Announcement

Collapse
No announcement yet.

|| আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই এখন আমরা তাগুতের বন্দনায় স্বাদ খুঁজে পাই ||

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • || আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই এখন আমরা তাগুতের বন্দনায় স্বাদ খুঁজে পাই ||

    আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই এখন আমরা তাগুতের বন্দনায় স্বাদ খুঁজে পাই। তাদের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণস্বরূপ আমরাও নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে জঙ্গিবাদবিরোধী কর্মশালার আয়োজন করি। তারা তো পুরো কিতালের চ্যাপ্টারটাকেই জঙ্গিবাদ মনে করে। আমরাও তাদের সঙ্গে সায় দিই, একাত্মতা পোষণ করি। আমাদের মনে উদ্দেশ্য যা-ই থাক, বাহ্যত আমাদের এসকল কাজের পুরোপুরি ফায়দাটা ভোগ করে বিশ্ব তাগুত গোষ্ঠী। নইলে মাওলানা ফরীদ মাসউদের কদরই বা রাতারাতি এত কেন বেড়ে গেল? হোয়াইট হাউজে পর্যন্ত তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, জাতিসংঘে পর্যন্ত সে গমন করার সুযোগ পায়, পোপের অনুষ্ঠানেও সে-ই হয় আমন্ত্রিত অতিথি। অথচ ইলমের বিচারে তারচে হাজারগুণ বেশি জ্ঞানী-গুণী এ মাটিতে এখনো বিদ্যমান। এরপরও সর্বত্রই কেন তারই আস্ফালন!

    আজকাল সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে হিরোদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজ কয়েকটি পয়েন্ট হলো : জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া, জামাত-শিবির নিয়ে মাঠ কাঁপানো কিংবা আহলে হাদিস নিয়ে বয়ান-বক্তৃতা করা। অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। আজ কওমিদের দিয়ে জামাত-শিবিরকে দমন করা হচ্ছে, কাল ওলামালীগ দিয়ে কওমিদের দমন করা হবে; যারা বাকি থাকবে তাদের হয়তো মুভের পালিশ লাগানো হবে কিংবা ট্রস ট্রস করে মেরে ফেলা হবে। একপর্যায়ে পুরো অঙ্গনটা হবে তাদের।

    বঙ্গদেশের মৌলবিরা এখন যেমন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরব, এককালে বোখারা-সমরকন্দের মৌলবিরাও হুবহু এ কাজটাই করেছিল। একই কাজ করেছিল ওমর মুখতারের দেশের মৌলবিরাও। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ খুঁজে বের করলে অতীতে এর নজিরই পাওয়া যাবে অসংখ্য পরিমাণে। দেশে দেশে মীর জাফরদের পরিণতি সামনে আসে। তবুও পিঠ বাঁচাতে দুর্বলমনারা সর্বদাই তাগুতের সঙ্গে আঁতাত করে।

    রাসুলুল্লাহ সা. কি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তাগুতদের নেতা—আবু জাহিল গংদের সঙ্গে ঐক্য করেছিলেন? কেন, সুকৌশলে ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি কি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে নামতে পারতেন না? না, পারতেন না। কারণ, ইসলাম কখনো জাহিলিয়াতের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে না। লা ইলাহা না থাকলে ইল্লাল্লাহ কখনো ভেতরে আসতে পারে না। আগে হবে কুফর বিত তাগুত, এরপর আসবে ইমান বিল্লাহ। নইলে যা হবে, বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় বড় হুংকার ছাড়লেও লাল মসজিদ ইস্যু আসলে মিইয়ে যাবে পুরোদমে। কেউ উচ্চবাচ্য করলে তাকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেবে দল থেকে বের করে।

  • #2
    ভাইদের কাছে অনুরোধ আমাদের ফোরামকে এদেশের আলিমদের সমালোচনা ঘার না বানায়। বাংলাদেশের মুরুব্বি আলিমদের আন্দোলন সংগ্রাম খুব কমই বুঝেন, যুবক আলিমরা এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      সামনে গাযওয়াতুল হিন্দ, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ। ইমাম মাহদির আগমন। এসব এখন থেকেই আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সমকালীন উলামাদের কাজগুলো নিয়ে আমরা ব্যস্ত হয়ে না পড়ি। আমরা আমাদের মিশন নিয়ে চিন্তা,ফিকির করি সেটাই ভালো। বাংলাদেশে আমাদের ভাবতে হবে বৈশ্বিক ভাবনা নিয়ে। দেশীয় গন্ডির ভেতরে সীমাবদ্ধ হয়ে গেলে ভবিষ্যত মহাযুদ্ধে অংশগ্রহণ অতীত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন আমাদের ভাবনা হওয়া উচিত বৈশ্বিক। আজ আফগানে প্রচুর অর্থের দরকার। লোকবলের দরকার। আমাদের জন্য ভালো হবে খোরাসানের বাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে যাওয়া।
      আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নিন আমীন।

      Comment

      Working...
      X