলবে এই পাল!
এ যুগে জিহাদের বুঝ পাওয়া এক বড় নিআমাত, জিহাদের বুঝ পাওয়া মানে প্রায় পুরো দ্বীনেরই বুঝ পাওয়া। কেননা, জিহাদ হচ্ছে দ্বীনের চূড়া, আর যে চূড়ায় আরোহণ করে তার জন্য দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ও সহজ হয়ে যায়।
কিন্তু যদি আমরা এই মহা নিআমত পাওয়ার পরেও গাফেলদের মতই আচরণ করতে থাকি, নফসের ধোঁকা থেকে বের হতে না পারি, গোলামির জিঞ্জির ছিড়ে নিজের নফস ও শয়তানের সাথেই পেরে উঠতে না পারি, কাফেরদের বানানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করে দেই! আল্লাহর দেয়া প্রতিভাকে অহেতুক কাজে বিনষ্ট করে ফেলি!
তাহলে এর দ্বায় কে নিবে?
কি মনে হয়, 'একজন বয়োবৃদ্ধ মূর্খ কৃষকের হিসাব আর একজন বুঝমান বিচক্ষণ তরুণ আলেম বা মুজাহিদের হিসাব' একই রকম হবে?
যেখানে অন্যকে বুঝানো আমার কাজ, ফিতনা দূর করে সমাজকে বিশৃঙ্খলা মুক্ত করা আমার লক্ষ্য,সেখানে গুনাহের মাধ্যমে আমি নিজেই যদি আল্লাহর ক্রোধ টেনে আনি, বিশৃঙ্খলা করে সমাজকে নষ্ট করি! আমাদের বাহ্যিকের চেয়ে ভিতরটা আরও কলুষিত করে রাখি!
এরপরও নিজের প্রতি নেফাকির ভয় না রাখি, তাহলে এ কেমন ইনসাফ!
আমাদের অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকে, অনেক সপ্ন ও আশা থাকে, কত কথা মনে জমে থাকে, কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও আমি যেই তিমিরে সেই তিমিরেই থাকি, কোন উন্নতি হয় না, কোন অগ্রগতিও দেখা যায় না!
এক সময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী কর্মঠ যুবককে সময়ের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে দেখা যায়, দ্বীনের কাজে সামনে থেকে লীড দেওয়া চঞ্চল ছেলেটিকে ঝিমিয়ে পড়তে দেখা যায়, দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানের ঘোড়সওয়ারও এক সময় নিশ্চুপ বসে পড়ে।
কারো কারো মাঝে আল্লাহ অনেক সম্ভাবনা দিয়ে রেখেছেন, সাথে ভালো বুঝ ও ফিকিরের নিয়ামতও দিয়েছেন, কিন্তু দিন শেষে এসে দেখা যায়, এত এত যোগ্যতা সব আলমারীতে তুলে রাখা কোন দামী আসবাবপত্রের মত সাজানো থাকে, কিন্তু কাজের বেলায় এ থেকে কোন ফায়দা না তার নিজের হয়, না হয় উম্মাহর!
খুব মনে চাই! এই এই কাজ করব, এই বিষয়ে আমাকে শিখতে হবে! অমুক বিষয়টা জানতে হবে!
কিন্তু বহুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও দেখা যায়; অজানা বিষয়গুলো অজানাই রয়ে গেছে, নতুন আর কিছু তেমন শেখা হয়নি, আমি আগে যেমন ছিলাম, ঠিক তেমনই আছি!
কেন এমন হয়? এর পিছনে মূল হেতু আসলে কী?
কেন আমরা এভাবে পিছিয়ে পড়ছি!
আমরা আসলে এ কোন চক্রে ফেঁসে গেছি? আর এর পরিণতিই বা কী হবে? আমি কি পারবো আবার উঠে দাঁড়াতে না এমনই থেকে যাব? এই চক্র থেকে বের হতে সক্ষম হব কী ? নাকি গোলক ধাঁধায় আটকা পড়ে অক্ষমদের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে বসে তামাশা দেখতে থাকবো??
যদি আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকি, তাহলে এটা হবে আমাদের দয়ালু রবের রহমত থেকে নৈরাশ্যতা! আর আমরা যদি তামাশা দেখতে চাই, তবে আমাদের জেনে রাখা উচিৎ! জীবন নিয়ে তামাশা চলে না।
সামনের দিন টা যে বড়ই ভয়াবহ!
হে বুঝমান ভাই! তোমার লক্ষ্য তো অনেক বড়, তুমি তো আর দশ সাধারণ যুবকের মত নও, তোমার কাঁধে তো সমগ্র উম্মারহ'র জিম্মাদারি, তুমি যদি আজ হারিয়ে যাও, দ্বীনের সাহায্যে হাত না বাড়াও, তাহলে কে ধরবে উম্মাহর হাল! কে তুলবে এই পাল!
এ যুগে জিহাদের বুঝ পাওয়া এক বড় নিআমাত, জিহাদের বুঝ পাওয়া মানে প্রায় পুরো দ্বীনেরই বুঝ পাওয়া। কেননা, জিহাদ হচ্ছে দ্বীনের চূড়া, আর যে চূড়ায় আরোহণ করে তার জন্য দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ও সহজ হয়ে যায়।
কিন্তু যদি আমরা এই মহা নিআমত পাওয়ার পরেও গাফেলদের মতই আচরণ করতে থাকি, নফসের ধোঁকা থেকে বের হতে না পারি, গোলামির জিঞ্জির ছিড়ে নিজের নফস ও শয়তানের সাথেই পেরে উঠতে না পারি, কাফেরদের বানানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করে দেই! আল্লাহর দেয়া প্রতিভাকে অহেতুক কাজে বিনষ্ট করে ফেলি!
তাহলে এর দ্বায় কে নিবে?
কি মনে হয়, 'একজন বয়োবৃদ্ধ মূর্খ কৃষকের হিসাব আর একজন বুঝমান বিচক্ষণ তরুণ আলেম বা মুজাহিদের হিসাব' একই রকম হবে?
যেখানে অন্যকে বুঝানো আমার কাজ, ফিতনা দূর করে সমাজকে বিশৃঙ্খলা মুক্ত করা আমার লক্ষ্য,সেখানে গুনাহের মাধ্যমে আমি নিজেই যদি আল্লাহর ক্রোধ টেনে আনি, বিশৃঙ্খলা করে সমাজকে নষ্ট করি! আমাদের বাহ্যিকের চেয়ে ভিতরটা আরও কলুষিত করে রাখি!
এরপরও নিজের প্রতি নেফাকির ভয় না রাখি, তাহলে এ কেমন ইনসাফ!

Comment